somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ ধরনের ধর্মান্ধ উম্মাদ সাইকো শিকের ভেতরেই নিরাপদ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নাফিজ, তার পিতা এক ধনী ব্যাঙ্কার, আইডিয়াল স্কুলে এবং নর্থ-সাউথ তে পড়েছে। ভদ্র পোলা কিন্তু ভেতরে একজন হিজবুত টাইপ স্যাডিষ্ট জংগী মেন্টালিটির ছেলে। এত ভয়ংকর যে তার বন্ধু-বান্ধব বা বাবা-মা এমনকি রুমমেটরাও . . কেউই টেরই পায়নি। সে সুযোগ পেলে সে আমাদের দেশেও বোমা মারতে কুন্ঠিত হতো না।

নর্থ-সাউতে বিবিএ সেমিষ্টারে সর্বনিম্ন নাম্বার পেয়ে বহিষ্কৃত নাফিস আমেরিকায় আসে স্কলারশিপ নিয়ে, সাউথইস্ট মিসৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। কিন্তু হাজার মাইল দূরে নিউইয়রক এসে কি করছিল? আমেরিকা এসেই দাড়ি রাখা সুরুকরে সে। ড্রাইভিং লাইসেন্স যোগার করে ফেলে দ্রুতই। কয়েক মাসের ভেতর সেখানে হিজবুত টাইপ মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয় এবং নিয়মিত মসজিদে যেত। (সুত্র বাংলানিউজ) বাসায় বাবা-মা কে বলেছিল ভাল একটি মসজিদের খোঁজে নিউইয়োর্ক আসা, দুই ব্যক্তি তাকে মসজিদের ব্যপারে সাহায্য করে। ফেসবুকে লিখেছিল "বিশাল কিছু করতে চাই"।
তার ইউনিভারসিটি কোথায় আর মসজিদ খুজে কোথায়?
একট ভিন্ন সুত্রে যানা যায় ইউনি ছেড়ে নুইয়র্কে একটি ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়েছিল।

সে কি আগেই জংগিবাদি ছিল?
মার্কিন দৈনিক ক্রিশ্চিয়ান সাইন্স মনিটরের সাংবাদিক ঢাকায় নাফিসের সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির একজন সিনিয়র ফ্যাকাল্টির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নাফিস বাংলাদেশে নিসিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীরের সাথে জড়িত ছিল। ইউনিভার্সিটির সুনামের সার্থে তা গোপন রেখে তাকে নাম্বার কম দেখিয়ে বহিষ্কার করা হয়।


আসলে সে নিউইয়োর্ক এসে গোপনে এক্সপ্লোসিভ খুজেছিল আল-কায়দা নেটওয়ার্কের কাছে। ব্যাপারটা মার্কিন গোয়েন্দাদের কঠিন জালে ধরা পড়ে যায়। FBI এক এজেন্ট তখন জংগি সেজে আলকায়দা নেটওয়ার্কএ ঢুকেপড়ে, কয়েক মাস কঠিন নজরদারি। এরপর তাদের এজেন্ট আল-কায়দার আগেই তাকে একটি ডামি বিষ্ফোরক বোঝাই ভ্যানগাড়ী বোমা সরবরাহ করে এবং চোখে চোখে রাখে। নাফিসের ইনটেনশন ছিলো ভয়াবহ বোমাহামলা করা; অথবা এভাবে বলা ভালো যে নাফিস যেকোন পদ্ধতিতে বোমা পেলে অন্ধ ভাবে সেটাকে সে আমেরিকার এগেইন্সটএ ইউজ করতো। FBI গোয়েন্দারা তাকে শেষ পর্যন্ত যেতে দিয়েছে এবং তারপর ধরছে।

সে সম্পুর্ন সজ্ঞানে এ কাজ করেছে। গাড়ীবোমা পেয়েও সে ভেবেছে -

"এটা সত্যই আলকায়দা দিয়েছেতো? নিশ্চই। ওরা এত কাছে আসার ঝুঁকি নিবেনা হয়তো"।

তার কাছে বোমা কে দিয়েছে সেটা এত নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেনি, তার কাছে বোমা বোমাই। পুরা ধর্মান্ধ সাইকো।

এই পোলা দেশে এলেও হিজবুতি বা অন্য জঙ্গি সহায়তায় এদেশেও বোমা হামলা করতো।

এভাবে ফাঁদ পেতে ধরা আমেরিকানদের অনেক পুরোনো টেকনিক। এর আগেও এভাবে ওয়াল স্ট্রিট বোমাবাজ (পাকিস্তানি) ধরা হয়েছিল রিয়েল এক্সপ্লোসিভ সহ। প্রষ্টিটিউট কাষ্টোমার সেখানে এভাবেই ধরা হয়। লন্ডনেও দু-তিন বছর আগে কিছু পাকি ক্রিকেটার ধরা হয়েছিল ঘুশের টাকা সহ এভাবেই ফাঁদ পেতে। ভারতেও এভাবে কিছু মন্ত্রী-এম্পিকে ফাদপেতে ঘুশ সহ ধরা হয়েছিল এভাবেই। এধরনের স্টিং অপারেশন বিতর্কিত হলেও তাতে অপরাধির অপরাধ কোন ভাবেই হাল্কা হয়না।

বিতর্কিত স্টিং অপারেশন বা "আমাদের স্বজাতী" এধরনের দোহাই দিয়ে ধর্মউম্মাদ, হিজবুত টাইপ স্যাডিষ্ট জংগী মেন্টালিটির কেউ সহানুভুতি পাওয়ার যোগ্য নয়। সে আত্নঘাতি হতেও রাজি ছিল, যদিও ইসলামে আত্নহত্যা মহা পাপ, পবিত্র কোরান বা হাদিসে একটি বাক্যও যেহাদে আত্নহত্যাকে সমর্থন করেনি। বোঝা যায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও তার মানবিক মুল্যবোধ একটুও বাড়াতে পারেনি।
যে দেশ, যে সভ্যতা তাকে স্কলারশিপ দিল, ভাগ্য বদলানোর সুযোগ, উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিল তাকেই ধ্বংশ করার মানষিকতা পোষন করা?

এ ধরনের ধর্মান্ধ উম্মাদ দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমুলক সর্বচ্চ শাস্তি হওয়া দরকার। এরা শিকের ভেতরেই নিরাপদ।
১২টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×