somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প সিরিজঃ এজেন্টস অব ডি-ওরা কারা?

১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[এই গল্পের সকল চরিত্র এবং তথ্যাদি কাল্পনিক। বাস্তবে কারও সাথে মিলে গেলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।]

খুব একটা না হলেও অন্ততঃ শয়েক স্পাই ও কয়েক শত অ্যাকটিভ ফিল্ড অফিসার ডিজিএফআইতে আছে যারা জাতীয় নিরাপত্তার খাতিরে সবসময় তৎপর থাকে। তন্মধ্যে সামরিক যেমন বেসামরিক লোকও তেমন বিদ্যমান এই প্রতিষ্ঠানে। কারো খুব বেশি জানা না থাকলেও আমি হলফ করে বলতে পারি আপনারা যারা এর আগে এজেন্ট রিশাদ, জাহেদ, আরমিন, আসিফ, সাদিয়া এবং রণিন সম্পর্কে জেনেছেন বা জানেন না তাঁদের জন্য একটু বিস্তারিত বলে দেই-
পৃথিবীতে এই যুগে অলৌকিকতা বলতে অনেকেই মরিয়া হয়ে খুঁজে বেড়ায়। রূপকথার গল্পের মতো শোনালেও আমরা দুনিয়া জুড়ে রহস্য উদঘাটনে নেমে পড়ি।

কিন্তু মাঝে মধ্যে সেইসব রহস্যের সমাধান অজানাই থেকে যায়। আমাদের হয়ে ওঠে না সেসব রহস্যের অন্তরালে কি আছে তা জানার। তবে ডিজিএফআইয়ে যারা কাজ করে ওরা রক্ত মাংসের মানুষ হলেও অলৌকিকতা এবং অনেক দক্ষতার বলে একটু আলাদাভাবে রাষ্ট্রীয় সম্মান পায়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে নবীন রাষ্ট্র হিসেবে এর প্রতি ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলির দৃষ্টি পড়ে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয় সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিয়ে একটা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি খোলার যা দেশে অবস্থানরত বিদেশী অনুচর, গুপ্তচরদের ঠেকাবে। এই সামরিক গোয়েন্দা সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর বেরিয়ে পড়লো এমন কিছু অজানা তথ্য যার কারণে বর্হিবিশ্বে হইচই পড়ে যেতে পারে। তাই এই বিপুল সংখ্যক তথ্য সংরক্ষণ করে অত্যন্ত নিরাপদ একটি গোপন জায়গায় রেখে দেয়া হয় যা পরবর্তীতে মিশনগুলিতে সহায়ক হতে পারে।

এই সংগঠনটির অধিকাংশ তথ্যই কড়া গোপনীয়তার সাথে সংরক্ষণ করা হয়। আর বাকীগুলো জনস্বার্থের খাতিরে প্রজ্ঞা জারির মতো জানিয়ে দেয়া হয়। সংগঠনের ভেতরের কিছু সদস্য অলৌকিক শক্তির অধিকারী যেমন হয়ে থাকেন ঠিক তেমনি কিছু সদস্যকে প্রশিক্ষণ ও নতুন কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ করে তোলা হয়।

এই যেমন এজেন্ট রণিন। হাইস্কুলে পড়া এক কিশোর। যার ভেতর দেশপ্রেম ও সততার বালাই নেই। একটি ঘটনার পর আশ্চর্য এক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠে সে। আকাশে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে উড়তে সক্ষম তার উড়ন্ত জুতোজোড়ার কল্যাণে।

এজেন্ট আসিফ যার নাকে ছত্রিশ বর্গমাইলের ভেতরের প্রত্যেকটি প্রাণীর গায়ের আলাদা গন্ধ পাওয়ার ক্ষমতা আছে। কানের আছে প্রচন্ড শ্রবণ শক্তি যার মাধ্যমে হিমালয়ের ছোট্ট বরফের টুকরা খসার আওয়াজ শুনতে পায়।

