somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হোটেল গার্ল............পর্ব :- ৩

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তারপর আর কি মেসেই থাকা শুরু করলাম।প্রথম দিকে একটু কষ্ট লাগতো কারন খাবার টা খুব নিম্ন মানের।কিন্তু কিছুই করার নাই। তারপরেও মজাই লাগতেসিল কারন আমি এখন স্বাধীন। যাইহোক কলেজে যাওয়ার ২ কয়েকদিন পরেই ফেসবুক এর সাথে পরিচিত হইলাম। দেখলাম ক্লাসের সবাই এটা চালায়। মেসের এক বড় আপুর সাহায্য নিয়া আমিও খুললাম। তারপরে শুরু হল ছেলেদের সাথে চ্যাট করা।প্রথম প্রথম অন্য সবার মত আমিও প্রায় সারাক্ষণই ফেসবুকে সময় দিতাম।অনেক গুলা ছেলে বন্ধুও জুটল। ওদের সাথে ঘুরতে জাইতাম,গল্প করতাম এইভাবেই কলেজ লাইফ টা শেষ করলাম। পড়ালেখা কিছুই করতাম না। আসলে এটা শুধু আমার একার ক্ষেত্রেই না সবার ক্ষেত্রেই হয় মানে যারা গ্রাম থেকে ঢাকায় পড়তে আসে এতা তাদের সবার ১ টা কমন প্রবলেম। তার মধ্যে যারা আমার মত দুরন্ত তাদের তো পড়ালেখা মাথায় উঠে। আমি বলে উঠলাম এটা ঠিক কথা কারন আমার নিজের এইচ এস সি রেজাল্টই খুব খারাপ হইসে কিন্তু আমি ভাই তোমার মত এইসব করিনা। তারপর সে বলল যেমন ঘুরতাম রেজাল্টও সুন্দর হইসে।এখন আর কিছুই করার নাই।মা বাবা চাইল বিয়ে দিয়ে দিবে। কিন্তু আমার এত তারাতারি বিয়ের কোনই ইচ্ছা ছিলনা।কিন্তু যেই সুন্দর রেজাল্ট করছি তাতে মা বাবা আর পড়ালেখা করাতে চাইল না। কিন্তু তাদের আশ্বাস দিলাম রেজাল্ট খারাপ হইসে তো কি হইসে ?? ঢাকা ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করবই। অনেক বুঝানোর পরে তারা রাজি হলেন। এইবার মনে মনে ভাবলাম আর না ভাই এখন যেমনেই হোক ভার্সিটিতে টিকতেই হবে। খুব মন দিয়া পড়া শুরু করলাম। কিছু দিন ভালই পরলাম কিন্তু কথায় আছে না কুকুরের লেজ সোজা হয়না?? আমার অবস্থাও তাই হইল। ও বলা হয়নাই এর মধ্যে ৩ টা মেস বদলাইসি। যাই হোক ৩ নাম্বার যে মেস টায় উঠলাম ঐটায় একটা আপু ছিল উনি আবার দেখতাম কেমন জানি একটু আলাদা টাইপের। জিজ্ঞেস করলাম আলাদা মানে?? আলাদা মানে একটু বেশি স্মার্ট। উনি অনেক তাকা কামায়। আর এইচ এস সি দেওয়ার পরে সবাই ছোট খাট ১ টা জব করতে চায়। কারন তখন সবারই টাকার দরাকার হয়। তো আপু অনেক খাওয়াইত তাই আমি আপুর সাথে একটু বেশি মিশতাম। আর আপুর থেকে টাকা ধার নিয়ে ফ্রেন্ডদের সাথে ঘুরেও আসতাম মাঝে মাঝে। একদিন আপুকে বললাম আপু একটা জব খুজে দিতে। আপু বলল পরে এটা নিয়ে আমার সাথে কথা বলবে। যাইহোক ২দিন যায়, ৩ দিন যায় আপু আর কোন কিছু জানায় না। অবশেষে একদিন আপু আইসা বলল যে একটা কাজ করবি?? আমি বললাম ক কাজ? উনি বলল আগে প্রমিস কর কাউকে বলবি না । আমি প্রমিস করলাম তখন উনি আমাকে বলল । কি বলল ?? এই যে এই কাজের কথা। প্রথম দিকে আমি খুব ১ টা ভয় পাইনি এমন কি নার্ভাস ও হইনাই। আপু বলার পরে ৩ দিন ভাবলাম যে এসব করব কিনা। আবার মনে হচ্ছিলো এটা খুব খারাপ কাজ করা হয়ে যাবে। আবার টাকার কথা ও মাথায় আসলো। অনেক চিন্তার পরে মাথায় আসলো আমার ধর্মের কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা আর আমি করলে দোষ কই ?? আসলে তখন মাথায় টাকার নেশা ঢুকসে এতাই আসল কথা...। ও তুমি হিন্দু ???? হুম কেন?? না না কিছু না। তারপর কি হইল বইলা যাও ...