somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ষক নাঈম আশরাফ গ্রেফতার : টেনশনে নাসিম-পলক: লবিংয়ে গাফফার চৌধুরী

১৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আপন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী দিলদার আহমেদ সেলিমের পক্ষে লবিং জোরদার হচ্ছে। দিলদারের পক্ষে লবিং করতে আজকালের মধ্যে লন্ডন থেকে ঢাকায় আসছেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। আব্দুল গাফফার চৌধুরীর জন্য লন্ডন-ঢাকা-লন্ডনের ফিরতি টিকেট এবং নগদ দশ লাখ টাকার সম পরিমান পাউন্ড পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দিলদার আহমেদ সেলিমের ঘনিষ্ট একটি সূত্র এ দাবি করেছে। একটি সূত্র বলেছে, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলদার আহমেদ সেলিমের অন্যতম গডফাদার। দিলদার আহমেদ সেলিমের অন্ধকার সাম্রাজ্যে নাসিম এবং তার পুত্রের প্রতিনিধি হিসেবে সক্রিয় ছিলো সিরাজগঞ্জের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাঈম আশরাফ ওরফে ‘টাউট হালিম’

এদিকে প্রচুর চেষ্টা তদবির করেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ক্যাডার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাঈম আশরাফকে গ্রেফতারের হাত থেকে বাঁচানো যায়নি। নাঈম আশরাফকে ধরতে গিয়ে ব্যর্থতার দায় পুলিশের ঘাড়ে আশায় শেষ পর্যন্ত বেঁকে বসে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকা থেকে নাঈম আশরাফকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, দিলদার আহমেদ সেলিম সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। মোহাম্মদ নাসিম একসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তখন থেকেই দিলদার আহমেদ সেলিম তার অপকর্মে মোহাম্মদ নাসিমের সহযোগিতা পেতেন। মূলত নাসিমের সহায়তার কারণেই দিলদারের সামনে সোনা চোরাচালানের সকল রুট উন্মুক্ত হয়ে যায়। পুলিশের সহযোগিতা পেতেও অসুবিধা হয়নি দিলদারের। মোহাম্মদ নাসিম এবং সোনা ব্যবসায়ী দিলদারের মধ্যে সেই সম্পর্কের সূত্র ধরেই নাইম আশরাফ ছিলেন দিলদার হোসেন সেলিমের আস্থাভাজন। এই কারণে দিলদার হাসেন সেলিম তার পুত্র সাফাত আহমেদের সঙ্গেও ভিড়িয়ে দেন নাঈম আশরাফ হালিমকে।


মোহাম্মদ নাসিম এর ছেলের সাথে নাঈম আশরাফ
দুই তরুণী ধর্ষণ মামলায় নাঈম আশরাফ জড়িয়ে যাওয়ার পর এখন মোহাম্মদ নাসিম এবং তার পুত্র দাবি করছেন তারা নাঈম আশরাফকে চেনেন না। অথচ বাস্তবতা হলো, নাঈম আশরাফ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হিসাবে এলাকায় পোষ্টার পর্যন্ত প্রকাশ করেছে। নাঈম আশরাফ হালিমের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং তার পুত্রের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক থাকার কারণে কাজীপাড়া ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসাবে এলাকায় পোস্টার প্রকাশ করেছে এবং করতে পেরেছে।
নাঈম আশরাফ হালিমের রাজনৈতিক পরিচয়
নাইম আশরাফ সম্পর্কে তাদের স্বজন ও এলাকাবাসি জানিয়েছে ছোটবেলা থেকেই নানারকম অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নাঈম আশরাফ। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের ক্যাডার হওয়ায় কখনোই কেউ তাকে কিছু বলেনি। নাঈমের এক বন্ধু জানান, নাঈমের সিরাগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার গান্দাইল ইউনিয়নে। নাঈম স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের বিশ্বস্ত ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের বাসা কিংবা মন্ত্রণালয়ে নাঈমের অবাধ যাতায়াত থাকায় সবাই তাকে সমীহ করে। জাতীয় চার নেতার নামে একটি প্রোগ্রাম করবেন এমন একটি প্রস্তাবনাও নাঈম কিছু দিন আগে জমা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের কাছে। যে সংগঠনের নামে নাঈম প্রোগ্রাম করার প্রস্তাব করে সেটিও নাসিমের পিতা ক্যাপ্টেন শহীদ মনসুর আলীর নামে করা।
২০০৪ সালে এলাকা ছেড়ে ঢাকা যায় নাইম আশরাফ হালিম। সেখানে গিয়ে মোহাম্মদ নাসিমের ক্যাডার পরিচয় থেকে বেরিয়ে আসতে রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয় হতে শুরু করে। ধর্ষক নাইম আশরাফকে কলাবাগান ছাত্রলীগ ইউনিটের একজন সক্রিয় কর্মী হিসাবে দেখা যায়। তবে মোহাম্মদ নাসিমের প্রশ্রয় থাকায় দ্রুতই সে ঢাকায় প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায়।


জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে নাঈম আশরাফ
ঢাকায় নাইম আশরাফ মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে তার বিশেষ পরিচয় ব্যবহার করে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব , খেলোয়াড়, মডেল, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এদের কাছে নাঈম আশরাফ একজন আস্থাবান ব্যক্তি। প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সঙ্গে নাঈমের বিশেষ সম্পর্ক নিয়ে আইসিটি মন্ত্রণালয়েও কানাঘুষা ছিল ব্যাপক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের আস্থাভাজন হওয়ার কারণে নাসিম পুত্রের ঘনিষ্ট হিসেবেও পরিচিতি গড়ে উঠে নাঈমের। মিরপুরে ই-মেকার্স বাংলাদেশ নামে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে নাঈম। আওয়ামীলীগের নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক থাকায় ভারত থেকে শিল্পী অরিজিৎ সিং ও নেহা খাকারকে দেশে এনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নাইম আশরাফ। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একাধিক সিসা লাউঞ্জ, রেস্টুরেন্ট’এর মালিক হয়ে যায় নাঈম। এখানেই শেষ নয়, মিরপুরে ডিওএইচএস’এ “নিউজ৭১ডটকম” নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও খুলে নাঈম। এ অনলাইনে কর্মরত রিপোর্টারদের নাঈম বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মসহ বিভিন্ন অপকর্ম অনুসন্ধানের কাজে ব্যবহার করে অভিযুক্ত বা জড়িত ব্যক্তিদের ব্লাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা আদায় করত।
নাঈমের সব খবর ফাঁস হওয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানান, নাইম আশরাফ হালিম আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিল না। এলাকায় নাইম আশরাফের ছবি সম্বলিত একাধিক স্বেচ্ছাসেবক লীগের পোস্টার দেখা গেলেও এখন মোহাম্মদ নাসিম বলছেন “তিনি নাকি কিছুই জানেন না”।


ছাত্রলীগের সম্মেলনে মুজিব কোটে ধর্ষক নাঈম
একটি গোয়েন্দা সূত্র বলছে, গত ২৮ মার্চ রাতে বনানী দি রেইনট্রি হোটেলে দুই বন্ধু জোর করে রাতভর ধর্ষণ করেন বেসরকারি এক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে। ধর্ষণের সেই চিত্র মোবাইলে ভিডিও করেন আরো তিন বন্ধু। আবারও কোনো জায়গায় দৈহিকভাবে মিলিত না হলে ধর্ষণের সেই ভিডিও চিত্র নেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখানোয় ঘটনার ৪০ দিন পর বনানী থানায় মামলা করেন ওই দুই ছাত্রী। মামলার সপ্তাহখানেকের মাথায় পুলিশ বাধ্য হয়ে স্বর্ণব্যবসায়ী দিলদার আহমেদ সেলিমের পুত্র সাফাত আহমেদ এবং ‘রেগনাম গ্রুপে’র পরিচালক সাদমান সাকিফ এবং সাফাতের গাড়িচালক ও বডিগার্ডকে গ্রেফতার করে।


