somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোরআন,বুখারি ও মুসলিম শরীফ পড়ার পর মনে জাগ্রত প্রশ্নসমূহ

০৩ রা আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমেই বলে নিই, আমি চরম রক্ষনশীল একটা প্র্যাকটিসিং মুসলিম ফ্যামিলিতে বড় হওয়া ছেলে। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির আগ পর্যন্ত আম্মুর ঠেলায় হোক আর নিজের ভক্তিতে হোক, নিয়মিত নামাজ পড়তাম, কয়েকবার তাবলীগেও গেছি। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল, মাঝে মাঝে যে কিছু খটকা লাগতো না তা না, তবে ঐগুলা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করতাম না বলে (কিংবা বলা ভালো চিন্তা করতে ভয় পেতাম বলে) তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। কিন্তু এরপর থেকে যত বাইরের পৃথিবী চেনা হতে লাগলো, ততই ধর্ম নিয়ে খটকা বাড়তেই থাকলো। প্রশ্নের পর প্রশ্ন জড়ো হতে লাগলো মনের কোণে, আর সেগুলার উত্তর খুজে না পেয়ে দিশেহারা অবস্থা। পড়াশুনা করতে বাইরে আসার পরেও একই কাহিনি, কাউকেই পাইনা যে কিনা যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারে প্রশ্নগুলোর। প্রশ্নগুলো হয়ত খুবই কমন, কিন্তু উত্তর এত সহজলভ্য না। সবাই বলে কোরান হাদিসেই নাকি সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। আমি নিজেও ভালো করে কোরান হাদিস কখনো পড়িনাই, আমার দৌড় ঐ নামাজে মুখস্ত কিছু সূরা পর্যন্ত। তাই ঠিক করলাম তথাস্তু, দেখি কোরান হাদিস ঘেটে উত্তর মেলে কিনা। কোরানের চমৎকার একটা বাংলা অনুবাদ পেলাম নেটে (http://www.qurantoday.com/bangla.htm)। আর হাদিসের জন্য বেছে নিলাম মুসলিম জগতের সবচেয়ে অথেন্টিক দুই হাদিস কালেক্টর বুখারি এবং মুসলিম শরীফ। আমার ক্ষুদ্র অভিগ্গতায় যেটা দেখেছি, কোনো একটা প্রশ্নবিদ্ধ হাদিস নিয়ে কথা বললেই সবাই বলে ঐটা জাল হাদিস। তাই এমন দুজনের হাদিস পড়বো ঠিক করলাম যাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কারোরই প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। কারণ এই দুই মনিষী প্রায় ১৬/১৭ বছর ধরে প্রায় ৭ লাখের কাছাকাছি হাদিস থেকে চুলচেরা বিচার করে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য সাত হাজারের মত হাদিস লিপিবদ্ধ করেন (বুখারি ৭২৭৫, মুসলিম ৭১৯০)। (Click This Link) (http://en.wikipedia.org/wiki/Sahih_Muslim)। বলা হয় কোরানের পর সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে "সহীহ বুখারি" এবং "সহীহ মুসলিম"।

বুখারি এবং মুসলিমের সব হাদিসের বংগানুবাদ পাওয়া যাবে চমৎকার এই সাইটে Click This Link । (বুখারি ১০ খন্ড এবং মুসলিম ৭ খন্ড, একেক খন্ড ৫০০ পৃষ্ঠার উপরে।)

এরপর পড়ার পালা। প্রতিদিন ল্যাব থেকে এসে কিছু সময় রাখলাম বাংলা কোরান-হাদিস পড়ার জন্য। প্রচুর সময় ব্যয় করে পড়লাম। পড়তে পড়তে যে উপলব্ধিগুলো হলো সেগুলোই শেয়ার করার জন্য এই লেখা। সেইসাথে আমার পুরানো প্রশ্নগুলোর উত্তর পেলাম কি না, তাও জানাবো এখানে।

আমার একান্তই নিজস্ব অনুভূতি:
* কোরানের প্রচুর অংশ জুড়ে আছে পুরানো ইতিহাস বয়ান। একই ইতিহাস বারবার বর্ণিত হতে দেখা যায়। এগুলো বাদ দিয়ে মানবজাতির জন্য যে উপদেশমালা আছে, তার ৯৫% কথাই পজিটিভ, আই মিন ভালো কথা। বাকি ৫% নিয়ে কিছু প্রশ্ন তোলার অবকাশ থেকে যায়।

* হাদিসগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা, তবে হাদিসের প্রশ্নবিদ্ধ অংশ কোরানের তুলনায় অনেক বেশি।

* আমি সোজা কথায় যেটা বুঝি, ইসলাম যদি আল্লাহ অনুমোদিত জীবন ব্যবস্থা হয়, তাহলে তা ১০০% পারফেক্ট হতে হবে, কোনো প্রশ্ন তোলার অবকাশই থাকবে না, কারণ স্রষ্টা ভুল করতে পারেন না, তার সংঙ্গার সাথে সেটা যায় না। সেইসাথে তার প্রেরিত পুরুষও হতে হবে অ্যাবসলুটলি পারফেক্ট। তার এমন কোনো কাজ থাকবে না যেটা ১০০০ বছর পর প্রশ্নবিদ্ধ হবে(কিংবা তার সময়েই প্রশ্নবিদ্ধ হবে)। কারণ তিনি মানুষ হলেও তিনি তো মেসেজ পান স্বয়ং আল্লাহ থেকে, যিনি কিনা সর্বগ্যানী।

এবার সোজাসুজি আমার প্রশ্নগুলো। চেষ্টা করবো প্রতিটি পয়েন্টে রেফারেন্স উল্লেখ করতে, যাতে যে কেউ চট করে চেক করে নিতে পারেন। আর একটা অনুরোধ, প্লীজ কেউ অশ্লিল বাক্য ব্যবহার করবেন না, সুস্থ আলোচনা একান্ত কাম্য।

কোরান-উদ্ভূত প্রশ্ন
১। সূরা ৫ আয়াত ১০১
"ওহে যারা ঈমান এনেছ! সে সব বিষয় সম্বন্ধে প্রশ্ন কোরো না যা তোমাদের কাছে ব্যক্ত করলে তোমাদের অসুবিধা হতে পারে।"

প্রশ্ন করতে মানা করা হলো কেনো? আজকের পৃথিবী কি প্রশ্ন করে করে এতদূর আসেনি?

২। সূরা ২০ আয়াত ৫৩
"যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীটাকে করেছেন একটি বিছানা, আর তোমাদের জন্য এতে ছড়িয়ে দিয়েছেন পথসমূহ, আর তিনি আকাশ থেকে পাঠান পানি"

সূরা ৪৩ আয়াত ১০
"যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীটাকে করেছেন এক খাটিয়া, আর এতে তৈরি করেছেন তোমাদের কারণে পথসমূহ, যাতে তোমরা পথের দিশা পেতে পারো।"

সূরা ৭৮ আয়াত ৬-৭
"আমরা কি পৃথিবীটাকে পাতানো বিছানারূপে বানাই নি?"
"আর পাহাড় পর্বতকে খূটিরূপে?"


সূরা ২১ আয়াত ৩১
"আর পৃথিবীতে আমরা পাহাড় পর্বত স্থাপন করেছি, পাছে তাদের সঙ্গে এটি আন্দোলিত হয়, আর ওতে আমরা বানিয়েছি চওড়া পথঘাট যেন তারা সৎপথ প্রাপ্ত হয়"

কি বোঝা গেলো? উক্ত আয়াতগুলো থেকে পৃথিবী "গোল" এর চেয়ে পৃথিবী "সমতল"- এটাই কি কনক্লুশন টানা যায় না? বিছানা তো আর গোল হয়না!

আর পাহাড় পর্বতকে খূটি বা পেরেক বানানো হয়েছে যাতে তা আমাদের নিয়ে হেলে পড়ে না যায়! সমতল পৃথিবী ছাড়া এর আর কি ব্যাখ্যা থাকতে পারে? মানুষের ভারে যাতে পৃথিবী পড়ে না যায় এজন্য পেরেকরূপি পাহাড়! পৃথিবী কি প্রতিনিয়ত আমাদের নিয়ে সূর্যের চারদিকে হেলেদুলে ঘুরছে না? কোরানে এত এতবার পৃথিবীর আকার নিয়ে বলা হলো, একটাবারো কি ক্লিয়ার করে বলা যেত না যে পৃথিবীটা গোল?

