''ট্রলি এবং কেটলি'' হাসান মাহবুবের অসাধারণতম একটি গল্প। তঁর অধিকাংশ গল্পই অসাধারণ; বিষয়বস্তু এবং ভাষা উভয় দিক থেকে। উল্লেখিত গল্পটিরও বিষয়বস্তু বেশ তাৎপর্যময় এবং উপস্থাপন ঢঙ্গ বা ভাষাগত দিকটি অত্যন্ত চমতকার—সহজ ও সাবলিল উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে আমাদের এই সময়কার (আসলে সর্বকালের, একেক সময় একেক ফর্মে) নির্মম চিত্র তুলে ধরেছেন।
গল্পের শুরুতেই তাতপযময় একটি চিত্র : একটি গাছ ডালপালা ছড়িয়ে আকাশ ছুয়েছে; পাশেই আরকেটি গাছ—ডালপালা নেই, আকাশ ছোয় নি, এবং মোটাও কম। গল্পটি পড়তে পড়তে এই চিত্রের তাৎপর্য আমদের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠে। শুরুতেই আমরা দেখত পাই :
''আমাদের এলাকায় যখন প্রথম একটি সুপারশপ গজিয়ে উঠলো তখন বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছিলো জনসাধারণের কাছ থেকে। স্বচ্ছলেরা স্বস্তি পেয়েছিলো উন্নত মানের পণ্য কেনার জন্যে দূরে যেতে হবে না বলে। মধ্যবিত্তদের প্রথম পছন্দ কাঁচাবাজার হলেও ঠাঁট বজায় রাখতে মাঝেমধ্যে সুপারশপে যেতো। আর দরিদ্ররা-থাক তাদের কথা।''
এর মধ্য দিয়ে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয় ওঠে চিত্র্রের বৈষম্য। এই বৈষম্য কেবল গুটিকয় ব্যক্তিবর্গের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এই বৈষম্য সামাজিক, আর যখনই সামাজিক বৈষম্য, তখনই তা ব্যপক। আর এটি কেবল বৈষম্যই নয়, গল্পটি পড়তে পড়তে আমাদের মন হয়, বৈষম্য এখানে স্থুল। আসল হচ্ছে ব্যাধি, এই ব্যাধির নাম পুজি, পুজির আগ্রাসন। এই গল্পে সবকিছু পণ্য দ্বারা বিবেচিত হওয়া সমাজব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেন গল্পকার।
এই সমাজব্যবস্থায় ''মধ্যবিত্তদের প্রথম পছন্দ কাঁচাবাজার হলেও ঠাঁট বজায় রাখতে মাঝেমধ্যে সুপারশপে যেতো।'' —অর্থাত স্পষ্টতই মানুষ পণ্য দ্বারা বিবেচিত ও চালিত হলো। পণ্যবাদী, আর ভোগ স্বর্বস (উপভোগ নয়) এই সমাজ ব্যবস্থায় সকল শ্রেনীর মানুষকেই আমরা এই রূপে দেখে থাকি।
''আমাদের এলাকায় যখন প্রথম একটি সুপারশপ গজিয়ে উঠলো ..... স্বচ্ছলেরা স্বস্তি পেয়েছিলো উন্নত মানের পণ্য কেনার জন্যে দূরে যেতে হবে না বলে।''—এখানে বর্ণনা শৈলি লক্ষনীয়, সুপারশপ ''গজিয়ে'' উঠলো, তার মানে স্বাভাবকি প্রক্রিয়া নয়। আমাদের চারপাশে আমরা যেভাবে শপিংমল উঠতে দেখি, একটু লক্ষ করলেই বুঝতে পারা কঠিন নয় যে, পুরো শহরই যেন শপিংমল। শুধু মাত্র ব্যাপ্তি ও বস্তুগত দিক থেকেই নয়, এই ব্যধি বা আগ্রাশন আমাদের মস্তিস্কের পচন ধরার কারণ; কিন্তু আরো ভয়াবহ যে, তা আমরা বুঝতে পারি না।
গজিয়ে ওঠা সুপারশপ থেকে কিছু চিপস আর কোমল পানীয় কিনে বিল দিতে যাবার সময় হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন গুঁতো দিলো ট্রলি দিয়ে। গল্পের যুগল নায়কের একজন এই চিপস আর কোমল পানীয় কিনেছে; রাত জেগে কাজ করতে হয় বলে ক্ষুধার কথা মাথায় রেখে শুকনো খাবার কেনা। রাতের বেলা ফ্রিজ থেকে ভাত-তরকারি বের করে গরম করা অনেক ঝামেলার বলে। কে এই গল্পের নায়ক? অপর নায়ক, তার বন্ধুকে আমরা দেখি পন্যবাদী সমাজের প্র্রতিরূপ হিসবে। এর বিপরিতে আপতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, চিপস আর কোমল পানীয় কেনা বন্ধুটি পন্যবাদী সমাজের বাইরের, কিন্তু তা নয়, তার অত বেশি সামর্থ নেই এই শুধু বন্ধুর সঙ্গে তার তফাত। এখানে আমরা দেখব, কীভাবে তার অজান্তেই এই ব্যাধি, পুজির আগ্রাসন তাকে ক্যান্সারের মতো গিলে ফেলছে। একই সঙ্গে এর মধ্য দিয়ে আমরা দেখব, কেমন করে পুজিবাদী ব্যাবস্থা মানুষ ও সমাজের জন্য ক্যান্সারের রূপ ধারন করে। পয়েন্ট করে বললে :
১. চিপস আর কোমল পানীয় কেনো কিনেছে?
