১) কপি হাউজে কয়েকজন ভদ্রলোক গল্প করছিলেন। গল্পের বিষয়বস্তু ছিলো - "ভাবী জাতকের উপরে মাতার মানসিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রভাব।"
একজন একটা আশ্চর্য ঘটনা বললেন। তার শালীর পেটে বাচ্চা আসার পর "শ্যামদেশের যমজ" নামের একটি বই পড়ে খুব চমৎকৃত হয়েছিলেন, এবং কি আশ্চর্য! পরশুদিন তার নিজেরই যমজ ছেলে হয়েছে।
আরেক ভদ্রলোক একইরকম কিন্তু অধিকতর বিস্ময়জনক কাহিনী শোনালেন। তার এক প্রতিবেশিনী গর্ভবতী জীবনে "The Strange Stories of Triplets" নামে একটা ইংরেজি বই পাঠ করেছিলেন, পরিণামে অবশেষে তার তিনটি বাচ্চা জন্মেছে।
টেবিলের অপরপ্রান্তে এক নিরীহ ভদ্রলোক এতক্ষণ উৎকণ্ঠার সঙ্গে এইসব কাহিনী শুনছিলেন। এই গল্পটি শোনার পর তিনি উত্তেজিত হয়ে দাঁড়ালেন। বন্ধুরা বললেন, "কি হল? এতো তাড়াতাড়ি উঠলে কেন? রাত তো তেমন হয়নি! আরেকটু বসে যাও।" ভদ্রলোক বললেন, "না ভাই, আমার সর্বনাশ হয়েছে! আমার বউয়ের তো বাচ্চা হবে। সন্ধ্যাবেলা বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় দেখলাম সে 'আলিবাবা ও চল্লিশচোর' পড়ছে। দুই- তিন তবুও ভাবা যায় কিন্তু চল্লিশ চোর? আমার কি হবে? এই নিরীহ বেচারা বাড়ির দিকে ছুটতে লাগলেন।
২) একবার এক প্রসূতি সদনের ডাক্তার বাবুকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, 'ডাক্তারি বিদ্যার এত শাখা থাকতে আপনি কেন সন্তান জন্মানোর নারী ঘটিত ব্যাপারে এলেন, টাকা কামানোর জন্য? ভদ্রলোক বলেছিলেন, 'না, ব্যাপারটা ঠিক তা নয়। দেখুন, আমি যখন যেখানে যে রোগী দেখতে যেতাম তখন তাকে দেখলে আমার মনে হতো আমারও সে রোগ হয়েছে। ক্যান্সারের রোগী দেখলে আমি ভয় পেতাম না জানি আমারও বুঝি এ রোগ হয়েছে, টিবির রোগী কাশলে আমিও কাশতাম।
অবশেষে এই মাতৃসদনে এসে নিশ্চিত হয়েছি- এ রোগ অন্তত আমার হবেনা।
৩) নিউটন সাহেব তার পোষা খরগোশের জন্য একটি বাক্স বানিয়েছেন। দুটো খরগোশ। একটা বড় খরগোশ আরেকটা ছোট খরগোশ। তিনি তার বাক্সে দুটি দরজা দিয়েছেন। একটি বড় দরজা আরেকটি ছোট দরজা। সবাই জানতে চাইলো দুটি দরজা কেন।
নিউটন ব্যাখ্যা করলেন! খরগোশ যে দুটো, বড় খরগোশের জন্য বড় দরজা আর ছোট খরগোশের জন্য ছোট দরজা। কিন্তু বড় দরজাটি থাকলেই হতো এটা এতো বড় বিজ্ঞানীকে কে বুঝাবে!
৪) বিজ্ঞানী সত্যেন বসু, একবার তিনি একটা প্রাইভেট বাসে চড়ে আসছেন, কলেজ স্ট্রিটের মোড়ে নামবেন! পরনে বাঙ্গালি বেশ, এক মাথা পাকা চুল। নামার সময় তার কামিজের পকেট বাসের দরজার হ্যাণ্ডেলের সাথে আটকে গেছে। তিনি সামনের দিকে এগুতে পারছেন না, টানাটানি করছেন। হেল্পার তাকে একটু পিছিয়ে এসে তারপর নামার পরামর্শ দিলেন। তারপর তিনি নেমে যাওয়ার সময় শুনতে পেলেন! হেল্পার বলছে, "এতো বয়স হলো আপনার এখনো ব্রেনটাকে খাটাতে শিখলেন না।"
৫) একটি থানার দারোগা বাবুর সামনে এক ভদ্রলোক বসে রয়েছেন।
ভদ্রলোকঃ স্যার, গতকাল আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধুর সাথে আমার স্ত্রী পালিয়ে গেছেন।
দারোগাবাবুঃ আপনার বন্ধুর নাম বলুন।
ভদ্রলোকঃ তা জানিনা, নাম বলতে পারবো না।
দারোগাবাবুঃ তবে যে বললেন আপনার শ্রেষ্ঠ বন্ধু?
ভদ্রলোকঃ সে তো ঠিকই বলেছি। শ্রেষ্ঠ বন্ধু, সে আমার স্ত্রীকে নিয়ে না পালালে আমাকে রক্ষা করতো কে?
[কৃতজ্ঞতা: তারাপদ রায়]
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২