somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চন্ডালিনী নারী, প্রেয়সী না হোক মাতৃরূপে আবির্ভূত হওঃ শান্তিময় হোক দাম্পত্য জীবন, শীতল করো ধরা

২৮ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নজরুলের ভাষায় পৃথিবীর যা কিছু কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর। এর বিপরীতে মনিষিরা বলেন পৃথিবীর যত যুদ্ধ বিগ্রহ তার অধিকাংশের মূলে নারী। হেলেন যেমন ট্রয় নগরী ধ্বংশের মূল কারণ তেমনি অনেক রাজা বাদশা তাদের রাজত্ব ছেড়েছেন নারীর কারণে। দেবতারা স্বর্গ ছেড়েছেন নারীর কারণে। নারীর কারণে ঋষি মুনিরা বিসর্জন দিয়েছেন তাদের সারা জীবনের তপস্যা। তেমনি আবার শিরি ফরহাদ, লাইলী মজনু চন্ডিদাশ রজকিনীর প্রেম গাথা নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জাগায়। সম্রাট শাহজাহান তার প্রিয়তমা স্ত্রীর জন্য তাজ মহল নির্মাণ করে প্রেমিক পুরুষ রূপে নিজের স্থান করে নিয়েছেন সকল নারীর হৃদয়ে। নারীর কারণে যুগে যুগে যেমন অসান্ত হয়েছে দাম্পত্য জীবন তেমনি নারীর কুটিলতার কারণে ধ্বংশ হয়েছে অনেক রজত্ব। ঘসেটি বেগমের কুটজালে পড়ে সিংহাসন ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বাংলার নবাব। প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র মায়মুনার গরল পানে জীবনের অবসান ঘটান। নারীর কারণে অনেকেই জীবনে যেমন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠা ও ভালোবাসার স্বগীয় স্বাদ তেমনি নারীর ছলনায় ভুলে অনেক পুরুষ বরণ করেছেন করুন পরিনতি। সত্যি নারীর একই অঙ্গে অনেক রূপ। নারী কখনো স্নেহময়ী মাতা, কখনো ভগ্নি, কখনো প্রেয়সী, কখনো কণ্যারূপে আমাদের সামনে হাজির হয়। নারী পুরুষের হৃদয়ে প্রশান্তি লাভের নির্ভরযোগ্য একটি আশ্রয়স্থল দাম্পত্য জীবন। কোন পুরুষ কেবলমাত্র বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমেই সেই আশ্রয় স্থলে প্রবেশ করতে পারেন। তাই বিবাহকে বলা হয় শান্তির প্রতিক। নারীদের প্রতিটি রূপ ইতিবাচক হলেও কেবলমাত্র তাদের লোভ লালসা তাদেরকে করে তোলে চন্ডালীনি রূপে। একটি নারী যেমন পারে একটি সংসারকে সুখের স্বর্গ বানাতে তেমনি এই সুখের সংসারটিকে নরক বানাতে একজন নারীর ভুমিকাই যথেষ্ট। পরকীয়া, সংসারের প্রতি অবহেলা, উচ্চাভিলাশ নারীকে তার অবস্থান থেকে টেনে নিয়ে যায় নোংরা পুতিগন্ধময় আবর্জনায়। সে জীবনে বাহ্যিক চাকচিক্য থাকলেও অন্তরে থাকে বিষের অনল। আর সেই অনলে পুড়ে মরে অসহায় পুরুষ, পরিবার, সমাজ সংসার। ইদানিং পত্রিকার পাতা খুললেই প্রথম পাতায় লাল কালিতে ৩/৪ কলামে নারী নির্যাতিত হবার বড় খবর পাই। কিন্তু দুঃখের বিষয়, নারীদের দ্বারা যে পুরুষ নির্যাতিত হন তা কিন্তু পত্রিকার প্রথম পাতায় আসেনা। ভিতরের পাতায় তা লিপিবদ্ধ থাকলেও থাকতে পারে। আর সব খবর পত্রিকায় আসে বলে মনে হয় না। পুরুষরা নিরবেই সহ্য করে যায়। আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান এবং উভয়ের জন্য আছে সমান অধিকার। তাই শুধু নারী নির্যাতন আইন পুরুষের বেলায় হলেই চলবেনা। সেই আইন পুরুষ নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধেও হতে হবে। দেশে যদি নারী-পুরুষের জন্য সমান আইন তৈরী হয়, তা হলেই শান্তি আসবে। একটি ্উদাহরণ টানা যায়, একটা পুরুষের সাজানো সংসারে ছেলেমেয়ে রেখে যখন একজন নারী পরাকীয়ায় পরে অন্য কোন বিত্তবান পুরুষের সাথে ঘর বাঁধে ও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে চলে যায়, তখন তার বিরুদ্ধে কিছুই করার থাকেনা। কিন্তু যখন একজন পুরুষ তার স্ত্রীর সামাজিক কর্মকান্ড দেখে তাকে ছাড়তে যায় তখন দিতে হয় মোটা অংকের টাকা এবং বিভিন্ন আইনের বেড়াজালে পড়তে হয় তাকে। সবার জন্য যদি সমান আইন হয় তা হলে পুরুষ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন হওয়া প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি।
সমাজ সংসারের তেমনি কিছু চন্ডালিনী নারীর নির্মম নৃশংস ঘটনা ধারাবাহিকভাবে আপডেটসহ তুলে ধরা হবে এই পোস্টে।
আপনাদের কারো এমন কোন চন্ডালিনী নারীর কাহিনী জানা থাকলে শেয়ার করতে পারেণ সামুর পাঠকদের জন্য।
আপডেট ১১ সেপ্টেম্বর ২০১১ইং রবিবার