২. রাত জেগে কাজ করতে হয় কেনো?
৩. ক্ষুধার কথা মাথায় রেখে খাবার কিনতে হয় কেনো?
৪. রাতের বেলা ফ্রিজ থেকে ভাত-তরকারি বের করে গরম করা ঝামেলার বলে মনে হয় কেনো?
৫. পেছন থেকে কেউ একজন ট্রলি দিয়ে গুঁতো দিলো কেনো?
১. চিপস আর কোমল পানীয় কেনো কিনেছে?
কিনেছে চিপস আর কোমল পানীয় শুকনো বলে। কিন্তু এই উত্তর কি সঠিক? এই উত্তর ''সঠিক না''। আর এই সত্য চরিত্রটি জানে না, এই না-জানাও হচ্ছে পন্যবাদী সমাজব্যাবস্থার আগ্রাসনের ফল, এই আগ্রাশন এমনভাবে আমাদেকে ঘিরে আছে, আমারা বুঝতেও পারি না যে, আমাদের না, ওদের মুল্যবোধ দিয়ে আমরা চালিত হচ্ছি। শুকনো পুষ্টিকর খাবার না কিনে আমরা শুকনো খাবার চিপস কিনি। এবং খাবারের (চিপস) সঙ্গে পানি আসবে, কোমল পানীয় কেনো? পন্যবাদী ব্যাবস্থা আমাদের অজান্তেই আমাদেরকে এমনভাবে তার ফাদে আটকে ফেলছে, আমরা বুঝতেও পারি না যে, কোনো বস্তু কেনা বা নির্বচনের সময় কী কী দিকগুলো আমরা বিবেচনা করি এবং তার মাপকাঠি কী? কোনো বস্তু আমরা কিনি বা নির্বচন করি কেবল মাত্র প্রয়োজনের জায়গা থেকেই নয়, এই সমাজ ব্যাবস্থায় সামাজিক(?) মর্যদা সহ আরো অনেক অপ্রয়জনীয় প্র্রয়োজনের সাপেক্ষে।
২. রাত জেগে কাজ করতে হয় কেনো?
রাত জেগে কাজ করা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হতে পারে না। কল-কারক্ষানায় আর কর্পোরেট অফিসে কাজের যে-সময় তা-ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নয়, প্রায় অফিসেই রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। আমরা বলত পারি, পুজির এই আগ্রাশনকে তুলে ধরতে গিয়ে গল্পকার এখানে রাত জেগে কাজ করার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করছেনে।
৩. ক্ষুধার কথা মাথায় রেখে খাবার কিনতে হয় কেনো?
আমরা এতো কাজ করি! কাজ বা শ্রম যেহেতু আর্থিক উন্নয়ন ঘটায়। এর ফলে ব্যক্তি, রাষ্ট্র, সমাজ আর্থিকভাবে সাবলম্বি হয়ে ওঠে। তবু, ক্ষুধার কথা মাথায় রেখে আমাদেরকে খাবার কিনতে হবে কেনো? খাবার কেনা তো স্বাভাবিক ও প্রতিদিনের প্রক্রিয়া। ক্ষুধার কথা মাথায় রেখে যখন আমাকে খাবার কিনতে হয়, তার মানে ক্ষুধা নিয়ে আমি ভাবিত, ক্ষুধা আমার কাছ পিড়াদায়ক। তো, আমরা বলত পারি, কেবল আর্থিক উন্নয়নই মানুষকে আর্থিক সাবলম্বি দেয় না, এর জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠ ব্যবস্থা ও বন্টন; কিন্তু সুষ্ঠ ব্যবস্থা ও বন্টন এই পন্যবাদী সমাজে সম্ভব নয়। পন্যবাদী সমাজরে বিষয় মানুষ নয়, পন্যবাদী সমাজরে বিষয় হচ্ছে পুজি—আরো, আরো পুজি গড়ে তোলা।
৪. রাতের বেলা ফ্রিজ থেকে ভাত-তরকারি বের করে গরম করা ঝামেলার বলে মনে হয় কেনো?