কি আর হবে আমি আপুকে বললাম। আপু তখন আমাকে বুঝাতে আসলো আমি বললাম যে আমাকে বুঝাতে আইস না আপু। তারপরে আপু আমাকে এইখানে নিয়া আসলো। আমি অবাক হয়ে প্রস্ন করলাম তোমার কাছে জীবন টা এতই সোজা ????????? একবার কি মা বাবার কথা চিন্তা করলা না??... তারা তোমাকে পড়ালেখা করার জন্য ঢাকায় পাঠাইল আর তুমি এসব কর??? নিজেকে নিয়ে তোমার লজ্জা হয় না??? তুমি কি ভাব ?? তোমার সারা জীবন এইভাবেই যাবে?? আমাকে সে তখন বলল আপনি আমাকে এই কথাটা বলার আগে একবার নিজে ভাবেন তো আপনি আপনার মা বাবার ইচ্ছা মত মন দিয়ে পড়ালেখা করেন কিনা?? এটা সুনে আমি ছুপ হয়ে গেলাম কারন আসলেই তাই...। রিমি এর পরে আমাকে বলল আমি নিজের হাত খরচের জন্য এটা করি মানি কিন্তু মা বাবা অতিরিক্ত টাকা দেয় না বলে তাদের তো খুন করি নাই...। কিন্তু আজকাল আমাদের সমাজে এইসব কাজ করার জন্য,একটু ভাললাগার জন্য, নিজের মা বাবারে কি খুন করে নাই??? আমি যা করি অই মেয়েও তো ওর প্রেমিকদের সাথে সেইম কাজ করত...পার্থক্য শুধু আমি হোটেলে করি আর ও অন্য জায়গায় করত। আর আমি, আপনি আমরা সবাই সমান ভাবে অপরাধী কারন আমরা সবাই আমাদের মা বাবাকে মিথ্যার মধ্যে রেখে স্বপ্ন দেখাচ্ছি । কাজেই এইসব কথা বইলেন না। আর ঢাকা শহরে থাকতে গেলে অনেক টাকা লাগে। যদিও আমার তেমন কোন ইছা ছিলনা এই রাস্তায় আসার কিন্তু আসলাম আর আসার পরে আমি বলতেসি না যে আমি খারাপ আসি। আমি খুব ভাল আছি কারন পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব হিসেবে এটা খারাপ না আর ঢাকায় এখন অনেক মেয়েরাই এই পেশায় আসতেছে কারন...। আর যারা ওয়েস্টার্ন কালচার ফলো করে এটা তাদের কাছে সামান্য ব্যপার। আর এইখানে যারা আসে তারা মোটামুটি সবাই ভার্সিটির স্টুডেন্ট কারন এটা বনানি এলাকা আর আসে পাসে অনেক ভার্সিটি আছে এটা আপ্নে ভাল করেই জানেন। কাজেই ভার্সিটির স্টুডেন্টদের কাছে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। আর এইসব ভার্সিটির নির্জন জায়গায় কি হয় এটা আপনার নিজেরও অজানা না। কারন আমরা ভার্সিটির স্টুডেন্টরা জানি এসব...। আর ভার্সিটির ভিতর এসব এখন সাধারন ব্যপার। সো আমি মনে করি না বর্তমান যুগের মেয়ে হয়ে আমি স্ট্যাটাস ের বাইরে কিছু করতেসি। কারন কোন গার্ল ফ্রেন্ড আর বয় ফ্রেন্ড যদি আজকাল কিছু না করে তাইলে তারা নাকি খ্যত বাঙ্গাল। তো ঐসব ক্ষেত্রে কি বলবেন ???... খালি আমরা হোটেলে করি বলেই খারাপ ??? আমরা যদি হোটেলে না করে ঐসব মেয়ে দের মত ফ্রেন্ড দের বাসায় করতাম তাইলে আমরা আবার আপনাদের চোখে স্মার্ট মেয়ে হইতাম ............[ আসলে অশ্লীল কোন কথা বা কাহিনী বা ঐ রকম কিছু আমি উল্লেখ করতে চাইনা তাই কিছু কথা আমাকে গোপন রাখতে হয়েছে এমন কি সমালোচকদের স্বভাব ভাল না। আমি যদি এখন ঐসব কথা উল্লেখ করতাম তাহলে তারা বলত আমি সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য ব্লগিং করার নামে চটি গল্প পোস্ট করছি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে আমার জনপ্রিয় হওয়ার কোনই ইচ্ছা নাই আর আমি চাই আপনাদের ভিন্ন রকম কিছু উপহার দিতে......। অন্য কোন উদ্দেশ্য আমার নেই। আশা করি সব সময় ভিন্ন রকম কিছু উপহার দিয়ে যেতে পারব আপনাদের......আর আমার লেখা আপনাদের ভাল নাও লাগতে পারে কারন সত্যি সব সময় মজার হয় না ]
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×