যশোহরের চাঁচড়ায় মায়ের পরকীয়ার কারণে মেয়ের আত্মহত্যা

শিপন নামে এক যুককের সঙ্গে মায়ের পরকীয়া এবং তাদের মেলামেশা দেখে ফেলায় ক্ষোভে দুঃখে আত্মহত্যা করেছে পার্বতী বর্মণ (১৫) নামে এক কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে যশোর শহরের চাঁচড়া বর্মণপাড়ায় শনিবার দুপুরে।
পুলিশ জানায়, চাঁচড়া বর্মণপাড়ার জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণের স্ত্রী ফয়লা বর্মণের (৩৭) সঙ্গে একই এলাকার শিপন নামে এক যুবকের পরকীয়া চলছে দীর্ঘদিন। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষের কানাঘুষা এবং নানা কথাবর্তা কানে আসে ফয়লার কন্যা পার্বতীর। শুক্রবার রাতে শিপন তাদের বাড়ি গিয়ে তার মায়ের সঙ্গে মেলামেশা শুরম্ন করে। বিষয়টি দেখে ফেলে পার্বতী। এতে রাগে দুঃখে এবং ক্ষোভে শনিবার দুপুরে সে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।

আপডেট ৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ইং, বৃহস্পতিবার

সিংগাইরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) স্ত্রীর পরকীয়া কেড়ে নিলো স্বামী কুদ্দুসের প্রাণ। এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সিংগাইরের জয়মন্টপ ইউনিয়নের চর ভাকুম গ্রামে। ওই এলাকার মৃত ফেলু শেখের ছেলে কুদ্দুসের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী জুলেখা (৪৫) দীর্ঘ দিন ধরে পাশ্ববর্তী এলাকার মৃত ছাহনের ছেলে শহীদ (৪৫) এর সাথে পরকীয়া প্রেমে করে আসছিলো। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী জানায়, কুদ্দুস সহজ-সরল খেটে খাওয়া একজন মানুষ ছিলেন। কিন্তু জুলেখা ছিলেন তার বিপরীত। প্রায়ই তিনি স্বামীর সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত থাকতেন। এই দাম্পত্য বিবাদের জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে জুলেখা ও শহীদের পরকীয়ার কাহিনী ফাঁস হলে প্রেমিক শহীদ ও জুলেখা মিলে স্বামী কুদ্দুসকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার লাশ বাড়ির উঠোনে ফেলে রাখে। পুলিশ কুদ্দুসের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

আপডেট ৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ইং, সোমবার

লাঙ্গলকোটে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা, স্ত্রী গ্রেফতার

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে রিকশাচালক স্বামীকে জবাই করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। আশংকাজনক অবস্থায় রিকশাচালক আজম খানকে চিকিত্সার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। উপজেলার গান্দাছি গ্রামে গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী মাসুকা বেগম (২৬) শনিবার রাতে তার স্বামী আজম খানের (৪৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় আজমের চিত্কারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার কণ্ঠনালী আংশিক কেটে গেছে। পুলিশ মাসুকা বেগমকে গ্রেফতার করে গতকাল রবিবার আদালতে প্রেরণ করেছে।

