মানুষ জন্ম নেয়। কিছুদিন কিছুদিন, কিছুমাস, কিছুবছর কাটায় তারপর মৃত্যুবরণ করে। আর এর মাঝে সে অনেক কাজ করে থাকে যা তার সাফল্য-ব্যথর্তা। এই জন্মগ্রহণের পূর্বে মাতৃগর্ভে তার কাছে জীবনটা মিথ্যা কেননা তখনও সে জানেনা সে জন্ম নিচ্ছে কি না, আবার জন্মগ্রহণের পর তার জীবনটা সত্য। কিছু বছর পর মৃত্যুই তাকে শেখায় তার জন্ম মিথ্যা। তাহলে কি দাঁড়ালো? তার জীবনটা সত্যওনা আবার মিথ্যাওনা তার জীবন একেবারে বিশাল না এর উপর প্রতিষ্ঠিত। এমন অর্থহীন জীবনে কে সত্য মিথ্যা হিসাব করে চলে??? তারপরও কথা থেকে যায় , সে যদি জীবনটা সত্য হিসেবে নেয় (ধরে নিলাম) তাহলে জীবনের অর্থ আছে অর্থাৎ । তার মানে তার কাছে জীবনে সময় পার করাটাই মূখ্য এবং সত্য মিথ্যা গণ্য করা অযৌক্তিক।
এবারসত্য মিথ্যার গালগল্প সাময়িক বাদ দিয়ে আসি ন্যায় অন্যায় প্রসঙ্গে। কেননা যেখানে সত্যমিথ্যা উপস্থিত সেখানে ন্যয় অন্যায় প্রতিষ্ঠিত। আবার ন্যায় অন্যায়ও মাপকাঠির দ্বারা পরিমাপ যোগ্য। আমি যে কাজটি অন্যায় মনে করি তা অন্যের কাছে ন্যায় সঙ্গত। যেমন কোন চোর আমার একটি বই চুরি করল। সেটা আমার কাছে অন্যায় কিন্তু চোরটি মনে করে সে অভাবে পড়েছে কাজেই এটি সম্পূর্ণ ন্যায় বা জায়েয।
তাহলে কি সত্য মিথ্যাও কি পরিমাপযোগ্য?!!!! ভাই তাহা নহে, সে বই চুরি করেছে তাই সত্য আর সে অস্বীকার করলে তা মিথ্যা। আবার চোরটি যদি তার বিবেক বোধে বই চুরিকে অন্যায় ভাবত তাহলে এটিকে সে অন্যায় বা অপরাধ মনে করত সেই বোধ থেকে সে সত্য বলত।
আবার সে যদি তার বিবেককে সেইভাবে গঠন করে অর্থাৎ যাহা অন্যায় তাহা ন্যয় আর যাহা ন্যায় তাহা অন্যায় তাহলে বই চুরি একশ ভাগ জায়েয। তখন বই চুরির কথা অস্বীকার করে তাৎক্ষণিক ভাবে বেঁচে যেত। এরকম হলে কেমন হয় বলেনতো।
এবার আসি পূর্বের আলোচনায় জীবনকে সত্য মানা না মানা নিয়ে। ধরলাম জীবনটা সত্য অর্থাৎ জন্মও সত্য একই সাথে মৃত্যুও সত্য আবার এই তিন সত্যে তার কাছে পরকালও সত্য। অর্থাৎ সে আস্তিক বা ঈশ্বরে বিশ্বাসী??? আপাত দৃষ্টিতে তাই মনে হয়।সে স্রষ্টার কিছু বিধি নিষেধ মেনে নির্ধারিত ন্যায় অন্যায় জানতে পারে যার সাথে বিবেক অনেক শক্তিশালী অবস্থান নেয়। তার কাছে ন্যায় অন্যায় অপরিবর্তণীয় মানদন্ডে নির্ধরিত। কাজেই সে সেই সকল নির্ধারিত সত্য অসত্য তথা ন্যায় অন্যায় বিচারে চলবে। সুতরাং, সে সত্য (যা কোন ক্রমেই ভেজাল মিশ্রিত নয়) পথে চলবে।
আবার জীবনকে সত্য বললেই ল্যাঠা চুকে যায় তা নয় । যদি কোন অন্যায় করে তবে তার শাণিত বিবেক তাকে করাঘাত করে। ফলে বারবার সে সত্যের দিকে আসতে বাধ্য হয়। এমতাবস্থায় সে অন্যায়কে নিজের ভূল হিসেবে স্বীকার করতে বাধ্য হয়।
এবার আসি জীবনটা যার কাছে শুধু দিন পার করার। এমন ব্যক্তির কাছে ন্যায় অন্যায় এর মানদন্ড তার বিবেক, যা পূর্বের চোরের উদাহরণে ভিত্তিহীন বা পরিবেশ দুষ্টে দুষিত। যদি কোন একসময় একটি কাজ অন্যায় মনে হয় পরে তা করা তার কাছে অবশ্য কর্তব্য হয়ে ওঠে শুধু এই কলুষিত বিবেকের ধোকায়। সত্যকে মিথ্যা মিথ্যাকে সত্য বানালেও অন্যায়বোধ হয়না। অর্থাৎ তোমারে থাবরাইয়া আমি উপরে উঠবার চাই তুমি থাকো নিচে নর্দমার কীট ।
এহেন অবস্থায় কোথায় সত্য প্রকাশ বা মিথ্যা কৃতকাজের সম্মতি???
কোথাও নেই????
আছে শূধু লোক দেখানো সততা ও সত্যবাদীতার অভিনয়( ভেতরে আছে অন্ত:সার)
তাহলে কি উপায়??? উপায় হল জীবনকে সত্য ভাবুন চলার পথকে সুন্দর ও সহজ করুন তাকে সত্য করে তুলুন। আর এই পথেই পেতে পারেন গন্তব্যস্থলের ঠিকনা। সবাই ভালো থাকবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