৩। সূরা ২ আয়াত ৩৫
"হে আদম! তুমি আর তোমার সংগিনি এই বাগানে অবস্থান করো, আর সেখান থেকে যখন যেখানে ইচ্ছা কর ভরপুরভাবে পানাহার করো, কিন্তু এই বৃক্ষের ধারেকাছেও যেয়োনা, নতুবা তোমরা দুরাচারদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে"

মানে কি? আদম ফল না খেলে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয় না, আর তা হলে বাকি মানবজাতি সৃষ্টি হয়না, আবার এদিকে আল্লাহ বলেছেন আদম সৃষ্টির উদ্দেশ্যই হল মোহাম্মদকে শেষ নবী বানিয়ে পৃথিবীতে পাঠাবেন। তাহলে আদমকে মানা করার কারণ কি?

৪। সূরা ২ আয়াত ৮৭
"আর আমরা মুসাকে ধর্মগ্রন্থ দিয়েছিলাম, আর তার পর বহু নবী রসুল পাঠিয়েছিলাম, আর আমরা মরিয়মের পুত্র ঈসাকে দিয়েছিলাম স্পষ্ট প্রমাণাবলী।"

ঈসা (আ:) কে দেয়া হয়েছিলো ইন্জিল অথবা বাইবেল। এর মানে বাইবেলেরও প্রতিটা কথা অবশ্যই সত্য যেহেতু তা আল্লাহর বানী, তাই নয় কি? সত্যি কথা হলো বাইবেলে এমন সব ফালতু বাণী আছে যা খোদ খ্রিস্টানরাও বিশ্বাস করে না। আমেরিকার রাস্তায় বাইবেলকে ব্যন্গ করে লেখা বিলবোর্ডের অভাব নেই। বাইবেলের অসমান্জস্যতা লিখতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে।

৫। সূরা ২ আয়াত ২২৩
"তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের জন্য এক ক্ষেতখামার। সুতরাং তোমরা যখন যেমন ইচ্ছা কর তোমাদের ক্ষেতখামারে গমন করতে পারো।"

নারীজাতিকে কি এই আয়াত দ্বারা সম্মানিত করা হলো?

৬। সূরা ২ আয়াত ২২৮
"অবশ্য পুরুষদের অবস্থান স্ত্রীদের কিছুটা উপরে"

সূরা ২ আয়াত ২৮২
"যদি দুইজন পুরুষ পাওয়া না যায় তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলাকে সাক্ষী হিসেবে মনোনীত করো"

মানে একজন পুরুষ=দুইজন মহিলা!
এই ডিসক্রিমিনেশনটা না করলেই কি হতোনা? আমি যদি মদখোর লম্পট হই আর আমার বউ যদি মাদার তেরেসা হয় তাও কি আমি আমার বউয়ের উপর? অথবা আমি যদি আইনস্টাইনও হই আর আমার বউ যদি জরিনা হয়, তবুও তো জরিনাকে এটা বলার দরকার নাই যে আমি তার থেকে উৎকৃষ্ট। এরকম হলে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ না বলে সৃষ্টির সেরা জীব পুরুষ বললেই তো হয়! সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে এমন বিভেদ একেবারেই অপ্রত্যাশিত।

৭। সূরা ৪ আয়াত ১১

বহুল আলোচিত সম্পত্তি ভাগাভাগির গাণিতিক ভুল। কোনো লোক যদি মা, বাবা, দুই মেয়ে এবং স্ত্রী রেখে মারা যায়, তাহলে তার সম্পত্তি ভাগাভাগি হবে এমন - মা ১/৬, বাবা ১/৬, দুই মেয়ে ২/৩, স্ত্রী ১/৮। ভুলটা চোখে পড়েছে? টোটাল সম্পত্তি হয় তাহলে ২৭/২৪!

মোহাম্মদ(সা:) মারা যাবার অনেকদিন পর পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হয়নি। অবশেষে আলী (রা:) তার গানিতিক বুদ্ধিতে সব হরকে সমান করে এ সমস্যা সমাধান করেন। প্রশ্ন হলো, আল্লাহ কেনো আগেই কোরআনে এ সমাধান দিলেন না? একটা ভুল সিস্টেম কেনো মানুষকে সলভ করতে হবে? আমি যদি কোরানকে মেনে মা বাবা আর দুই মেয়েকে তাদের এক্সাক্ট ভাগটা দিই, তাহলে তো আমার স্ত্রীর জন্য কিছুই থাকে না!


