somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্ধ যাদুকর- আহমাদ মোস্তফা কামাল

১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আহমাদ মোস্তফা কামালের “অন্ধ যাদুকর” পড়ে শেষ করলাম। প্রকাশ করেছে “পাঠ সূত্র”, লেখক উপন্যাসের শেষে রচনাকাল লিখেছেন সেপ্টেম্বর ২০০৪ থেকে ডিসেম্বর ২০০৮। বাংলাদেশের অন্যসব উপন্যাসের তুলনায় সামান্য বৃহৎ কলেবরের এই উপন্যাসের ব্যপ্তি ১৪৮ পৃষ্টা, বইয়ের মূল্য লেখা আছে ২০০ টাকা।তবে এটাকে শেষ পর্যন্ত ঠিক উপন্যাস বলা হবে কি না কিংবা এটার মূল্য আদৌ ২০০ টাকা হওয়া উচিত কি না এটা নিয়েই একটা সংশয় তৈরি হয়ে যাচ্ছে।

উপন্যাস হিসেবেই অবহিত করা যাক এই রচনাকে, যেহেতু লেখক এটাকে সে পরিচয়েই পরিচিত করতে চাইছেন, তবে এই লেখাটা কিংবা উপন্যাসটি অনেকটা বার্গারের মতো। বার্গার বিষয়ে আমার নিজস্ব ধারণা হলো, এতে একটা প্যাটি থাকে, সেটাকে আবৃত করে থাকে একটা “বান” তবে শুধুমাত্র পয়াটির গুণে বার্গার বার্গার হয়ে উঠে না, বরং সেই “প্যাটি”র সাথে অনুসঙ্গ হিসেবে থাকে লেটুস পাতা, কচি শসা, টমেটো, খানিকটা মেয়োনিজ, এবং সব সময়ই এই অনুসঙ্গগুলো মূল প্যাটিকে ছাপিয়ে যেতে পারে না।

এই উপন্যাসও ঠিক তেমনই একমাত্রিক এবং একটা চরিত্রের উপন্যাস, অন্য চরিত্রগুলো এইসব বার্গারের অনুসঙ্গের মতো অপরিপূষ্ট, অপূর্নাঙ্গ এবং অবিকশিত অবস্থায় রয়ে যায় এবং রয়ে গেছে উপন্যাসের শেষ পাতা অবধি।

উপন্যাসটি মূলত “কায়সার” নামের অকালে প্রতিষ্ঠিত এবং বিখ্যাত একজন লেখক কিংবা উপন্যাসিকের একটি উপন্যাস লিখবার পাঁয়তারা, আমরা একটি ছবি বানাবো নামের একটি প্রতিষ্ঠান কিংবা সংঘ আছে ঢাকা শহরে, কায়সারও সিদ্ধান্ত নেয় সে একটি উপন্যাস লিখবে। সুতরাং শিরোণাম হিসেবে অন্ধ যাদুকরকে বাদ দিয়ে “কায়সার একটি উপন্যাস লিখতে চায় “দেওয়া হলে সেটা উত্তরাধুণিকতার ছোঁয়া পেতো সম্ভবত।

কায়সার, অল্প বয়েসে বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠা লেখক, হঠাৎ করেই সংসারের চাপে লেখালেখির জগত থেকে বিদায় নেয়। এবং উপন্যাসটি সেভাবেই কায়সারের কাপড় এবং মানসিক অবস্থাকে উম্মোচিত করতে থাকে পাতায় পাতায়। আমরা একটার পর একটা দৃশ্য অতিক্রম করি এবং বুঝতে পারি কায়সারের হাতে কোনো বিকল্প ছিলো না শেষ পর্যন্ত। তার ভাই এবং বোনের অকালমৃত্যু তাকে কোনো রকম সুযোগ দেয় নি, বরং তার এই অসস্তিকর পরিণতি আদতে তার নির্মিত নয়, সে একটা কিংবা অনেকগুলো ঘটনার দাসানুদাস।

