২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরপরই যুবদল পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু দ্রুত সময়ে ফের আন্দোলনে নামায় সেটি সম্ভব হয়নি। বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের পুনর্গঠনকার্য শুরু হচ্ছে রমজানের পর। আন্দোলনের মাঠে পরপর দুই দফা কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারায় বিএনপির হাইকমান্ড যুবদল নিয়ে কার্যত অনেকটাই ক্ষুব্ধ। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দল গোছানোর প্রথম উদ্যোগ হিসেবে যুবদলে নতুন কমিটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ‘যোগ্য ও ত্যাগী’ নেতাদের সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন তিনি নিজেই। বসে নেই পদপ্রত্যাশীরাও। নতুন কমিটিতে জায়গা পেতে হাইকমান্ডের কাছে আন্দোলন-সংগ্রামে নিজ নিজ অবদানের কথা তুলে ধরছেন তারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুবদলের নতুন নেতৃত্ব কাদের হাতে তুলে দেয়া যায়, তা নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ড নানামুখী বিকল্প মাথায় নিয়ে এগোচ্ছে। বর্তমান কমিটির বাইরে থেকেই যুবদলের সভাপতিসহ কমিটি করার সম্ভাবনা বেশি। ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রতিযোগিতায় এরুপ পরিবর্তনে দলটির নীতিগত কোন পরিবর্তন যে হবেনা সেকথা সবারই জানা । রঙহীন পানিতে পানি ঢেলে যেমন রঙ্গীন করা যায়না, এটি বিএনপির এমনই একটি পরিবর্তন। মানুষ আজ তাদের বোমাবাজ-জঙ্গীবাদী সংগঠন হিসেবেই চিনে। এই পরিচয় পরিবর্তন করতে হলে বিএনপিকে অবশ্যই জনকল্যাণমুখী নীতি গ্রহন করার পাশাপাশি চরমপন্থী, উগ্রবাদী, জঙ্গীবাদী অঙ্গসংগঠন গুলোকে অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে বিএনপিতে পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রের পথ সুগম হোক আমরা সাধারণ মানুষ এটাই প্রত্যাশা করি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২