ব্লগার তীরন্দাজের লেখাগুলো পড়লাম কিছুক্ষন আগে। সেই থেকে কিছু জিনিস মাথায় ঘুরছে।
বর্তমান সরকারেরর অনেক ভাল কাজকে অন্য সবার মত আমিও স্বাগত জানাই। কিন্তু সেই ভাল কাজগুলো বিশ্লেষন করতে গিয়ে কিছু ব্যাপার বেরিয়ে এসেছে।
কিছু ব্যাপার নিয়ে খুব খটকা লাগছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বংগবন্ধু কে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু সে ব্যাপারে কোন উদ্যোগ এখন পর্যন্ত লক্ষ করা যায়নি। যদি বংগবন্ধু কে সরকারীভাবে স্বীকৃতি দেয়া যায়, তবে অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করাও সম্ভব ছিল। সে ব্যাপারে বর্তমান সরকারের কেউ একটি কথাও বলেননি কেন?
মিডিয়াতে যতবারই জামাত নিয়ে কোন প্রসংগ এসেছে, মইনুল-মতিন, দুজনেই জামাতের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। কেন?
সরকার সব দিক দিয়ে নিয়মের বাহার দেখান, কিন্তু একই দোষে দো্ষী মুজাহিদি দেশের বাইরে যেতে পারলেও শেখ হাসিনাকে কেন যেতে দেয়া হয় না?
আরো হাজারও উদাহরণ নিয়ে আসা যায়, যাতে বর্তমান সরকারের জামাতপ্রেম পরিস্কার হয়। আরো একটি ব্যাপার পরিস্কার হয়- স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জামাত বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ভাল আছে।এখন তাদের হাতে সরকার। আর এই সরকার আগের সরকারগুলোর চেয়ে কড়া। যেকোন ভাবে জনগনের আন্দোলন বা মতামতকে দমন করার মত শক্তি তাদের কাছে আছে এবং তারা তা করেও দেখিয়েছে।
যখনই কাদের সিদ্দীকী স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি করার উপর নিষেধাজ্ঞা চাইলেন, তার পরদিন থেকেই একটি ফালতু কার্টুন নিয়ে চিতকার চেচামেচি শুরু হল, চাপা পড়ে গেল তার সেই প্রস্তাব।
একটি ব্যাপার লক্ষ করুন, শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরানোর ব্যাপারে অনেকেই সোচ্চার, সরকারও পরোক্ষভাবে তা সমর্থন করছে। কিন্তু কোন ভাবেই কিন্তু নিজামী, মুজাহিদীদের রাজনীতি থেকে সরানোর কথা আসছে না।সব রাজনীতিক দলই কিছুটা ক্ষতি এবং পরিবর্তনের সন্মুখীন হলেও জামাত আছে বহাল তবিয়তে। একমাত্র তাদের গায়েই কোন আঁচর লাগেনি।
গত সরকারের সময় জামাত যখন সংগঠিত হচ্ছিল, বুকের ভিতর একটি বিশ্বাস ছিল - জামাত এককভাবে এদেশে কখনও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এদেশের জনগনই তাদের প্রতিহত করবে। কিন্তু আজ চোখের সামনে যা দেখছি তাতে যেন সব অন্ধকার মনে হচ্ছে। কারন, তারা আস্তে আস্তে অনেক দূর এগিয়েছে। ভয় হচ্ছে তবে কি এই সবকিছু তাদেরই প্রি-প্ল্যানড?তীরন্দাজের লেখা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




