somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ চিঠি তোমার জন্য , প্রিয়তা

০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রিয়তা ,

তোমার কাছে কখনো ভাবিনি লিখব , এই ই-মেইলের যুগে আবার লেখালেখি কিসের ...... মুঠোফেনে একটা মেসেজ পাঠাবার সময় নেই কারো , আবার লেখালেখি । কিন্তু , একান্ত বাধ্য হয়ে তোমার কাছে লিখতে হচ্ছে ।

তোমার ঠিকানা জানা নেই । জানা নেই ই-মেইল আইডি অথবা মোবাইলের সংখ্যাগুলো । জানা নেই , তুমি ফেসবুকে , টুইটারে বা হালের গুগল প্লাসে কোন একাউন্ট করে ফেলেছ কিনা । তাই এখানে লিখছি । প্রতিদিন , কত হাজার হাজার মানুষ চোখ রাখে সামহোয়্যারে , কত হাজার হাজার প্লাসে , মন্তব্যে , সমালোচনায় মুখর হয় পৃষ্ঠাগুলি । তারই ফাঁকে যদি কখনো তোমার চোখে পড়ে যায় , তোমাকে লেখা আমার এই চিঠি - এ আশায় লিখছি ।

তোমার সাথে প্রথমবার দেখা হবার কথা মনে আছে ?

লাইব্রেরীতে আড্ডা দিচ্ছিলাম চুটিয়ে , হঠাৎ সামনে দেখি বিশাল কালো একজোড়া চোখ .... তোমার ।

" আস্তে কথা বলুন , আমরা পড়ছি "

তৈরি উত্তর এসে গিয়েছিলো ঠোঁটের ডগায় , কিন্তু তোমার চোখের দিকে চেয়ে ঠোঁট পেরোবার সাহস পায়নি তখন । কখনোই পায়নি এরপরে , যতবার চেয়েছি ঐ চোখজোড়ার দিকে - হারিয়ে ফেলেছি । কখনো কথা , কখনো অক্ষমতা , কখনোবা নিজেকে ।

আমি তখন ধূমসে সিগারেট টানি , মেগাডেথ আর আয়রন মেইডেন ছাড়া কোন গানকে গান মনে হয় না , মাক্স আর লেনিনকে নিজের পিতার চেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করি , সারারাত তাস পেটাই , মাঝে মাঝে চায়ের আড্ডায় মেনিমুখো বন্ধুদের দাঁত খিঁচিয়ে মারতে এগিয়ে যাই ।

তোমার মনে আছে , প্রিয়তা ? এই রূক্ষচূল , বাউন্ডুলেকে কি অবাক মমতায় তুমি ভালোবেসেছিলে ?

আমি ভালোবাসায় বিশ্বাসী ছিলাম না , আমার পোড় খাওয়া , সেকেলে পরিবার আমাকে সংগ্রাম শিখিয়েছে , ভালোবাসা নয় । তবুও আমি জানি না কখন নিজেকে জড়িয়ে ফেললাম তোমার সাথে । কখন এই সংগ্রামের দিনগুলিতে তোমার হাতকে নিজের হাতের মতো মনে হতে লাগল ।

একদিন সকল রূপকথার গল্পের মত আমাদের দিন শেষ হয়ে গেল । কার্জন হলের আলো আঁধারির দিকে তাকিয়ে মনে হয়েছিল ; হয়তো আবার কখনো আসব ফিরে - হয়তো মানুষ নয় ........

না , প্রিয়তা । মানুষ আর কখনোই হয়ে ওঠা হয়নি আমার । অমানুষের মত ছুটে গেছি অফিস থেকে অফিসে । যেই পুঁজিবাদ আমার অজন্ম শত্রু ছিলো , যেই আমলাতণ্ত্রকে ঘৃণা করে গেছি আজীবন , তাদের দরজাগুলোতে বিকিয়ে দিলাম আমার আত্নসম্মানবোধ ।

"ভাত দে হারামজাদা , নাহলে মানচিত্র চিবিয়ে খাবো " - কথাগুলি ভীষণ সত্যি মনে হয়েছিলো সেইদিন । রাতে মেসে ফিরে ঘুম হতো না , বাসার চিঠিগুলো একসময় পড়া বন্ধ করে দিলাম । বিড়ি খাওয়া শুরু করলাম । সারাদিন কাটত রাস্তার পাশের দু'টাকার রুটি আর হোটেলের লোহাগন্ধী পানি খেয়ে ।

