বিপদে পড়লে সবাই ভেদাভেদ ভুলে যায়। সাপ বেজি, ব্যাঙ এক ঘরে আশ্রয় নেয়। পিপড়া কুণ্ডলী পাকিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। ব্যতিক্রম নয় মানুষও। দীর্ঘ শত্রুতা ভুলে তারা এক থালার খাবার খায়। রাজনীতিকরাও এর বাইরে নন। ওয়ান ইলিভেনের পর তারা যখন ভয়াবহ বিপদে তখন মিলেমিশে ছিলেন কারাগারে। কারাগারের একই সেলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত নেতারা ছিলেন একত্রে। আর আজকের চলমান রাজনৈতিক অবস্থায় সেই মিল অনুপস্থিত। বরং দিন দিন বিভেদ বাড়ছে।
এর মধ্যেই সোমবার কালের কণ্ঠর অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে একটি ছবি। যে ছবিতে দেখা যায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্নফুলী সেলের সামনে দাঁড়িয়ে সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স মেজর (অব.) শামসুল হায়দার ছিদ্দিকীর সঙ্গে ছবি তুলেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। ওই ছবিতে দেখা যায় শামসুল হায়দার ছিদ্দিকীকে মাঝখানে রেখে এক সঙ্গে ছবি তুলেছেন আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম, সালমান এফ রহমান, মহীউদ্দিন খান আলমগীর, আনহ মোস্তফা কামাল, বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, মীর নাসির, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, জামায়াত নেতা আবদুল্লা মো. তাহেরসহ আরও অনেকে।
এই ছবি গতকাল কালের কণ্ঠ অন লাইনে প্রকাশের পর হাজার হাজার পাঠক ছবি ও খবর শেয়ার দেন, নানা মন্তব্য করেন। ছবিটি ফেইসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে। তিন দলের নেতাদের এক সঙ্গে দেখতে পেয়ে খুশি হয়েছেন অনেক মানুষ। কীভাবে এই ছবিটি তোলা হয়েছিল তা জানতে চাইলে আজ সন্ধ্যায় সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স শামসুল হায়দার ছিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অনেক দিন আগের কথা। ছবিটি কে তুলেছিল মনে করতে পারছি না।' ছবি তোলার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শুধু তাদের সঙ্গেই নয়, আরো অনেক বন্দির সঙ্গেই ছবি তোলা হয়েছে। বন্দিদের আগ্রহেই ছবিগুলো তোলা হয় স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য।' আলোচিত ছবিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে কর্ণফুলী সেলটি। এটি এক তলা একটি ভবন। মাটি থেকে ৬-৭ ফুট উঁচু। বেশ কয়েকটি সিঁড়ি ভেঙে সেখানে যেতে হয়। সেলটিতে একটিই ফ্লোর। কর্ণফুলী নামের এই সেলটি আনুমানিক ৫০ ফুট দীর্ঘ ও ২৫ ফুট প্রস্থ। এক কারা কর্মকর্তা জানান, এই সেলটিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বন্দি ছিলেন। যে কারণে এক সময় সেটির নাম রাখা হয়েছিল এরশাদ নগর। পরে সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স শামসুল হায়দার ছিদ্দিকী কারাগারে যোগদানের পর সেটির নামকরণ করা হয় কর্ণফুলী।
এক প্রশ্নের জবাবে শামসুল হায়দার ছিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খুব একটা মনে নেই। এরপরও যেটুকু মনে আছে এই সেলে যাদের ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাদের সঙ্গে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসও ছিলেন। ছবিটি সম্ভবত এক ঈদের আগে আগে তোলা হয়েছিল। সেখানে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াত নেতারা এক সঙ্গেই ছিলেন। প্রতিদিন অন্তত একবার হলেও তাদের সেলে যাওয়া হতো। তাদের খোঁজ খবর নেওয়া হতো। তখনই একদিন কেউ একজন ছবি তোলার কথা বলেন। তখন সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে ছবিটি তোলা হয়।' আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা হলেও তাদের মাঝে আমি আন্তরিকতা দেখতে পেয়েছি। কারাগারে কারো সঙ্গে কারো মনোমালিন্য হয়েছে, এমন কথা আমরা কখনো শুননি।
আলোচিত ব্লগ
আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।
কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।
ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।
কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।