এজেন্ট সাদিয়ার আছে ঘটনাস্থলের অতীত ও ভবিষ্যৎ বুঝতে পারার অসাধারণ ক্ষমতা।

এজেন্ট আরমিন যাকে বলা হয় কালো কেউটে যার আছে অতিদ্রুত কেউটে সাপের মতো ছোবল মেরে শত্রুশিবিরে হানা দেওয়ার ক্ষমতা।

এজেন্ট জাহেদকে বলা হয় চিতা যার ক্ষিপ্রতা চিতার সমতূল্য। যে কোনো পরিস্থিতিতে দ্রুতগতিতে ছুটতে পারার কারণে একে ক্ষিপ্রমানবও বলা হয়।

এজেন্ট রিশাদ, যাকে ডিজিএফআইয়ের সর্বকালের ইতিহাসে সেরা এজেন্ট বলা হয়। আনআর্মড কমব্যাটে কি গান হ্যান্ডেলিংয়ে তাঁর অসামান্য অবদানের কারণে তাঁকে ক্যাননফায়ারও বলা হয়।

তবে এসব কিছু ছাপিয়ে যার কথা সবসময় জাতি স্মরণ করে এসেছে, তিনি হলেন এজেন্ট শরিফ ওরফে ব্যাঘ্রমানব। অসম্ভব চালাক, ব্যাটলফিল্ডে চৌকস এবং ধুরন্ধর একজন গুপ্তচর তিনি যার হাতেই শ খানেক ষড়যন্ত্র নির্মূল সম্ভব হয়। তাই তাকে টিমের কমান্ডার মানা হয়। তিনি কিভাবে ব্যাঘ্রমানব উপাধি পেলেন সে কথা না হয় পরে বলবো।

এই ছিলো এজেন্টদের পরিচিতি। যোগদানের পরমুহুর্ত থেকে যতোদিন কর্মক্ষেত্রে ছিলেন তারা, শত্রুদের জন্য ছিলেন সাক্ষাৎ যম।

এই গল্পের সকল চরিত্র এবং তথ্যাদি কাল্পনিক। বাস্তবে কারও সাথে মিলে গেলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।]

খুব একটা না হলেও অন্ততঃ শয়েক স্পাই ও কয়েক শত অ্যাকটিভ ফিল্ড অফিসার ডিজিএফআইতে আছে যারা জাতীয় নিরাপত্তার খাতিরে সবসময় তৎপর থাকে। তন্মধ্যে সামরিক যেমন বেসামরিক লোকও তেমন বিদ্যমান এই প্রতিষ্ঠানে। কারো খুব বেশি জানা না থাকলেও আমি হলফ করে বলতে পারি আপনারা যারা এর আগে এজেন্ট রিশাদ, জাহেদ, আরমিন, আসিফ, সাদিয়া এবং রণিন সম্পর্কে জেনেছেন বা জানেন না তাঁদের জন্য একটু বিস্তারিত বলে দেই-
পৃথিবীতে এই যুগে অলৌকিকতা বলতে অনেকেই মরিয়া হয়ে খুঁজে বেড়ায়। রূপকথার গল্পের মতো শোনালেও আমরা দুনিয়া জুড়ে রহস্য উদঘাটনে নেমে পড়ি।

কিন্তু মাঝে মধ্যে সেইসব রহস্যের সমাধান অজানাই থেকে যায়। আমাদের হয়ে ওঠে না সেসব রহস্যের অন্তরালে কি আছে তা জানার। তবে ডিজিএফআইয়ে যারা কাজ করে ওরা রক্ত মাংসের মানুষ হলেও অলৌকিকতা এবং অনেক দক্ষতার বলে একটু আলাদাভাবে রাষ্ট্রীয় সম্মান পায়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে নবীন রাষ্ট্র হিসেবে এর প্রতি ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলির দৃষ্টি পড়ে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয় সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিয়ে একটা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি খোলার যা দেশে অবস্থানরত বিদেশী অনুচর, গুপ্তচরদের ঠেকাবে। এই সামরিক গোয়েন্দা সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর বেরিয়ে পড়লো এমন কিছু অজানা তথ্য যার কারণে বর্হিবিশ্বে হইচই পড়ে যেতে পারে। তাই এই বিপুল সংখ্যক তথ্য সংরক্ষণ করে অত্যন্ত নিরাপদ একটি গোপন জায়গায় রেখে দেয়া হয় যা পরবর্তীতে মিশনগুলিতে সহায়ক হতে পারে।