কায়সার ফিরে আসতে চাইছে লেখালেখির জগতে , সে রাত জেগে বসে থাকে, এবং আহমাদ মোস্তফা কামাল যেমনটা করে অভ্যস্ত সেই একই রকম ভাবেই একজন মানুষের গল্পই বলে যান, এবং অনেকটা সময় পরে সেটা তার নিজস্ব জীবনের গল্পে পরিণত হয়। দীর্ঘ সময়ের ব্যপ্তিতে লিখতে গিয়ে সম্ভবত উপন্যাস টেনে নিয়ে যাওয়ার তেমন সম্ভবনা না থাকায় এই আত্মজৈবনিকতার আড়াল খোঁজা।

প্রতিটা অংশই অনেকটা পরীক্ষার খাতায় উত্তর লিখবার মতো একটা অনুভব নিয়ে আসে, একটা ঘটনা শুরু হয়ে, এবং সেটার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ শেষ হয় এবং আমরা পরিচিত হই নতুন একটি চরিত্রের সাথে, সেই চরিত্রের সাথে কায়সারের পরিচয় এবং কায়সারকে ঘিরে তার সম্পর্কের দানা বাঁধা এবং সম্পর্কের বিবর্তন আমরা পেয়ে যাই কায়সারের স্মৃতিচারণে। মূলত কায়সার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অসংখ্য ভাবেই স্মৃতিচারণ করতে থাকে।

প্রতিটা চরিত্রের ব্যপ্তি আসলে সেই উত্তর কিংবস সমাধান দিয়েই সমাপ্ত হয়ে যায়। যেমন ধরা যাক কায়সারের ছোটো বোন নিশি- সে গভীর রাতে একা ছাদে কাঁদে, সে কায়সারের সাথে কথা বলতে চায়, কিন্তু কায়সার তার সাথে কথা বলতে আগ্রহী হয়ে উঠে না। অথচ এই উপন্যাসের আত্মরতিপরায়ন এবং স্বার্থপর নায়ক শেষ পর্যন্ত নিশিকে তেমন কোনো পরিণতি দিতে পারে না।

এমন কি লেখকও আসলে বুঝে উঠতে পারেন না নিশিকে নিয়ে তার কি করা উচিত। সুতরাং আমরা নিশির গভীর রাতের কান্নার ইতিহাস জেনে যাই, নিশির বাবা অসুস্থ, তার বড় ছেলে এবং মেয়ের মৃত্যু এবং আত্মহত্যা তাকে চলৎশক্তিহীন করেছে এবং সম্ভবত আতংকিত করেছে, সুতরাং তিনি নিশিকে চোখের আড়াল করতে চান না, এবং এই অবুঝ মানুষটিকেও আমরা কোনো মনোচিকিৎসকরের কাছে যেতে দেখি না, এই প্যারানোয়ার কোনো সমাধান লেখক দিতে চান না, কিংবা অসংখ্যা প্যারানোয়া আক্রান্ত মানুষদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইতিহাস গ্রন্থিত করতেই লেখকের আগ্রহ ছিলো প্রবল।

নিশি এই জীবন চাইছে না, বরং সে একটু সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন চাইছে-
কায়সারের মা ,তিনি চান তার সন্তান লেখকসূলভ কিছু পাগলামি করুক, যা তার ছেলেকে এবং তাকে আহ্লাদিত করবে। ছেলে সংসারের জোয়াল টেনে ক্লান্ত হয়ে উঠায় তিনি বিব্রত এবং নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন জীবন থেকে।

একই পরিবারে রয়েছে লেখকের ভাবী, যার সাথে লেখকের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে বাজারে একটা গুঞ্জন আছে এবং ভাবী এবং তার ছেলে মেয়ে উভয়েই কায়সারের প্রিয় হলেও কায়সার নিজেকে কোনো দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের যোগ্য ভাবছে না। একাধিকবার উল্লেখ থাকলেও এই চরিত্রগুলো ঠিক একটা দৃশ্যে এসে কিছুটা বক্তব্য দিয়ে কায়সারের স্মৃতিচারণের মশলা জোগান দেয়। মূলত উপন্যাসের অন্য সব চরিত্রের প্রধান কাজ কায়সারের স্মৃতিচারণের মশলা সরবরাহ করা।

এভাবেই আমরা জানি, কায়সারের প্রথম প্রেম মৃণ্ময়ীর গল্প, যে অদ্ভুত একটা পরিস্থিতিতে বিয়ে করতে বাধ্য হয় এবং বিয়ের পরে কায়সারের সাথে তার দেখা হওয়ার পর কিছুটা অনুতপ্ত হয়।

