somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গুগল এডসেন্স: একটি পুরাতন বিষয়ে পুরাতন কিছু কথা।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যারা অনলাইনে আয় করতে চান, তাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম হলো গুগল অ্যাডসেন্স। অনলাইন বিজ্ঞাপনে তাদের মত সাফল্য আর কেউ পায়নি। বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অনলাইন বিজ্ঞাপনদাতা এই সংস্থা নিজেরা শতকোটিপতি হবার পাশাপাশি কোটিপতি হবার সুযোগ করে দিয়েছে অনেক কেই।

কি এমন সুবিধা তারা দিয়ে থাকে যা অন্য কেউ দিতে পারে না? কিভাবে বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিত থাকেন, তাদের বিজ্ঞাপনটুকু সঠিক ও আগ্রহী ক্রেতার কাছে পৌছবে? উত্তরটুকু এখানেই। সঠিক ও আগ্রহী ক্রেতা । সাধারণ ব্যবস্থায়, ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকেন সংবাদপত্রে, রেডিও, টিভি বা বিলবোর্ডে। এতে ব্যাপার যেটা হয়- তাদেরকে আসলে খরচ করতে হয় প্রত্যেক জন বিজ্ঞাপন দর্শকের জন্য। তারা কয়েক লক্ষ বা কয়েক কোটি দর্শককে বিজ্ঞাপন দেখাবার জন্য টাকা খরচ করেন। কিন্তুএদের মধ্যে নির্দিষ্ট পণ্যের জন্য আগ্রহী ক্রেতা হয় সামান্যই। যার ফলে বাকিদের জন্যে ব্যাপারটা উলুবনে মুক্তা ছড়ানোর মতোই একটা ব্যপার। একজন মধ্যবিত্ত কেরানী অথবা সরকারে চাকুরে অভিজাত বাড়ি অথবা বিলাসবহুল বাড়ি কেনারব্যাপার আগ্রহী হবেন না। অথচ বাড়ি বিক্রেতা অথবা গাড়ি বিক্রেতা তাদেরকেও বিজ্ঞাপনের দর্শক করতে বাধ্য হচ্ছেন। যার ফলে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করছেন তারা। অথচ আগ্রহী ক্রেতা নির্দিষ্ট একটি গন্ডিরই। এবার চিন্তা করুন এমন একটি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থার কথা, যেখানে পণ্যের বিজ্ঞাপন শুধুমাত্র তাদের
কাছেই পৌঁছায়, যারা আগ্রহী,আগ্রহী হতে পারেন অথবা যারা সেই পণ্য কিনবার ক্ষমতা রাখেন। এখানে কয়েক লক্ষ বা কয়েক কোটি দর্শকের বদলে দর্শক মাত্রহাজার বা লাখের কোটায়। অথচ এই প্রত্যেক দর্শকই সেই পণ্যের ব্যাপার আগ্রহী অথবা ভবিষ্যতে আগ্রহী হবেন অথবা কিনবার ক্ষমতা রাখেন। ফলাফল অত্যন্ত কম খরচে, বিশাল পরিমাণ সঠিক ও আগ্রহী দর্শকের কাছে পৌছানো। একি সহজ ব্যাপার?

এই চমৎকার ব্রবস্থার উদ্ভবক গুগল এবং এটাকে কাজে লাগিয়েই তারা বছরে হাজার কোটি টাকা আয় করে থাকে। বেশ, আয় করল তো গুগল করল। তাতে সাধারণ মানুষের কি? আছে, সাধারণ মানুষের অনেক কিছুই পাবার আছে।

