somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ষণ কেন হয়?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

~সরাসরি মূল কথায় চলে যাওয়ার পূর্বে একটু ভূমিকা টানা কিন্তু আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি। আমাদের যে কথাগুলোতে একটু সুন্দর ভুমিকা, উপসংহার দেওয়া হয় তার অভ্যন্তরে কি লেখা আছে সেটা মূখ্যত বিষয় নয় ঐই লেখাগুলোই আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে যাইহোক বর্তমানের আলোচিত বিষয় নিয়ে ভূমিকা না টেনে সরাসরি মূল কথায় চলে যাওয়াটাও হয়ত খারাপ কিছু হবেনা, মানুষের দৃষ্টিগোচর হবে এটাই স্বাভাবিক। এর অবশ্য একটা কারণ আছে। জানেন সেটা কি? থাক আাজ আর সেটা বলে আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে চাইনা কারণ সবার মতো আমিও হুজুগে জাতি।

~ধর্ষণ কেন হয় সেটা যখন জানবেনই তাহলে ধর্ষণ কাকে বলে সেটা একটু জেনে নেওয়া দরকার নয় কি? আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি যেহেতু এখনো একটি আদর্শতার মাত্রায় পৌছাতে পারেনি তাই কোন কিছুর মানদণ্ড খোজার জন্য আমাদের বৈদেশিক সংস্কৃতি ও বৈদেশিক আইনের নীতির সাহায্য নিতে হয়। যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে এবার বলি ধর্ষণ কাকে বলে। দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই আমি সেই রোমহর্ষক ঘটনার 3D লিখিত বিবরণ দিবনা যাতে আপনি লেখাগুলো পড়ার সাথে সাথে সেই দৃশ্যটা ইম্যাজিং করতে পারেন। সুন্দর বাচনভঙ্গিই ব্যবহার করব।



ধর্ষণ কাকে বলে?

~প্রথমতো আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সংজ্ঞাটার দিকে তাকাই এবং পাশাপাশি নিচে উল্লেখিত সাইট গুলোতে ধর্ষণ এর সঙ্গাটার দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব যে সেখানে স্পষ্ট করেই লেখা আছে স্ত্রী যৌনাঙ্গ, পায়ুপথে, মুখ অথবা অন্যকোন যৌনউদ্দিপনায় সারাদানকৃত অঙ্গাণুতে কোন প্রকার যৌন কাজে অংশগ্রহণকারী অঙ্গাণু দ্বারা অথবা অন্ন যে কোন অঙ্গাণু দ্বারা অথবা কোনপ্রকার যন্ত্র দ্বারা (জড় বস্তু আশা করি নাম উল্লেখ করানো লাগবেনা, বুঝে নিবেন) ইন্টারকার্স করাটাকেই ধর্ষণ বলে। সেটা বলপ্রয়োগ দ্বারা হতে পারে আবার বলপ্রয়োগ ছাড়াও হতে পারে। একেবারে কোন প্রকার বলপ্রয়োগ ছাড়া। তবে মুখ্যত বিষয় হল যে সেটা যদি ভিকটিম এর ইচ্ছের বিরুদ্ধে হয় তবেই সেটা ধর্ষণ(rape) হিসেবে গণ্য হবে।
~পূর্বোক্ত বিবরণে আমারা দেখতে পাই যে সেখানে ভিকটিম শব্দটা ব্যাবহার করা হয়েছে। গার্ল, লেডী বা উইমেন এই জাতীয় কোন প্রকার শব্দ ব্যাবহার করা হয়নি। সো বুঝতেই পারতেছেন ধর্ষণ শব্দটা দ্বারা শুধু নারীরাই এর শিকার এবং পরুষরাই শুধু ধর্ষণ এর জন্য দোষী হবে এমনটা ভাবার কোন কারনই নেই। যে কেউ যার দ্বারাই হতে পারে তবে বিষয়টা হতে হবে ইচ্ছার বিরুদ্ধে।