একটি বিশেষ গোয়েন্দা সূত্র বলেছে, মোহাম্মদ নাসিম এখন এই মামলার মোর ঘুরাতে নানা ফন্দিফিকির করছেন। এই ঘটনায় গণমাধ্যমের ভূমিকা এবং সরকারের ভাবমূর্তি সবদিক বিবেচনায় এখন গ্যাড়াকলে নাসিম। সূত্রমতে, সোনা চোরাচালানি দিলদারকে বাঁচাতে মোহাম্মদ নাসিমের পরামর্শে এখন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে ভাড়া করে ঢাকায় আনা হচ্ছে। সূত্রমতে, আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী রাজি হয়েছেন দিলদারের ব্যাপারে লবিং করার জন্য। তবে টাকার অংক আরো বাড়াতে হবে। দিলদার বলেছেন, যত টাকা হোক তিনি দিতে রাজি। এই কারণে আজকালের মধ্যেই ঢাকা এসে পৌঁছবেন আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। সোনা চোরাচালানী দিলদারের পক্ষে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর ঢাকা আসার বিষয়টি সম্পর্কে জনমনে ভিন্নরকম ধারণা দিতে ডাহুক কোনো একটি টেলিভিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও তাকে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাখা হচ্ছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।
সোনা চোরাচালানি দিলদার
শেখ হাসিনার উন্নয়নের জোয়ারের প্রভাব পড়েছে ধর্ষক সাফাতের সোনা ব্যাবসার উপর। গত পাঁচ বছরে সোনা কিংবা এক ক্যারেট (দশমিক ২ গ্রাম) ডায়মন্ডও বৈধভাবে আমদানি করেনি দিলদার আহমেদ। অথচ গুলশান, বায়তুল মোকাররম ও উত্তরার আপন জুয়েলার্সের শোরুমে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ডায়মন্ডের অলঙ্কার। মূলত এক রাজনৈতিক গডফাদারের ছত্রচ্ছায়ায় কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে এসব ডায়মন্ড শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা হয়েছে।
কাস্টমস ট্যারিফ অনুযায়ী, ডায়মন্ড আমদানির চূড়ান্ত করভার হচ্ছে ১৫২ দশমিক ৮২ শতাংশ। এইচএস কোড হচ্ছে ৭১০২.৩৯.০০। অর্থাৎ ১০০ টাকার ডায়মন্ড আমদানি করলে সরকারকে ১৫২ টাকা ৮২ পয়সা শুল্ক কর পরিশোধ করতে হয়। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক, ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, ৪ শতাংশ অগ্রিম ট্রেড ভ্যাট ও ৪ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি আরোপিত আছে। মূলত এই উচ্চ শুল্ক ফাঁকি দিতেই আপন জুয়েলার্স চোরাচালানের মাধ্যমে ডায়মন্ড আমদানি করেছে।
২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে বৈধভাবে আমদানি করা ডায়মন্ডের তথ্য উপাত্তে দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বৈধভাবে সামান্য পরিমাণ ডায়মন্ড আমদানি করেছে। কিন্তু ওই তালিকায় আপন জুয়েলার্সের নাম নেই। এরপর আপন জুয়েলার্সের বিগত দুই বছরের আমদানির তথ্য অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি এক ক্যারেট ডায়মন্ডও বৈধভাবে আমদানি করেনি।
প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে, রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের ৮টি শোরুম রয়েছে। যেখানে স্বর্ণালঙ্কারের পাশাপাশি ডায়মন্ডের অলঙ্কারও বিক্রি হয়। নারী-পুরুষের উভয়ের ক্ষেত্রে ডায়মন্ডের অলঙ্কার বিক্রি করে আপন জুয়েলার্স। বিভিন্ন ওজনের ডায়মন্ডে আংটি, লকেট, নাকফুল, কানের দুল, চুড়ি এবং ডায়মন্ডের সেট ও লকেট সেটের দাম সর্বনিন্ম ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান বলেন, প্রাথমিকভাবে আপন জুয়েলার্সের ব্যবসা নিবন্ধন নম্বর (বিআইএন) তল্লাশি করে ডায়মন্ড আমদানির তথ্য পাওয়া যায়নি। এতে বোঝা যায়, তার হয়তো ডায়মন্ড চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে আনে, অথবা মিস ডিক্লারেশনের (ঘোষিত পণ্যের পরিবর্তে অন্য পণ্য আনা) মাধ্যমে সেগুলো আনা হয়। শিগগিরই এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করবে। তিনি আরও বলেন, তার দোকানে যেসব ডায়মন্ড বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো আসল কিনা, সেগুলোর ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া স্বচ্ছ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি (আপন জুয়েলার্স) তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে শাড়ির ব্যবসার মাধ্যমে। ওই ব্র্যান্ডের নাম ছিল ‘আপন শাড়ি’। এরপর তারা জুয়েলারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়। এ ব্যবসার মধ্য দিয়েই তাদের ভাগ্যের চাকা ফেরে। নিজস্ব সিন্ডিকেট তৈরির মাধ্যমে আপন জুয়েলার্স চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। জুয়েলারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রায় সবাই তাদের উত্থানের গোপন রহস্য কম-বেশি জানেন। বিভিন্ন সময় এ নিয়ে তার সমালোচনাও করা হয়েছে। কারও সমালোচনার তোয়াক্কা না করে সিন্ডিকেট পরিচালনার মাধ্যমে রাতারাতি ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ হয়ে যান তারা (আপন জুয়েলার্সের মালিক)।


এদিকে বুধবার রাজধানীর বনানীর আবাসিক হোটেলে দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সাফাতের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমদ সেলিমকে ডেকে নিয়ে গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরের দিকে দুই ভাই গোলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে নিয়ে দিলদার রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজির হন। এর আগে রোববার আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুমে ও রেইনট্রি হোটেলে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দারা। অভিযানে আপন জুয়েলার্সের মৌচাক, উত্তরা, জিগাতলার সীমান্ত স্কয়ার এবং গুলশানের দুটি বিক্রয় কেন্দ্র থেকে প্রায় তিনশ’ কেজি সোনা ও হীরার গহনা জব্দ করা হয়। আপন জুয়েলার্সের দলিলাদির সঙ্গে স্বর্ণালঙ্কারের গরমিল রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পায় সংস্থাটি। ফলে রাতে অভিযান শেষে পাঁচটি শোরুম সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দিলদারকে গত পাঁচ বছর ধরে স্বর্ণ এবং ডায়মন্ড ব্যাবসার কাগজপত্র উপস্থাপন করার জন্য ১৫ দিনের সময় দেয়া হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮
৯টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×