এখন না আবার তারা সামুতে ঈদের ব্যানার লাগাতে বলে পোস্ট দেয়া শুরু করে। প্রত্যেক ঈদের আর পুজার আগে কিছু ব্লগার আছেন তারা চাঁদ উঠলো কি উঠলো না সেই বিসয়ে না যত বেশি ধ্যান দেন তার চেয়ে বেশি ধ্যান দেন পুজার ব্যানারটা কি বড় হইছে ঈদের ব্যানারের চেয়ে? কত ইঞ্চি বড়? আচ্ছা ঈদের ব্যানার টানায় ঈদের দিন আর পুজার ব্যানার টানায় পুজার ১০ দিন আগে। ঈদের ব্যানার দেখা না গেলেও পুজার ব্যনার কতো বড় দেখা যায় এই সব বিসয়ে পোস্ট দিয়ে সামু গুরম করে ফেলে। মনে হয় যদি সামুতে ব্যানার না উঠে, তাইলে তাদের ঈদের চাঁদও আসমান ফাইরা উঠবো না। এখন কিছু ব্লগারের ঈদ ঈদ চিল্লানি শুনে মনে খটকা লাগলো। বুক ধড়ফড় করে উঠলো
এমনকি তিনি কোন হাদিসেও বলে যায়নাই।
আনাস ইবনে মালিক(রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, জাহিলিয়াতের যুগের অধিবাসীদের জন্য প্রত্যেক বছরে দুইটি দিন ছিল যাতে তারা খেল-তামাষা করত। যখন নবী(স.) মদীনায় আসলেন তখন তিনি বললেন, এই দুইটি দিবস কি? তখন তারা বলল, জাহিলিয়াতের যুগে আমরা সেদিনগুলাতে খেল-তামাশা করতাম। তখন তিনি বললেন, তোমাদের জন্য দুইটি দিন ছিল যাতে তোমরা খেল তামাশা করতে, এখন আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য উক্ত দুই দিনের পরিবর্তে তার চেয়ে অধিকতর উত্তম দুইটি দিন নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা (নাসাই, আহমদ, আবু দাউদ)
মহানবী (সাঃ) এর ওফাতের পর জিব্রাইল (আঃ) দুনিয়া তে আনাগোনা বন্ধ করে দিলেও কেমতে জানি নতুন নতুন ওহী আসা শুরু করছে। এই ক্ষুদ্র মাথার ভিতর কিছু ঢুকতেছে না। ঈদ দুইটা থেকে এখন ৩ টা হয়ে গেছে। আমার খালি আফসুস লাগে সাহাবীদের জন্য। জীবন দিয়া মহানবীরে (সাঃ) ভালবেসেও তারা এই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদ পালন করে যেতে পারলনা
এখন আমার মনে প্রশ্ন জাগে সাহাবীরা কি আমাদের চাইতে কম ইসলাম বুঝতেন নাকি আমার আদের চাইতে বেশি জানি বেশি বুঝি?
আমার এক ফ্রেন্ড রোজা ছাড়া নামায না পড়লেও এই ঈদের দিন সরকার কেন বেশি ছুতি দেয় না সেই বিসয়ে ফেবুতে পোস্ট শেয়ার মারে। ভালোই তো। আমরা ধার্মিক হচ্ছি। আগে রোজাতে পরতাম এখন এই ইদে পড়বো। এরকম দেখি আরও মেলা ঈদের দরকার তাইলে
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





