অনেক দিন থেকেই প্রথম আলো পড়ছি। উৎপল শুভ্র আমার খুব প্রি্য় একজন সাংবাদিক ছিলেন।উনার ক্যরিবিয় কড়চা পড়ে আমি উনার ভক্ত হই।মুরুব্বিরা বলেন যতই পড়বে ততই বুজবে। আমিও পড়লাম আর বুঝলাম হলুদ সাংবাদিকতা কি জিনিষ।
খুব বেশিদিন আগের কথা না। বাংলাদেশ এর জিম্বাবুয়ে সিরিজ এর জন্য প্রথম আলো এর ফলো আপ নিউজ গুলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। ঠান্ডা মাথায় পড়ুন। জিম্বাবুয়েতে প্রথম আলো এর সাংবাদিক হিসেবে গিয়েছিলেন শুভ্রদা। সবকিছু ছিল স্বাভাবিক। আমরা আমজনতা পেপারে দেখলাম খেলোয়াড় অনুশীলন করছেন, হাসি তামাশা করছেন । এই পর্যন্ত ঠিক আছে।
যেই মাএ দল হারা শুরু করলো ওমনি শুরু হল সাংবাদিক ভাইদের কেরামতি।
টোকাইরা ঠিক যেভাবে আর্বজনা ঘেটে তাদের অমূল্য রতন বা খাবার খুজে বের করে। সাংবাদিকরা ও খুজে বের করলেন দলের মধ্যে অর্ন্তকলহ। (সচেতন সমাজ এর বুজতে বাকি নেই, এটাই পেপারওলাদের খাবার)
শুরু হল খেলোয়াড়দের বদনাম। অমুক খেলোয়ার এর আচরন ভালো না। অমুক খেলোয়ার অহংকারি, নানা ধরনের কিছ্ছা কাহিনি। পাশে পেল আবেগতারিত ওনেক বেকুব জনতা। শুরু হল বিসিবি এর উপর অনবরত চাপ। যার শেষ পরিনতি সাকিব, তামিম বোল্ড আউট।
আর এই আউট এর পরই দেশ বিবেকরা ( শুনেছি একটা দেশ এর বিবেক নাকি সেই দেশ এর সাংবাদিক ) ভোল পাল্টে ফেললেন।
এবার যত দোষ সব ঐ বিসিবির। বিসিবির সিদ্ধান্ত ভালো হয় নাই। খেলোয়াড়রা ফেরেশতা ছিল, নানা ধরনের ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যান। সাথে প্রমান হিসেবে পেলেন নতুন কোচ স্টুর্য়াট ল কে।
উৎপল দা দিলেন গা ডাকা। নিজে খুচে খুচে খেলোয়ারদের পিছনে লেগেছিলেন, আর সেই তিনিই যদি এখন খেলোয়াড়দের পক্ষে কথা বলেন, তাহলে কেমন দেখায়। তাই তিনি লেলি্য়ে দিলেন অন্য সাংবাদিকদের। তারা বিসিবির বদনাম শুরু করলো, আর খেলোয়াড়দের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করল।
একই স্থানে পৃথিবীর দশটা সেরা সভ্যলোকও যদি বসেন তাদেরও মতের অমিল হতে পারে। আর আমাদের খেলো্য়াড়দের বয়েস অনেক কম। তাদের মতের অমিল হবার সম্ভাবনা আরো বেশী, সেগুলো হররোজ পেপারএ হেডলাইন করার মতন কিছু নেই। এতে দ্বন্ধ কমে না বরং আরো বাড়ে। বুকে হাত দিয়ে কি বলতে পারবেন সকল ব্লগার, সাংবাদিক ও আমার লেখা যারা পড়ছেন, আপনাদের কর্মক্ষেএে আপনার সহকর্মী এর সাথে আপনার মতের অমিল হয় না ?
আশরাফুল এর ব্যাপারটাই দেখেন, ভালো পারর্ফম করতে পারছেনা। ওকে দল থেকে বাদ দিচ্ছেনা বিসিবি, নানা ধরনের সমালোচনা। যেই আশরাফুলকে বসিয়ে রাখা হয়, অমনি আরেক শোরগোল.....আশরাফুল এর মত প্লেয়ারকে বাদ দিল বিসিবি !!!
মিনমিন করে হলে ও দেখছে কিছু সাংবাদিক আবার আকরাম খান এর পিছনে লাগার চেষ্টা করছেন। উনার বিরুদ্বে অভিযোগ উনি নাকি তামিম কে বেশি সুবিধা দেবার চেষ্টা করছেন। আকরাম খান দেশ কে কি দিয়েছেন তাতো জাতির বিবেক রা ভূলে গিয়েছেনই...তার ভাতিজা যে দেশ এর অন্যতম সেরা খেলোয়াড়, তাও ভুলবার আপ্রান চেষ্টা করছেন। আকরাম খান কে সিলেক্টর প্যানেল থেকে বাদ দিক বিসিবি, তখন দেখবেন জাতির বিবেকদের আরেক আস্ফালন।
আমার প্রশ্ন কেন এই দ্বিচারিতা ?
যদি কারো সমালোচনা করতেই হয়, কারো কাজে কর্মে যদি ভূল থাকে তাহলে সব সাংবাদিক তাহলে সব সাংবাদিক মিলে তার সমালোচনা করুন। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে একটি পএিকা এর সকল সাংবাদিক যেন একই কথা বলেন সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। আজকে একজনের সমালোচনা করবেন এক সাংবাদিক, আর পরদিন একই পেপার এর একই পাতায় একই কলামে তার সাফাই গাইবেন আরেক সাংবাদিক, এইসব আর ভালো লাগে না। এইসব বাদ দেন। শান্তিতে থাকতে দেন আমাদেরকে।
বিসিবি যদি কিছুদিন পর পিসিবি হয়ে যায়, তাহলে এর জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা ( সাংবা + ধিক )।
এক খেলোয়াড় যখন আরেক খেলোয়াড় এর সাথে ঘুরতে বের হন, অথবা দাওয়াত খেতে যান তখন তো সেগুলো হেডলাইন হয় না। তবে কেন মতের অমিল গুলো এতবড় হয়ে হেডলাইন হয়। অথচ উল্টোটা করলে দলের সংহতি আরো বাড়ত বলে আমি মনে করি।
আরেকটা কথা না বলে পারছি না, প্রায়ই পএিকায় দেখি, বিদেশী কোচ এর সামনে অরাজকতা, বিদেশী কোচ এর সামনে হেন হইসে, তেন হইসে !!!.....আরে আজব..বিদেশী হইসে বলে এত তেল মারার কি আছে ? বিদেশিদের সামনে কি আমরা আমাদের ভূলগুলো সংশোধন করতে পারব না ?
এইগুলো কি বর্নবাদী আচরন না ? এমন একটা ভাব বিদেশী রা যেন কোন ভূল করে না ?
আর সকল ব্লগার ভাই বোনদের বলছি, পএিকায় কোন একটা খবর পেলেই চট করে বিশ্বাস করবেন না। নিজের বুদ্বি বিবেচনা দিয়ে আগে যাচাই করবেন, তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন। মনে রাখবেন সবই টাকার খেলা.....
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৬