~এখানে যদি আর একটা বিষয় ভাল করে লক্ষ্য করেন তবে দেখবেন যে একটা কথা লেখা আছে যে বল প্রয়োগ ছাড়া কিন্তু ইচ্ছের বিরুদ্ধে। এটা কিভাবে সম্ভব? ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোন কিছু করতে হলে বলতো অবশ্যই প্রয়োগ করতে হবে। *আপনি আর আপনার বয়ফ্রেনড রিক্সা দিয়ে যাচ্ছেন কোথাও, বা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আপনার শরীরে সে হাত বুলাচ্ছে বা হাত বুলাতে চাচ্ছে। পাবলিক প্লেস, আপনার কাছে আনইজি ফিল হচ্ছে, আপনার এমন কিছুই ইচ্ছে হচ্ছেনা কিন্তু আপনার বয়ফ্রেনড কিন্তু আপনাকে বলপ্রয়োগ করেনি! *আমি আর আমার গার্লফ্রেন্ড রিক্সায় বশে আছি পাশাপাশি। আমার পাশে একটা যুবতি মেয়ে তার পরিপূর্ণ যৌবন নিয়ে এবং সেই রকম আকর্ষণ জাগানিয় চাহনি নিয়ে আমার পাশে বশে আছে। তার স্পর্শে আমার মধ্যে কি যৌন উদ্দীপনা জাগবেনা? যে ছেলে বলবে যে তার মধ্যে সেই উদ্দীপনা কাজ করবেনা আমি চ্যালাঞ্জ দিয়ে বলব যে তার হরমোনে সমস্যা আছে। যৌন উদ্দীপনা আসবে, কিন্তু সেই অবস্থায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারাটাই আসল পৌরষত্ত্ব । কিন্তু আমি যখন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার বিজ্ঞাপন এবং স্যাটেলাইট চ্যানেলের বিজ্ঞাপন দেখে জানতে ও শিখতে এবং কলিকাতা হারবাল এর অবাধ প্রচারণায় আসল পৌরষত্ত্ব যে সময়মতো সেই কাজটা করে ফেলা সেটা জানবো ও শিখব শিখবো তখন কি আমি সেই পৌরষত্ত্ব প্রয়োগ ঘটাবোনা? অবশ্যই ঘটাবো কারন এক্ষেত্রে বিরত থাকাটাই কিন্তু দুর্বল পুরুষের লক্ষণ।

~ফলস্বরূপ আপনার গারলফ্রেন্ডকে তার অনিচ্ছার কিন্তু আপনি জোর করা ব্যতিত যে সম্পর্কটা তৈরি করবেন তখন কিন্তু আপনিও ধর্ষক হয়ে গেলেন। এই ক্ষেত্রে গার্লফ্রেন্ড ও কিন্তু সমান দোষে দোষী। আপনি কেন না করেননি? আর একটি বিষয় হচ্ছে অনেকেই বলবেন আমি না করেছি। কিন্তু কখন না করেছেন? লিটন এর ফ্ল্যাটে যাওয়ার পরে, না আগেই? যদি বলেন যে আগেই না করেছি তাহলে আপনাকে সেখানে নিয়ে গেলো কিভাবে? আর যদি বলেন যে পরে না করেছি তাহলে আপনাকে ঠিক এভাবে বলতে হবেঃ
"পানিতে নামবো, সাতার কাটবো শরীর ভিজাবনা,
লিটন ফ্ল্যাটে গিয়েও আমি দুচা খাবনা।"


~আসলে ভাই এসব ব্যাপারে লিখতে গেলে তার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। আমিতো আর সাংবাদিক না!

~জানেন এই কথাটা কেন বলেছি?

~আমাদের দেশে যত অপকর্ম হয় তার জন্য সাংবাদিকরাই অনেকাংশে দায়ী। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলবো এর জন্য সম্পূর্ণরূপে ওনারাই দায়ী। পাশাপাশি আরও অনেকেই আছে তবে মুখ্যত ওনারাই দায়ী। সবার ব্যাপারেই একটু করে বলতেছি।

