somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জলপরী অন্ডাইনের অভিশাপ আর কিছুটা এলোমেলো (Ondine’s curse)

২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


অন্ডাইনের অভিশাপ আর কিছুটা এলোমেলো (Ondine’s curse)



মন ভালো না। ডেথ সার্টিফিকেটের ছবি চোখ থেকে সরানো যাচ্ছে না। মৃত্যুর মূল কারন যাই হোক না কেন, প্রতিটা মৃত্যু সনদেই লেখাথাকে “Mr……died on… … at … am/pm due to irreversible cardio-respiratory failure due to…………..XYZ” অর্থাৎ যাই হোক না কেন মৃত্যুটা শেষ পর্যন্ত বাস্তব হয় শ্বাস-যন্ত্রের ক্রিয়া অথবা হৃদ-যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হবার কারনে। আমারা অবশ্য শেষ “নিঃশ্বাস ত্যাগ করা” শব্দ গুচ্ছ কে মৃত্যুর প্রতি শব্দের মত ব্যাবহার করে থাকি, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে কে যে আগে স্যারেন্ডার করে তা বড়ই দূর্বধ্য। ব্যাপারটা বুঝবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু সব বারই সবকিছু শেষ হবার পরে উল্টা দিকে চিন্তা করতে হয়েছে!! কখনো মনে হয়েছে এই মানুষটার হৃদ-যন্ত্রের ক্রিয়া আগে বন্ধ হয়েছে তো আবার কখনো মনে হয়েছে শ্বাস-যন্ত্রের। তবে যেটাই হোক না কেন কখনো আমার কাছে যুগপৎ মনে হয় নাই। আবার কখনো ১০০% নিশ্চিতও হতে পাড়ি নাই যে কোনটা আগে ঘটল?????

ছোট বেলার কথা। নানী বাড়িতে হুলুস্তুল, কোন কারনে আমরা সব কাজিনরা আর খালা মামাদের আনন্দ সমাগম। কারন মনে নাই, তবে মনে আছে আমাদের সকলের বিরক্তির কারন হয়ে, সন্ধ্যার কিছুটা পরে রাস্তার প্যান্ড্যালে শুরু হল ওয়াজ মাহফিল। উফ মাইকের কি বিকট শব্দ!!! এই বিকট শব্দের মধ্যে আমরা পরস্পর কথা না বলতে পেরে, সামনের বিশাল বারান্দায় ক্রিকেট খেলা শুরু করলাম, খেলা শেষে – খাওয়াদাওয়া শেষে, পরিশ্রান্ত শরির নিয়ে যখন শান্ত হয়ে বসলাম, তখন একজন উস্তাদজী বিভিন্ন কাহিনী দিয়ে ইহলোক-পরলোক ইত্যাদি বুঝাচ্ছিলেন।

উস্তাদজীর বলা এক ঘটনাঃ “............... একজন ব্যাক্তি ছিলেন, তিনি অতি উচ্চ পর্যায়ের তাকওয়ার অধিকারী ছিলেন, প্রায় পাঁচশত বছর এক নির্জন দ্বীপে পাহাড়ের উঁচু গুহায় ইবাদতরত ছিলেন। এই সময় আল্লাহ পাক নেয়ামত স্বরুপে মিষ্টি পানির ঝর্না প্রবাহিত করে দেন কারন ঐ ছোট দ্বীপের চারপাশে ছিল লবনাক্ত পানি। আর একটি ডালিম গাছ উতগত করে দেন। লোকটি ডালিম খেতেন, ঝর্ণার পানি পান করতেন তা দিয়ে অযু করতেন আর ইবাদতে মসগুল থাকতেন। তিনি আল্লাহপাকের কাছে প্রার্থনা করেন, যেন সিজদারত অবস্থায় তার জান কবচ করা হয়। তার এই দোয়াও আল্লাহ কবুল করেন। তার জান সিজদারত অবস্থাতেই কবচ হয়।