৮। সূরা ৪ আয়াত ১৫
"আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা অশ্লীল আচরণ করে তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্যে থেকে চারজন সাক্ষী ডাকো, তারা যদি সাক্ষ্য দেয় তবে তাদের ঘরের ভেতর আটকে রাখো যে পর্যন্ত না মৃত্যু তাদের উপর ঘনিয়ে আসে, অথবা আল্লাহ তাদের জন্য পথ করে দেন"

"অশ্লীল আচরণ" বলতে কি বুঝানো হয়েছে? ধরে নিলাম সর্বোচ্চটাই, মানে ব্যাভিচার। ধরলাম ব্যাভিচার করতে গিয়ে ধরা পড়লো দুইজন। ৪ জন সাক্ষীও পাওয়া গেলো। এখন কি মেয়েটাকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘরে আটকে রাখতে হবে আর অপেক্ষা করতে হবে আল্লাহ তাদের জন্য কি পথ করে দেন? এটার শাস্তি কি মৃত্যুদন্ড? ১৪০০ বছর আগে হয়তো এটা ঠিক ছিলো তাই বলে এখনো এটা করতে হবে?

এই রিলেটেড আরো একটা আয়াত আছে
সূরা ২৪ আয়াত ২
"ব্যাভিচারি ও ব্যাভিচারিনী তাদের দুজনের প্রত্যেককে ১০০ বেত্রাঘাতে চাবুক মারো"

মেনে নিলাম ব্যাভিচার একটি খুবই খারাপ কাজ। কিন্তু তার শাস্তি এমন মধ্যযুগীয় কেনো হবে? কোরান কি সব যুগের সব কালের জন্য আসেনি?সেদিন ফেসবুকে বাংলাদেশের কোনো এক গ্রামে এক মহিলাকে সকলের সামনে চাবুক দিয়ে পিটানোর ভিডিওতে সবাইকে খুব উহ আহ করতে দেখলাম। কেনো ভাই, কোরানেই তো বলা আছে এমন করতে!

আর প্রথম আয়াতে নারীকে মৃত্যু পর্যন্ত আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু পুরুষের বেলায় এমন আয়াত তন্নতন্ন করে খুজেও পেলাম না!


৯। সূরা ৪ আয়াত ৩৪
"পুরুষরা নারীদের অবলম্বন, যেহেতু আল্লাহ তাদের এক শ্রেনীকে অন্য শ্রেনীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। কাজেই সতীসাধ্বী নারীরা অনুগত, গোপনীয়তার রক্ষয়িত্রী। আর যে নারীদের ক্ষেত্রে তাদের অবাধ্যতা আশা করো, তাদের উপদেশ দাও, আর শয্যায় তাদের একা ফেলে রাখো, আর তাদের প্রহার করো।"

কি বলার আছে? এই নিয়ম মেনে কেউ যদি বউ পিটায়, আর পুলিশ এসে যদি ধরে নিতে চায়, তাহলে এই আয়াত দেখায় দিলেই হবে!

১০। সূরা ৫ আয়াত ৩৮
"আর চোরা পুরুষ ও চোরা স্ত্রীলোক, দুইয়েরই তবে হাত কেটে ফেলো, তারা যা করেছে তার প্রতিফলস্বরূপ- এটি আ্ল্লাহর তরফ থেকে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারি শাস্তি"

কয়জন সাচ্চা মুসলমান কোরানের এই আয়াত মেনে মানিব্যাগ থেকে ১০০ টাকা চুরি করার দোষে আপন ছোট ভাইয়ের হাত কেটে ফেলার ঈমানী তাকত রাখেন, আমার জানার খুব ইচ্ছা।

১১। সূরা ৪ আয়াত ৩
"আর যদি তোমরা আশন্কা কর যে তোমরা এতীমদের প্রতি ন্যায়পরায়ন হতে পারছো না, তা হলে তাদের স্ত্রীলোকদের মধ্যের যাকে তোমাদের ভালো লাগে তাকে বিয়ে করতে পারো- দুই, তিন অথবা চার। কিন্তু যদি তোমরা আশন্কা কর যে তোমরা সমব্যবহার করতে পারবে না, তা হলে একজনকেই, অথবা তোমাদের ডান হাত যাদের ধরে রেখেছে (দাসী)"