এই সংগঠনটির অধিকাংশ তথ্যই কড়া গোপনীয়তার সাথে সংরক্ষণ করা হয়। আর বাকীগুলো জনস্বার্থের খাতিরে প্রজ্ঞা জারির মতো জানিয়ে দেয়া হয়। সংগঠনের ভেতরের কিছু সদস্য অলৌকিক শক্তির অধিকারী যেমন হয়ে থাকেন ঠিক তেমনি কিছু সদস্যকে প্রশিক্ষণ ও নতুন কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ করে তোলা হয়।

এই যেমন এজেন্ট রণিন। হাইস্কুলে পড়া এক কিশোর। যার ভেতর দেশপ্রেম ও সততার বালাই নেই। একটি ঘটনার পর আশ্চর্য এক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠে সে। আকাশে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে উড়তে সক্ষম তার উড়ন্ত জুতোজোড়ার কল্যাণে।

এজেন্ট আসিফ যার নাকে ছত্রিশ বর্গমাইলের ভেতরের প্রত্যেকটি প্রাণীর গায়ের আলাদা গন্ধ পাওয়ার ক্ষমতা আছে। কানের আছে প্রচন্ড শ্রবণ শক্তি যার মাধ্যমে হিমালয়ের ছোট্ট বরফের টুকরা খসার আওয়াজ শুনতে পায়।

এজেন্ট সাদিয়ার আছে ঘটনাস্থলের অতীত ও ভবিষ্যৎ বুঝতে পারার অসাধারণ ক্ষমতা।

এজেন্ট আরমিন যাকে বলা হয় কালো কেউটে যার আছে অতিদ্রুত কেউটে সাপের মতো ছোবল মেরে শত্রুশিবিরে হানা দেওয়ার ক্ষমতা।

এজেন্ট জাহেদকে বলা হয় চিতা যার ক্ষিপ্রতা চিতার সমতূল্য। যে কোনো পরিস্থিতিতে দ্রুতগতিতে ছুটতে পারার কারণে একে ক্ষিপ্রমানবও বলা হয়।

এজেন্ট রিশাদ, যাকে ডিজিএফআইয়ের সর্বকালের ইতিহাসে সেরা এজেন্ট বলা হয়। আনআর্মড কমব্যাটে কি গান হ্যান্ডেলিংয়ে তাঁর অসামান্য অবদানের কারণে তাঁকে ক্যাননফায়ারও বলা হয়।

তবে এসব কিছু ছাপিয়ে যার কথা সবসময় জাতি স্মরণ করে এসেছে, তিনি হলেন এজেন্ট শরিফ ওরফে ব্যাঘ্রমানব। অসম্ভব চালাক, ব্যাটলফিল্ডে চৌকস এবং ধুরন্ধর একজন গুপ্তচর তিনি যার হাতেই শ খানেক ষড়যন্ত্র নির্মূল সম্ভব হয়। তাই তাকে টিমের কমান্ডার মানা হয়। তিনি কিভাবে ব্যাঘ্রমানব উপাধি পেলেন সে কথা না হয় পরে বলবো।

এই ছিলো এজেন্টদের পরিচিতি। যোগদানের পরমুহুর্ত থেকে যতোদিন কর্মক্ষেত্রে ছিলেন তারা, শত্রুদের জন্য ছিলেন সাক্ষাৎ যম।

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:২৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×