শান্তিকমিটির অন্যতম প্রধান সংগঠক, জামাতে ইসলামী বাংলাদেশের একসময়কার ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলী খান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মূলত: রাজাকারবাহিনীর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। '৭১ এর ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়' বইটি হতে আব্বাস আলী খান সম্পর্কে অংশবিশেষ দেয়া হলো।
২৫ জুন ১৯৭১। পূর্বদেশ পত্রিকার সংবাদে উল্লেখ করা হয়, ''বগুড়া জেলার জয়পুরহাট মহকুমায় আব্বাস আলী খানের নেতৃত্বে পনের সদস্য বিশিষ্ট রাজাকার কমিটি গঠন করা হয়েছে।''
১৪ আগস্ট ১৯৭১। পাকিস্তানের আজাদী দিবসে আব্বাস আলী খান বলে, ''রাজাকাররা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমূলে ধ্বংস করতে জান কোরবান করতে বদ্ধপরিকর।''
২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১। তেজগাঁও থানা শান্তিকমিটির সংবর্ধনায় আব্বাস আলী বলে, ''পাকিস্তানকে অস্ত্রবলে ধ্বংস করার সকল প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ভারত এর আদর্শিক মূলে আঘাত হেনেছে। এ সংকট মুহূর্তে প্রত্যেকটি পাকিস্তানি নাগরিককে পাকিস্তানি ও মুসলমান হিসেবে চিন্তা করতে হবে।''
১০ অক্টোবর ১৯৭১। বগুড়া জেলা শান্তিকমিটি ও জেলা জামাতে ইসলামীর সংবর্ধনায় আব্বাস বলে, ''পাকিস্তানের মাটি থেকে দুষ্কৃতকারী (মুক্তিযোদ্ধা) ও ভারতীয় চরদের সম্পূর্ণভাবে নিধনের জন্য রাজাকারদের এগিয়ে আসতে হবে।''
৮ নভেম্বর ১৯৭১। লাহোরে জামাতে ইসলামীর জনসভায় আব্বাস বলে, ''পূর্ব পাকিস্তানের রাজাকারবাহিনী, আলবদরবাহিনী প্রমাণ করে দিয়েছে যে মুসলমান দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) ভয় করে না, আল্লাহকে ভয় করে।''
১৬ নভেম্বর ১৯৭১। চাঁদপুরের শান্তিকমিটির সভায় আব্বাস বলে, ''পাকিস্তান চিরকাল অক্ষয় থাকবে। এর শত্রুদের (মুক্তিযোদ্ধা) চিরতরে ধ্বংস করা আপনাদের দায়িত্ব।''
২৫ নভেম্বর ১৯৭১। এক বিবৃতিতে আব্বাস আলী খান বলে, ''তথাকথিত মুক্তিবাহিনীর ছদ্মবেশে ভারতীয় সেনবাহিনী নির্লজ্জ হামলা শুরু করেছে। এসময় প্রতিটি পাকিস্তানি জওয়ানদের হাতকে শক্তিশালী করা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মূল করতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও শান্তিবাহিনীকে সহায়তা করুন।''
৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। ঢাকা বেতার থেকে এক ভাষণে আব্বাস বলে, ''বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, হিন্দুস্তান অথবা তথাকথিত বাংলাদেশের সপক্ষে প্রচারণাকারীরা আমাদের দুশমন। প্রথম সুযোগেই তাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিন। আমাদের রাজাকার, আলবদর, আলশামস প্রভৃতি বাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশরক্ষার কাজে নেমে পড়ুন। আমীন...আল্লাহ আকবর...পাকিস্তান পায়েন্দাবাদ।''
১৯৭৬ সালে আব্বাস আলী খানের লিখিত গ্রন্থ 'স্মৃতি সাগরের ঢেউ'-এর প্রথম অনুচ্ছেদে লেখে, ''দুর্ভাগ্য অথাব সৌভাগ্যই বলুন, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সংকীর্ণ গণ্ডির মধ্যে ৬৭৯ দিন কাটিয়েছি। সেটাকে আমি সৌভাগ্যই বলব।
আলোচিত ব্লগ
কুড়ি শব্দের গল্প
জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্ম ও বিজ্ঞান
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন