"আচ্ছা ধর আজকে তোর ঘুম ভাংলো দাড়োয়ান মামার ডাকাডাকিতে,ধড়মড় করে উঠে বসে চোখ ডলতে ডলতে শুনলি নিচে নায়ীরা বসে আছে তোর অপেক্ষায় তুই কি অবাক হবিনা??"
মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাসে আব্দুল আলীম স্যারের বুলেট গতির লেকচার তোলার ফাকে আমার দিকে মুখ তুলে তাকাল রানা।তারপরে পুনরায় খাতার দিকে মনোযোগ দিল।
"আচ্ছা ধর গেষ্টরুমে গিয়ে দেখিস নায়ীরা বসে আছে,উদভ্রান্ত আর আলুথালি বেশে।তোকে দেখে কেমন লজ্জা পেয়ে তারপরে পুর্ন্দৃষ্টিতে তোর দিকে তাকাল।আর তখনই দেখলি ওর চোখ দুটি লাল,না ঘুমানোর চিহ্ন সুষ্পষ্ট।"
আমি বলতে থাকলাম।
"তারপরে অনেক কষ্ট করে তোকে বলল,"জানো আমার না কালকে রাতে একফোটা ঘুম হয়নি।আমি সারারাত শুধু তোমার কথায় ভেবেছি।"ফর্সা গালে রক্তের ছোপ তোর নজরে এড়াল না,এড়াল না হালকা কাপতে থাকা ঠোট।তখন তুই কি করবি রানা"
"এটা কখনও সম্ভব না"
রানার সংক্ষিপ্ত জবাব।
আমি আবার শুরু করলাম"ধর,নায়ীরা তোকে বলল,জানো রানা আমার না আজকে ক্লাস করতে ইচ্ছা করছেনা।চল না আজকে আমরা ক্লাস ফাকি দিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়াই।সত্যি করে বল তুই তখন কি করবি?"
এতক্ষনে রানা সিরিয়াস।
"শোন নায়ীরা যে ধরনের মেয়ে সে কখনো আমার জন্যে হলে যাবেনা,আর তার মত আতেলের পক্ষে ক্লাস ফাকি দিয়ে ঘুরে বেড়ানো সম্ভব না।আর ঘুরতে চাইলে আমি আমার পাশে এত মোটা চশমা পড়া একটা মেয়ে নিয়ে কোন ক্রমেই ঘুরতে পারবোনা।"
রানা থামলো।
আবার শুরু করলো,"যদি এমন ঘটে তাহলে আমি বাথরুমে লুকাবো।আচ্ছা তুই আবার নায়ীরাকে পছন্দ করে ফেলেছিস না তো,আমার কেমন যেন সন্দেহ হচ্ছে?"
"আরে না না কি বলিস,এই সবের টাইম নাই।তাছাড়া এত মোটা চশমা পড়ে যে মেয়ে তাকে কিভাবে পছন্দ করা যায়?"
আমি অতি ভদ্র্ ছেলের মত লেকচার তোলায় মন দেই।
দোস্ত তুই বল আমাকে,"এই মোটা চশমা পড়া মেয়েটাকেই আমি পাগলের মত পছন্দ করি!,রাতের পর রাত আমি তাকে ভেবে জেগে থাকি,পাতার পর পাতা কবিতা লিখি তাকে নিয়ে।"
এই কথাগুলো আমি তোকে কি করে বলি?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



