এই লেখাটা আমার সকল বোনদের জন্যে।
যার শক্তি আছে সে শক্তি দিয়ে ফিরায়।যার শক্তি নেই সে মায়া দিয়ে ভুলায়।শক্তির জাল ছিড়ে ফেলা যায় মায়ার জাল নয়।
বনে নেকড়ে হরিনের একসাথে বাস।চঞ্চল হরিনীর সুস্বাধু মাংস নেকড়েকে আকর্ষন করে।তাই সে তক্কে তক্কে থাকে কখন একে বাগে পাওয়া যায়।
হরিনী যদি অসতর্ক হয় তবে তাকে নেকড়ের শিকাড়ে পরিনত হতে হবে।তাই তাকে হতে হয় সদা সতর্ক।অসতর্কতার পরিনাম হয় ভয়াবহ।
সাম্প্রতিক সময়ে সারাপৃথিবীতে চারপেয়ে নেকড়ের সংখ্যা কমে গেছে।প্রকৃতি শুন্যস্থান পছন্দ করেনা।তাই সেই শুন্য স্থান ভরে গিয়েছে দুপেয়ে নেকড়ে দিয়ে
এই দুপেয়েরা আমাদের মতই দেখতে।তারা হয়তো আমাদের মতই স্যুট টাই পড়া ভদ্রলোক।তাদের হয়তো প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা আছে।নেই বড় বড দাত।কিন্তু তবুও তারা নেকড়ে।
বনের নেকড়ে শিকার করে ক্ষুধা মেটানোর জন্যে।তাদের বেচে থাকতে এটা করতে হয়।আর দুপেয়ে নেকড়েরা শিকার করে প্রবৃত্তি চরিতার্থ করতে।তাদের শিকার হয় আমাদের মা,বোন,বান্ধবীরা।
তাদের হাতে নিরাপদ নয় ৫ বছরের লিমা।
নয় বছরে টুনি কিংবা চল্লিশ বছরের রহিমা বেগম।
তারা নানা রুপে থাকে।
কখনো তারা অফিসের বস
কখনো তারা গৃহকর্তা
কখনো তারা শিক্ষক
কখনো তারা জনগনের সেবক পুলিশ
কখনো তারা পাড়ার মোড়ের বখাটে।
তারা যেমন ঢাকা শহরের ভিকারুন্নেসা স্কুলের শিক্ষক
তেমনি হতে পারে পটুয়াখালির কোন এক গ্রামের আখখেতের শ্রমিক।
তারা যেই হোক না কেন তারা সবাই নেকড়ে।তাদের সবার শিকার এক।শিকার করার ধারা এক।এক বিশেষ অংগ কেন্দ্র করেই তাদের সকল শক্তি নিয়োজিত।
টিউমার বাড়লে ক্যান্সার হয়।আমরা ক্যান্সারে মরতে চাই না।আমরা তাই শরীরে টিউমার রাখবোনা।রাখা উচিত হবেনা।আমরা সবাই এগিয়ে আসবো।এদের কে চরম শিক্ষা দিয়ে সমাজ থেকে উৎখাত করব।
যাতে আমাদের ছোট্র বোন টি এদের হাত থেকে রক্ষা পায়।
আমার ক্লাসের চঞ্চল মেধাবী মেয়েটি এদের হাত থেকে রক্ষা পায়।
পাশের বাসার ভাবী এদের হাত থেকে রক্ষা পায়।
এরা শক্তিশালী হয়।আমাদের দেশের আইন এদের কিছুই করবেনা।করেনা।মিডিয়া গুলো রসিয়ে ধর্ষনের বর্ননা দিতেই বেশি ভালবাসে।বিচারের চেয়ে ঘটনাতেই তাদের আগ্রহ।
তাই আমি মনে করি আমরাই করবো।
এদের আমরা সামাজিক ভাবে বয়কট করব।
এদের সাথে কথা বলবোনা।
এদের সাথে কেনাবেচা করবোনা।
এদের সাথে উঠাবসা করবোনা।
এতা হচ্ছে অহিংস সত্যাগ্রহ পদ্বতি।
অহিংস পদ্বতি না ভাল লাগলে সহিংস।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি বাগানে আগাছা দের রাখতে নেই।তাদের উপড়ে ফেলতে হয়।
