২০০৫ সাল।নটরডেম কলেজ।৩১৭ নাম্বার ক্লাস রুম।
ক্লাস রুমে বসা আমরা ১৬৩ জন ছাত্র।ক্লাস মাতিয়ে রেখেছেন মুক্তার স্যার।
আমাদের সবার প্রিয় বাংলা টিচার মুক্তার স্যার।
রাশভারী একজন লোক।শারিরীক সমস্যার কারনে ঠিকমত কথাও বলতে পারেন না।কিন্তু একমাত্র একটা বদলী ক্লাসে এসেই
তিনি আমাদের মন জয় করে নিয়েছিলেন।যেই কারনে আমাদের কাউকেই অন্য কোন শিক্ষকের ক্লাসে মনোযোগী করা যায় নি।
বাধ্য হয়ে সেকেন্ড ইয়ারে আমাদের বাংলা ক্লাস নিয়েছিলেন তিনি।নটরডেম এর কঠোর জীবনে আমার স্মরনীয় কয়েকটা ঘটনার
একটা হল স্যারের বাংলা ক্লাস।
স্যার প্রথম দিন এসে বলতেছেন,তোমরা কিন্তু বানান ঠিকমত লিখবে।বানান অনেক গুরুত্বপুর্ন।তোমাদের এক প্রিয় গার্লস কলেজের
এক মেয়ে পরীক্ষার খাতায় মাইকেল মধুসুদন কে মধুচুদন লিখেছিল।সে হয়তো আশা করেছিল তার এই লেখা পড়ে নটরডেমের কোন
বাংলা শিক্ষক রসে রসায়িত হয়ে তাকে অনেক মার্ক দিয়ে দেবে আমি কিন্তু দেই নাই।নিশ্চিত ভাবে ধরে নেয়া যায় সেই মেয়ে
ভিকিই ছিল।
স্যার কি বলতেছেন সেটা ব্যাপার না।কিভাবে বলতাছেন সেটা আসল ব্যাপার।উনার বলার স্টাইল,অংগভংগী,মুখের
এক্সপ্রেসন অসাধারন ছিল।স্যারের শারিরীক সমস্যার কারনে মুখে কথা বলতে অনেক কষ্ট হত।মুখের কাছে হাত নিয়ে টেনে
টেনে কথা বলার কারনে কথা গুলো অন্য রকম ব্যঞ্জনা পেত।
ইরোটিক কথা বলার ক্ষেত্রে স্যারের সমতুল্য কেউ আসলে নেই।স্যার ইরোটিক কথা বললেও সেখানে অশ্লীলতার চেয়ে ফানই থাকত বেশি।
আর ভাল লাগছেনা।স্যারের কাহিনী নিয়া কত পোষ্ট দেয়া যায়!সময় পাইলে আরেক দিন দিবনে।আজকের মত বিদায়।
সবাই ভাল থাকুন,ভাল রাখুন।হ্যাপী ব্লগিং।
রুপ লাগি আখি জুড়ে গুনে মনভোর
প্রতি অংগে লাগি কান্দে প্রতি অংগে মোর
হিয়ার পরশ লাগি হিয়া মোর কান্দে
পরান পীরিতি লাগি থির নাহি বান্ধে।
স্যারের মুখে এই কবিতা প্রথম শুনেছিলাম।স্যার অবশ্য সাথে আরো অনেক কিছু বলেছিলেন,সেগূলি না বলি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