আপডেট ৩০ আগষ্ট ২০১১ইং মঙ্গলবার

জাহাঙ্গীর হত্যা মামলাঃ স্ত্রী আটক, ধরাছোঁয়ার বাইরে স্ত্রীর প্রেমিক
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় স্ত্রী মুক্তার পরকীয়ায় খুন হন বরগুনার সদর থানা এলাকার সিভিল এভিয়েশন কর্মচারী জাহাঙ্গীর। গত ১৩ আগস্ট বিমানবন্দর কাওলা স্টাফ কোয়ার্টারের ৩০২/৩৪ নম্বর বাসায় এই হত্যাকান্ড ঘটে। জাহাঙ্গীর খুনের ঘটনায় তার ভাই আবদুল লতিফ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। এই মামলায়
জাহাঙ্গীরের স্ত্রী মুক্তা গ্রেফতার হলেও ১৫ দিনেও তার কথিত প্রেমিক জসিমকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন মুক্তা।মামলায় জসিমকে আসামি করা না হলেও মুক্তা আদালতে স্বীকার করেছেন তার স্বামীকে খুন করেছে প্রেমিক জসিম। তা ছাড়া খুনের সঙ্গে নিজেও জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। বর্তমানে মুক্তা জেলহাজতে আছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক এসআই এরশাদ আহম্মেদ বলেন, স্ত্রীর পরকীয়ায় জাহাঙ্গীরকে খুন করা হয়েছে। আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার সময় মুক্তা এ হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, জসিম নামের তার এক প্রেমিক বাসায় তার স্বামীকে হত্যা করেছে। গত ৮-৯ বছর ধরে জসিমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, সন্দেহ করা হচ্ছে এ খুনের সঙ্গে জসিমের পাশাপাশি পরিবারের কেউ জড়িত থাকতে পারে। আশিয়ান সিটিতে প্রায় ১৭ কাঠা জমি আছে মুক্তার নামে। তা ছাড়া ব্যাংকে আছে কোটি টাকা। এসব অর্থের লোভে তাকে খুন করা হয়েছে কি-না জসিমকে গ্রেফতার করা হলে তা জানা যাবে। তার মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে দেখা হচ্ছে।

আপডেট ২৫ আগষ্ট ২০১১ইং বৃহস্পতিবার

ঈশ্বরগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়া ঠেকাতে ব্যার্থ স্বামীর আত্মহত্যা
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়া সইতে না পেরে স্বামী বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ। পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কবিরভুলসোমা গ্রামের নেকবর আলীর ছেলে মঞ্জু মিয়া (২৫) মাত্র একমাস আগে বড়হিত ইউনিয়নের কাঁঠাল গ্রামের ইব্রাহীমের মেয়ে মদিনা বেগম (২৮) বিয়ে করে। বিয়ের কয়েক দিন পর স্বামী মঞ্জু মিয়া জনাতে পারে স্ত্রী মদিনার সাথে অন্য এক যুবকের পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এ ঘটনাটি মঞ্জু তার পরিবারের লোকজন জানায়। পারিবারিক ভাবে মদিনাকে পরকীয়ার সম্পর্ক পরিহার করতে বললেও সে ওই যুবকের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে। মঞ্জু মিয়া স্ত্রীর এই অবৈধ সম্পর্ক সহ্য না করতে পেরে ক্ষোভে দুঃখে সবার অজান্তে মঙ্গলবার রাতে নিজ ঘরের আড়ায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপাারে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। গত কাল বুধবার ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেছে।

আপডেট ২৪ আগষ্ট ২০১১ইং বুধবার

রায়পুরে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কঃ স্বামীকে প্রাণনাসের হুমকি
দাম্পত্য কলহের জের ধরে লক্ষীপুরের রায়পুরে ৫নং ইউনিয়নের গাছিরহাট এলাকার আবুল কাশেমের কন্যা নার্গিস বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধু গত সোমবার রাতে স্বামীর স্বর্ণ-গহনা, মোবাইল সেট চুরি করে নিয়ে যায়। দাম্পত্য কলহের কারণে নার্গিস বেগম তার পিতৃলয়ে অবস্থান করতো। তার স্বামী পৌর ৭ নং ওয়ার্ডের মুন্সী বাড়ির মোঃ দেলোয়ার বেশ কয়েকবার তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য গেলে তার স্ত্রী নার্গিস বেগম ও তার পিতা-মাতা তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে ওই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। ঘটনার পর মোঃ দেলোয়ার হোসেন রায়পুর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। থানায় ডাইরি করার সংবাদ জানার পর তার স্ত্রী এবং স্ত্রীর খালাত ভাই ফারুক তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন থেকে ফারুক হোসেনকে একাধিকবার প্রাণনাশ ও বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি প্রদান করে। ধারণা করা হচ্ছে নার্গিসের খালাতো ভাই ফারুকের সাথে কোন অনৈতিক সম্পর্কের কারণে স্ত্রীর এই চন্ডালিনী মূর্তি।

