somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক পাবলিক টয়লেটের জবানবন্দী -----১

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি কখনোই মানুষকে মানুষকে কষ্ট দিয়ে কথা বলতাম না/ যদিওবা রাগের মাথায় কাউকে কিছু বলেই ফেলতাম আমার আর কষ্টের সীমা থাকতো না / নিজের শরীরের অংশ যে তাকেও যদি বকতাম বা অন্যদিকের কষ্ট বা না পাওয়া তার উপর ঢালতাম পর মুহুর্তেই হাউমাউ করে কেঁদে কেটে তাকে বুকে জড়িয়ে নিতাম / সে নিজের কষ্ট ভুলে কান্না থামিয়ে অবাক চোখে আমাকে দেখত আর বলতো ব্যথা পাইনি তো , ব্যথা পাই নাই ?
আমার দরজা থেকে কখনো দুখী মানুষ ফিরে যায়নি/ কাজের বুয়াদের জান ছিলাম সব সময় / বুয়ার জ্বর ? জোহানাকে ডাকো, সাপোজিটর দিতে হবে, হাসপাতালে নিতে হবে , তারার মত লোকরা আমার টেবিলে ঈদের সকালের সেমাই খেয়ে দিন শুরু করতো / আমি ছাড়া কোন কাজই করতো না আমার আইনতঃ মা/ যার কাছে কেটে গেছে আমার জীবনের অনেক বড় একটা অংশ/
এত এত কথা বলা যাবে না / আর বোঝার মত মনও কি আছে তোমার ?
২০১১-১২ আমার অন্য এক দুনিয়ায় আসা/
তার আগ পযর্ন্ত আমি আমার ছোট্র ঘরে একাকী থাকতাম ..বারান্দায় একাকী ঘুরে বেড়াতাম / সবার খুশিতে খুশি থাকতাম / কোন চাওয়াই ছিলো না নিজের /
আজ আমি আলাদা আমি / চিনি না আমি এই আমাকে / কোনোদিন দেখিনি আমাকে /
কেন ? আমার সব বিশ্বাস ভেংগে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে বারবার /
সেই২০১৪ এর জানুয়ারি থেকে যখন দেখলাম একটু একটু করে তোমাকে অনেক জায়গায় / বুঝলাম তুমি আর সবা্র সেই তুমি/ যার সমন্ধে আমি জেনেছি দিনের পর দিন / তুমি শেখাও ভালো ,... কিন্ত ???
জানো আমি মানুষের কথা কখনো বিশ্বাসই করি নাই / ভাবতাম ওদের সমস্যা /
আমি তো তোমাকে দেখিনিই নি কোনোদিন / অথচ আজ ভাবি কেন এমন ভাবতাম তখন ?
দেখলাম তোমাকে , একটু ছটফটে , হঠাৎ বের হয়ে আসা রুম থেকে , লম্বা বারান্দা ধরে একটু হাঁটা হাটি / মেয়েরা কি দেখে জানি না , আমি দেখলাম তোমার নিজের আত্মবিশ্বাস , দেখলাম তোমার দৃঢ় পায়ে হেঁটে যাওয়া / তোমার রাগ /
একদিন হঠাৎ করেই তুমি বুঝে গেলে আমি তোমাকে দেখছি/ সোজা আমাকে দেখতে দেখতে রুমে ঢুকে গেলে / জানি না কি হল তখনি / তখনই কেন মৃত্যু হয় নাই আমার ?
তোমার বন্ধু সে! আমি কথা বলেছি তার সাথে মুখোমুখি বসে, তাকে এড়িয়ে গেলেও সে এসছে জোর করে ..কই তার জন্যতো আমার এমন লাগেনি? তার তো অনেক সুনাম ছিলো , তার পছন্দের মানুষের সংখ্যাও ছিলো অনেক / আর তুমি তো সে যেই বড়দের সন্মানই করতা না , কেমন করে ভাববো এই তুমি এদের মাঝে নিজের খুশি খোজ /
যেদিন তোমাকে প্রমার আইডিতে পেলাম আর দেখলাম সব এরাই, আমার জানা হয়ে গেল তোমাকে ,
বুঝলাম আমি তোমার কোন ভুল না , ভালোবাসা না , তুমি ইচ্ছা করেই আমার সাথে নিজেকে জড়িয়েছো / তুমি বাইরে দেখাও এক ,আসলে তা না / তা না হলে কেন মহিলারা তোমাকে ও ভাবে জানে ? এরা তো আর এফবির ছিলো না / তাও আমি বিশ্বাস করতে সময় নিয়েছি/ দেখতাম তোমার পছন্দ / আমি জানি আমাকে যেদিন প্রথম দেখেছো সেদিন ভেবেছো . কালো শুকনা মেয়েটার কত সাহস ? রং ছিলো না আমার কোনোদিনও , আজও নেই /
২০১৩ আসলে তুমি / আমার জন্মদিনের আগের দিন / বন্ধু হয়ে এলে আমার/ আস্তে আস্তে বিশ্বাস করতে শুরু করলাম ..
আজ কি আর কোন কিছু আছে বল? তোমার সারাটা সময় কোন একদিন আমার সাথে কেটেছে/ আর আজ ??
