somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধ্বংস হবে পৃথিবী মানুষ নয়

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিজ্ঞান তার নিজ মহিমায় এগিয়ে চলছে।বিজ্ঞানের অগ্রগতি থামানো কারও পক্ষে সম্ভব নয়।সুপ্রাচিন কাল থেকে বিজ্ঞানের জয় যাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে।প্রাচিন থেকে আধুনিক এবং উত্তর আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় বিজ্ঞানের আবদান অসামান্য।বিজ্ঞানের বিভিন্ন অবিস্কারের ফল আমাদের আজকের উত্তর আধুনিক সামাজিক জীবণ ব্যাবস্থা।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উত্‍কর্ষ সাথনের ফল আজকের উত্তর আধুনিক জীবণ ব্যবস্থা।কিন্তু তবুও বিজ্ঞান থেমে নেই।নতুন নতুন আবিস্কারে সর্বদা সচেষ্ট।সেই ধারাবাহিকতায় আমরা নতুন নতুন আবিস্কার এবং এর ব্যবহার গুরুত্ব প্রয়োজনিয়তা ইত্যাদি বিভিন্ন দিগ সম্পর্কে জানতে পারছি।সব যায়গায় আজ বিজ্ঞানের জয়ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।তেমনি একটি বিষয় হচ্ছে সৌরজগত।এটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্য ব্যাপক কৌতহল আছে যার ফলে সৌরজগতে বিভিন্ন গ্রহ নক্ষত্র উপগ্রহ আবিস্কার হচ্ছে।তেমনি একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নাসা।যা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।নাসার ইতোমধ্যে কয়েকটি নতুন গ্রহের আবিস্কার করেছেন।তার মধ্যে ছিল মঙ্গল গ্রহ আর ইদানিং আবিস্কিত ফোরফিফটিটুবি অন্যতম।মঙ্গলে মানুষে বসবাসের জন্য জোড় প্রচেষ্টা চলছে।আরও বিস্তর গবেষণার মাধ্যমে মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব এবং মানুষের বসবাসের উপযগি করা সম্ভব।মঙ্গল গ্রহে মানুষ বসবাসের উপযগি এটা শুনলে হতচকিত হওয়ার কারন নেই।কিছুদিন আগের প্রতিবেদনে দেখা যায়,আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই চাঁদ মানুষের বসবাস উপযগি হবে।তার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে নতুন আবিস্কিত গ্রহ ফোরফিফটিটুবি।নাসা বলছে,পৃথিবীর মতো আরেকটি গ্রহের খোঁজ মিলেছে।এটি নিজ নক্ষত্রকে যতটুকু দূরে থেকে প্রদক্ষিণ করছে তা আমাদের পৃথিরীর ও সূর্যের মধ্যবতীঁ দূরত্বের প্রায় সমান।এটি পৃথিবীর চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশী বড়।বিজ্ঞানীরা বলেন,আকৃতি ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যাচাই করে মনে হচ্ছে ওই গ্রহে পাথর আগ্নেয়গিরি মহাসাগর ও সূর্যালোক থাকতে পারে।তবে সেখানকার মধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর দ্বিগুণ এবং বছর হয় ৩৮৫ দিনে।এটি যে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে তা আমাদের সূর্যের সমান হলেও বেশি পুরোনো।এর বয়স প্রায় ৬০০ কোটি বছর।কিন্তু আমাদের সূর্যটি ৪৬০ কোটি বছরের পুরোনো।জ্যোতির্বিদেরা মনে করেন,এ আবিস্কারের ফলে পৃথিবীর বাইরে প্রাণীর বসবাসযোগ্য স্থানের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে।নাসার বিজ্ঞানী জন জেনকিনস বলেন,এ পর্যন্ত পৃথিবীর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল পাওয়া গেছে নতুন চিহ্নিত গ্রহটির।
এভাবে চলতে থাকলে একদিন না এক দিন ঠিকই পৃথিবী ছাড়াও অনেক গ্রহে মানুষের বসবাস সম্ভব।সে দিন টি আর বেশি দূরে নয়,যে দিন আমরা পৃথিবী নয় চাঁদ মঙ্গল বা ফোরফিফটিটুবি তে বসবাস করবো।সে দিক দিয়ে দেখা যাচ্ছে পৃথিবী ধ্বংস হবে নিশ্চয়।পৃথিবীর ধ্বংস হওয়ার আর বেশী দিন নেই।খুব কাছের দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হবে।তবে মানুষ নয় ধ্বংস হবে শুধু পৃথিবীই!পৃথিবী ছাড়া যদি মানুষ অন্যান্য গ্রহে বসবাস করতে পারে,তাহলে সর্ব প্রথম বিত্তশালীরা পৃথিবী ছেড়ে ঐ সব গ্রহে চলে যাবে আর সেখানে বসবাস শুরু করবে।এর পর তাদের প্রয়োজনিয় কাজ কর্ম করার জন্য তাদের অনুগত মানুষজনকে নিয়ে যাবে।এর পর বিভিন্ন ধার্মিক লোকেরা বিভিন্ন ভাবে কেউ কেউ আলৌকিক ভাবে অনান্য গ্রহে চলে যাবে।এর পরেই পৃথিবীর চুড়ান্ত ধ্বংস হবে।ঠিক যে ভাবে আল্লাহ বা সৃষ্টি কর্তা বর্ননা করেছেন।ঠিক সেভাবেই পৃথিবী ধ্বংস হবে।কিছু মানষ ধ্বংস হবে কিন্তু সব মানুষ নয়।যারা বিভিন্ন কারনে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে তারাই শুধু বেচে থাকবে।আর যারা বিভিন্ন কারনে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে পারবেনা বা যেতে দেয়া হবে না,তারাই শুধু ধ্বংস হবে।এর পর পৃথিবীর মতো ঐ সব গ্রহে বসবাস শুরু হবে।তবে সে গ্রহটিও খুব বেশী স্থায়ি হবে না।সে গ্রহটিও একদিন ধ্বংস হবে!তবে আবার ও মানুষ বেচে থাকবে ধ্বংস হবে না।হয়তো আরও মানুষের বসবাসের উপযগি গ্রহের আবিস্কার হবে।মানুষ আবার সে গ্রহে বসবাস করবে। এভাবে পৃথিবী সহ এক এক করে গ্রহ ধ্বংস হবে এবং অপরদিকে নতুন নতুন গ্রহ আবিস্কিত হবে।এভাবে মানুষ নয় শুধু পৃথিবী আর অন্যান্য গ্রহগুলো ও মানুষ বসবাসের স্থানগুলো একদিকে যেমন ধ্বংস হবে অন্যদিকে আবার নতুন নতুন গ্রহ বা মানুষ বসবাসের স্থান তৌরি হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×