আমাদের সময়
এপ্রিল ১০, ২০১১, রবিবার : চৈত্র ২৭, ১৪১৭ । আপডেট বাংলাদেশ সময় রাত ১২:০০
সাইফুল ইসলাম তালুকদার: হাইকোর্ট বিভাগের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারের গঠিত তদন্ত কমিশনের সদস্য মনোয়ার হোসেন আকন্দ গতকাল বাসসকে একথা জানিয়েছেন। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি)’র দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে ৬ মে হাইকোর্ট ২০০১ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের জন্য এ ‘তদন্ত কমিশন’ গঠনের জন্য সরকারকে নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের নির্দেশে ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর সরকার ৩ সদস্যের এ তদন্ত কমিশন গঠন করে। কমিশন সদস্য আকন্দ বলেন, অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের সময় সংঘটিত সুনির্দিষ্ট ৪ হাজারের মতো অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত কমিশন। এসবের সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি। অভিযোগসমূহের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তদন্ত প্রতিবেদনটি বই আকারে প্রস্তুতের কার্যক্রম চলছে। ২৬ এপ্রিলের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন পেশ করা হবে।
মনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, কমিশন বিভিন্ন জেলায় সরেজমিনে তদন্ত করে মারাত্মক আহত ও নিহতদের স্বজনসহ নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার অনেক ব্যক্তির সাক্ষ্য নিয়েছে। কমিশন প্রধান সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ শাহবুদ্দিনের নেতৃত্বে প্রায় একবছরের অধিক সময়ে সরেজমিন তদন্তে এবং কমিশন কার্যালয়ে সরাসরি প্রাপ্ত অভিযোগ যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেছে কমিশন। তিনি বলেন, এ ছাড়াও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট, প্রতিবেদন ও প্রকাশিত গ্রন্থ, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির দাখিল করা সংখ্যালঘু নির্যাতন শীর্ষক প্রতিবেদন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের ‘নির্যাতনের দলিল-২০০১’ এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সম্পাদিত গ্রন্থ ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদন কমিশনের একটি সম্পূর্ণ তদন্ত রিপোর্ট প্রণয়নে সহায়ক হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:১১