somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঝটিকা সফরে সুন্দরবন

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খালাত ভাই নেভিতে জব করে। বর্তমান সে রিক্রুড। খুলনায় ট্রেনিং হচ্ছে তার। খালামনি তার পরিবার সহ গেছিলেন খুলনায় ওর সাথে দেখা করতে।
তারা গিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার।
ব্যাস্ততার কারনে তাদের সাথে যাওয়া হয় নি।
পরবর্তিতে সুন্দরবন ভ্রমনের লোভ সামলাতে পারিনি।
শনিবার সিমান্ত এক্সপ্রেস এ চেপে রওয়ানা দিলাম। রবিবার সকালে খুলনায় নামলাম। চাকরির সুবাদে আপু আর দুলাভাই সেখানেই থাকেন।
তাদের বাসায় উঠলাম। সকাল ৭টায় মোংলার বাস ধরলাম।
একে তো সারারাত জার্নি করে ক্লান্ত। তাতে আবার জার্নি।
তবে সুন্দরবন ভ্রমনের লোভ আমার সকল ক্লান্তি কে নিবারন করেছিল।
১ ঘন্টা পর মোংলায় নামলাম।
সুন্দরবনের নৌকা ভাড়া করলাম।
তারপর নৌকায় চেপে ৬ জন চললাম।
দুলে দুলে চলছে নৌকা । আমরা উপভোগ করছি বাংলার রুপ।আর আমি ভাবছি, হয়ত এ কারনেই জীবনানন্দ বার বার ফিরে আসতে চেয়েছিলেন এই বাংলায়।
এলেমেলো ভাবে উকি দিচ্ছে শুশুক। আর আমরা গুনছি। এক , দুই তিন। এইতো আরেকটা। আরে দেখ দেখ। এটা বড়, আরে না না আগেরটা বড় ছিল।
দেশের উত্তর অঞ্চলে আমার জন্ম। আর কিছুটা নন্দলাল প্রকৃতির হওয়াতে আঘে এমনটা দেখার সুযোগ মেলে নি।
বিশেষ করে এত বড় বড় জাহাজ কখনও দেখিনি।
নদীতে তখন জোয়ার হচ্ছিল। বড় বড় জাহাজ চলাচলের কারনে এত বড় বড় ঢেউ হচ্ছিল মনে হচ্ছে আমাদের নৌকাখানা বুঝি ডুবে যাবে । আমি সাতার জানি না। প্রচুর ভয় পেয়েছিলাম।
অবশেষে করমজল এ পৌছলাম।
দুপুরের খাওয়া সেরে বনে প্রবেশ করলাম।
মনে হচ্ছিল সারাজীবন দেখলেও তৃষ্ণা মিটবে না।
তবে বনের সেফ জোন খুবই সামান্য। কারন এখানে প্রতি পদে বিপদের সম্ভাবনা।
বনে ঢুকেই বানরের আক্রমনের শিকার হলাম। আমার শার্ট ছিড়ে দিল তারা।
দোষ টা আমারই। এক জন কে চকলেট দিয়েছিলাম। বাকিদের দেইনি বলে তারা বিদ্রোহ ঘোষনা করে হামলা চালাল।
অল্প কিছু অংশ দেখার সুযোগ হয়েছে।
এখানে কারো দায়িত্ব কেউ নেয় না।
যোগাযোগ মাধ্যম শুধুমাত্র নদী। আর হয়ত সে কারনেই নদীর তীরবর্তি শহর এত উন্নত।
অবশেষে ফেরার সময় হল।
বাঘ দেখার মত দুর্ভাগ্য হয় নি।
তবে বাঘের পায়ের ছাপ দেখেছিলাম।
আর ভাবছিলাম, যে বনের বানর এত হিংস্র, সে বনের বাঘ কতটা হিংস্র হতে পারে।
ফিরে এলাম।
তবে একজন কে খুব মিস করছিলাম।
বার বার তার কথা মনে পড়ছিল।
যদি সে পাশে থাকত , হয়ত বানরের সাথে যুদ্ধ ঘোষনা করত।

বিদায় সুন্দরবন।
“বিদায় খুলনা”
কখনও ভুলব না তোদের। বিশেষ করে পানি টা।

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫০
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×