তুচ্ছ কারণ থেকে যেসব রাগের উৎপত্তি সেসব রাগ এক ঘুম দিলেই পানি হয়ে যায়। রাগের সময়টা অতিরিক্ত রাগী মানুষেরা যুক্তিকে ঠিক পাত্তা দিতে চান না। কারণ রাগেরও একটা মাদকতা আছে। রাগী মানুষের কাছে রাগ অনেকটা নেশার মত। তারা জানে এটা করা ঠিক না। কিন্তু করার কারণ খুঁজে পেলে তারা তা থেকে নিজেকে নিবৃত্ত করতে পারে না। সে কারণ সবসময় যৌক্তিক নাও হতে পারে।
পুলক সকালে উঠে ফেসবুক এ গেলো। দেখল যে রীতা তাকে ইনবক্স করেছে।
-কোন কারণে আপনি আমার উপর খুব রাগ করেছেন। যদিও আমি এখনো তা বুঝতে পারিনি। তারপরো আপনাকে রাগানোর জন্য I am sorry.
এমনিতেই ঘুম থেকে উঠার পর থেকে তার মনে হচ্ছে কালকে একটু বেশী বেশী করা হয়ে গেছে। সে তো এখন আর বাচ্চা নেই। তার তো নিজেকে আরো কন্ট্রোল করা উচিৎ।
পুলক রিপ্লাই দিল,
-আসলে আমিই সরি। হঠাৎ করে কেন জানি খুব বেশী রাগ উঠে গেলো। I hope আপনার মনে আছে আমি আপনাকে আপনাদের বাসায় বলেছিলাম যে আমি অনেক বদরাগী। আশা করি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন। যাই হোক!! ভাল থাকবেন।
পুলকের মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেলো। তার সাথে আসলেই কেউ থাকতে পারবে না। নরমাল সিনেমার নায়ক নিয়ে মানুষ তার সাথে কথা বলতে পারে না। সারা জীবন থাকা তো ইম্পসিবল।
মনের দুঃখে সে ফেসবুক যাওয়া বন্ধ করে দিল।
এদিকে রীতা নিয়মিত পুলকের জন্য ফেসবুক এ অপেক্ষা করে। ইনবক্স করেছে অনেক মেসেজ। কিন্তু না seen হয়নি এখনো। লোকটা কি ফেসবুক এ আসাই বন্ধ করে দিল!!!
এক সপ্তাহ যাওয়ার পর রীতা পুলককে ফোন করলো।
- হ্যালো!
- আমি রীতা বলছিলাম।
- ও হ্যাঁ! বলুন। কেমন আছেন? (পুলক কিছুটা আড়ষ্ট। মেয়েটার সাথে খুব বেশী খারাপ ব্যবহার সে করেছিল। দুই দিনের কথায় এরকম ব্যবহার করার কোন যৌক্তিকতা নেই। আল্লাহ জানে কি বলতে চায় ও!!)
- আমি তো ভালো আছি। আপনি ভালো আছেন তো? কোন খোঁজ নেই কিছু নেই। কোথায় আছেন আপনি এখন?
- আমি? আমি অফিস এ।
- বাসায় গিয়ে ঠিকঠাক মত ফেসবুক এ ঢুকবেন। (রীতার কণ্ঠে আদেশের সুর)
- কেন?
- আমি বলেছি তাই। অফিস এ আপনাকে বিরক্ত করবো না। ফেসবুক এ কথা হবে।
- আচ্ছা।
পুলক ঠিক বুঝতে পারলো না কি হল!! কিন্তু কেন জানি তার খুব খুশি লাগলো। এই খুশি যাবতীয় পুরুষ জাতি হয় যখন কোন মেয়ে তার উপর অযাচিত অধিকার ফলায়।
(চলতে পারে)
আগের পর্বের লিঙ্ক
Click This Link