আপডেটঃ ২২ আগষ্ট ২০১১ইং সোমবার

কাপাসিয়ায় স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন, স্ত্রীসহ আটক দুই
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের বাঘুয়ার গ্রামে শ্বশুরবাড়ীতে স্ত্রীর হাতে নির্মম ভাবে খুন হয়েছেন স্বামী আলমগীর। অভিযোগে প্রকাশ গাজী পুরের একই ইউনিয়ানেনর বড়িচলা গ্রামের তাজউদ্দিনের পুত্র আলমগীর এক সপ্তাহ ধরে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলো। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিহতের শ্বাশুরী ফাতেমা বেগম ও স্ত্রী ছাবিনা সুলতানাকে আটক করেছে। আটককৃতদের দাবী আলমগীর বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে তবে নিহতের গায়ে আঘাতের চিহ্ন থাকায় ও পারিপার্শ্বিক ধারণা থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাবার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন থানা পুলিশ।

আপডেট ১৬ আগষ্ট ২০১১ইং মঙ্গলবার

সাভারে নিজ কন্যাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখল পাষন্ড মা
সাভারে দুলি বেগম (৩০) নামে এক পাষণ্ড মা তার ৯ বছরের শিশু কন্যাকে আরসি কোলার সাথে ইদুর মারার বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি গোপন করার উদ্দেশ্যে কন্যাকে বিষ খাওনোর পর দুলি বেগম তার কন্যা সন্তান রওশন আরাকে (৯) সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু, চিকিৎসকদের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে মেয়েটি ওই দিন রাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ৬ দিন অজ্ঞাতনামা হিসেবে থাকার পর অবশেষে রবিবার মেয়েটির পরিচয় জানা যায়। এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ঘাতক মা ও তার তৃতীয় স্বামীকে গ্রেফতার করে।
নিহত শিশুটির নাম রওশন আরা। ঘাতক মায়ের নাম দুলি বেগম (৩০)। গ্রেফতারকৃত দুলির তৃতীয় স্বামীর নাম ভাসান মণ্ডল (৩৫)। এ ঘটনায় দুলির দ্বিতীয় স্বামী মোঃ সাগর বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার লাউতারা বন্যা গ্রামের মৃত নওশের শিকদারের পুত্র বর্তমানে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার আঃ জলিলের বাসার ভাড়াটিয়া রিক্সাচালক সাগর (৩৫) জানান, এক দুর্ঘটনায় প্রথম স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী সোহাগী মারা যাওয়ার পর বছর তিনেক পূর্বে তিনি দুলি বেগমকে বিয়ে করেন। দুলি তার প্রথম স্বামী আঃ হালিমকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করে। হালিমের ঔরষজাত শিশুকন্যা রওশন আরা তার সঙ্গেই বসবাস করতে থাকে। বছর খানেক পূর্বে দুলি তাকে তালাক দিয়ে ভাসান ম-লকে বিয়ে করে এবং রাজফুলবাড়িয়ার রাজ্জাকের বাসায় বসবাস করতে থাকে। তবে, রওশন আরা প্রায় দিনই তার বাসায় বেড়ানোর জন্য আসত। কিন্তু, ৮ আগস্ট হতে বাসায় না আসায় সে তার খোঁজখবর নেয়। কিন্তু কোথাও রওশন আরার খোঁজ পায়নি। পরে সে জানতে পারে, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দুলাল চৌধুরী ৯/১০ বছরের অজ্ঞাতনামা কন্যা সনত্মানকে ৮ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বলিয়ারপুর বাসস্ট্যান্ড হতে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এনে ভর্তি করে। ওই দিন রাতে সে মারা যায়।
ওই অজ্ঞাতনামা মেয়েটির সাভার থানায় ছবি আছে জেনে রবিবার দুপুরে থানায় এসে ছবি দেখে রওশন আরাকে সে শনাক্ত করে। পরে বাসায় গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় দুলি ও তার তৃতীয় স্বামী ভাসানকে আটক করে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
দুলি বেগম জানায়, ঠিকমতো খাবার দিতে না পারার কারণে সে তার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে কৌশলে ইঁদুরের বিষ খাইয়েছিল। মেয়ের যাতে পরিচয় না পাওয়া যায় এজন্য তাকে অচেতন অবস্থায় বাসস্ট্যান্ডে ফেলে রেখে আসে। তবে সে জানায়, এ ঘটনার সঙ্গে তার তৃতীয় স্বামী ভাসান জড়িত নয়। ভাসান জানায়, সে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। কি কারণে দুলি তার মেয়েকে বিষ খাইয়েছে তা সে জানে না। ঠিকমতো খাবার দিতে না পারার অভিযোগ অস্বীকার করে সে বলে, গরিব হলেও রওশন আরা তার কাছে যখন যা খেতে চাইত তা সে কিনে দেয়ার চেষ্টা করত।
আপডে৪ট ১১ আগষ্ট ২০১১ইং বৃহস্পতিবার