কেয়ামতের দিন আল্লাহপাক ঐ ব্যাক্তি সম্পর্কে বলবেন,“আমার রহমতে আমার এই বান্দাকে বেহেশতে প্রবিষ্ট কর”

কিন্তু ঐ ব্যাক্তি বলবে,“না! বরং আমাকে স্বীয় আমলের বিনিময়ে বেহেশতে প্রবিষ্ট করুন”

তখন আল্লাহ ফেরেশতাদের নির্দেশ দিবেন,“ আমার প্রদত্ত নিয়ামত সমূহকে এই বান্দার আমলের সাথে তুলনা মূলক পরিমাপ কর ”
তখন ফেরেশতাগন তার আমলের হিসাব করতে থাকবেন আর এই সময় আল্লাহপাকের সামনে দাঁড় করিয়ে ঐ ব্যাক্তিকে কিছু প্রশ্ন করা হবে

---তোমাকে কে সৃষ্টি করেছেন?

---তোমার সৃষ্টি তোমার আমলের বিনিময়ে হয়েছে নাকি আমার রহমতে হয়েছে?

---পাঁচশত বছর ইবাদত করার শক্তি ও তৌফিক তোমাকে কে দান করেছে?

---সমুদ্রের মধ্যে অবস্থিত পর্বতে তোমাকে কে পৌছিয়েছে?

---তোমার রিযিকের ব্যাবস্থা ঐ জনমানব হীন স্থানে কে করেছে?

---তোমার আবেদনে সিজদা অবস্থায় তোমার মৃত্যু কে দিয়েছে?



ঐ ব্যাক্তি সব প্রশ্নের উত্তরেই বলবেন রাহমাতুললিল আলামিন আপনি অথবা রাব্বুল আলামিন আপনার রহমতে!!

আর ইতিমধ্যে তার আমলের বিনিময় হিসাব করে দেখা যাবে যে, তার পাঁচ শত বছরের উচ্চ তাকওয়া সম্পন্ন ইবাদত বন্দেগির বিনিময় তার একটা মাত্র শ্বাস-প্রস্বাসের বিনিময়ে শেষ হয়ে যাবে!! তাকে দোজখে নিয়ে যাবার নির্দেশ দেয়া হবে।

অতঃপর ব্যাক্তি তার ভুল বুঝতে পারবেন ও আবেদন করবেন “হে আল্লাহ! আমাকে আপনার অনুগ্রহ আর মেহেরবানীতে বেহেশতে প্রবিষ্ট করুন” অতঃপর রাহমাতুললিল আলামিন আল্লাহপাক তাকে ক্ষমা করবেন আর বেহেশতে প্রবিষ্ট করার অনুমতি দিবেন। .....................”



উস্তাদজীর বলা ঐ ঘটনা গাল-গপ্প হিসাবে ভালো লেগেছিল ঐ দিন, ঐ ছোট বেলায়। পরে অবশ্য একটা বইতে পড়ে ছিলাম, যে এই ঘটনাটি হযরত জিব্রাইল আঃ আমাদের প্রিয় নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাঃ কে বর্ননা করেছিলেন এবং ঐ বইতে সেই বুজুর্গের আমলের বিনিময় লেখাছিল দৃষ্টিশক্তি(একটি শ্বাস প্রস্বাসের স্থানে)!!

ঘটনাটা তখন তেমন একটা মনে দাগ কাটে নাই!! হয়ত বিরক্তির কারনে উদ্ভট কাহিনী হিসাবেই মনে ছিল। ঘটনাটা মনে দাগ কাটে, প্রথম যখন আল্লাহের রহমতে ফিজিওলজি পড়া শুরু করি, তখন। সন্দিহান হয়ে পরি, আমার শরীরের একটা কোষ রাব্বুল আলামিনের যে পরিমান রহমত প্রাপ্ত, আমার তাকওয়া আর সকল ইবাদত এক করলেও সেই রহমতের উচ্চতার সমান হবে কিনা?????



