somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আচার আচরন কার সাথে কি হবে?

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আচার আচরনও একটি ইবাদত।  আর এ ইবাদতের মধ্যে ইখলাছ আছে কিনা সেটা বুঝা যাবে যখন আমি ধনি এবং দরিদ্র উভয়ের সাথে একই ধরনের আচরন করবো ।   ধনিদের  সুক্ষদর্শিতা দেখলে খোশামদের হাসি হাসবো,  তাদের ভুলত্রুটিকে তুচ্ছ জ্ঞান করে এড়িয়ে চলবো । পক্ষান্তরে গরিবের সুক্ষদর্শিতা দেখলে মজাক করবো,  গরিবের ভুল পাওয়া গেলে চেচামেচি করবো।  তাহলে বুঝা গেল এ আচার ব্যবহার বাণিজ্যিক।

এক্ষেত্রে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আচরন ছিল সরল। ধনি নির্ধন সবার সাথে একরকম ব্যবহার করতেন তিনি  ।
আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন,  এক ছিল বেদুইন।  তার নাম ছিল যাহার ইবনে হারাম। তিনি যখন কোন কাজে মদিনায় আসতেন , তখন নবীজীর জন্য ঘি বা পনিরের হাদিয়া নিয়ে আসতেন। 
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও তাকে খুব ভালবাসতেন ।
যাহার ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ। 
একদিন তিনি তার মরুগৃহ হতে বের হলেন।  চলে এলেন মদীনায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাড়িতে।  কিন্তু সেখানে তাকে না পেয়ে তিনি বাজারে চলে গেলেন।  সঙ্গে আনা জিনিসপত্তর বেচার জন্য।
যাহােরর আসার খবর পেলেন নবীজী।  এজন্য তিনি বাজারে চলে গেলেন। তাকে খোজ করার জন্য।  একজায়গায় তিনি তাকে দেখতে পেলেন।  দেখলেন ঘর্মসিক্ত যাহার রোদে দাড়িয়ে জিনিসপত্তর বিক্রি করছেন। কৃষ্ণাঙ্গ মানুষটির গায়ে তখন যাযাবরের পোষাক ; আর গন্ধ তো আছেই।  নবীজী কাছে গিয়ে  তাকে পিছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরলেন।  যাহার তাকে দেখতে পাচ্ছিলেন না।  তিনি বুঝতেও পারছিলেননা যে কে তাকে জড়িয়ে ধরেছেন।  তিনি সন্ত্রস্ত হয়ে বললেন, আমাকে ছেড়ে দিন .... কে আপনি?
নবীজী কোন কথা বললেন না।  যাহার বেষ্টনী থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আড় চোখে একটু পিছন দিকে নজর দিলেন।  দেখতে পেলেন নবীজীকে।  তখন তিনি শান্ত হয়ে গেলেন।  তার ভীতি দূর হয়ে গেল। 
এখন তিনি রাসূলুল্লাহর বুকের সাথে নিজের পিঠ লেপটে দিতে লাগলেন।
নবীজী যাহারের সাথে মজাক করে বলতে লাগলেন -
এই গোলামটি কে কিনবে?  এই গোলামটি কে কিনবে?
যাহার জানতেন নিজের হতদরিদ্র অর্থহীন শ্রীহীন অবস্থার কথা।  তিনি বললেন, 
আল্লাহর কসম!  হে আল্লাহর রাসুল!  আপনি কিন্তু খুব বেশি দাম পাবেন না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন -
তাই বলে আল্লাহর কাছে তোমার দাম কম নয় ; তাঁর কাছে তুমি অত্যান্ত মূল্যবান। 

#ইশারা : হয়ত কোন গরিব দুঃখীর তরে আপনার সামান্য হাসি,  আল্লাহর কাছে আপনার মর্যাদা বাড়িয়ে দিবে অনেক গুণ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২১
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×