জামালপুরে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা; স্ত্রী গ্রেফতার

জামালপুর সদর উপজেলার শিরিফপুর ইউনিয়নের রনরামপুর গ্রামে স্ত্রীর সহয়তায় হযরত আলী (৬০) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষককে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী রহিমা বেগম রেনুকে(৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার বটতলা গ্রামের মৃত অমেদ আলীর ছেলে হযরত আলী গত কয়েক বছর আগে রনরামপুর গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে এসে জমি ক্রয় করে সেখানে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নিয়ে বমবাস করে আসছিলেন। হযরত আলী ইসলামপুর উপজেলার একটি হাই স্কুলে শরীর চর্চার শিক্ষকতা শেষে অবসর নেন। তার তিন ছেলে মেয়ে রয়েছে। সন্তানদের মধ্যে ১ ছেলে ও এক মেয়ে প্রতিবন্ধি। রানামপুর শ্বশুরবাড়িতে বসবাসের সময় তার স্ত্রী রহিমা বেগম, শ্বশুর নবাব আলী ও শ্যালক মুক্তারের সাথে হযরত আলীর পেনশনের টাকা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার গভীর রাতে স্ত্রী রহিমা, শ্বশুর নবাব আলী, শ্যালক মুক্তারসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা হযরত আলীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে আহত করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে বটতলা থেকে নিহতের বোন ও আত্মীয় স্বজন রনরামপুরে ছুটে আসেন। নিহতের ছোট বোন ফুলজান বেগম অভিযোগ করেন, তার ভাইকে তার শ্বশুর ও শ্যালকরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তাছাড়া বটতলায় হযরত আলীর প্রায় দুই বিঘা সম্পত্তি রয়েছে। সেই জমি বিক্রি করে টাকা এনে দিতে বলে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। এই বিবাদের জের ধরেই এই পরিকল্পিত হত্যা কান্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আপডেট ১০ আগষ্ট ২০১১ইং বৃধবার

সিরাজগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে স্বামী খুন
সিরাজগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে আব্দুল আলিম (২৫) নামে জাতীয় জুল মিলে কর্মরত এক শ্রমিককে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সে সদর উপজেলার কালিয়া কান্দাপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলীর ছেলে।
জানা যায়, ৮ বছর আগে পার্শ্ববর্তী কালিয়া গ্রামের নায়েব আলীর মেয়ে খালেদা খাতুনের সাথে আলিমের বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ বছর পর স্ত্রীর দাবির প্রেক্ষিতে আলিম শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে থাকা শুরু করে। এক পর্যায়ে খালেদা খাতুন তার চাচাতো ভাই সোহেলের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। গত ২৯ জুলাই খালেদা তার শিশু কন্যাকে নিয়ে সোহেলের সাথে পালিয়ে যাবার পরের দিন আবারও বাড়িতে ফিরে আসে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অনুরোধে আলিম তার স্ত্রীকে মেনে নেয়। ২ দিন পর ১ আগস্ট খালেদা আবারও বাড়ি থেকে চলে গিয়ে আলিমকে তালাক দিয়ে প্রেমিক সোহেলকে বিয়ে করে। পরে সোহেলের পক্ষ থেকে আলিমকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আলিম নিরাপত্তা চেয়ে সোহেলসহ ৪/৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৬ আগস্ট সদর থানায় ডাইরী করে। ৭ আগস্ট বিকালে আলিম বাড়ি থেকে বের হলেও রাতে আর ফেরেনি। সোমবার সকালে আলিমের শ্বশুরবাড়ির পাশে আবাদি জমিতে তার লাশ দেখে।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক জানান, গতকাল সোমবার দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় আলিমের শাশুড়ি হামিদা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আলিমের করা ডাইরীতে যাদের নাম রয়েছে তাদেরকেই আসামি করে নিহতের পিতা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।
আপডেট ৩১ জুলাই ২০১১ইং রবিবার

বাগেরহাটে পরকীয়ার জেরঃ স্বামী হত্যার সহযোগি স্ত্রীর যাবজ্জীবন প্রেমিকের ফাঁসি
বাগের হাটের চিতলমারী উপজেলার চৌদ্দহাজারী গ্রামের মেজাম শেখের বড় ছেলে এসকেন্দার শেখের স্ত্রী পারভীন খাতুনের দেবর এসকেন্দার শেখের আপন ভ্রাতা মাহমুদ শেখের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ প্রেমের জের ধরে ভাবী পারভীনের সহযোগিতায় ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর মাহমুদ শেখসহ কয়েকজন মিলে সিদ কেটে ঘরে ঢুকে বড়ভাই ্এসকেন্দার শেখকে জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় এসকেন্দারের বাবা বাদী হয়ে ২৪ অক্টোবর তার ছেলে মাহমুদ শেখ ও পুত্রবধু পারভীনসহ কয়েকজনকে আসামী করে চিতলমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী পারভীনকে আটক করে। আটককৃত পারভীন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে আসামীদের নাম প্রকাশ করে। গত ২৮জুলাই বৃহ¯পতিবার বাগের হাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মোঃ রেজাউল করিম এই মামলার রায়ে ভাবীর সহযোগিতায় বড়ভাইকে হত্যা মামলায় ছোট ভাই মাহমুদ শেখের ফাঁসি এবংৃ নিহতের স্ত্রীসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ্ এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন।
আপডেট ৭ জুলাই ২০১১ ইং বৃহস্পতিবার