এই পন্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিনিয়িত আমাদেরকে শেখায়, তোমার কাছে যে পন্যটি আছ, সেটা পুরানো, সেটা পুরানো মডেলের, সেটায় কম সুযোগ-সুবিধা, সেটা অত্যাধুনিক নয়, এবং এখন এই যে পন্যটি দেখছ এটি ব্যহার করা অত্যান্ত সহজ, এতে কম সময়েই তুমি রান্না করে এবং রান্না না করে খেতে পার লোভনিয় আলুভর্তা। এর পন্যবাদী ব্যবস্থার মানুষ খুব সহজে এবং কম সময়ে কিছু একটা পেতে চায়, এমনকি পড়াশুনাও। আবার মানুষের অতো সময়ও নেই, সে তো অফিস আর কল-কারক্ষানার কাজ করতে করতেই তার সমস্ত সময় পার করে।
৫. পেছন থেকে কেউ একজন ট্রলি দিয়ে গুঁতো দিলো কেনো?
এখানেই আমরা গল্পের দুই নায়কের দ্বিতীয় জনকে পাই, কিন্তু এখানেই নির্মম মজাটা হচ্ছে? ট্রলি দিয়ে গুঁতো দিয়েছে, তার মানে দুই বন্ধুর সম্পর্কের স্তরটা এমন যে, পেছন থেকে ধাক্কা মেরও ফেলে দিতে পারত, পিঠে থাপ্পরও মেরে দিতে পারত, কিংবা দুই হাতে চোখ ধরে ভয় পাইয়ে দেয়ার মতো কিছু বলতে পারত। কিন্তু বন্ধুটি ট্রলিভর্তি জিনিসপত্র দিয়ে গুঁতো দেয়। পুজিবাদি সমাজ ব্যবস্থায় মানুষে মানুষে সম্পর্ক কৃত্রিম হতে বাধ্য, এই ব্যবস্থায় মানুষ আর মানুষের সম্পর্ক নির্ধরিত হয় পন্য দ্বারা। এখানে কোনো হৃদয়ের যোগ নেই। অনেক দিন পর বন্ধুকে দেখে নিজের অজান্তে পেছন থেকে ধাক্কা মেরে এই ভেবে আবার বিব্রত হয় না যে, আরে! আমরা তো এখন বড় হয়ে গেছি। সম্পর্কের ধরন যে কেমন কৃত্রিম গল্প থেকেই উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, প্রথম বন্ধুর ভাষ্যে :
''প্রশ্নের মধ্যে প্রশ্নবোধকতা যথাসাধ্য কমিয়ে রাখি, যেন সে বুঝতে পারে আমি কথা বলতে আগ্রহী না [পুজবাদীব্যবস্থায় মানুষ ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে]। তবে সে যথেষ্ঠ আগ্রহী ছিলো, যতটা না বন্ধুত্বের খাতিরে তার চেয়ে বেশি নিজেকে জাহির করতে[এখানেও ব্যক্তিকেন্দ্রিক, এবং পুজবাদীব্যবস্থায় মানুষের নিজের আইডেন্টির ক্রাইসিস]। মুখভরা হাসি নিয়ে মেকি হৃদ্যতা দেখানোর পর সে আমার কেনা জিনিসগুলোর বিল দিতে চাইলো[সম্পর্কের কৃত্রিমতা]। এবার আমি তার প্রতি বন্ধুত্ব অনুভব করি [পুজির কাছে নি:শর্ত আত্মসমর্পণ]।''
হাসান মাহবুব ৪৭ নম্বর কমেন্টের রিপ্লাইয়ে বলেছেন, ''দুই বন্ধুর হঠাৎ দেখা, তাদের মাঝে আর্থিক ব্যবধান।'' ও ''ঈর্ষা জাগ্রত হওয়া।'' এ-বিষয় দুটি স্থুল আসলে অর্থে।
তারপর ট্রলিটা দারোয়ানের কাছে রেখে দুই বন্ধু চা খেতে যায়। এখান আমরা দেখি, টং এর দোকানের চায়ের কেটলি থেকে নির্গত ধোঁয়া আর চুলোর আগুন দেখে প্রথম বন্ধুর ভেতর কেমন যেন একটা বিষাক্ত অনুভূতি হয়। কিন্তু কেনো, তা আমরা বুঝতে পারি এই বর্ণনার পরের বাক্যেই :
