গরু নিয়ে ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার রীতিমত জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ওরফে গরু রাজু পাগলা ঘোষণা দিয়েছিল যে কোন মূল্যে বাংলাদেশে গরু যেতে দেবেন না। সীমান্তে সৈন্য-সামন্ত অর্থাৎ বিএসএফ রক্ষীদের কড়া নজরদারি ও গুলি করে এবং পিটিয়ে বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীদের হত্যার ঘটনা ঘটিয়েও গরু আসা বন্ধ করতে পারেননি। ভারতে এখনো গরু জবাই বন্ধের কোশেস চলছে। কয়েকটি প্রদেশ ছাড়া সমগ্র ভারতে গরুর গোশত বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছেন দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রী মহেশ শর্মা। এসব দেখে শুনে খুব সহজেই মনে প্রশ্ন ওঠে ভারত যে গরুর গোশত অন্যদেশে রফতানি করে তাতো আর জীবন্ত করা সম্ভব নয়। নাকি আমাদের বাংলাদেশে গরুর গোশত প্রক্রিয়াজাত করে রফতানি শুরু হওয়ায় এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা? হতেও পারে বন্ধুরাষ্ট্র বলে কথা!
যাক, এবার মূল কথায় আসি- আচ্ছা এতদিন দিন যে ভারত আমাদের বাংলাদেশে গরু দেই নাই, তাতে আমরা গরু গোশত না খাইয়া কি মরে গেছি নাকি? কিন্তু আমাদের কোন ক্ষতি হয় নাই বা হবে না, ক্ষতি তাদের হবে হয়েছে। ভারতের যে গরু শিল্প এতে বাংলাদেশে গরু না দিলে ভারত বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় বৈকি। তাই ভারত বৈধভাবে হোক বা অবৈধভাবে, যেভাবেই হোক বাংলাদেশকে গরু দেবেই, নাহলে নিজেরাই মরবে। তবে ধর্মের মোড়কে গরু জবাই নিষিদ্ধ কিংবা বাংলাদেশে গরু আসতে না দেওয়া যে আদতে সম্ভব হবে না তা ইতিমধ্যে পরিস্কার হয়ে গেছে। বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ইতোমধ্যে অবাধে গরু আসা শুরু করেছে।
ভারতের বিজেপি দলের নেতা থেকে শুরু করে রাজনাথ সিং জানতেন ভারত থেকে গরু বাংলাদেশে আসা বিএসএফ দিয়ে বন্ধ করা যাবে না। গরু আসবেই বরং গরু আসতে দেয়া হবে না বলে ঈদের দিন কয়েক আগে আগের বছরের চেয়ে বেশী গরু ঢুকিয়ে দেয়ার এক বাণিজ্যিক কৌশল নেয়াই ছিল বিজেপি সরকারের মূল লক্ষ্য! কারণ যে গরু আগে পঞ্চাশ হাজার টাকা, এখন সে গরু সত্তর হাজার টাকা, লাভ কার? বুঝেন এবার বাণিজ্যিক কৌশলী বিজেপি সরকারের মূল লক্ষ্য!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