তুচ্ছ দাম্পত্য কলহের জের ধরে জেদি গৃহবধু ইসমত আরা (২৮) সন্তানসহ আগুনে পুড়ে আত্মহত্যা
দাম্পত্য কলহের জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার চর হোগলায় ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু ইসমত আরা ও তার সাত বছরের ছেলে ফাহিম হোসেনকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়ে আত্মহত্যা করেছে। জানা গেছে ১০ বছর আগে উপজেলার চর কিশোরগঞ্জ এলাকার ইউসুফ গাজীর মেয়ে ইসমত আরার সাথে তার ফুপাত ভাই পার্শ্ববর্তী চর হোগলা গ্রামের আলী আজগরের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ফাহিম নারেমর সাত বছরের এক ছেলে রয়েছে। ফাহিম চর হোগলার একটি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র। আলী আসগর দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে কর্মরত ছিলো। এক বছর আগে দেশে ফিরে এসে বালুর ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়। গত মঙ্গলবার রাতে আলী আজগরের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় ইসমত আরার। এর জের ধরে ইসমত আরা ঘরের ভেতর থেকে তালা মেরে ছেলে ফাহিমকে সঙ্গে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই ইসমত আরার মৃত্যু হয়। ঢাকায় নেবার পথে মারা যায় ছেলে ফাহিম। গৃহবধু ইসমত আরার বাবা ইউসুফ গাজী লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ছোটকাল থেকেই তার মেয়ে অত্যন্ত জেদী। এই জেদের বশঃবর্তী হয়েই পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আত্মহত্যা করে ইসমত আরা। এ ব্যাপারে স্বামীর বিরুদ্ধে তাহাদের কোন অভিযোগ নাই। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে

আপডেট ৬ জুলাই ২০১১ইং বুধবার।

পরকীয়ার টানে ৩৫ বছরের নাসরিন বেগম ঘর ছেড়েছেন ড্রাইভার আব্দুল আলিমের (২৬) সাথে। কিন্তু বিধি বাম; ধরা খেলেন পুলিশের হাতে।
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শহরে নবীনগর পৌরমেয়র পরেশ মিয়ার স্ত্রী তিন সন্তাননের জননী নাসরিন বেগম (৩৫) পরকীয়ার টানে তাদের নিজস্ব গাড়ির ড্রাইভার আব্দুল আলিমের (২৬) সঙ্গে স্বামীর ৩২ লাখ টাকাসহ পালিয়ে এসে প্রায় এক মাস পর ভূরুঙ্গামারী পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। জানা গেছে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের মইদাম গ্রামের মমিন মিয়ার পুত্র আব্দুল আলিম দীর্ঘদিন থেকে নবীনগর পৌরমেয়রের বাড়ির গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিল। এ অবস্থায় মেয়রের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী নাসরিন বেগমের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি তারা বিয়ে করার আশায় বাড়ি থেকে ৩২লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়। এ ঘটনায় পরেশ মিয়া বাদী হয়ে গত ১৬ জুন জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নং ৩৬। পরে জয়দেবপুরের কোনাবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে প্রেমিক যুগলের অবস্থান জানতে পেরে গত ৫ জুলাই মঙ্গলবার রাতে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের সহযোগিতায় শহরের জামতলা নামক স্থান থেকে আব্দুল আলিমকে গ্রেফতার করে।

আপডেট ৪ জুলাই ২০১১ইং সোমবার।
স্ত্রীর নির্যাতনে ঘর ছাড়তে বাধ্য হলেন ফরিদপুরের মোস্তফা বেপারীঃ

ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার আকটেরচর মোলামেরডাঙ্গি গ্রামের মোস্তফা বেপারী স্ত্রী নাসিমা আক্তারের নির্যাতনের শিকার হেয়ে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। স্বামীকে ঘর ছাড়তে বাধ্য করাই নয় তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি যৌতুকের মামলাও করেছেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মোস্তফার স্ত্রী ছেলে মেয়ে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অযুহাতে নাসিমা তার স্বামী মোস্তফার উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো। নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে মোস্তফা ঢাকায় গিয়ে ব্যাবসায় শুরু করেন। স্ত্রীর ভরনপোষন ও ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ হিসেবে তিনি প্রতি মাসে ১০,০০০/- টাকা করে স্তীর কাছে পাঠাতেন। এই টাকায় স্ত্রী নাসিমা সন্তুস্ট নয়। কিন্তু মোস্তফার পক্ষে এর বেশী অর্থ যোগান দেওয়া সম্ভব না হলে নাসিমা স্বামীর প্রতি ক্ষুব্ধ হেয় আদালতে একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। আর্জিতে তিনি উল্লেখ করেন, নাসিমার স্বামী যৌতুক লোভী মোস্তফা যৌতুকের দাবীতে তাকে বিতাড়িত করে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আশ পাশের লোকজন ও পাড়া প্রতিবেশীর মোস্তাফা কর্তৃক যৌতুক দাবী করা মিথ্যা বলে মত দিয়েছেন। প্রতিবেশীরা নাসিমা কর্তৃক স্বামী নির্যাতনের কথার সত্যতা স্বীকার করছেন। এ ব্যাপারে নাসিমা কোন কথা বলতে রাজি হন নি।
আপডেট ২ জুলাই ২০১১ ইং " পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় ৪৮ বছরের পাষণ্ড স্ত্রী দুই প্রেমিকের সহায়তায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্বামী মোশারফ হোসেন মৃধা খোকন কে (৫৭)