এই আয়াত নিয়ে জাকির নায়েককে সবসময় বলতে শুনি, যে কোরানের আরেকজায়গায় বলা আছে "আর তোমরা তাদের মধ্যে সমব্যবহার করতে পারবে না"। তাই জাকির নায়েক এই বলে ডিফেন্স করে যে ইসলামে একটা বিয়ে করাটাকেই উৎসাহ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এইখানে যে বিরাট রকমের একটা গ্যান্জাম আছে সেইটা নিয়ে কাউকে কিছু বলতে শুনিনা। এই আয়াতটার দিকে খেয়াল করে দেখুন, এখানে শুধু সেইসব মেয়েদের কথা বলা আছে যারা কিনা "এতীম"। অন্য মেয়েদের বেলায় কিন্তু স্পেসিফিক করে কিছুই বলা নেই কোথাও।
(এ ব্যপারে আরো ক্লিয়ার হওয়ার জন্য বুখারি শরীফের ৪৭২১ নাম্বার হাদীসটি লক্ষণীয় - সহীহ বুখারি ৮ম খন্ড পৃষ্ঠা ৪০০, যেখানে নবী পরিষ্কারভাবেই বলেছেন এ আয়াতে শুধু এতিম বালিকাদের উদ্দেশ্য করা হয়েছে)

১১। সূরা ২ আয়াত ২৩০
"তারপর যদি সে তাকে তালাক দেয় এরপর সে তার জন্য বৈধ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সে অন্য স্বামীকে বিবাহ করে"

হিল্লা বিয়ের বহুল আলোচিত আয়াত। এটার ব্যখ্যা এ রকম যে তালাক দেয়া আল্লাহর কাছে খুবই নিন্দনীয় কাজ, আর তাই মানুষ যাতে তালাক দিতে নিরুৎসাহিত হয় তাই এই আয়াত, যাতে দুজনেরই একটা শিক্ষা হয়। আমার সহজ প্রশ্ন, দুজনের "শিক্ষা" কি সমান হলো? মেয়েটাকে আরেক পুরুষের ভোগ্যপণ্য হয়ে "শিক্ষা" নিতে হবে, আর ছেলেটার জন্য কি? এটা কি পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভন্গির এক জ্বলন্ত উদাহরণ না? পুরুষের জন্য সবই "উইন-উইন" সিচুয়েশন!

১২। সূরা ৩৩ আয়াত ৫০
"হে প্রিয় নবী, আমরা তোমার জন্য তোমার স্ত্রীদের বৈধ করেছি যাদের তুমি তাদের দেনমোহর আদায় করেছ, আর যাদের তোমার ডান হাত ধরে রেখেছে (দাসী), তাদের মধ্যে থেকে যাদের আল্লাহ তোমাকে যুদ্ধের দানরূপে দিয়েছেন, আর তোমার চাচাতো বোন, ফুফাতো বোন, মামাতো বোন, খালাতো বোনকে যারা তোমার সাথে হিজরত করেছে, আর কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে,যদি নবীও তাকে বিবাহ করতে চান-এটি বিশেষ করে তোমার জন্য, অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আমরা অবশ্যই জানি তাদের(মুমিনগণ) জন্য আমরা কি বিধান দিয়েছি তাদের স্ত্রীদের সম্পর্কে আর তাদের ডান হাত যাদের ধরে রেখেছে তাদের সম্পর্কে, যেন তোমার উপর কোনো বাধা না থাকে।"

পাঠক, একটু দুই মিনিটের জন্য মুক্তমনা হয়ে চিন্তা করবেন কি, একজন আল্লাহর প্রেরিত পবিত্র পুরুষের সাথে উপরোক্ত আয়াত কতটা সামন্জস্যপূর্ণ? তার কি দরকার এত রকম মেয়েমানুষের, যেখানে তিনি নিজেই বলেছেন "মুমিনগণ, তোমাদের জন্য মেয়েমানুষ ব্যতীত আমি আর বড় কোনো সর্বনাশ রেখে যাইনি (বূখারী/মুসলিম)"। তার উপর আবার "স্পেশাল অ্যাডভান্টেজ" যা কিনা অন্য মুসলমানের জন্য প্রযোজ্য নয়! কেন? একজন নি:স্বার্থ মানুষ কি কখনো এমন করতে পারে? তিনি বিয়ে করেছেন নিজের পালিত পুত্রের স্ত্রীকে, ৬ বছরের শিশুকন্যাকে। কোনো ধরণের যুক্তিতর্ক দিয়ে কি এগুলা ডিফেন্ড করা যাবে? আজ যদি এই ধরণের কাজ কেউ সুন্নত বলে করতে যায়, তাকে কি সবাই ধিক্কার দিবেনা?