যাইহোক এইবার একটা ছোট মাইথোলজিকাল গল্প বলব। এটার অরিজিন আসলে কোথায় ঠিক জানি না। জার্মান, ফ্রেঞ্চ, স্কটিস, গ্রীক হবার সম্ভাবনা আছে। তবে এটি ইউরোপ জুড়েই প্রচলিত আর এটাকে নিয়ে অনেক মাতামাতি আছে।



গল্পটা একজন ওয়াটার নিম্ফ (water nymph) এর ভালোবাসার গল্প। water nymph হচ্ছে অনিদ্য সুন্দরী, কামিনী, চির-যৌবনা স্ত্রীলোক যারা পানিতে বাস করেন। সাধারন ভাবে পাহাড়ি ঝর্না বা ঝিড়িতে এদের দলবদ্ধ ভাবে বসবাস। water nymph রা কেউ কেউ অমর হয়ে থাকেন, আবার কেউ কেউ বিভিন্ন ভাবে মারা যান, কিন্তু কেউ কখনো অসুস্থ হন না বা বার্ধক্যে ভুগেন না। তবে দেবতাদের সংস্পর্শে এদের যে বাচ্চা হয়, তারা হয় অমর। এদের জাদুকরী কিছু ক্ষমতা থাকে। বাংলায় water nymph দের জলপরী বলা যেতে পারে। অত্যন্ত কামিনী হওয়াও water nymph দের এক বৈশিষ্ট। আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যায় female hypersexuality তে ভোগা মহিলাদের nymphet nymphomaniac ইত্যাদি বলা হয়ে থাকে।



গল্পটি হলঃ

“অনেক আগের কথা........ব্লা ব্লা ব্লা.............অন্ডাইন নামক একজন জলপরী লরেন্স নামক একজন সুপুরুষ যোদ্ধা যুবকের প্রেমে পড়ে যায়। জলপরী প্রতিদিন তার আবাস স্থলের পাশদিয়ে যোদ্ধা যুবক লরেন্স কে হেঁটে যেতে দেখত। লরেন্সের জন্য অন্ডাইনের প্রেম আর কামভাব ক্রমেই বাড়তেই থাকে। এদিকে লরেন্স, বার্টা নামক একজন সম্ভ্রান্ত যুবতীকে বিবাহের জন্য প্রতিশ্রুতি বদ্ধ ছিল। কিন্তু জলপরী অন্ডাইনের তার প্রতি ব্যাকুলতা দেখে, এক সময় লরেন্স অন্ডাইনের সাথে কথা বলতে আগ্রহী হয়। ক্রমেই তাদের ঘনিষ্টতা বাড়তে থাকে।



জলপরীর প্রেমে লরেন্স বার্টাকে ভুলে যায়। অন্ডাইন ছিল অমর। কিন্তু মর্তের পুরুষ লরেন্সকে পেতে হলে তার জাদুকরী ক্ষমতা আর অমরত্ব্য দুটাই হারাতে হবে, সে পরিণত হবে মর্তের সাধারন একজন সুন্দরী নারীতে। তাই অন্ডাইনের ভালবাসাকে প্রশ্ন করার কোন অবকাশ ছিলনা।





এক সময় লরেন্স আর অন্ডাইন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের সময় লরেন্স প্রতিজ্ঞা করে যে, “আমার জেগে থাকা প্রতিটি নিঃশ্বাস হবে তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা আর বিশ্বস্ততার অঙ্গীকার” ("My every waking breath shall be my pledge of love and faithfulness to you.")। বিয়ের এক বছর পরে অন্ডাইন লরেন্সের পুত্র সন্তান প্রসব করে। প্রসবের পরে জলপরী অন্ডাইন এখন ক্রমেই বুড়িয়ে যেতে থাকে। লরেন্স অন্ডাইনের প্রতি আকর্ষন হারাতে থাকে। এক সময় অকৃতজ্ঞ লরেন্স তার স্ত্রীর প্রতি আকর্ষন হারায়।