~সাংবাদিকরা কোন একটা পাবলিক সাক্ষাৎকার নিতে গেলে মেয়েদের কথা এবং ছবিগুলোই প্রিন্ট করে বেশী ( আমরা যখন রাস্তায় হাটি তখন আমাদের গায়েতো আর লেখা থাকেনা যে আমি BUET, DU কিংবা DMC তে পড়ি। একটা মেয়ে যদি প্যান্ট-শার্ট পড়া থাকে তাহলে তাকে দেখেই বুঝা যায় যে সে খুব পাশ্চাত্য শ্রেণীর, তার মানে প্রতিটি বিষয়ের জ্ঞান উনার থাকবে। একটা শালীন পোশাক পড়া মেয়ে কোন কিছুই জানবেনা কারণ তাকে দেখেতো আমার ইয়েই জাগেনা। সো কোন বিষয়ে তার সাথে কথা বলেই যখন মজা পাবোনা তখন তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাব কিভাবে? )


~বিশাল বড় করে নিয়োজ প্রিন্ট করা হয়, " ১০ বছরের মেয়ে ধর্ষণের শিকার"। আরে ভাই এসব পোস্ট করার সময় বা কিভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে সেই বিষয়গুলো লিখতে একটু ও লজ্জা করেনা আপনাদের? ( অনেকে বলবে যারা ধর্ষণ করেছে তার কি লজ্জা ছিলনা? আবার অনেকে বলবে এইসব নিকৃষ্ট ব্যক্তিদের সমাজ চিনে রাখবে তাই এসব পোস্ট করা দরকার। আবার অনেকে বিচারের তাগিদে বলবে নিয়োজটা ভাইরাল হলে সঠিক বিচার পাওয়া যাবে তাই এটা প্রিন্ট করা জরুরী। আমার মনে হয় এ যাবত কালের সবচেয়ে ভাইরাল হওয়া ও আলোচিত হওয়া ধর্ষণ এর খবর হল তনু হত্যার বিচার চাওয়া। বিচার পেয়েছেন?';) । লজ্জা করবে কিভাবে? ধর্ষণকারী ধর্ষণ করে যে মজাটা পেয়েছে আপনি নিয়োজটা টাইপ করেও একই মজা নিচ্ছেন।। যদি বলেন যে আপনারা অমন না তাহলে বলব আজকেই কোন যৌন বিশেষজ্ঞ এর কাছে গিয়ে নিজের ট্রিটমেন্ট করান।

~আজ অবধি কোন ধর্ষকের ফাঁসি হওয়ার বা কারাদণ্ড হওয়ার খবরতো পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় দেখলাম না!

~একটা ভাইরাল হওয়া নিয়োজকে নিয়ে যতশ' না কলাম লেখা হয় তার একটি কলাম যদি ধর্ষকের সাজা দেওয়ার খবর নিয়ে করা হত তাহলে এত ধর্ষণ হত না। সাজা পাওয়ার ভয়ে কেউ আর ওসব করার কথা ভাবতোওনা। ( তা করবেন কেন? কারণ সাজা প্রাপ্তির বিষয়গুলো নিয়ে টাইপ করলেতো আর সেই যৌনসুখ পাবেন না।)

~একটা মেয়ে অভিনেতা বা মডেলের ব্যাপারে কিছু লেখতে গেলে তার সবচেয়ে সেক্সিস্ট ছবিটাই কেন পোস্ট করতে হবে আপনাদের? পরীক্ষার হলের পিক বা রেজাল্ট প্রিন্ট করার নিয়োজেও কেন সবচেয়ে ভাল মেয়েদের ( যাদের দেখলেই ভাল লাগে, সো কামনা আসাটাই স্বাভাবিক) ছবিই কেন পোস্ট করতে হবে আপনাদের?

~পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের চিত্রগুলোতে সবেমাত্র জন্ম হওয়া মেয়ে শিশু থেকে শুরু করে আকর্ষণ জাগানিয় আপাদের দ্বারাই বিজ্ঞাপন করানো হয় কেন?

~পত্রিকায় চোখ বুলালে, বা মলাট উল্টালে মনে হয় যে বাংলাদেশে যত বিক্ষোভ হয় তার ৭০% ই নারীদের দ্বারা অথবা কোন বিক্ষোভ এ শুধু নাড়ি পথচারিরাই ভোগান্তির স্বীকার হয়, রাস্তায় কোন পুরুষ ই থাকেনা!