বলা হয় তিনি নাকি সব বিয়েই কোনো না কোনো প্রয়োজনে করেছেন! যেমন পালিত পুত্র যায়েদের স্ত্রী যয়নবকে বিয়ে করেছেন এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য যে পালিত পুত্রের স্ত্রী মুসলমানের জন্য জায়েজ। আমার কথা হলো, তিনি মুখ দিয়ে যা বলবেন তা পালন করা মুসলমানের জন্য অবশ্য কর্তব্য। এটার জন্য তো নিজে বিয়ে করে দেখাতে হয় না। দরকার হলে এটার জন্য ১০০টা হাদিস রেখে যান। আয়েশাকে বিয়ে করার যুক্তি কি? আয়েশা ছিলেন খুব বুদ্ধিমতী, তাই উনাকে দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল/হাদিস সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে বিয়ে করা হয়েছে। বাহ! এই কাজটা আয়েশাকে মেয়ের মত স্নেহ দিয়ে করা যেত না? বিয়েই করতে হতো?

আমরা দেখতে পাই, খাদিজা বেচে থাকাকালীন মোহাম্মদ(সা:) দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। খাদিজা মারা যাওয়ার পর মাত্র ৯-১০ বছরে বাকি বিয়েগুলো করা হয় (গড়ে প্রতি বছরে একটা)। এর পেছনে ভালোবাসা ছাড়াও আরো যে কারণ অনুমান করা যায় তা হল, খাদিজা ছিলেন তৎকালীন আরবের একজন ধনী ও সুখ্যাত ব্যবসায়ী। নবী তার নিজের উপরে উঠার পথ সুগম করতে খাদিজাকে ব্যবহার করেছেন এবং যতদিন খাদিজা বেচে ছিলেন, ততদিন তার বিরাগভাজন হতে চাননি। খাদিজা মারা যাওয়ার পর শুরু হলো বিয়ের মহোৎসব। কোনো প্রয়োজন ছিলোকি বৃদ্ধ বয়সে এতগুলো বিয়ে করার যেখানে তার উম্মৎদের এতো বিয়ে করার অনুমতি দেয়া হয়নি?

এই প্রসন্গে একটা হাদীস বর্ণনা করার লোভ সামলাতে পারছি না।
সহীহ বুখারি ৮ম খন্ড পৃষ্ঠা ১৪৫
আয়েশা (রা:) বলেন, "যেসব মহিলা নিজেকে রাসূলুল্লাহ(সা:) এর কাছে নিজেকে ন্যস্ত করতে চাইতেন, আমি তাদের ঘৃণা করতাম। এরপর যখন আল্লাহতায়াল এ আয়াত নাযিল করেন, "আপনি তাদের মধ্যে থেকে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন, এবং যাকে ইচ্ছা গ্রহণ করতে পারেন। আর আপনি যাকে দূরে রেখেছেন তাকে কামনা করলে আপনার কোনো অপরাধ নেই" (সূরা ৩৩ আয়াত ৫১), তখন আমি বললাম, আমি দেখছি যে, আপনার রব আপনি যা ইচ্ছা করেন তা ই দ্রুত পূরণ করে দেন।"

বুদ্ধিমতী আয়শার বুঝতে বাকি নেই যে নবীর প্রয়োজনে যা যা লাগে তাই ফটাফট আয়াত হয়ে চলে আসে!



আরো বেশ কতগুলি প্রশ্ন ছিলো কোরানের আয়াত নিয়ে, কিন্তু পোস্টের কলেবর বেশি হয়ে যাচ্ছে দেখে পরবর্তী লেখায় দেব চিন্তা করছি। আপাতত কিছু হাদীসে চোখ বুলিয়ে নিয়ে এ লেখাটা শেষ করছি।

সহীহ বুখারি, হাদীস ৬৩৪৯, ১০ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২২৩
"আনাস ইবনে মালিক রা(:) থেকে বর্ণিত, উকল গোত্রের একদল লোক মদীনায় এল, তখন নবী তাদেরকে দুগ্ধবতী উটের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। তাদেরকে আরো নির্দেশ দিলেন যেন তারা সে সব উটের কাছে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করে। তারা তা পান করলো। অবশেষে তারা যখন সুস্থ হয়ে গেলো, তখন রাখালকে হত্যা করে উটগুলো হাকিয়ে নিয়ে চলল। ভোরে নবীর কাছে এ সংবাদ পৌছল। তিনি তাদের খোজে লোক পাঠালেন। রৌদ্র চড়ার আগেই তাদেরকে নিয়ে আসা হলো। তাদের সম্পর্কে তিনি নির্দেশ দিলেন , তাদের হাত পা কাটা হলো। লৌহশলাকা দিয়ে তাদের চোখগুলো ফূড়ে দেয়া হলো। এরপর প্রখর রৌদ্রতাপে ফেলে রাখা হলো। তারা পানি পান করতে চাইল, কিন্তু পান করানো হলো না।"

এই না হলে দয়ার নবী!