এরকমই কোন এক দুপুরে অন্ডাইন যখন সন্তানের পরিচর্যায় ব্যাস্ত, সে আবিষ্কার করে লরেন্স তার ঘরে কিংবা এর আশেপাশে নেই। সন্তান ঘুমিয়ে গেলে অন্ডাইন আস্তাবলের দিকে যায়। খড়ের গাদায় সে আবিষ্কার করে সুন্দরী বার্টা লরেন্সের বাহুতে ঘুমিয়ে আছে। অন্ডাইনের বুঝতে কিছু বাকি থাকে না। সাবেক জলপরীর তখনও কিছুটা জাদুকরী শক্তি বিদ্যমান ছিল। অঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে লরেন্সের দিকে। প্রচন্ড এক লাথি খেয়েছে ভেবে ঘুম থেকে হতচকিত হয়ে উঠে দেখে কিছুটা দূরেই অসম্ভব সুন্দরী সাবেক জলপরী স্ত্রী অন্ডাইন দাঁড়িয়ে আছে। অন্ডাইন বলে উঠে, “ তুমি আমার প্রতি তোমার বিশ্বস্ততার কসম করে ছিলে তোমার প্রতিটি জাগ্রত নিশ্বাসের উপর, আমি তোমার প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করলাম। ঠিক তাই হোক তুমি যা প্রতিজ্ঞা করেছিল। তুমি যতক্ষন জাগ্রত থাকবে, নিঃশ্বাস নিবে, কিন্তু তুমি যদি কখন ঘুমিয়ে পড়, তোমার নিঃশ্বাস নেবার ক্ষমতা লুপ্ত হবে, তুমি মরে যাবে ” ( "You swore faithfulness to me with every waking breath, and I accepted your oath. So be it. As long as you are awake, you shall have your breath, but should you ever fall asleep, then that breath will be taken from you and you will die!") না ঘুমিয়েতো আর থাকা যায় না!! লরেন্স জেগে থাকতে থাকতে আর নিজের ইচ্ছায় দম নিতে নিতে এক সময় পরিশ্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে আর মৃত্যু বরন করে...............।।”

মেডিক্যাল টার্মে এই ঘটনাটি (Ondine’s curse) অর্থাৎ অন্ডাইনের অভিশাপ। আসলে আমারা যে নিঃশ্বাস নেই আমদের নার্ভাস সিস্টেম তা দুই ভাবে রেগুলেট করে থাকে। একটা হচ্ছে ভলেন্টারি সিস্টেম দিয়ে আরেকটা হচ্ছে অটোনমিক সিস্টেম দিয়ে। খেয়াল করলে দেখবেন আপনি যে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন এবং ছেড়ে দিচ্ছেন তা কখনোই আপনি খেয়াল করেন না(যদিও মিনিটে প্রায় ১২ থেকে ১৭বার আপনি এই কাজ করে যাচ্ছেন)। বা অন্য ভাবে বলা যায় এই কাজের পিছনে আপনার কোন এ্যফোর্ট দিতে হয় না।

শুধু মাত্র যদি আপনার শ্বাস-কষ্ট জনিত কোন অসুস্থতা থেকে থাকে বা কখনো কখনো অতিরিক্ত শারিরিক পরিশ্রমের পরেই আপনি বুঝতে পারবেন ভলেন্টারি সিস্টেমে শ্বাস নেয়া/ কষ্ট করে শ্বাস নেয়া বা মেডিক্যালের ভাষায় ল্যাবার্ড ব্রেদিং কি জিনিশ।

