ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গনে এই মসজিদটা নির্মাণ করা হয় ১৬৭৯ সালে। এর নাম মুসা খাঁ এর মসজিদ। কিন্তু গঠন শৈলী দেখে এটাকে মুসা খাঁর আমলের বলা যায় না। ধারণা করা হয় শায়েস্তা খাঁয়ের আমলে মূসা খাঁয়ের ছেলে মনোয়ার খান এই মসজিদটি নির্মাণ করেন।
এই কবরটা কার, কেউ বলতে পারল না। তবে স্থানীয়দের মতে এই কবরখানা মুসা খাঁয়ের পুত্র মনোয়ার খানের হতে পারে।
এরপরের মসজিদটি শেরে বাংলা, নাজিউদ্দিন ও সোরওয়ার্দির কবরের ঠিক পেছনে। কবর গুলো উপর যে বিশালাকার আর্কিটেকচার আছে তার পেছনে একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় ১৬৭৯ সালের এই মসজিদটি।
ঢাকায় আসতেন সে সময় সনামধন্য ব্যবসায়ীরা। তাদের মধ্যেই একজন শাহবাজ। তিনি ১৬৭৯ সালে এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। তিনি এখানে তার দরগা শরীফও নির্মাণ করেন বলে কথিত আছে। তাঁর মৃত্যুর পর মসজিদের পেছনে তাকে সমাহিত করা হয়।
এটিই হলো শাহবাজ (রহ) এর মাজার শরীফ। এইখানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। শাহবাজের নামে এলাকার নাম শাহবাগ করা হয়েছে।
তাঁর মাজার
শাহবাজ (রহ) এর মসজিদের প্রবেশ পথ ছিল পেছন দিক দিয়ে। অর্থাৎ পূর্বদিক দিয়ে। তখন পশ্চিম দিকে কোন ফটোক ছিল না। এখন সেখানে গেলে পশ্চিম দিকের ফটোক দিয়েই প্রবেশ করতে হয়।
হাজী বেগের মসজিদ। এর নির্মাণ কাল ১৬৮৩। এটি পলাশীতে অবস্থিত।
ইতিহাস খুজতে গেলে অনেক কিছুই পাওয়া যায়। হাজী বেগের মসজিদের ভেতর আমি কী পেলাম দেখুন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একজন লেফটেনেন্ট এর কবর দেওয়া হয়েছিল এই মসজিদ প্রাঙ্গনে। অর্থাৎ মসজিদের পূর্ব দিকে।
মসজিদের ভেতরটা ভালভাবে খেয়াল করলে একটা জিনিস চোখে পরে। আর সেটা হল, আগেকার দিনে মসজিদগুলো বেশ ছোটখাট হত। কারণ লোকসংখ্যা কম ছিল। দেখুন মাত্র তিনটি সারিতে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা আছে। মুসা খাঁ, আর শাহবাজের মসজীদের ভেতরটা একই রকম। তাই এই মসজিদের ইন্টেরিয়োর দেখে নিলেই বাকিগুলোও দেখা হয়ে যায়।
সমসয়াময়িক এই তিনটা মসজিদের গঠন একই রকম। বেশ হবাক করা। তবে সমসাময়িক এরকম আরও কোন মসজিদ আছে কিনা, তা আমার জানা নেই!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৫