কায়সারের পরবর্তী প্রেমিকা বীথি, সেও কায়সারের সঙ্গ এবং মনোযোগ চায় কিন্তু আত্মরতিপরায়ন কায়সার তাকে সে সঙ্গ এবং মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হয়। সুতরাং বীথি তার পুরোনো বন্ধুকে বিয়ে করতে চায় এবং সে সুবাদেই আমরা বীথির সাথে কায়সারের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ খুঁজে পাই উপন্যাসের পাতায় এবং তখনই আমরা জানি আদতে অন্ধ যাদুকর উপাধিটা দিয়েছিলো কায়সারের আত্মহত্যা করে যাওয়া বোন কাজল।

এবং এই পর্যায় থেকেই উপন্যাসটি ক্রমাগত খেই হারিয়ে ফেলে এবং কোথাও যেতে পারে না, এবং স্মৃতিচারণের সাথে আত্মজৈবনিক উপাদান যুক্ত হতে থাকে, এবং একই সাথে কায়সারের সাথে সম্পর্কিত আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, এবং মাহমুদুল হক, এবং তাদের নিয়ে স্মৃতির অংশও উদ্ধৃত হয় উপন্যাসে।

উপন্যাসটি পরিণতিহীন এবং সম্ভবত এর কোনো পরিণতি দেওয়ার সম্ভব ছিলো না আহমাদ মোস্তফা কামালের পক্ষে, তিনি গল্প বলতে চান এবং সেই গল্প বলতে চাওয়ার আগ্রহে খাঁদ নেই কোনো। তিনি আমাদের কায়সারের উপন্যাস লিখতে না পারার গল্প শুনিয়ে ক্ষান্ত করেন।

উপন্যাসের শেষ অংশে এসে মাহমুদুল হকের মৃত্যু ঘটে এবং সেই মৃত্যুর পরে কায়সার সম্ভবত জীবনে প্রথম বারের মতো সঙ্গমলিপ্ত হয়।

এরপরও উপন্যাসটি মূলত একজন মানুষের সম্পর্ক তৈরী করতে না পারার গল্প, কিংবা সম্পর্ক তৈরি করতে না শেখার গল্প, যাদের সহজাত ক্ষমতা আছে, তারা সম্পর্ক নির্মাণ করতে পারে, কিন্তু কায়সারের প্রধানতম দুর্বলতা তার সম্পর্ক নির্মাণের কোনো ক্ষমতা নেই, সে স্মৃতির অংশ করে নিতে পারে, স্মৃতি নিয়ে নাড়াচাড়া করতে পারে, হয়তো অন্যসব গুণাবলীও তার ভেতরে বিদ্যমান , কিন্তু তার সম্পর্ক নির্মাণের ক্ষমতা শূণ্য। এবং এ কারণেই সে সারাক্ষণ সম্পর্ক এবং এর প্রকৃতি নিয়ে ভাবতে থাকে।

” সব সম্পর্ককেই মানুষ কোনো-না-কোনো নাম দিয়ে সংজ্ঞায়িত করতে চায়। সম্পর্কের বহুমাত্রিকতায় বিশ্বাস নেই তার, নেই আস্থাও, কিংবা বহুমাত্রিক সম্পর্কের বিষয়টি সে বোঝেই না। ফলে একটি নাম না দিলে সে অসস্তিতে ভোগে। কিন্তু যখনই একটি সম্পর্কের নাম দেয়া হয় তখনই তাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়, সেই সম্পর্কে নতুন কোনো মাত্রা যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যায়। সম্পর্ক হয়ে পড়ে স্থির, বদ্ধ।

অথচ সম্পর্ক বিষয়টই পরিবর্তনশীল, বিবর্তনশীল। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবার জিনিষ নয় এটা। সম্পর্ক ক্রমাগত তার ধরণ পাল্টায়, তার স্বভাব পাল্টায়- যদি না পাল্টায় তবে তা পরিণত হয় অভ্যাসে। সম্পর্কের সাথে অভ্যাসের পার্থক্যটা এখানেই। সম্পর্ক বিবর্তনশীল, পরিবর্তনকামী, নতুন মাত্রা যোগের সম্ভাবনাপূর্ণ; অভ্যাস স্থির, পরিবর্তনহীন, একঘেঁয়েমিপূর্ণ।

