somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইনফিনিটি লজিক

২৮ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধর্ম কি? একটা নির্দিষ্ট জীবন ব্যাবস্থা ছাড়া আর কিছু কি আছে এতে? আমার হিসাবে এই দুনিয়ার জীবন ছাড়া ধর্মের কোন অস্তিত্ত নাই। অর্থাৎ জন্মের আগেও ছিলনা, মৃত্যুর পরো থাকবে না।

সব মানুষের মত আমারো একটা নাস্তিক সত্তা আছে, কিন্তু আল্লাহের প্রতি আমার বিশ্বাসটা এতটাই দৃঢ় যে, আমার যৌক্তিক বুদ্ধিমান নাস্তিক সত্তা সব সময়ই একটা পরাজীত শক্তি হিসাবেই থেকে যায়। জানিনা, সঠিক সময় কুরয়ানের পাল্লায় না পড়লে হয়ত বুদ্ধিকে অন্তর দ্বারা পরাজীত করতে পারতেম না!!! সব সময়ই মনে হয়, আমি যত না কুরয়ানের কাছে যাই, তার চেয়ে অনেক গুন বেশী কুরয়ান আমাকে টানে। কেন টানে জানি না!!(হয়ত ভাগ্য!!)

যদিও আমার নাস্তিক সত্তা আমাকে বলে যে আমি দূর্বল বোকা তাই কুরয়ানেই পতিত হই। কিন্তু আমার অন্তরকে আমার বুদ্ধির তৈরি ভ্রান্তির সমাধান গুলোদেয় কুরয়ান।

কেন একজন মানুষ, ধর্ম পালন করবে?? কি আছে এতে?? আর ধর্ম পালন করলেই বা কি, কোনটা পালন করবে? কোনটা ভালো?? মা-বাবার ধর্মই কেন পালন করতে হবে? অন্য ধর্মে কি দোষ? একজন মানুষের অবশ্যই উচিৎ এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর খুঁজা।

সকল প্রশ্নের উত্তরেই যদি আমরা বলি,

আল্লাহ বলেছেন তাই,

নবী বলেছেন এজন্যই,

তাহলে আসলে হয় না। আল্লাহ কে, কেউ কি আল্লাহের প্রমান দিতে পারবেন? সবচেয়ে ভালো আল্লাহের অস্তিত্তের প্রমান বা আল্লাহের প্রতি বিশ্বাস এর কারনের ব্যাখা নবী রাসূল গন দিতে পারতেন। আবার এই নবী রাসূল গন হলেন এমন সুপার হিউম্যান যারা তাদের যুগের মানুষ দ্বারা সমাদৃতও হয়েছেন আবার প্রত্যাখ্যাতও হয়েছেন। কিন্তু সাধারন মানুষের আর আল্লাহের মাঝে নবী-রাসূল ছাড়া কেউই নাই। ““নবী-রাসূলরা বলছেন আল্লাহ আছেন, তাই আল্লাহ আছেন, আবার আল্লাহ বলেছেন নবী-রাসূলরা তাঁর মননীত তাই নবী-রাসূলরা সত্য”” আমার কাছে এটা একটা ইনফিনিটি লজিক। এই যুক্তির কোন শুরু বা শেষ নাই।

আমার হিসাবে একজন মানুষের নাস্তিকতার শেষ যেখানে তার আস্তিকতার(ইসলামের বিশ্বাসের) শুরু হওয়া উচিৎ সেখানে। আমার এই কথার ভিত্তি হচ্ছে সূরা বাকারাঃ আয়াতঃ ৩ “যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে” আমার কাছে মনে হয় আল্লাহ এই অদেখা বিষয়ের ব্যাপারটা এ জন্যই বলেছেন যে, ইসলাম যতই ভিভিড বা যতই ট্রুথ হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত এক জন সাধারন মানুষের কাছে নবী-রাসূল গন ও আল্লাহতায়ালা এক অদেখা বিষয় বৈ নয়।

কেন আল্লাহকে বিশ্বাস করবেন? নবীগন ছাড়া কেউ কি তারঁ অস্তিত্তের প্রকৃত প্রমান পেয়েছেন? এক দল মানুষ কি আল্লাহকে দেখেছেন?? কেন নবী গন কে বিশ্বাস করবেন?? আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মানুষকি তাদের আল্লাহের প্রতিনিধি হিসাবে স্বিকৃতি দিয়েছেন?? আর দিলেই বা কি সেই মানুষতো আর আল্লাহ সম্পর্কে নবীর চাইতে ভালো জানতেন না!!

