শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময়ে গ্রামীণফোনের সর্বনিম্ন কলরেট কী জন স্বার্থে ? নাকি কিছু মানুষকে শুক্রবারের জুম্মার নামাজ পড়ায় নিরুৎসাহিত করছে গ্রামীণফোন? গ্রামীণফোন গণমানুষের ফোন না হয়ে নাম দিয়েছে হারামীর ফোন। সুতরাং যথা সম্ভব দূরে থাকুন।
বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হলেও জনসংখ্যার দিক দিযে মুসলিম ধর্মের লোক সংখ্যা ৮৩.৩%। আর মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে সপ্তাহের শেষ দিন অর্থাৎ শুক্রবারটি অন্যান্য দিনের তুলনায় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে মুসলমানদের জন্য। কথায় বলে শুক্রবার দিনটি হলো গরীব মুসলমানদের হজ্বের দিন। এই দিনে যে সকল মুসলমান দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ নাও পড়েন তারাও শুক্রবারের জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। শিশু থেকে তরুন-যুবা বৃদ্ধ নির্বিশেষে অধিকাংশ মুসলমান হাজির হন মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য। আর এর জন্য জুম্মার নামাজের আযান দেবার পর থেকেই প্রস্তুতি নিতে থাকেন। অথচ
প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজের আজান প্রচারিত হবার সাথে সাথে অর্থাৎ ১২:৩০ মিনিট থেকে পর্যায় ক্রমে গ্রামীণফোন তাদের কল রেট সর্ব নিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসেন। ফলশ্রুতিতে কিছু সুবিধাবাদী মুসলমান মসজিদে আসার পরিবর্তে গ্রামীণফোনে কথা বলতে বেশী আগ্রহী হন। গ্রামীণফোন কোন এক বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ১২:৩০ মিনিট থেকে দুপার ২;০০ মিনিন পর্যন্ত ১:৫০ পয়সা মিনিটের ট্যারিফ ০.৬০ পয়সা থেকে পর্যায়ক্রমে সর্বনিম্ন পর্যায় অর্থাৎ ০,২৫ পয়সায় নামিয়ে আনে। আর এই সুযোগটি ব্যবহার করার জন্য অনেকে শুক্রবারের নামাজকে পরিহার করে কথা বলার কাজে ব্যবহার করে। যার কারণে শুক্রবারের নামাজ পড়ায় নিরুৎসাহিত হযে পড়ছেন অনেকে। যদিও গ্রামীণফোন রাত ১২:৩০ মিনিট থেকে সকাল ০:৭টা পর্যন্ত এই সুযোগ দিয়ে যুবক যুবতীদের ঘুমের ব্যাঘাৎ ঘটিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। অনেকে হয়তো বলবেন যারা প্রকৃত নামাজী তারা এই লোভে পাঁ দিবেন না, এবং নামাজ ছেড়েও দিবেনা। এটা সত্যি তাবে আমি তাদের কথা বলছি না, বলছি তাদের কথা যারা বিনা পয়সার খিচুরির জন্য নামাজ ছেড়ে দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না। শুক্রবার নামাজের পরে খিচুরি বিতরণের ব্যবস্থা থাকলে অনেকেই শুধু ফরজ ২ রাকাত নামাজ পড়েই লাইনে দাড়ান খিচুরির জন্য। অথচ ৪ রাকাত বাদাল জুম্মা পড়া ওয়াজিব।
গ্রামীণফোনের এই সর্ব নিম্ন কলরেটের ফাঁদে ফেলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে তেমনি শুক্রবার মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র দিনে বিশেষ সময়ে সর্বনিম্ন কল রেটের সুযোগ দিয়ে ধর্মীয় উপাসনা থেকে বিরত রাখছে কতিপয় যুবক ও তরুনদের যাতে করে তারা নষ্ট করছে তাদের ধর্মীয় স্বাস্থ্য। যদি শুক্রবারের মতো পবিত্র দিনে গ্রামীনফোন সর্ব নিম্ন কল রেটের সুযোগ দিয়ে নেকী হাসেলের মহতী উদ্দ্যোগ নিতে চান তা হলে তারা শুকৃবারের জুম্মার নামাজ পড়ার শেষে অর্থৎ বিকাল ২:০০ থেকে ৫:০০ পর্যন্ত যে কোন সময়ে এক ঘন্টা এই শুযোগ দিতে পারে। তাতে করে তাদের উদ্দেশ্য সাধিত হবে এবং অন্য দিকে তরুন যুবাদের নামাজ পড়ায় বিঘ্ন না ঘটাবার জন্যও সওয়াব হাসিল করতে পারে। আর তখনই গ্রামীণ ফোন হবে আমার ফোন এবং সবাই এর কাছাকাছি থাকবে। তা না হলে গ্রামীণফোনকে সবাই বলবে হারামীর ফোন আর থাকতে বলবে দূরে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