আজ আমি যা তা তোমার সংস্করন /তুমি আমাকে বানিয়েছো / আজ আমি যা বলি সব তোমার শেখানো / আমি গত জানুয়ারির আগ পর্যন্ত নিরবেই মেনে নিয়েছিলাম তোমার এ সব নোংরামি /
রানুর আইডিতে তুমি অনেকদিন . হয়তো আমারও আগে ,দেখছিলাম আমি তোমাকে / ধীরে ধীরে আমার সকাল গুলা রানুকে দিয়েছিলে... রাত গুলোও /আচ্ছা নিশ্চয় তখন তোমার ও সেই অনুভুতি ছিলো যেটা আমার জন্য ছিলো/শিরশির করতো তোমার গোপন সেই অংশ /রানুকে বলছিলাম বিশ্বাস না করতে ..দোলাকেও / কাকে তুমি ছেড়ে দিয়েছো বলো ? আমি তো তোমার না ..তাই না , বুঝতাম .তাই .বলতাম না কিছু / কিন্তু তুমি জানতা আমার দুর্বলতা / কি বললা রানু তোমার হ্যাপিনেস ? কারন তুমি আমাকে শেষ করে দিতে চেয়েছো বার বার / আমি উঠে দাড়িয়েছি বার বার/ আমি তো প্রমা রানু আয়েশা আরও না জানি কত জনের মত না / তো কেন আমাকে নিয়ে আর এ সব?
নড়াচড়া নিষেধ আমার .. এত এত স্টিচ আমার শরীরে ...হাত নাড়তে পারি না ... এনেস্থিয়ার ঘোর দু চোখে ..সেই নিয়ে তোমার সাথে চ্যাট করেছি / ভেবেছি তোমার ভালো লাগবে , খুশি থাকো তুমি আমার সাথে, ভাবতাম তোমার হয়তো কোন না পাওয়া আছে , হয়তো কোন কষ্ট আছে ..তাই আমি / আজ জানি এগুলো তুমি এমনি এমনি করো / কোন এক অতীত তোমাকে এ গুলো করায় /
তুমি আমকে বলেছো এগুলো ছাড়া তোমার চলবে না. জীবনে অনেক টেনশন ..বোরিং সময় ..তাই এ সব / ওকে মেনে নিলাম তোমার সব /
কিন্তু বার বার করে মিনতি করেছি আমার পথ থেকে সরে দাড়াতে / বলেছি আমার ফ্যামিলিতে এসব না করতে / শোন নাই / কি নোংরা মন আর চোখ তোমার / একটা চেইনের মধ্যে যা আছে সব তুমি চেটে দেখতে শুরু করলে /আমাকে দেখাতে লাগলে নানা ভাবে / আমি যতই এড়াতে চাইলাম ততই আমাকে কষ্ট দেয়ার নেশা যেন তোমাকে পেয়ে বসলো/
আমি তো তোমার খুশিতে বাধা দিতে আসি নাই ? তুমি একে ওকে শাড়ি পড়াচ্ছো , উপদেশ দিচ্ছো , এত সুন্দর সুন্দর কথা বলছো . তুমি থেকে তুই সম্বোধন করছ ... আমি ঠেকাতে পেরেছি বল? কিন্তু তুমি? কষ্ট দিতেছো নানা ভাবে আমায়/ আর তাই তোমার শেখানো কথাই ফেরত দিয়েছি তোমাকে / আর জানি আমি ঠিক বলেছি /
তোমার বানানো নানা কৌশল দিনের পর দিন সংসার ভেংগে দিচ্ছে.. মা কে তার সন্তান থেকে আলাদা করে দিচ্ছে ...
আমরা বাঙালী মেয়েরা ..এখনও চাই স্বামীর নানা অত্যাচার সহ্য করেও তার কাছে থাকতে / তুমি সেই সুযোগ গুলো কাজে লাগাও / গোপনে খুজে বের করো এর ওর কষ্ট / তারপর সেই পথ ধরে ভালোবাসা নামক ওরাল সেক্স করো , ব্যক্তিগত ছবি হাসিল করো আর নিজের নোংরা মনটাকে পরিস্কার করে ঘরে সবার কাছে ভালো সাজো/
করো তুমি এর চেয়ে আরও বেশী কিছু ...
কিন্তু আমাকে কেন চোখে আংগুল দিয়ে দেখাতে হবে যে, তুমি অনেক মাংসল ময়দা মাখানো শরীর ডিজার্ব করো?? আসলেই কি তুমি করো ? কি মনে হয় তোমার আসল তোমাকে এরা এত ইজিলি মেনে নিবে?? নিতেও পারে / একবার ট্রাই করো না / তারপর আমাকে বলতে আইসো /আর দেখানোর দরকারই বা কি আমাকে যাও না তুমি আমার সব কিছু থেকে .. শিউলির সাথে তুমি ..তোমার ভালোবাসার মেয়েটা কি ওর চেয়ে কম সুন্দরী ?? তুমি কি তোমার নিজের হাসিতে..বাবা বাবা ডাকে খুশি খুজে পাও না ?? হ্যা তুমি ইজিলি পাবে তোমার কাছে পড়তে আসা তোমার ভাষায় কচি কচি মাইয়ারা / খেলারাম খেলে যা /
এফবি বন্ধু ছিলে আমার একদিন ..আজ আর তাও না /
তারপরও কাউকে খারাপ কিছু বলে আমার শান্তি হয় না ..নিজেই কষ্ট পাই /
ইতি
জোহানা
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×