বিশেষজ্ঞদের মতে ভূমিকম্পের সময় ধৈর্য্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। তাদের মতে ভূমিকম্পের সময় বহুতল ভবন হলে নামার সময় কিছুতেই হুড়োহুড়ি করা উচিত নয়। ঐ সময় দৌড়াদৌড়ি করে লাভ হবে না। দুঃখের বিষয় ভূমিকম্প অনুভূত হলে যা করণীয় তা বেশির ভাগ লোকই জানে না। যারা জানেন তারাও ঐ সময় তা করেন না।
ভূমিকম্পের সময় প্রথম কাজ বিদ্যুত্ ও গ্যাস লাইন বন্ধ রাখা, ১৯৯৫ সালে জাপানের শিল্পনগরী কোবে ভূমিকম্পে বেশির ভাগ লোক মারা যায় অগ্নিকাণ্ডে। সে সময় বিদ্যুত্ ও গ্যাস থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল বলে বিশেষজ্ঞগণ জানিয়েছেন। এ কারণে ভূমিকম্প অনুভূত হলে বৈদ্যুতিক ও গ্যাস লাইন তাত্ক্ষণিক বন্ধ রাখা অতি জরুরি কাজ বলে জানান বিশেষজ্ঞগণ।
বাসা কিংবা ঘরের যেখানে শক্ত পিলার আছে এর কাছে অবস্থান নেয়া অথবা শক্ত কাঠের ছয় পায়া যুক্ত চৌকির নিচে আশ্রয় নেয়া। তবে খাটের নীচে অবস্থান নেয়া নিরাপদ নয়। অবশ্য কাঠের তৈরি শক্ত ডাইনিং টেবিলের নীচে আশ্রয় নেয়া যেতে পারে। কোনমতেই লিফট ও এলিভেটর ব্যবহার করা যাবে না। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় যাদের বাসায় বড় বড় ফার্নিচার ও আলমারি ভারি টেবিল কিংবা বুকশেল্ফ রয়েছে তা দেয়ালের সঙ্গে শক্ত করে সংযুক্ত করে রাখতে হবে। কেননা বিগত দিনে ভবন ধসে বেশির ভাগ লোক আলমারি ও বড় বড় ফার্নিচারের নিচে চাপা পড়ে মারা যাওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন উদ্ধারকারী দল।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘরে সবসময় টর্চ ও চার্জার লাইট, শুকনা খাবার ও বোতলে পানি ভর্তি করে রাখতে হবে। রাজধানীর অনেক ভবনে একটি মাত্র সিঁড়ি থাকে। এমন ভবনের বাসিন্দাদের প্রত্যেকের বাসার দরজার সঙ্গে অটোস্কাপ কিংবা মোটা রশি গিট দিয়ে লম্বা করে রেখে দেয়া উচিত। কেননা বহুতল ভবন যখন হেলে পড়ে, তখন সিঁড়ি পথ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা যেতে পারে। তাদের কাজ হবে এলাকার ভূমিকম্পমুক্ত স্থানে কোদাল, শাবল ও বড় বড় হাতুড়িসহ উদ্ধারের কাজে ব্যবহূত জিনিসপত্র প্রস্তুত রাখা। পাশাপাশি তারা এলাকায় ভূমিকম্পমুক্ত স্থান সনাক্ত করে রাখবে। যাতে ভূমিকম্প অনুভূত হলে বাসিন্দাদের নিরাপদে উক্ত স্থানে নিয়ে জড়ো করে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস সদর দফতর সূত্রে এই সকল তথ্য জানা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