অনেক কেন, ইনফ্যাক্ট নাস্তিকদের সকল “কেন” এর উত্তর আছে আল-কুরয়ানে। শুধু তারা যেমন তাদের মুক্ত মনা মনে করেন, সেই রকম প্রকৃত মুক্ত মন নিয়ে, কুরয়ানটা নিয়ে বসতে হবে। কুরয়ান কে জিজ্ঞাস করতে হবে, নিজের অন্তরকে জিজ্ঞাস করতে হবে। কিন্তু আগে থেকেই কোন দিকে বায়াসড হলে চলবে না।

সকল মুসলিম ঘরের সন্তানের উচিৎ তাদের বাবা-মা এর ধর্ম হিসাবে ইসলামকে ত্যাগ করা, অতঃপর নিজের ধর্ম হিসাবে ইসলামকে গ্রহন করা। শুধু শুধু ধর্মের নামে মানুষকে গালি গালাজ করলে কি আর কিছু হয়?? হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কি তাই করেছেন নাকি?? তাই যৌক্তিক হন। কুরয়ান আপনাকে সাহায্য করবে।


৫৪ঃ১৫ ওয়ালাক্বাদ তারাকনা হা য়াইয়াতান ফাহাল মিন্ম মুদ্দাকির
৫৪ঃ১৭ ওয়ালাক্বাদ ইয়াসসারনাল ক্বুরয়ানালি য যিকরি ফাহাল মিন্ম মুদ্দাকির
৫৪ঃ২২ ওয়ালাক্বাদ ইয়াসসারনাল ক্বুরয়ানালি য যিকরি ফাহাল মিন্ম মুদ্দাকির
৫৪ঃ৩২ ওয়ালাক্বাদ ইয়াসসারনাল ক্বুরয়ানালি য যিকরি ফাহাল মিন্ম মুদ্দাকির
৫৪ঃ৪০ ওয়ালাক্বাদ ইয়াসসারনাল ক্বুরয়ানালি য যিকরি ফাহাল মিন্ম মুদ্দাকির
৫৪ঃ৫১ ওয়ালাক্বাদ আহলাকনা আশইয়া য়াকুম ফাহাল মিন্ম মুদ্দাকির

৫৪ঃ১৫ আমি একে এক নিদর্শনরূপে রেখে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
৫৪ঃ১৭ আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
৫৪ঃ২২ আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
৫৪ঃ৩২ আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
৫৪ঃ৪০ আমি কোরআনকে বোঝবার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
৫৪ঃ৫১ আমি তোমাদের সমমনা লোকদেরকে ধ্বংস করেছি, অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

১৫, ১৭, ২২, ৩২, ৪০, ৫১ কোন ইঙ্গিত হতে পারে কিনা জানি না, তবে এক বার শুনে ছিলাম ৪০ এর পড় মানুষের পরিবর্তন নাকি একটু দুরূহ। আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে।

এই পোষ্ট যারা পড়েছেন সকলকেই অনুরোধ করছি সূরা আল-কামার বার বার পড়ার বা শুনার জন্য। আপনার জীবন পরিবর্তনের কারন হয়ে যেতে পারে,সূরা আল-কামার


আমার আবু লাহাব প্রেম
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৪
২৩টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভাবছিলাম ২ লক্ষ ব্লগ হিট উপলক্ষে ব্লগে একটু ফান করব আড্ডা দিব, কিন্তু এক কুৎসিত অপব্লগার সেটা হতে দিলোনা।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৫



এটি ব্লগে আমার ২৬০ তম পোস্ট। এবং আজকে আমার ব্লগের মোট হিট ২০০০০০ পূর্ণ হয়েছে। আমি আনন্দিত।এই ছোট ছোট বিষয় গুলো সেলিব্রেট করা হয়তো ছেলে মানুষী। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্প: সম্পত্তি

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৪



গল্প:
সম্পত্তি

সাইয়িদ রফিকুল হক

আব্দুল জব্বার সাহেব মারা যাচ্ছেন। মানে, তিনি আজ-কাল-পরশু-তরশু’র মধ্যে মারা যাবেন। যেকোনো সময়ে তার মৃত্যু হতে পারে। এজন্য অবশ্য চূড়ান্তভাবে কোনো দিন-তারিখ ঠিক করা নেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শয়তান বন্দি থাকলে শয়তানি করে কে?

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২০



রমজানে নাকি শয়তানকে বেধে রাখা হয়,তাহলে শয়তানি করে কে?

বহুদিন পর পর ব্লগে আসি এটা এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। বেশ কিছু বয়স্ক, মুরুব্বি, সম বয়সি,অল্প বয়সি একটিভ কিছু ব্লগার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কট বাঙালি

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৪



কদিন পরপরই আমাদের দেশে বয়কটের ঢল নামে । অবশ্য তাতে খুব একটা কাজ হয় না । বাঙালির জোশ বেশি দিন থাকে না । কোন কিছু নিয়েই বাঙালি কখনই একমত... ...বাকিটুকু পড়ুন

“রোজা” নিয়ে গবেষণা করে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন জাপানের চিকিৎসা বিজ্ঞানী ‘ইউসোনরি ওসুমি’।

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫০




‘রোজা’ ফারসি শব্দ, আরবিতে ‘সওম’। ভারতের রাজনীতিতে ‘অনশন’। ইংরেজিতে ‘ফাস্ট’। কিন্তু মেডিকেলের পরিভাষায় রোজার কোনও নাম ছিল না ও মেডিকেল বই গুলোতে রোজা’র বিশেষ কিছু গুণাগুণও উল্লেখ ছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×