আপনার কি একটি ওয়েবসাইট আছে? অথব ব্লগ? যেটা কিনা ভীষণ জনপ্রিয়? প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ না হোক হাজার হাজার ভিজিটর পান আপনি? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তবে আপনি আয় করতে পারেন গুগলের কাছ থেকে। গুগল তার বিজ্ঞাপন রাখবে আপনার সাইটে। দর্শক আসবে, দেখবে, আগ্রহী হবে। বিজ্ঞাপন হতে পারে কোন বাস্তব পণ্যের অথবা কোন বিশেষ সফটঅয়্যার অথবা কোন সার্ভিসের। তারা বিজ্ঞাপনে আগ্রহী হয়ে পণ্য ক্রয় করবে। ব্যবসায়ী লাভবান হবেন। গুগল বিজ্ঞাপনের জন্য পয়সা পাবে। তার একটা ভাগ পাবেন আপনি। এর পরিমাণ কত হতে পারে তার কোন সীমা নেই। অনেকেই আছেন, যারা গুগল থেকে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ ডলারের Pay Check পেয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে একজন হতে পারেন আপনিও। আগে শুরু তো করুন। হাজার মাইল ব্যাপী ভ্রমণের শুরুটা প্রম পদক্ষেপ থেকেই। তাই না?

কিভাবে গুগল তার নির্দিষ্ট দর্শকের কাছে পৌছায়? এটা জানবার দরকার নেই মনে হলেও জেনে রাখলে কাজে দেবে। আপনিএকটি ব্লগের অধিকারী। তাতে আপনি টেকনোলজি নিয়ে লেখালেখি করেন। হতে পারে কম্পিউটার অথবা যোগাযোগ প্রযুক্তি অথবা বিলাস প্রযুক্তি। ধরে নিন, আপনি কোন বিশেষ ব্র্যান্ডের প্রসেসর অথবা মাদারবোর্ডের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যসহ, সুযোগ সুবিধা একটি ব্লগ লিখলেন। গুগল এতে সেই ব্র্যান্ডের মেইনবোর্ডের বিজ্ঞাপন দেবে। মাদারবোর্ড এ আগ্রহী দর্শক লেখাটি পড়ার জন্য আসবেন, লেখাটি পড়ে ব্র্যান্ডের সম্পর্কে আগ্রহী হবেন, তখন তার চোখে পড়বে বিজ্ঞাপনটি। যেটা কিনা কোন অনলাইন স্টোরের যারা ঐ মাদারবোর্ডটি সেল করছে অথবা বিজ্ঞাপনটি খোদ ব্র্যান্ড কোম্পানি থেকেই দেয়া, যারা আবার অনলাইনে পন্য বিক্রয় করে থাকে। ফলাফল? কোম্পানি পেল একজন ক্রেতা অথবা সম্ভাব্য ক্রেতা । গুগল পেল তার পয়সা, আপনি পেলেন আপনার পয়সা। হাজার মানুষের কাছে বিজ্ঞাপন প্রচার করে দশটি ক্রেতা পাবার থেকে ১০০টি মানুষের কাছে বিজ্ঞাপন প্রচার করে ১০টি ক্রেতা পাওয়া কি লাভজনক নয়?

গুগল দু’ভাবে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন কাউন্ট করে। প্রতি হাজার ইউনিক বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য আপনি পেতে পারেন পয়সা অথবা প্রতিটি ইউনিক বিজ্ঞাপন ক্লিকের উপরে আপনি পেতে পারেন পয়সা। অর্থের পরিমাণ গুগল কোনদিনই প্রকাশ করে না। অর্থাৎ কোন বিজ্ঞাপনে কত পয়সা। সুতরাং মাস শেষে পাওয়া টাকা গুনেই আপনাকে সন্তুষ্ট হতে হবে।

আপনি এখন আগ্রহী। চিন্তা করছেন গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলবেন। চলে যান adsense.google.com এ। অ্যাকাউন্ট খুলবার সময় তারা আপনার সাইট/বগটির ঠিকানা নেবে রিভিউ করার জন্য। রিভিউ করে যদি তাদের মনে হয় এতে বিজ্ঞাপন দিলে লাভজনক হবে, তবেই তারা আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাকটিভ করবে। নয়ত লাভ নেই। তারা সাইট রিভিউ করে কনটেন্ট ও অনেক কিছুর উপরে। পরবর্তীতে এই বিষেয়ে আরও জানাবার ইচ্ছা থাকল। আজকাল গুগল একাউন্ট পাওয়া সহজ নয়। কিভাবে সেটা সহজে পাওয়া যেতে পারে, তাও জানাবার চেষ্টা করব।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৫০
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×