~কারণ আপনারা চান না মূল্যবোধ, চান নি কখনো মনুষ্যত্ব, আর চাইবেন না কখনো তথ্যের সম্প্রসারণ। আপনারা চাবেন শুধু আপনাদের ব্যবসার প্রসার আর যার মূলে রয়েছে যৌনতা নামের এক বিধ্বংসী ছোঁয়া।

~টিভি চ্যনেলের বিজ্ঞাপনে ঘুম থেকে উঠে টুথব্রাশ হাতে নেওয়া থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানোর পূর্বে লাইট বন্ধ করার সুইচ এর বিজ্ঞাপন পর্যন্ত যেখানে ৫ বছরের মেয়েদের থেকে শুরু করে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মডেলের দ্বারা বিজ্ঞাপন করানো হয় সেখানে আপনি ভাবলেন কিভাবে যে আমার ভেতর কামনা জাগবেনা প্রতিটি মুহূর্তে সেইসব মেয়েদের দেখার দ্বারা। (অনেকেই বলবেন নিজেকে কন্ট্রোল করলেইতো হয়, তাহলে আমি বলব যদি আমাকে কন্ট্রোল করাতেই হয় তাহলে অবাধ এই যৌনাচারের বিরুদ্ধে উঠে দাড়িয়ে প্রতীবাদ করুণ। আর এর জন্য বিজ্ঞাপনের নামে অবাধ যৌনতাকে ঘৃণা করুণআপনি এটা পারবেন না আপনার কৃত্রিম ইচ্ছের কারনে যেটা পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখেন। আর আমি ওটা পারবনা প্রক্রিতির ইচ্ছায়, যেটার উপর আমার কোন নিয়ন্ত্রন নেই।)

~এক নারীবাদীর ফেসবুকের পোস্টা এইরকম ছিল " দোস্ত সরি, তোদের জন্য এবার আমি কোন রুম ঠিক করতে পারলাম না। ( মানে উনার বাসায় কিছুদিন যাবত অসুস্থ আত্মীয়ের থাকার কারনে আর খালি রুম নেই।) এ, এইবারের জন্য আমাকে ক্ষমা কর।" এখন আবার বনানীতে যে ধর্ষণ হয়েছিল তার বিচারের দাবীতে পোস্ট করতেছেন, আর কিছু নারীবাদী ইভেন্টেও অংশ নিয়েছেন। আপনার বিন্দুমাত্র বুঝ থাকলে সবটাই বুঝতে পারবেন। আর যদি জেগে থাকার পরও ঘুমিয়ে থাকার ভান করেন তাহলে আপনাকে জাগানোর ক্ষমতা আমার কাছে নেই।


ধর্ষণ সবাই করে।

~সর্ট স্কারট পরা, টাইট গেঞ্জি পরা ম্যাডামকে দেখলেও কি হবে, রাস্তায় বড় বড় বিলবোর্ডে মেয়েদের দেখে একজন পথচারীর যৌন উত্তেজনা তৈরি হলে কি হবে, বিজ্ঞাপনে প্রতিদিন একই ভালোলাগার মানুষটিকে (অচেনা অজানা একটা ছেলে মেয়ের ভালো লাগা সর্বশেষ যৌন চাহিদায় এসেই সমাপ্ত হয়) দেখলে কি হবে, প্রতিদিন অনলাইনে ফলো করা সেলিব্রিটি কে দেখলে কি হবে, সে কি তাকে কখনো ধরতে পারবে? পারবেনা। তাই যাকেই সে সুযোগে পাবে তার উপর বলপ্রয়োগ অথবা ভালবাসার অভিনয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করবে বা তাকে ধর্ষণ করবে। কারন তার মাথায় জেগে উঠা কামনাকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য দ্বিতীয় কোন পথ নাই সেক্স করা ছাড়া। আর চিকিৎসা বিজ্ঞান বা মনোবিজ্ঞান এটাই বলে।

