somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি যখন ভূত লেখক ছিলাম (২য় কিস্তি)

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কবিতা গুলো পুড়েফেলে যে কি ভূল করেছি তা বলে বুঝাতে পরবোনা। সেই থেকে একপ্রকার ইচ্ছা করেই লেখার হাত গুটিয়ে নেই। কিন্তু থেমে থাকতে পারিনি। কেনজানি কিছু ভালো লাগতোনা। মাথার ভিতর লেখার আইডিয়াগুলো কিলবিল করে। মনে হতে থাকে আমাকে বুঝি ভূতে ধরেছে! মনে হয় মাথার মধ্যে কে যেন জোরে জোরো পৃথিবীর যা কিছু আছে তাই দিয়ে আঘাত করছে আর বলছে লেখো লেখো লেখো আর লোখা চালিয়ে যাও! এভাবে কিছুদিন চলার পর মারাত্বক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরি। আাগের দিন অনেক খেলাধুলা করার পর বাড়ীতে আসি, এসেই ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে পরি। পরের দিন ঘুমথেকে উঠতেই পরছিলাম না! কেন জানি একটা হাত আর একটা পা উঠাতেই পারছিনা মূখ দিয়েও কথা বেড় করতে পারছিনা ! এদিকে সকাল গড়িয়ে প্রায় দুপুর হচ্ছে। আর আমার উঠার নাম নেই! একটি কথা বলে রাখা ভালো। ছোট বেলায় খুব ফাজিল ছিলাম, লেখা-পড়ার ভয়ে প্রতিদিন কোন না কোন বাহানা করতাম যেন পড়ার টেবিলে বসতে না হয়। এই যেমন পেটের ব্যাথা, প্রচন্ড মাথা ব্যাথা, বুকের ব্যাথা আরে কি সব বলছি শুধুই ব্যাথাই বলছি আরও কি কি যে বলেছি তা এখন আর মনে হচ্ছেনা। যাই হোক পড়াশুনা না করার জন্য যা করার দরকার ছিল তাই করেছি। দুপুর হচ্ছে আর আমি তখনো বিছানা থেকে উঠছি না। বাবা বাইরে গেছেন, সেই সুজগে মা ও বেশী ডাকাডাকি করেনি। যদিও বা করেছে তা ছিল যা না করলেই নয়। থেমে থেমে কয়েক বার ডেকেছিল যা আমার উঠার জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। এদিকে বাবা বাড়ী আসার সময় ঘনিয়ে আসছে তাই মা এবার আমাকে অসহ্য ডকাডাকি করছে,আর বলছে তুই যে পড়াশুনার ভয়ে যা সব বাহানা করিস আমরা তা জানি! এবার উঠ আজ তোকে পড়াশুনা করতে হবে না এমনকি হাতের লেখা দেখাতে হবেনা। আজ তোর শাস্তি হচ্ছে নাস্তা খেতে পারবি না। এবার উঠ তোর বাবা আসার সময় হয়েছে, না উঠলে তোর বাববর মাইর খেতে হবে। এতোক্ষন মায়ের ও সব কথা শুনছি কানছি, কানছি তো বটেই তবে কোন আওয়াজ হচ্ছে না, শুধু চোখ দিয়ে পানি পরে বালিশ ভিজিয়ে ফেলেছি। তখন বাড়ীতে কোন এক প্রতিবেশী মহিলা এসেছেন আর মা তার সাথে আমার গল্প করছেন আর হাসাহাসি করছে। এদিকে তাদের এসব কথা শুনে আরও বেশী করে কান্না পাচ্ছে। সাথে সাথে বাবার কন্ঠ! বাবার কন্ঠ শুনেই ভয়ে কি অন্য কোন কারনে শুধু একবার গলা ছেড়ে আওয়াজ করে কান্না বেড়িয়ে আসে! এবার বাবা রেগে যান গালি গালাজ করতে থাকেন আর আমায় ডাকতে থাকেন কিন্তু আমি সাড়া দিতে চেয়েও পারছিনা! এভাবে ডাকডাকির পর সাড়া দিতে না পরে একটু বুদ্ধি করে বিছানা থেকে মাটিতে পরে যাই। বাশের ঘর ছিল বলে অনেক জোড়ে শব্দ হল! তা শুনেই বাবা-মা দুজনেই আতঙ্কিত হয়ে আরও ডাকাডাকি শুরু করল কিন্তি আমার কোন সাড়া শব্দ নেই। এবার ঘরের দরজা ভেঙ্গে বাবা দেখেন মেঝেতে অচেতন হয়ে পরে আছি! এবার বাবা মা কে গালিগালাজ করছে। এক পর্য়ায়ে বাবা মাকে মারধর শুরু করে। আাজ তো অনেক হলো বাকিটা আগামীদিনে বলবো। সবার সুসাস্থ কামনা করছি আর আমার সিরিজটা পড়ার আহব্বান করছি। যদিও এটা আমার নিজেস্ব গল্প কাহিনী আর লেখায় কোন রস নাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৫
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×