পৃথিবী এখন অনেক এগিয়ে গেছে। মানুষ এখন ঘরে বসেই অনেক কিছুই করতে পারছে। অর্থ উপার্জন থেকে শুরু করে বাজার করা, সবই আজ সম্ভব ঘরে বসেই। কিন্তু এই অগ্রগামীতার গায়ে কি কোনই কালীমা লেপন হয় নাই? আমরা এখনও কুসংস্কারাচ্ছন্ন। আমরা এখনও ধর্মীয় গোঁড়ামিতে আচ্ছন্ন। আমরা জা হানাহানিতে লিপ্ত। জঙ্গিবাদ আমাদের কুরে কুরে খাচ্ছে। প্রতিদিন রক্তপাত হচ্ছে, এই জঙ্গিবাদের জন্য। কোন নারী ঘরের কোনায় বসে চোখের জল ফেলছে, তার স্বামীর ধর্মীয় গোঁড়ামির জন্য।
যারা আজ ধর্মের নামে অস্ত্র নিয়ে সুন্দর এ পৃথিবীতে অশান্তির বন্যা বইয়ে দিচ্ছে, আমি তাদের কাছে জানতে চাই, কোন ধর্মগ্রন্থে আছে, এভাবে রক্তপাতের কথা? আমরা অনেকেই বলে থাকি, হিন্দু উগ্রবাদী কিংবা মুসলিম উগ্রপন্থি। এই কথার সাথে আমি দ্বিমত পোষণ করতে চাই। উগ্রবাদীদের কোন ধর্ম নেই। কেননা, কোন ধর্মই উগ্রবাদীতা সমর্থন করে না। বরং বলা যেতে পারে, তারা কোন একটি ধর্মের আবরণে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছে কোন বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে কোন বিশেষ সুবিধা আদায় করতে।
ইসলামে পর্দা ফরজ করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ কি এটা, জে নারীদেরকে ঘরের ভিতরে বন্দি করে রাখা? পর্দার দোহাই দিয়ে তদের শিক্ষা অর্জনে বাধা প্রদান করা, এটা ইসলাম এর কথা বলা আছে? বরং শিক্ষা অর্জনকে ফরজ করা হয়েছে। এজন্য চীন দেশে যেতে হলে সেখানেও যেতে বলা হয়েছে। নারীদের সুচিকিৎসায় বাধা প্রদান করা হয় এই পর্দার দোহাই দিয়ে। এটা যে কোন ধরনের বর্বরতাকে হার মানায়। ছেলে ডাক্তার এর কাছে চিকিৎসা নিতে বারন করা এবং মেয়েদেরকে পড়াশোনা করতে না দেয়া, আচ্ছা, আপনি যদি আপনার মেয়ে বা স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে নাই দেন, তাহলে চিকিৎসার সময়ে কেন মেয়ে ডাক্তার খুজে বেড়ান? আপনাদের জন্য আমার কাছে কেবলমাত্র একটি শব্দই আছে, আর তা হল, জালিম।
খুব জানতে ইচ্ছে করে, কোন ধর্মে আদেশ দেয়া হয়েছে, মসজিদে হামলা করতে? কেও কি দেখাতে পারবেন, কোন কিতাবে আছে, মন্দিরের প্রতিমা ভাংতে? বরং আমিত এটাই জানি, ইসলাম ধর্মে আদেশ দেয়া হয়েছে, অন্য সকল ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে।
কিছু জঙ্গিবাদী নরপশু নিজেদেরকে মুসলিম দাবী করে দেখেই যে ইসলাম ধর্ম উগ্রবাদীদের ধর্ম, এমনটা নয়। এখানে দোষী ঐ সামান্য কিছু নরপশু। বরং ইসলাম ধর্ম শান্তির বাণীই বোহোণ করে। ধনী গরীব সবার জন্যই। নর ও নাড়ীর জন্যও।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