গত ৩০ জুন বৃহস্পতিবার রাতে পাবনা শহরের কালাচাঁদ পাড়ায় পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় ৪৮ বছরের পাষণ্ড স্ত্রী বিউটি খাতুন দুই প্রেমিক রুহুল আমিন (২৭) ও সোলায়মান (২৬) সহায়তায় স্বামী মোশারফ হোসেন মৃধা খোকন কে (৫৭) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। ৪৮ বছরের পড়ন্ত বেলায় এক সাধে দুই যুবক প্রেমিককে মনোরঞ্জন করতে পারা এবং লীলা খেলা নির্বিঘ্নে করতে এ হত্যাকান্ড এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, পাবনার দিলালপুর মহল্লার মোশারফের সঙ্গে ৩০ বছর আগে শহরের গোলাপপুর এলাকার বিউটি খানমের বিয়ে হয়। তাদের চার সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ের কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় এবং বড় ছেলে সৌদি প্রবাসী। মোশারফের ৯ বছর ধরে সৌদি প্রবাসী ছেলে বিউটি বেগমের নামে প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পাঠাতো। টাকার গরমে মা বিউটি খানম বিভিন্ন পুরম্নষের সঙ্গে অবৈধ মেলামেশায় মেতে ওঠে। এ নিয়ে স্বামী মোশারফের সঙ্গে প্রতিনিয়তই বিবাদ হতো। স্বামী বেশ কয়েকবার তালাক দিতে গেলেও পারিবারিকভাবে তা মীমাংসা করা হয়।
সম্প্রতি বিউটি খানমের সঙ্গে আটঘরিয়া উপজেলার রানী গ্রামের রুহুল আমিন (২৭) ও সোলেমানের (২৬) বেশ কিছুদিন ধরে পরকীয়া চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রাত বারোটার দিকে দুই প্রেমিক বিউটির বাড়িতে গিয়ে গোপন অভিসারে মিলিত হয়। পাশের কক্ষে মোশারফ ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীর মেলামেশা ধরে ফেলে। এ সময় স্ত্রী দুই প্রেমিককে নিয়ে স্বামী মোশারফকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে। এলাকাবাসী ঘটনাটি বুঝতে পেরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশসহ বিউটি বেগমকে গ্রেফতার করে। আটকের পর ঘাতক চন্ডালিনী স্ত্রী বিউটি খানম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী মোশারফকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে তার দুই যুবক প্রেমিক ঘটনার পর থেকে পালাতক রয়েছে। ধন্য নারী চন্ডালিনী, পড়ন্ত বয়সেও তোমার রঙ্গ ভরা অঙ্গ পোড়ায় কত পতঙ্গ।
আপডেটঃ ৩০ জুন ২০১১ইং।প্রবাসীর স্ত্রী দেড় কোটি টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের এক গৃহবধূ রতন মিয়া নামে কুমিল্লার বিয়ে পাগল এক পুরুষের হাত ধরে ঘর ছেড়েছে। সে দুই সন্তানের জননী। তার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী সাবেক সেনাসদস্য রফিকুল ইসলাম। ঘর ছেড়ে যাওয়ার সময় বকুল নিয়ে গেছে নগদ ৪০ লাখ টাকাসহ স্বর্ণালংকার। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে ৫ জুন ওই গৃহবধূ উধাও হয় রতনের সঙ্গে।
এ খবর পেয়ে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে থানায় মামলা করেছেন স্বামী রফিকুল ইসলাম। কিন্তু মামলা দায়েরের পর থেকে রতন ও তার লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য মোবাইল ফোনে রফিকুল ইসলামকে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে উল্টো রফিকুল ইসলামকেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয়-ভীতি দেখানো এবং হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে রফিকুল অভিযোগ করেছেন। তিনি আতংকে দিন পার করছেন। এ ঘটনায় স্বামী সৌদিআরব ফেরত রফিকুল ইসলাম ২৬ জুন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরা হল প্রতারক রতন মিয়া, স্ত্রী লুৎফর নাহার বকুল, রাসেদ রনি, কামরুল ওরফে ছেদা কামরুল, লিংকন।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইমাম হোসেন বলেন, রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে যে মামলা হয়েছে তার তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি মামলার প্রধান আসামি রতন মিয়া আগেও একাধিক বিয়ে করেছে। সে তেমন সুবিধার লোক না। মামলার সব আসামীকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আপডেটঃ ২৮ জুন ২০১১ইং চন্ডালিনী আর এক নারীর নৃসংশতার কাহিনী।
শ্বশুর বাড়িতে প্রবাসীকে জবাই, আটক স্ত্রীর দ্বায় স্বীকার ছবিটি প্রতিকী।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় সিংহের রূপ ধারণ করে গত ২৭ জুন সোমবার দিবাগত রাতে স্ত্রী হাফিজা খাতুন তার স্বামী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার কথিত প্রেমিকের সহযোগিতায় জাবাই করে হত্যা করেছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পৌর সদরের নন্দীবাড়ি এলাকার হেলাল উদ্দিনের (২৭) সঙ্গে আট বছর ্আগে (২০০৩ সালে) উপজেলার বাসটি ইউনিয়নের ভাবকি গ্রামের হাফিজা খাতুনের বিবাহ হয়। বছর তিনেক আগে (২০০৮ সালে) হেলাল উদ্দিন স্ত্রীকে আরও একটু সুখ সাচ্ছন্দ ও স্বচ্ছল ভাবে চলার জন্য দুবাই চলে যান। দুইবছরের উপরে বিদেশে থেকে কষ্টার্জিত অর্থ নিয়ে দেশে ফিরে শ্বশুরবাড়িতে উঠে সেখানে বসবাস শুরু করে। কিন্তু স্বামীর অবর্তমানে হাফিজা খাতুন জড়িয়ে পড়েন পরকিয়ায়। তাই নষ্ট প্রেমিকের সাথে মিলিত হবার অন্তরায় মনে করেন স্বামীকে। তাই সকল বাধা দূর করার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ জুন রাতে প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে জবাই করে হত্যা করে পথের কাটা দূর করেন। হাফিজার বাড়ির লোকজন জানান, গত সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে হাফিজার ঘর থেকে গোঙানির আওয়াজ শুনে তারা এসে বিছানায় হেলাল উদ্দিনের জবাই করা লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশে খবরদিলে পুলিশ হাফিজাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হাফিজা খাতুন তার প্রেমিকাকে দিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। হাফিজা জানান, স্বামীর অনুপস্থিতে তিনি এক ব্যক্তির সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তার স্বামী দেশে ফেরার পর এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয় এ কারণে তিনি ও তার কথিত প্রেমিক মিলে স্বামী হেলাল উদ্দিনকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তিনি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়েছিলেন। সে কারণে হেলালউদ্দিন অঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত তিনটার দিকে হাফিজার প্রেমিক তার সহযোগীদের নিয়ে আগে থেকে খুলে রাখা জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘুমন্ত হেলাল উদ্দিনকে জবাই করে হত্যা করে। হেলালের গোঙানির আওয়াজ শুনে পাশের ঘর থেকে লোকজন ছুটে আসলে দুর্বত্তরা পালিয়ে যায়। মুক্তাগাছা থানার ওসি মীর রফিকুল হক জানান তদন্তের স্বার্থে হাফিজার কথিত প্রেমিকের নাম পরিচয় প্রকাশ করছ্নে না।
আপডেট ২৬ জুন'২০১১ইং দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের এক চন্ডালী নারীর কবলে পড়ে পৃথিবীর মায়া ছেড়েছেন হাঁড়িয়ালা গ্রামের সালাহউদ্দিন।

পারকীয়া প্রেমের জের ধরে পাষন্ড স্ত্রী নির্মমভাবে স্বামীকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তার বিদেশ ফেরত স্বামীকে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ দা
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫৯
৮৭টি মন্তব্য ৭২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×