~আর যার টাকা আছে সে কেন একটা বাচ্চাকে ধর্ষণ করবে। তারতো যৌনাকাঙ্খা কমানো মূল লক্ষ্য নয়, তার লক্ষ্য হল যৌনতা থেকে মজা নেওয়া। আর তাই মজার জন্য সে বারে যাবে, নাইট ক্লাবে যাবে, স্ট্যান্ডার্ড মানের গার্লদের সাথে শুবে। মডেলডের কাছে যাতায়াত করবে। আর বাংলাদেশেতো ০.৫ মিলিয়ন টাকা হলে যে কোন স্বপ্নকন্যাকেই ছোয়া যায়। বড় বিল্বোর্ড এ অভিনেত্রীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য প্রথম শর্ত হল রাত্রিযাপন করতে হবে সেই পরিচালক বা প্রতিষ্ঠান প্রধান এর সাথে। (এটা একটা মডেলের স্বেচ্ছায় নিজের মুখনিঃসৃত বাণী।) আপনারা যারা হোটেলে যাতায়াত করতেছেন এই সকল ব্যাপারে আপনারা ঠিক কি করতেছেন? টাকা দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করতেছেন বা তাদের সন্তুষ্ট করতেছেন। আবার অনেকেই বিলবোর্ডের লোভ দেখিয়ে সম্পর্কটা স্থাপন করতেছেন। সুতরাং কোন বলপ্রয়োগ করতেছেন না আবার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ( ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিভাবে? আপনি শুধু টাকা ছাড়া সম্পর্ক স্থাপন করতে গেলে তখনই বুঝবেন) সম্পর্ক স্থাপন করতেছেন। আপনি তার প্রকৃত সম্মতি পাচ্ছেন না ( টাকা দিয়ে সম্মতি আদায় করে নিতেছেন, কারন তার ভাল থাকার জন্য বা লোভের কারনে সে টাকা চায়।)

সুতরাং আপনিও ধর্ষক !!!

কারণ যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সর্বশেষ সংজ্ঞায় একমাত্র উল্লেখিত বিষয় হল সম্মতি।

~অনেকে ধর্ষণের বিচার চায়, নিরীহ মেয়েটির উপর অত্যাচারের বিচার দাবি করে ধর্ষণের বিরুদ্ধে অনেক লেখাই লেখে, নারীবাদীদের অনেক জয়োগানই গায় কিন্তু তার অভ্যন্তরে থাকে নিজেকে সেলিব্রিটি বানানোর পৈশাচিক ইচ্ছা।

কেমন হয় যদি আমরা ধর্ষণ বিচার চেয়ে বিক্ষোভ না কর ধর্ষণ যাতে না হয় তার জন্য বিক্ষোভ, সমাবেশসহ বিভিন্ন ইভেন্ট তৈরি করি? ( তা আপ্নারা করবেন কেন? করবেন না। কারন আপনারা কখনই চান না যে কোন মেয়ে ধর্ষণ নাহোক। আপনারা চান আরেহ কোন অঘটনই যদি না ঘটে তাহলে আমরা মানব্বন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও আন্দোলন করব কি নিয়ে? আর যদি তা নাই করতে পারি তাহলে নিজেকে সেলিব্রিটি বানাবো কিভাবে? মানুষ কেনইবা আমাকে সমাজসেবক বলবে? আমি পুরষ্কার পাব কিভাবে ? আমি মরে যাওয়ার পর কোন কারনে মানুষ আমাকে মনে রাখবে?)

ধর্ষণ কমাতে চান?