''মুন্নার [অপর বন্ধু] সাফল্যকীর্তন, সুখী সংসার আর সন্তানের বর্ণন, এসব শুনতে শুনতে আমি উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত সন্ধ্যার বন্ধ্যারূপ দেখতে পাই।''
মুন্নার এই উক্তি সাধারণ ঈর্ষা এবং ক্ষোভ নয়, এটি পুজিবাদী সমাজব্যবস্থার প্রতফিলন। পুজিবাদী সমাজব্যবস্থায় সবকিছুর ভেতরে পুজি বা পন্যকেই দেখা হয়, এমনকি ভালোবাসার ভেতরেও। এই পুজিবাদী সমাজব্যবস্থায় একজন সবরকম সুযোগ-সুবিধা ''ভোগ'' করছে। আরকেজন বঞ্চিত। যে বঞ্চিত সে এই সমাজ ব্যাবস্থায় হিংস্ররূপ ধারন করে, গল্পটিতে বঞ্চিতের হিংস্রতার মাধ্যম হিসেবে ক্যাটলির ব্যবহার দেখানো হয়েছে। ক্যাটলিতে গরম পানির ভয় দেখিয়ে কথক বন্ধু ট্রলি কিনেছে, যা কীনা পণ্য বহন করার কাজে লাগান হয়। এই ক্যাটলির মাধ্যমে তার যে পাওয়ার ও সামর্থ হলো, দেখুন এই ক্যাটলি ঠিক পুজির সমর্থক :
''আমি আলতোভাবে তুলে নেই কেটলিটাকে। কী ভালো একটা কেটলি! উষ্ণ এবং বন্ধুভাবাপন্ন। আমার কাঁধে সে আরাম করে বসে থাকে। সত্যি, এত ভালো বন্ধু আমি আগে কখনও পাই নি।''
গল্পটি পড়তে পড়তে আমার মনে হয়েছিল চমৎকার একটি গল্প, বড় করে কমেন্ট করতে হবে। কিন্তু শেষে দেখলাম, আরো বিস্ময়, আরো বিস্ময়; যার জন্য এই আলোচনা করা হলো। দুই বন্ধুর ট্রলিতে ওঠা ও তাদের গায়ে বাংলাদেশের মানচিত্র।
এক বন্ধুকে ট্রলিতে উঠিয়ে দেয়া হলো। হাসান মাহবুব ৪৭ নম্বর কমেন্টের রিপ্লাইয়ে বলেছেন, ''বন্ধুকে ট্রলিতে আবদ্ধ করে পণ্যবাদী সমাজব্যবস্থার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হল।'' কিন্তু তাই কি? আসলে পণ্যবাদী সমাজব্যবস্থার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয় নি, কারণ, এখানে তো বন্ধুটির চরিত্র্র পণ্যবাদী সমাজব্যবস্থার বিপরতি নয়। এই কথক চরিত্রটিকে হামান মাহবুব সহ অনকেই বলতে চেয়েছেন পণ্যবাদী সমাজব্যবস্থার বিপরতি, কিন্তু তা নয়।
বন্ধুটিকে ট্রলিতে উঠিয়ে অপর বন্ধু বলেছে, ''এখন তো শালা তোকেই পণ্য পণ্য লাগছে। মনে হচ্ছে সুপারশপ থেকে তোকে কিনে ট্রলিতে করে হাঁটছি। হাহাহা!''—বন্ধুর এই কথার দরকার নেই, সে যখন ট্রলিতে উঠল তখনই আমরা বুঝে যাই, এই সমাজব্যাবস্থায় সেও একটা পণ্য, একজন মানুষও পণ্য।
কিছুখন পর অপর বন্ধুও ট্রলিতে উঠলো, এখানেই শেষ না, বন্ধুর গায়ে ফোসকা পড়া চিহ্ন বাংলাদশেরে মানচিত্রের মত। আমরা দেখি একটি দেশও (বাংলাদশ) কেমন করে পণ্য হয়ে ওঠে। অন্যান্য দেশের সাম্রাজ্য-বিস্তারের মধ্য দিয়ে।
তো, এই গল্পটি পন্যময় সমাজব্যাবস্থায় কেমন করে মানুষকে ক্যান্সারের মত চেপে ধরে তারই প্রতিফলন। চোখে আঙ্গুল দিয়ে যা গল্পকার দেখিয়ে দিতে চেয়েছেন।
গল্পটি এই : Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১২