তোমার সাথে দেখা হত প্রতি বৃহস্পতিবার । প্রতিবার তুমি একটু করে শুকিয়ে যেতে , একটু করে কম কথা বলতে । তোমার অপূর্ব চোখদুটো নিচে জমা কালি আমায় বলে দিত , আমার ভালোবাসার মানুষটি অনেকদিন ঘুমুতে পারেনি ঠিকমতো ।

তবু্ও সেই কালিপড়া চোখের নিচেই ছিলো আমার ভালোবাসা । আমার সারা সপ্তাহের ক্লান্তি আর অপমানের আশ্রয়স্থল । আমি আমার সব অনুযোগগুলি শোনাতাম তোমায় । সস্তা পার্কের নোংরা বেঞ্চে বসে তুমি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে ।

আহ্ ! প্র্রিয়তা । যদি আর একবার কখনো ফিরে পেতাম সেই দিনগুলি ।

কোথায় যেন একটা চাকরি জুটে গেল তোমার । আমার আনন্দ দেখে কে ? নিজেকে মনে হল বিশ্বজয়ী , তোমার সাফল্যে , প্রিয়তা , আমার প্রিয়তা , আমাদের কষ্টের দিনগুলি কি শেষের দিকে ?

প্রশ্নটির উত্তর জানা ছিলো না আমার । জানা ছিলো না ভবিষ্যতের কথা । ভাবতেও ইচ্ছা করত না কখনো । আমার শুধু জানা ছিলো , তুমি আছো । আমার চারপাশ জুড়ে , মেঘের মত , আমায় ঘিরে ।

মাস শেষে আমার বারণ সত্ত্বেও পকেটে টাকা গুঁজে দিতে তুমি । সেই টাকাগুলি না হলে , হয়তো আমি সেদিন না খেয়ে মারা যেতাম , বিনা চিকিৎসায় ; হয়তো সেই ভালো ছিলো ।

কয়েক বন্ধু মিলে ব্যবসা শুরু করলাম । বন্ধুদের নতুন করে চিনলাম , হাতের শেষ টাকাগুলো জলে গেল । একদিন রাস্তায় রাখা রড পায়ে গেঁথে গেল , ওষুধ কেনার টাকা ছিলো না ; তুমি খবর পেয়ে ছুটে এলে ।

মনে আছে , প্রিয়তা ? তোমার চোখে জলে ভিজে যাচ্ছিল আমার ক্ষত ।

আমি অসুস্থ হয়ে পড়লাম হঠাৎ । ভীষণ জ্বর । তুমি চাকরি ফেলে ছুটে এলে আমার কাছে । হয়তো মরে যেতাম সেদিন । ভীষণ দোষারোপ করেছি তোমায় বাঁচাবার জন্য , হয়তো মরে যাওয়াটাই ভালো ছিলো আমার জন্য ।

এরপর একদিন এলে আমার কাছে । মনে আছে সেদিনের কথা , প্রিয়তা ? আমি তো চাইলেও ভুলতে পারিনা । তোমার সাখে আমার শেষ দেখা । সেই শেষ দেখা ।

আমি তখনো পুরোপুরি সুস্থ হইনি , জ্বরটা বেশ ভোগাচ্ছিল । তুমি এলে , হাতে পলিথিনে মোড়ানো প্যাকেট ।

ভেবেছিলাম খাবার এনেছ । কিন্তু , প্যাকেটে দেখি টাকা । অনেকগুলো টাকা । আমি অবাক হয়েছিলাম খুব । তুমি কোথায় পেলে এত টাকা ?

উত্তরে মৃদু হেসেছিলে তুমি , " ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছি তোমার জন্য । তুমি সুস্থ হয়ে ওঠো তাড়াতাড়ি , তারপর ব্যাবসা শুরু করো । সব ঠিক হয়ে যাবে , সবকিছু "

আমার অন্ধকার ঘরে আমি দেখিনি তোমার চোখের অশ্রু সেদিন । আমি তোমার সবগুলো মিথ্যা সেদিন মুগ্ধ শ্রোতার মত শুনে গেছি শুধু । নতুন ভবিষ্যতের স্বপ্নে পোড়া চোখ চকচক করে উঠেছিলো আনন্দে ।

যাবার সময় পিছনে ফিরে কি দেখছিলে ওভাবে ? কেন দেখছিলে ? তুমি তো জানতে , সেই দেখাই শেষ ছিলো ।

অনেকদিন তোমার কোন খোঁজ ছিলো না ।

আমি সুস্থ হয়েই ব্যবসার কাজে লেগে পড়েছিলাম । এবার একা , আর বুকে কোন এক মানুষের দেয়া ভালোবাসা ।

যখন তোমার কথা মনে পড়ল , ভাবলাম তোমার অসুখ করেনি তো ? ছুটে গেলাম তোমার বাসায় । বাড়িওয়ালা জানাল , গত দুমাস সেই বাসায় আর কেউ থাকে না ।

ছুটে গেলাম পাড়ার ফার্মেসীতে অজানা আশঙ্কায় । সেখানে আমার টেলিফোন ধরতে তুমি আসতে , কিন্তু তারা্ও জানে না তুমি কোথায় থাকো ?

আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম দুশ্চিন্তায় । তোমার সবগুলো বান্ধবীকে খুঁজে বের করলাম , কারও সাথে তোমার যোগাযোগ নেই । অখচ দুই সপ্তাহ আগেও তুমি ওদের গল্প করেছ আমার কাছে ।

সত্যি কি , আমি জানতাম না । আমার জানবার প্রয়োজনও ছিলো না । আমার পৃথিবী ছিলে তুমি , এই চির ভালোবাসাহীনের ভালোবাসা ছিলে তুমি । আমি সেই সময়টা ভুলতে পারিনা কিছুতেই , প্রিয়তা ।

প্রতিদিন সকালে বের হতাম তোমার খোঁজে । ফার্মগেটে , নীলক্ষেত মোড়ে , শাহবাগের জ্যামে - হাজার হাজার মুখের মাঝে খুঁজে ফিরতাম তোমাকে । কখনো কারো চোখ দেখে দৌড়ে যেতাম , হতাশায় মারা যেতে ইচ্ছে করত ভীষণ ।

আমি কখনো ভাবিনি তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে এভাবে ।

হাসপাতালের প্রতিটি বেডে হন্য হয়ে খুঁজতাম তোমায় অজানা আশঙ্কায় । মর্গের লাশের মাঝে দেখতাম লোনা চোখে , খুঁজতাম তোমার নাম পুলিশের খাতায় .............. আর এভাবেই তোমাকে খুঁজে পাই একদিন ।

এক সাব-ইন্সপেক্টর আমার অবস্থা দেখে নোট করে রেখেছিলেন তোমার নাম । একদিন আমাকে ডাকেন তিনি ।

হন্য হয়ে ছুটে যাই আমি । আমাকে বসতে বলেন তিনি । তারপর আমার হাতে তুলে দেন তোমার কিছু ছবি ।

বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে বসে থাকি আমি । যদি তিনি বলতেন তুমি মারা গিয়েছ , তাতেও এতটা আহত , এতটা হতবাক হতাম না আমি । আমার দেহে কোন প্রাণ ছিলো না , অসাড় হাত থেকে কখন যেন মাটিতে পড়ে গিয়েছিল তোমার অর্ধনগ্ন ছবিগুলো ।

তিনমাস আগে , তোমাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো এক সস্তা হোটেল থেকে , পতিতাবৃত্তির অভিযোগে ।


সেদিন সেই পুলিশ থানার সস্তা চেয়ারে বসে আমি অনুভব করেছিলাম , কোন চাকরি তুমি করতে আমার খরচ যোগাবার জন্য । আমি বুঝতে পেরেছিলাম , তুমি আমাকে কতখানি ভালোবাসতে । বুঝতে পেরেছিলাম , প্রতিরাতে , আমার মুখের কথা ভেবে তুমি নিজেকে বিলিয়ে দিতে কোন নোংরা পশুর হাতে ।

পরে জানতে পেরেছি , তোমার সব কথা ।

তুমি চলে গেছ দূরে , একতাড়া নোটের বিনিময়ে কোন রাক্ষসের হাতে সারাজীবনের মত নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে । তোমার হাতের সেই নোটের প্যাকেট .......

আমি জানি না , আজ । তুমি কোখায় আছো ? জানিনা , কেমন আছো ? কিন্তু বিশ্বাস করো , প্রিয়তা , আজ অবধি কখনো , কখনো তোমাকে একবারের জন্যও দোষী মনে হয়নি । পাপী মনে হয়নি । নিজেকে খুব ক্ষুদ্র মনে হয়েছে তোমার কাছে বারবার ।

আজ , তোমাকে ভীষণ বলতে ইচ্ছে হয় প্রিয়তা , আমি এখন্ও তোমায় ভালোবাসি , যতখানি বাসতাম , যতখানি বাসা আমার পক্ষে সম্ভব ; হয়তো তারচেয়েও বেশি ।

যেখানেই থাকো , যদি এই লেখা কখনো তোমার চোখে পড়ে , আমায় ক্ষমা করো । আমায় ক্ষমা করো আমার অক্ষমতার জন্য , আমার দু'হাত সামান্য ছিলো তোমার ভালোবাসার জন্য ।

যেখানেই থাকো , ভালো থেকো ।


সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২১
২৩টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×