COPD বা ASTHMA এর অনেক রোগী আছেন যারা রাতে জেগে জেগে শ্বাস নিয়ে থাকেন। কিন্তু তবুয় তারতো বেশ ভালোই ঘুমাতে পারেন। কিন্তু বিরল কিছু এমন অসুখও আছে যেখানে শ্বাস নেবার অটোনমিক সিস্টেম পুরাটাই বিকল হয়ে যায়। তখন রোগীদের ঘুমিয়ে যাওয়া মানেই নিশ্চত মৃত্যু!! এটাকেই ডাক্তারি ভাষায় অন্ডাইনের অভিশপ বলা হয়ে থাকে।

দুঃখজনক ও যন্ত্রনাদায়ক ব্যাপার হচ্ছে, চরম অনিচ্ছা সত্যেও মৃত্যুকে কখন কখন খুব কাছ থেকে দেখতে হয়। বিশ্বাস করেন মৃত্যুর প্রক্রিয়া শুরু হবার আগে পর্যন্ত একজন মানুষের জন্য অনেক কিছু করার থাকে, অনেক কিছুই করা যায় কিন্তু যে মানুষটার মৃত্যুর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় তার জন্য করার আর কিছুই থাকে না, রুটিনলি অনেক কিছু চেষ্টা করা দায়িত্ব, তাই করাও হয় অনেক কিছু, কিন্তু কিছুই কোন ফল দেয় না!!!!!!!!! অথচ মৃত্যুর কয়েক মুহুর্ত আগের আর পরের শরিরে তেমন কোন পার্থক্যই থাকে না।

প্রতি নিয়তই তাই মনে হয় যে, এই যে প্রতিটা দম, তার প্রতিটাই সেই মহান সত্তার অসীম রহমত ছাড়া আর কিছুই না,যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। এতেও যদি তার বিশালতার, মহানতার, ক্ষমতার, অনুগ্রহের আন্দাজ আমার না হয় তবে আমি নিতান্তই নির্বোধ।

রমজান শুরু হবার এক সপ্তাহেরও কম সময় বাকি। চলুন এই রমজানে নিজেরা নিজেদের ব্রেইন ওয়াস করি। নিজারা নিজেদের ভুল গুলো ঠিক করি। ঐ মহান সত্তার অনুগ্রহের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি। কে জানে সামনের রমজানে জীবন থাকবে কিনা??? চলুন নিজে কে মৃত্যুর জন্য সর্বদা প্রস্তুত রাখি।


একটা হাদিসে পড়েছি ঃ যে ব্যাক্তি আল্লাহের কাছে চায় না, আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন।

আরেকটা হদিসে পড়েছিঃ নিজের সুস্থ্যতা কামনা করে দুয়া করা আল্লাহের খুবই পছন্দনীয়। সাধারনত দেখাযায় আমরা অসুস্থ্য হবার পরে দুয়া করে থাকি কিন্তু উচিৎ হচ্ছে সুস্থ্য থাকা অবস্থাতেই নিজের সুস্থ্যতা কামনা করে দুয়া করা।

সূরা লোকমান আয়াত ২৬ঃ (لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيدُ )

কাছাকাছি উচ্চারনঃ লিল্লাহি মা ফিসসামাওয়াতি ওয়াল আরদি ইন্নাল্লাহা হুয়াল গানিউল হামিদ।

কাছাকাছি অর্থঃ (নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই আল্লাহর। আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রশংসিত। )

তাই আল্লাহের কাছে চাওয়ার সময় চিন্তা করার দরকার নাই, কত বিশাল আপনার চাওয়া!!! তাঁরতো না কিছুর অভাব আছে, না আপনাকে কিছু দিলে, তাঁর কোন অভাব হবে!!!! তাই নির্দিধায় তাঁর কাছে চাইতে থাকুন। ইতিস্তত হবার দরকার নাই।

সূরা বাকারা আয়াত ২০১ এর কিছু অংশঃ (رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ )

কাছাকাছি উচ্চারনঃ রাব্বানা আতিনা ফিদদুনিয়া হাসানা তাউ ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা তাউ ওয়াক্বিনা আজাবান নার।

কাছাকাছি অর্থঃ (হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর। )

যতদূর জানি এই দোয়াটা হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাঃ এর খুবই প্রিয় একটি দোয়া আর উনি এটা বার বার পড়তেন। আপনাদের প্রতিও পড়ার অনুরোধ রইল।

সব শেষে বলি, ওয়াটার নিম্ফের ট্যামটিং ছবি গুলো বাদে শুধু পোষ্টের ম্যাসেজ গুলো নিতে পারেন কিনা দেখুনতো????????????

