somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চমকে যাবেন মানচিত্র দেখে

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেই কৌতুকটা নিশ্চয়ই আপনারা সবাই জানেন, কোনো এক আড্ডায় এক লোক গালপট্টি মারছিলো যে সে সারা দুনিয়া ঘুরেছে। দুনিয়ার প্রায় এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে সে যায় নি। শেষে তাকে যখন প্রশ্ন করা হলো আপনি যেহেতু এতো জায়গা ঘুরেছেন, তাহলেতো জিওগ্রাফি সম্বন্ধে আপনার বেশ ভালো ধারনা আছে? লোকটির চটপট উত্তর, "হ্যাঁ, তাতো বটেই। গত মাসেইতো সেখান থেকে ঘুরে এলাম!" যা হোক এই কৌতুকটা আমার এক বড়ভাইকে বলার পর তিনি গম্ভীর হয়ে উত্তর দিলেন 'আমি জিওগ্রাফিতে তিন বছর ছিলাম!' অর্থাৎ কিনা তিনি জিওগ্রাফি ডিপার্টমন্টে অনার্স কোর্সে ভর্তি হয়ে তিন বছর কাটিয়েছেন!


আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি অনিন্দ্যসাধারণ ও চমক সৃষ্টিকারী বেশ কিছু মানচিত্র । যারা কখনো ভুগোলে ছিলেন না কিংবা যারা ভুগোলে কয়েকবছর কাটিয়েছেন তারা সবাই সম্ভবত এই মানচিত্রগুলো দেখে চমৎকৃত এবং উপকৃত হবেন।

প্রথমে যেই বিশ্বমানচিত্র দেখাব সেটা একই সঙ্গে চমৎকারী এবং আতঙ্কসৃষ্টকারী। এই মানচিত্রে যে বৃত্তটি দেখা যাচ্ছে তার ভিতরকার জনসংখ্যা, বৃত্তের বাইরের জনসংখ্যার চেয়ে বেশী।



এবারের ম্যাপের মাঝে যেই রেখাটি দেখছেন সেটি আসলে সরলরেখা। গোল পৃথিবীর চামড়া খুলে নিয়ে টানটান করে মেলে ধরায় রেখাটিকে বাঁকা দেখাচ্ছে। এই রেখাটি হচ্ছে পৃথিবীর শুধুমাত্র জলভাগের উপরে দিয়ে আঁকা সম্ভব এমন সবচেয়ে বড় রেখা। অর্থাৎ আপনি যদি পাকিস্তান থেকে এই রেখা বরাবর পালতুলে যাত্রা শুরু করেন এবং দিক পরিবর্তন না করেন তাহলে কোনো রকম ভু-ভাগের বাধা অতিক্রম ছাড়াই এই পথে রাশিয়ার একপ্রান্তে গিয়ে পৌছাবেন।



মানচিত্রে উত্তর দিকটিকে উপরে দেখানো আমাদের অভ্যাস। কিন্তু এটা আসলে কোনো নিয়ম নয়। কেবল মাত্র প্রচলিত হয়ে যাওয়ায় আমরা এভাবেই মানচিত্র আঁকতে পছন্দ করি। কেউ চাইলে দক্ষিনদিক কিংবা অন্যদিকটিও উপরের দিকে রেখে মানচিত্র আঁকতে পারেন। এবারে দক্ষিনপন্থীদের জন্য পৃথিবীর এই মানচিত্রটি।



১৯৯২ সালে প্রশান্তমহাসাগরের মাঝখানে একটি কার্গোজাহাজ থেকে ২৯০০০ ভাসমান হলুদ রবারের হাঁস (এই হাঁসগুলো সরা বিশ্বে সুপরিচিত) এবং আরো কিছু জিনিস পড়ে যায়। এরপর মহাসগরীয় স্রোতের টানে এই হাঁসগুলো সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় তারা হাজার হাজার মাইল অতিক্রম করে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন উপকুলে পৌঁছায়। এই মানচিত্রে দেখতে পাবেন কোনপথে এই হাঁসগুলো ভ্রমণ করেছিলো। রেখার পুরুত্ব থেকে হাঁসের পরিমানও অনুমান করতে পারবেন।



20 কোটি বছর আগে এই পৃথবীর সমস্ত ভূ-ভাগ একত্রে সংযুক্ত ছিলো। এই সংযুক্ত অবস্থায় এটি একটি সুপার মহাদেশ ছিলো যার নাম প্যানজিয়া। কোটি কোটি বছর ধরে প্লেট টেকটোনিক্সের প্রভাবে মহাদেশগুলো ক্রমশঃ বিচ্ছিন্ন হতে থাকে। এই মানচিত্রে দেখতে পাবেন বর্তমান বিশ্বের কোন দেশ ২০ কোটি বছর আগে কোন অবস্থানে ছিলো। খুঁজলে বাংলাদেশের অবস্থানও বের করতে পারবেন। তবে বাংলাদেশের একটি বিরাট অংশ হিমালয় বিধৌত পলি দিয়ে গঠিত হয়েছে মাত্র কয়েক হাজার বছর আগে। তাই এই মানচিত্রে বাংলাদেশের অস্তিত্ব খুব একটা উজ্জ্বল নয়।



পৃথিবীর কিছু দেশে গাড়ি চালনোর জন্য স্টিয়ারিং থাকে গাড়ির বাম দিকে আর কিছু দেশে স্টিয়ারিং থাকে ডান দিকে। এই মানচিত্রের লাল অংশের গাড়িতে স্টিয়ারিং বাম দিকে এবং নীল অংশের গাড়িতে ডান দিকে থাকে।



সমগ্র আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রকে কেটে নিয়ে যদি চাঁদে বসানো যায় তাহলে আকারে তা হবে নিচের মানচিত্রটির মতো।



এই ম্যাপে দেখানো হচ্ছে বিভিন্ন দেশের প্রতি একমিলিয়ন মানুষের মধ্যে গবেষকের সংখ্যা।



পৃথিবীর জনসংখ্যা ৭০০ কোটিরও বেশী। এই জনসংখ্যার প্রতি ১০০ কোটিকে একসাথে রেখে যদি পৃথিবীকে ৭ ভাগে ভাগ করা যায় তাহলে সেটা দেখতে হবে এমন। ম্যাপে বাংলাদেশের অবস্থান উল্ল্যেখযোগ্য।



১৮৯৮ সাল থেকে সংঘটিত ভুমিকম্পসমূহের অবস্থান অনুযায়ী এই মানচিত্র:



আজ এই পর্যন্তই। আরো চমৎকার এবং mind blowing পোস্ট নিয়ে হাজির হব অচিরেই। ততক্ষণ পর্যন্ত বিদায়।

সবগুলো মানচিত্রের উৎস:
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৫২
১৩টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×