চীনে ডাক্তারদের পড়ালেখার পাশাপাশি কুংফু শেখাচ্ছে। রোগীদের আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার জন্যই এই ব্যবস্থা। আমাদের দেশেও বোধহয় এটা চালু করা উচিত। আমাদের দেশের অবস্থা তো আরো ভয়াবহ। গতকাল আমার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে একজনের মন্তব্য,
'কসাইগুলো মাংস খেয়ে খেয়ে মোটা হচ্ছে। মেরে ওদের চর্বি কমানো দরকার।'
কি ভয়াবহ চিন্তা ভাবনা!!
ডাক্তার পেঠানোকে তারা প্রায় মহৎ কর্মের পর্যায়ে ফেলে দিয়েছে।
গত কয়েকদিনে ফেইসবুক এবং ব্লগে ডাক্তার বিরোধী অনেকগুলো পোস্ট এবং মন্তব্য পড়লাম। কারো বাবা, কারো ভাই, কারো কাজের বুয়া কিভাবে ডাক্তারদের অপচিকিৎসার শিকার হয়েছে তার বিশদ বর্ণনা উঠে এসেছে সবার লেখায়। সবাই ডাক্তার কি ভুল করেছে , ডাক্তারের কি করা উচিত ছিল সেই ব্যাপারেও কিঞ্চিত জ্ঞানের প্রদর্শণ করেছেন।
সরকারি টাকায় পড়াশোনা করা ডাক্তাররা একটু কিল ঘুষিতেই কর্মবিরতিতে যাওয়ার দুঃসাহস কিভাবে দেখায়, সেই বিষয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
যারা লিখেছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ , আপনারা একটা দিন কোন একটি সরকারি হাসপাতালে কাটান। একজন ডাক্তার কি করছেন তা চব্বিশ ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করুন। আমার বিশ্বাস , ডাক্তারদের প্রতি আপনার মনোভাব পাল্টাবে।
ডাক্তাররা যখন আন্দোলনে নামেন , তখন তাঁরা নিশ্চয়ই আশা করেন যে, তাঁরা যাদের জন্য কাজ করেন সেই মানুষগুলো তাঁদের সমর্থণ দিবে। তাঁদের জন্য দুই কলম লিখবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটনাটা ভিন্ন। কোন এক বিচিত্র কারণ ডাক্তারদের অপমানে এদেশের মানুষ বিমলানন্দ ভোগ করে। এই বিমলানন্দের উৎস কোথায় সেটা এ দেশের মানুষই ভালো জানে।
ডাক্তারদের আপনারা দ্বিতীয় ঈশ্বর বলেন। প্রথম ঈশ্বরের কাছে আপনার অনেক কিছুই চান , সব আশা নিশ্চয়ই পূরণ হয়না। তারপরও কিন্তু আপনারা ঈশ্বরকে ভালোবাসেন। আর দ্বিতীয় ঈশ্বর যখন একটা ভুল করে, তখন আপনারা তাঁকে ক্ষমা করতে পারেন না। আপনার ভুলে যান এই মানুষটিই হাজার হাজার রোগীকে সুস্থ করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