সহীহ বুখারি, হাদীস ৬৪৫৬, ১০ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২৮৯
"যারা ফরযসমূহ গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং যাদেরকে ধর্মত্যাগের অপরাধে অপরাধি করা হয়েছে তাদের হত্যা কর"

সহীহ বুখারি, হাদীস ৫৫২৬, ৯ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৭৭
"আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রা:) বলেন, আমি নবী(সা:) কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে তাদের, যারা ছবি বানায়"
সহীহ বুখারি, হাদীস ৫৫২৭, ৯ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৭৭
"আব্দুল্লাহ ইবনে উমার(রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ(সা:) বলেছেন, যারা এ জাতীয় প্রাণীর ছবি তৈরি করে, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে। তাদের বলা হবে: তোমরা যা বানিয়েছিলে তা জীবন্ত কর"

ছবি না তুলে কয়জন মুসলমান থাকতে পারবে এই দুনিয়ায়?

সহীহ বুখারি, হাদীস ৪৭০৮, ৮ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯১
"জাবির ইবন আবদুল্লাহ বলেন, আমি নবিজীকে বললাম, আমি নতুন শাদী করেছি। তিনি জিগ্গেস করলেন, তুমি কি কুমারী শাদী করেছ নাকি বিধবাকে? আমি বললাম বিধবাকে। তিনি বললেন তুমি কেন কুমারী মেয়েকে শাদী করলে না? যার সাথে ক্রীড়া-কৌতুক করতে আর সেও তোমার সাথে খেল-তামাশা করত।"

সহীহ বুখারি, হাদীস ৪৮২৫, ৮ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪৭৭
"আবদুল্লাহ ইবন যামআ(রা:) বলেন, তোমরা কেউ নিজ স্ত্রীদের গোলামের মত প্রহার কোরো না, কেননা দিনের শেষে তার সাথে তো মিলিত হবে।"

মানে নারী একটা সেক্স মেশিন ছাড়া কিছু না যাকে গোলামের মত প্রহার করলে মেশিনের ক্ষতি হবে। সুতরাং আস্তে প্রহার করতে হবে!

সহীহ বুখারি, হাদীস ৪৮৩০, ৮ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪৭৯,
সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৪০৮, ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৭৭
"আবু সাঈদ খুদরী(রা:) বলেন, আমরা যুদ্ধকালিন সময়ে গনীমত হিসেবে কিছু দাসী পেয়েছিলাম। আমরা তাদের সাথে মিলিত হতাম, কিন্তু বীর্য বাইরে ফেলতাম। এরপর আমরা রাসুলূল্লাহ(সা:) কে এ প্রসন্গে জিগ্গেস করলাম। তিনি বললেন, কিয়ামত পর্যন্ত যে রূহ পয়দা হবার, তা অবশ্যই পয়দা হবে। "
তিনি কিন্তু একাজ করতে মানা করেননি! পাকিস্তানী যোদ্ধারা তাহলে বাংগালী নারীর সাথে ঠিক কাজই করেছিলো!

সহীহ বুখারি, হাদীস ২৯০২, ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩০১
"জাবির ইবন আবদুল্লাহ বলেন, রাসুলূল্লাহ(সা:) বলেছেন, তোমাদের জন্য গনীমতের মাল হালাল করা হয়েছে।"
উল্লেখ করা নিশ্প্রয়োজন যে গনীমতের মালের মধ্যে নারীও অন্যতম!

সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৪৭২, ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১০৭
"যুদ্ধবন্দী নারীদের মধ্যে বিবাহিতরা তোমাদের জন্য হারাম, তবে তোমরা যাদের অধিকারী হয়েছো তারা তোমাদের জন্য হালাল।"

সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৪২৬, ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৮৫
"যুদ্ধে বন্দিনী গর্ভবতী স্ত্রীলোকদের সাথে সহবাস করা হারাম"

যাক বাকিরা তো হালাল!

সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪২২৮, ষষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৩
"তিন কাজ করলে মুসলমানকে হত্যা করা হালাল। এগুলো হলো, বিবাহিত অবস্থায় যিনায় লিপ্ত হওয়া, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, ধর্মত্যাগী হওয়া"

দুই নাম্বারটা মানা যায়, কিন্তু বাকি ২টা?