তাই উপড়ে ফেলুন এই নষ্টদের।সবকিছু তাদের দখলে যাবার আগে তাদেরকেই দখল করে নিন।
দেশের রাষ্ট্রযন্ত্র যখন ব্যর্থ অপরাধীদের তখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা আইন হাতে তুলে নিলে নিশচয় আল্লাহ ক্ষমা করবেন।
ইন্না মাল আমালু বিন্নিয়াত-সকল কাজের ফলাফল নিয়্যতএর উপর নির্ভরশীল।
আমাদের উদ্দেশ্য ভাল।
এক ডাকাত সারাজীবনের অনেক খুন করে শেষে অনুতপ্ত হয়ে এক দরবেশের কাছে গেল।দরবেশ তাকে একটা মরা গাছের নিচে ধ্যানে বসিয়ে বলল যেদিন এই গাছে ফুল ফুটবে সেদিন তুমি পাপমুক্ত।
একটানা বিশ বছর ধ্যান করে চলে যায়।
গাছে ফুল ফোটেনা।
একদিন।
গাছের অদুরেই এক লম্পট নেকড়ে তার শিকারে ব্যস্ত ছিল।ডাকাত একটা গাছের ডাল নিয়ে উঠে এল।মনে মনে আল্লার কাছে প্রার্থনা করল হে আল্লা সারাজীবনে অনেক খুন করেছি।আর একটা মাত্র।
লাঠির আঘাতে নেকড়ের শিকারের স্বাধ মিটিয়ে সে যখন গাছের নিচে ফিরে আসে তখন সেই মরা গাছ ফুলে ফুলে ভরে গেছে।
তাই চুপে চুপে সময় সুযোগ মত ধবংস করে দিন এই কালপ্রিটদের।এজন্যে ফেসবুকে গ্রুপ খোলার দরকার নেই।প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করার দরকার নেই।এতে কিছু হবেনা।
তাই রাং দে বাসন্তী।
সুপ্রিয় বোনেরা আমার।
মোল্লারা কি বলবে জানিনা তবে আমি জানি ধর্ষনের জন্য ধর্ষিতা ইসলামে কোন অপরাধী নয়।সুতরাং তোমার নিজেকে ছোটভাবার কোন কারন নেই।প্রথমবারেই বাবা মাকে জানিয়ে দাও।দেখ তারা কি করে।
কিংবা
যে তোমাকে ধর্ষনের ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইল করছে তাকে সাধ মিটিয়ে দাও।
কিভাবে?
এরপরে যখন তার কামনা পুরনে যাবে সাথে একটা ব্লেড ক্ষুর বা ছুরি নিয়ে যেও।না খুন নয়।খুন করলে তো এখানেই শেষ।
তার এক টানে তার পুরুষত্বের অহংকার শেষ করে দাও।
তুমি যা হারিয়েছ আরেকজন যেন তা না হারায়।
আত্নহত্যা করার সিদ্বান্ত নিয়েছ।মরার আগে যার কারনে মরছ তাকে কেন রেখে যাবে?তাকেও সাথে নিয়ে যাও।
তোমার এই সব পদক্ষেপ নেকড়েদের কে নতুন করে ভাবাবে।
রাষ্ট্র যখন তোমাকে নিরাপত্তা দেয়না তখন তোমার চিন্তা তোমাকেই করতে হবে।
ভিকারুন্নেসা নুনের প্রিন্সইপাল হোসনে আরা বেগম,ঐ মেয়েটার ক্ষেত্রে যা ঘটেছে আপনার মেয়ের ক্ষেত্রে তা ঘটলে কি আপনি তাই করতেন?রাজনীতি করা ভাল কিন্তু তা যখন নৈতিকতার উর্ধে উঠে যায় তা পরিত্যাজ্য।
View this link
View this link
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