নিজের জন্য দুয়া করবেন, কিন্তু আল্লাহের প্রশংসা করবেন না আর নবী-রাসূলগনকে সালাম জানাবেন না, এই কাজ করা যাবে না!!!!!!!

সূরা আসসাফফাত আয়াত ১৮০-১৮২ঃ (
سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
)


কাছাকাছি উচ্চারনঃ সুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইজ্জাতি আম্মা ইয়াসিফুন। ওয়া সালামুন আলাল মুরসালিইন। ওয়াল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।

কাছাকাছি অর্থঃ (পবিত্র আপনার পরওয়ারদেগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে।পয়গম্বরগণের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর নিমিত্ত।)

ব্লগের সবাই মাফ করে দিয়েন। বিশেষ করে যারা আমার বিভিন্ন কথায় বিভিন্ন সময় মনে আঘাত পেয়েছেন তারা এই অধম কে ক্ষমা করেদিয়েন।

আসসালামুয়ালাইকুম!!

আমার আগের পোষ্টঃ এ বোল্ট ফ্রম দ্যা ব্লু(ছোট গল্প)


ছবির জন্য কৃতজ্ঞতা ঃ গুগোল
কিছু তথ্য আর একটা লিঙ্কের জন্য ঃ উইকিপিডিয়া

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
১৯টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ডায়েরী- ১৩৯

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

ছবিঃ আমার তোলা।

আজকে সাত রোজা।
সময় আসলে অনেক দ্রুত যায়। গতকাল সুরভি আর ফারাজাকে নিয়ে গিয়েছিলাম শপিং করতে। কারন আমি জানি, ১৫ রোজার পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্বাসীকে লজিকের কথা বলার দরকার কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৭




হনুমান দেবতা এবং বোরাকে কি লজিক আছে? ধর্ম প্রচারক বলেছেন, বিশ্বাসী বিশ্বাস করেছেন ঘটনা এ পর্যন্ত। তাহলে সবাই অবিশ্বাসী হচ্ছে না কেন? কারণ অবিশ্বাসী বিশ্বাস করার মত কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভাবছিলাম ২ লক্ষ ব্লগ হিট উপলক্ষে ব্লগে একটু ফান করব আড্ডা দিব, কিন্তু এক কুৎসিত অপব্লগার সেটা হতে দিলোনা।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৫



এটি ব্লগে আমার ২৬০ তম পোস্ট। এবং আজকে আমার ব্লগের মোট হিট ২০০০০০ পূর্ণ হয়েছে। আমি আনন্দিত।এই ছোট ছোট বিষয় গুলো সেলিব্রেট করা হয়তো ছেলে মানুষী। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শয়তান বন্দি থাকলে শয়তানি করে কে?

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২০



রমজানে নাকি শয়তানকে বেধে রাখা হয়,তাহলে শয়তানি করে কে?

বহুদিন পর পর ব্লগে আসি এটা এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। বেশ কিছু বয়স্ক, মুরুব্বি, সম বয়সি,অল্প বয়সি একটিভ কিছু ব্লগার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কট বাঙালি

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৪



কদিন পরপরই আমাদের দেশে বয়কটের ঢল নামে । অবশ্য তাতে খুব একটা কাজ হয় না । বাঙালির জোশ বেশি দিন থাকে না । কোন কিছু নিয়েই বাঙালি কখনই একমত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×