তাহলে ভবিষ্যৎ ধর্ষকদেরকে ধর্ষণ করার জন্য উজ্জিবিত করবেন না। তাদের ভেতর কামনার আগুন জ্বালিয়ে দিবেন না।
--তা কিভাবে সম্ভব?
-একমাত্র রাস্তা আছে তার মাথা ঠাণ্ডা রাখবেন।
--আরেকজনের মাথা আমি ঠাণ্ডা রাখব কিভাবে?
-আপনি অবাধ যৌনচারীতা না করলেই তার মাথা ঠাণ্ডা থাকবে। মন উত্তেজনার সম্মুখীন হবেনা, তাই তার মাথাও ঠাণ্ডা থাকবে।
--অবাধ যৌনচারীতা রোধ করব কিভাবে?
-চলাফেরায় শালীনতা আনেন, বিজ্ঞাপন দাতাদের আগ্রাসী মনোভাবকে নিয়ন্ত্রন করান, আর এক্টা আদর্শ জীবনকে অনুসরণ করেন।
--শালীনতা দ্বারাইকি আসলে অবাধ যৌনাকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব?
-এবার তাহলে আপনাকে কিছু প্রশ্ন করি। যেহেতু আপনি কিছু প্রশ্ন করেছেন তাই আপনাকেও কিছু প্রশ্ন করার অধিকার আমি রাখি। আপনার প্রিয় খাবারটা খাওয়ার ব্যপারে কখন মনে খুব বেশী ইচ্ছে জাগে, তার উপস্থিতিতে না অনুপস্থিতিতে?
--উপস্থিতিতে।
-মিষ্টির দোকানের সামনে দিয়ে গেলে মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে?
--হ্যাঁ, করে।
-যারা মেয়েরা আছেন আপনারা বলতে পারবেন যে তেতুল শব্দটার নাম শুনলেই আপনার জিভে জল (আসলে কোন খাবার গ্রহণ এর পূর্বে এর প্রতি সাড়াদান হিসেবে লালারস ক্ষরণ হয়) আসেনা?
-কেউ বলবেন হয়, কেউ বলবেন হয়না। অনেকতো আবার তেঁতুল চিনেইনা।
-ফুচকার কথা বাদ দিলাম, ফুচকার দোকানের কথা বাদ দিলাম, আপনি বলতে পারবেন যে আপনার পরিচিত ক্যম্পাস এর ফুচকাওয়ালাকে দেখলেই ফুচকা খেতে ইচ্ছে করেনা?
--....................................................(কোন উত্তর নেই)

~এমনটা হয় কেন জানেন? প্যাভলভ এর তত্ত্বটা "সাপেক্ষ প্রতিবরত এর উপর ভিত্তি করে প্যাভলভিয়ান কন্ডিশনিং (pavlovian conditioning) বা চিরায়ত সাপেক্ষণ (classical conditioning) " একটু ভাল করে পড়বেন। (অনেকেই বলবে যে আমার কোন প্রিয় খাবার নেই, আমার মিষ্টি খেতে ভাল লাগেনা, আমি ফুচকা বা তেঁতুল খাইনা। তাদের জন্য বলব। খাবার হল দুই প্রকার। ১/ শারীরিক খাবার। ২/ মানসিক খাবার। শারীরিক অনেক খাবারই আছে কিন্তু মানসিক খাবার অনলি সেক্স। একটু ভাবুন। খুব সহজেই বুঝে যাবেন। আর অতটুকু বুঝার ক্ষমতা না থাকলে আপনাকে কে বলেছে এই পোস্টা পড়তে? কারন আপনারতো কোন চিন্তা করার ক্ষমতাই নেই। আপনি ভাল মন্দইতো ভাল করে বুঝেন না। আপনি আবার ন্যায়ের বিচার চাইবেন?)


~~সবশেষে একটা কথাই বলব। কোন ডাক্তারের কাছে যেয়ে যদি আপনি কোন সাহায্য চান প্রতিটি ডাক্তার প্রতিটি মনোবিজ্ঞানী আপনাকে প্রতিকার এবং প্রতিরধ দুটোই বলবে সাথে এটাও বলবে যে প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করাটাই ভাল।

~প্রতিকার ও প্রতিরোধ এর মধ্যে পার্থক্য বুঝেন না?
~~তাহলে আবার ক্লাস ফোরে গিয়ে ভর্তিহোন।

~ধর্ষণ রোধের ব্যপারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা কি সেটা এখনো সনাক্ত করতে পারেন নি?
~~তাহলে “আবার পোস্টা পড়েন।”



প্রয়োজনীয় লিংক

১/ https://en.wikipedia.org/wiki/Rape
২। AN UPDATED DEFINITION OF RAPE
৩/ https://www.dictionary.com/browse/rape
৪/ Classical conditioning
৫/ definition of rape
৬/ Did you know the legal definition of rape and 'consent' is changing? Here's how
৭/ What is Rape?


ছবিটা প্রথম আলোর ১৯/০৫/১৭ তারিখের ৪র্থ পৃষ্ঠার খবর।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬
১৩টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×