আমার ভিষণ মরে যেতে ইচ্ছে করে। কোন কাব্য নয় এটি, মিথ্যেচারও নয়। আবার এমনও নয় আমি করুণা কুড়াতে এসেছি, হাত পেতেছি অথবা কান- কেউ বলুক "না, কি এমন দুঃখ তোমার? আমরা পাশে আছি।" পৃথিবীর চলতি পথে হেটে হেটে আমি শিখেছি নিজের ছায়ার চেয়ে আপন কেউ নেই, কিছু নয়। একমাত্র ধুসর প্রানহীন ছায়া অবয়ব হয়ে পাশে থাকে; সুখে-দুঃখে, মায়া বা মমতায়, অপরাধে। আলোয় দৃশ্যমান আর অন্ধকারে লুকিয়ে অনুসরণ করে অক্লান্ত।
আমার ভিষণ মরে যেতে ইচ্ছে করে, দুম করে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। অথবা লোকালয় ছেড়ে দূরে কোথাও, কোন এক ঝর্নার জলে শীতল স্নান বা পাথুরে পাহাড়ের মগডাল থকে ঝুপ করে টুপটাপ ঝরে পরতে।
আমার মৃত্যু বিলাস আমাকে অকারণে মেরে ফেলবে অসময়ে। ভয় হয়, ভিষণ ভয়। আমার বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে। দিনগুলোকে পিছিয়ে নিয়ে আবার কোন এক পড়ে আসা, পরে থাকা অধ্যায় থেকে শুরু করতে ইচ্ছে করে।
এমনটি হবার কোন কারণ নেই। এমনটি হওয়া উচিত নয়। সামনে দীর্ঘ পথ আছে, স্বপ্ন দেখার এমনকি সেই স্বপ্ন সত্য হয়ে বাস্তবতায় পাখা মেলারও সুযোগ আছে। জীবনে জাবেদায় অপূর্ণতাই নেই শুধু, দীর্ঘ প্রাপ্তির তালিকাও আছে।
কত আর ব্যস্ত রাখা যায় নিজেকে, কত আড়াল করা যায়? সবাই না বুঝুক, না বুঝুক পাশে থাকা জলের গ্লাস, ক্লোনাজিপামের পাতা। আমার ছায়া জানে একদিন দেহের মাঝে আপন শরীরে ঘুমিয়ে যেতে হয়। কেউ যায় স্বাভাবিক বার্ধক্যজনিত জটিলতায়, কেউ অপঘাতে, কেউ নিহত হয় হন্তারকের হাতে, কেউ নিজেই ফুরিয়ে যায়; বেলায়- অবেলায়।
এই লেখাটি মোটেও কবিতা বা কাব্য নয়। এর প্রতিটি লাইন সত্য এবং নিজের ভেতর থেকে লেখা। এখানে হিপোক্রেসি থাকতে পারে। মিথ্যে নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