সহীহ বুখারি, হাদীস ৪৮৩৫, ৮ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪৮২
"আনাস ইবন মালিক(রা:) বর্ণনা করেন, নবী(সা:) একই রাতে সকল বিবির সাথে মিলিত হয়েছেন। ঐ সময় তার সর্বমোট ৯ জন বিবি ছিলো"

মন্তব্য নিশ্প্রয়োজন।

সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩২৭১, ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৫
"কোন স্ত্রীলোককে দেখে কারো মনে যৌন আকান্খা জাগলে সে যেন তার স্ত্রী বা দাসীর সাথে মিলিত হয়"

আর যার স্ত্রী বা দাসী নাই? আরো একটা কথা, বুখারি এবং মুসলিম দুই গ্রন্থেই দাসীর সাথে সেক্স করা হালাল বলা হয়েছে। সৌদি আরব তো আর এমনি এমনি বাংলাদেশ থেকে ২৫-৩০ বছর বয়সী কাজের মেয়ে নিচ্ছে না!

সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬২৩, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৮৫
"পুরুষের বীর্য সাদা বর্ণের এবং নারীর বীর্য হলুদ বর্ণের। নারীর বীর্য যদি পুরুষের উপর প্রাধান্য বিস্তার করে তাহলে সন্তান পুরুষের মত হয়। আর পুরুষের বীর্য যদি নারীর উপর প্রাধান্য বিস্তার করে তাহলে সন্তান নারীর মত হয়।"

তাই নাকি? বংশবিস্তারে নারীর বীর্য রোল প্লে করে নাকি ডিম্বাণু?

সহীহ বুখারি, হাদীস ৪৭২৪, ৮ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪০১
"কোন কিছুর মধ্যে যদি অপয়া থাকে তা হল বাড়ীঘর, স্ত্রীলোক এবং ঘোড়া"
সহীহ বুখারি, হাদীস ৪৭২৫, ৮ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪০১
"পুরুষের জন্য মেয়েলোক অপেক্ষা অন্য কোন বড় ফিতনা আমি রেখে গেলাম না"

দু:খিত, আমার মা,বোন,মেয়ে,স্ত্রীকে "অপয়া" কিংবা "ফিতনা" কোনটাই ভাবতে পারছি না!

এরকম আরো প্রায় শখানেক হাদীস নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। অন্য আরেকদিন সেগুলো নিয়ে লিখবো। শেষ করার আগে একটা কথা বলতে চাই, আমি নাস্তিক না, বরং বেশ ভালোভাবেই বিশ্বাস করি যে একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন। আবার কোনো সৃষ্টিকর্তা নাও থাকতে পারেন, যেহেতু তার থাকা না থাকার কোনো প্রমাণ এখনো নেই। কিন্তু ধর্মের ব্যপারে আমার প্রচন্ড সন্দেহ আছে। এক্সিসটিং কোনো ধর্মই যে আসলে সত্য না সে ব্যপারে আমি অনেকখানিই কনভিন্সন্ড। যদিও উপযুক্ত প্রমাণ পেলে স্বীকার করে নিতে আমার কোনোই আপত্তি নেই, কারণ আমি মনকে মুক্ত রেখে চিন্তা করতে পছন্দ করি, আর বিশ্বাস করি, মুক্তমনের কারণেই মানুষ এতদূর আসতে পেরেছে, নাহলে এখনো সেই মধ্যযুগেই পড়ে থাকতে হত। আমার যেটা মনে হয়, ধর্মগ্রন্থের ৯৫% ভালো ভালো কথা পড়ে এমনিতেই একটা ভক্তিভাব চলে আসে, মাঝখানে মাঝখানে লুকিয়ে থাকা বাকি ৫% আর চোখেই পড়ে না। আর এটাই মানুষকে সন্দেহ করতে বাধা দেয়। আমার মতে ধর্মের অবশ্যই প্রয়োজন আছে, কারণ অনগ্রসর অশিক্ষিত মানুষকে জাগতিক অন্যায় থেকে দূরে রাখতে পরকালের নানা ভয়ভীতির কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু যারা ভালোকে ভালো এবং খারাপকে খারাপ বলে চিনতে জানে, তাদের কোনই দরকার নেই সুপ্রাচীন একটা গ্রন্থ থেকে অমানবিক সব নিয়ম জীবনে অ্যাপ্লাই করা। তাদের ভালো কাজ করতে ৭২ টা হূরের টনিক দরকার হয়না, মানুষ হয়ে বেচে থাকার দায়েই তারা ভালো কাজ করে এবং করবে।
১১৯টি মন্তব্য ৬১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×