মানুষ যে সম্পর্কের একটি নাম দিতে চায় তার কারণটি হয়তো এই যে সে সম্পর্কের একমাত্রায় বিশ্বাস করে, স্বস্তি পায়- সম্পর্কটিকে একটি মীমাংসায় পৌঁছে দিতে চায়, একটি সংজ্ঞায় বেঁধে ফেলতে চায়।

অথচ অমীমাংসিত সম্পর্কই সুন্দর, যদিও তা বেদনাদায়ক। অসংজ্ঞায়িত সম্পর্কই সম্ভাবনাপূর্ণ, যদিও তা বহন করা কষ্টকর। কিন্তু এই বেদনা এই কষ্টও মধুর। মানুষ, এমনকি মধুর কষ্টও কেন ভোগ করতে চায় না কে জানে।”

মূলত সম্পর্ক এবং এর জটিলতা নিয়ে ভাবনা এবং এটার দার্শণিক প্রেক্ষাপট অন্য কোথাও এমন স্পষ্ট হয়ে উঠে নি। উপন্যাস না হয়ে ওঠা এই লেখাটি সে কারণেই বিশিষ্ট। সম্ভবত এটা সম্পর্কের আস্থাহীনতা সম্পর্কে কায়সারের বয়ান, যা উপন্যাসের উৎসর্গ পত্রে লিখিত বাক্যেই চুড়ান্ত হয়ে যায়-

মানুষ সম্পর্ক নিয়ে বাঁচে না, বাঁচে সম্পর্কের স্মৃতি নিয়ে
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:১৭
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভাবছিলাম ২ লক্ষ ব্লগ হিট উপলক্ষে ব্লগে একটু ফান করব আড্ডা দিব, কিন্তু এক কুৎসিত অপব্লগার সেটা হতে দিলোনা।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৫



এটি ব্লগে আমার ২৬০ তম পোস্ট। এবং আজকে আমার ব্লগের মোট হিট ২০০০০০ পূর্ণ হয়েছে। আমি আনন্দিত।এই ছোট ছোট বিষয় গুলো সেলিব্রেট করা হয়তো ছেলে মানুষী। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্প: সম্পত্তি

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৪



গল্প:
সম্পত্তি

সাইয়িদ রফিকুল হক

আব্দুল জব্বার সাহেব মারা যাচ্ছেন। মানে, তিনি আজ-কাল-পরশু-তরশু’র মধ্যে মারা যাবেন। যেকোনো সময়ে তার মৃত্যু হতে পারে। এজন্য অবশ্য চূড়ান্তভাবে কোনো দিন-তারিখ ঠিক করা নেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শয়তান বন্দি থাকলে শয়তানি করে কে?

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২০



রমজানে নাকি শয়তানকে বেধে রাখা হয়,তাহলে শয়তানি করে কে?

বহুদিন পর পর ব্লগে আসি এটা এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। বেশ কিছু বয়স্ক, মুরুব্বি, সম বয়সি,অল্প বয়সি একটিভ কিছু ব্লগার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কট বাঙালি

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৪



কদিন পরপরই আমাদের দেশে বয়কটের ঢল নামে । অবশ্য তাতে খুব একটা কাজ হয় না । বাঙালির জোশ বেশি দিন থাকে না । কোন কিছু নিয়েই বাঙালি কখনই একমত... ...বাকিটুকু পড়ুন

“রোজা” নিয়ে গবেষণা করে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন জাপানের চিকিৎসা বিজ্ঞানী ‘ইউসোনরি ওসুমি’।

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫০




‘রোজা’ ফারসি শব্দ, আরবিতে ‘সওম’। ভারতের রাজনীতিতে ‘অনশন’। ইংরেজিতে ‘ফাস্ট’। কিন্তু মেডিকেলের পরিভাষায় রোজার কোনও নাম ছিল না ও মেডিকেল বই গুলোতে রোজা’র বিশেষ কিছু গুণাগুণও উল্লেখ ছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×