somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জেল থেকে ফিরে

০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাথার মাঝে বাম পাশে দশ বছর আগে একটা আঘাত পেয়েছিলাম, মস্তিষ্ক বেশী ব্যবহার করলে মাথা ব্যাথা করে। হাতের কবজিতে কি জানি প্রব্লেম, জোর পাই না। বুকের বাম পাশে প্রায়ই ব্যাথা হয়, মাঝে মাঝে মনে হয় মারা যাচ্ছি। প্রেশার একবারে লো হলে যেমন দুর্বল লাগে প্রায়ই সেরকম ফিল হয়। ব্যাকপেইনের জ্বালায় বসতে, ঘুমাতে সমস্যা। অতিরিক্ত ওজনের কারনে বেশিক্ষণ দাড়িয়েও থাকতে পারি না। পায়ের পাতা খুব ব্যাথা করে আর জ্বলে। ও হ্যাঁ পেটের চারিপাশ প্রায় সময়ই ব্যাথা করে। চোখ জ্বলে, দাঁতে মাঝে মাঝেই ব্যাথা হয়, ঠাণ্ডা কিছু খেলে শিরশির করে... আরও অনেক সমস্যা কি করি?

গত চার বছরে দুইবার ফুল বডি চেকআপ করালাম, ইসিজি, ইটিটি, আলট্রাসনোগ্রাম থেকে শুরু করে সব। কিছুই ধরা পরে না, প্রতিবার একই উত্তর গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা। লে হালুয়া, পুরাতন ঢাকার মানুষের গ্যাস্ট্রিকের প্রব্লেম থাকবে না তো কি থাকবে। গত দুই সপ্তাহ যাবত প্রায় তিনবেলাই আটার রুটি চিবুচ্ছি, ভালই মুখের চোয়ালের ব্যায়াম হচ্ছে। ওজন মনে হয় সপ্তাহখানেকের মধ্যে ডিমোসন পেয়ে গোল্ডেন জিপিএ থেকে এ মাইনাস হয়ে যাবে, মানে থ্রি ডিজিট থেকে অবনমন হবে আশা করছি। তো লাভের মাঝে কি লাভ হইল, গলাতে কলঙ্কের ঢোল এর মত বেশ মোটা অঙ্কের টাকা খসে গেল... সেই টাকায় এই ঈদে মালদ্বীপ-শ্রীলংকা একটা ট্যুর দিয়ে আসা যেত।

এবার আসি মূল কথায়। বিগত একমাস সামুতে ঢুকতে পারলাম না। প্রিয় এই আঙ্গিনা ছেড়ে থাকাটা আমার জন্য মনে হয় একরকম দেশে সারেং বাড়ির বৌ'কে রেখে আরব দেশের মরুভূমিতে উট চড়ানোর মত। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুধের স্বাদ কি আর ঘোলে মেটে। আমার আবাস যে এই সামুর আঙ্গিনায়।

প্রথম দুয়েকদিন সামুতে লগইন করতে না পেরে প্রথমে ব্রাউজার হিস্টোরি এবং ক্যাশ মেমরী ক্লিয়ার করলাম। ফলাফল শুন্য। এরপর ব্রাউজার সব কয়টা আন ইন্সটল করে ব্যর্থ। খেয়াল হতে ল্যাপটপ বাদ দিয়ে ডেস্কটপে গেলাম, সেখানেও ঢুকতে পারি না। এবার দুটার এন্টি ভাইরাস সব ডিলিট দিলাম, তাতেও লাভ হল না। হায় হায়, আমারে বুঝি সোলেমানি বান মারছে, কিন্তু বোকা মানুষ করলামটা কি? ভেবে ভেবে ঘিলুহীন মাথার নিউরন সব শুকিয়ে কাঠ হবার যোগাড়। পরে দেখি মোবাইল থেকে একই ব্রডব্যান্ড লাইনের ওয়াইফাই দিয়ে সামুতে ঢুকতে পারি... সব কিছু মাথার উপর দিয়ে না ভাই, বাসার ছাদের উপর দিয়ে গেল এক্কেবারে... ;)

এবার এক ছুটির দিনে ছোট ভাইরে দিলাম, ল্যাপি আর ডেচকি, দুটোরেই সি ড্রাইভ ফরম্যাট করে নতুন করে উইন্ডোজ সেটআপ দিতে। সেদিন রাতে দেখি নোটিশ বোর্ডে কাহিনী ঝুলায়ে দিছে... মাঝখান থেকে আমার শরীরের মত কত কিছু টেস্ট করলাম। এরপর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জানলাম কিছু মোবাইল অপারেটরের ইন্টারনেট সার্ভিস দিয়ে সামুতে ঘরে ফেরা যাচ্ছে। গতকাল বাংলালিঙ্ক এর নেট কিনে খুশী মনে বসলাম পড়ার টেবিলে, সরি ডেস্কটপ আর ল্যাপটপ নিয়ে। হায় হায়, তাও সামুতে ঢুকতে পারি না। অবশেষে আজকে গ্রাম্য ছেলের নেট কানেকশন (গ্রামীন ফোন) নিয়ে ট্রাই দিতেই আমি পাশ করে গেছি, বাসার দরজা খুলে গেছে। আপনজনের কাছে ফিরতে পেরেছি... আহ, আকাশে বাতাসে কত শান্তি।

আগামীকাল থেকে পুরোদমে ফিরব আশা রাখি, কত পোস্ট দেয়া বাকী, কত পোস্ট পড়া বাকী, কত জনকে কতদিন দেখি না, মানে সামুর ভার্চুয়াল দুনিয়ায়। তবে, একমাস অনেক সময়, চোখের আড়ালে নাকি মনের আড়াল হয়; আমায় কি কেউ মনে রাখছে? রাখে নাই মনে হয় ;) । রাখলে আমার পোস্টে আইস্যা একবার খোঁজও তো নিতে পারত। হুহ, বোকা মানুষ তো... একটু কম বুঝি, তাই মাইন্ড খাইয়েন না, গলায় আটকায় যাইব।

ঈদ মোবারক, থুক্কু শুভরাত্রি। মনে হচ্ছে জেল থেকে ছাড়া পেলাম। তাই শিরোনাম, 'জেল থেকে ফিরে'। দিলে বড় সাধ, হিটখোর হওয়ার, তাই টাইটেল এইরাম। টাইটেল এইরাম না হইলে কেউ আমার পোস্ট পড়বে না যে... :P
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ২:১৮
২৫টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×