somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে ধর্ম।।আসুন জেনে নিই, কোরআন কতটুকু অ-পরিবর্তিত রয়েছে।(পর্ব দুই)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পবিত্র কোরান শরীফ আরবী হতে বাংলা অনুবাদ করতে প্রায় ৫০% বিকৃত হয়েছে এবং মুল অর্থে ১০০%ই বিকৃত হয়েছে।এর কারন যারা কোরানের অনুবাদ করেছেন তারা আভিধানিক অর্থে কোরানের অনুবাদ করেছেন।

কিন্তু কোরান নাজিল হয়েছে সাংকেতিক শব্দে,যার মর্মার্থ অনুবাদ কারীদের ধারনাতেই নাই।এর ধারনা রাসুল আলি কে শিক্ষা দিয়ে প্রচলিত কোরআনের মধ্যে নিজেই ঘোষনা দিয়েছিলেন,আনা মাদিনাতু এলম ওয়া আলিউন বাবুহা।যার অর্থ আমি জ্ঞানের শহর আলি তার দরজা। (বর্তমানে কোরআন থেকে সে আয়াটি সরিয়ে দিয়েছ) অর্থ্যাত এই জ্ঞান ভান্ডারে প্রবেশ করতে হলে আলি এর মাধ্যমেই পবেশ করতে হবে।ইহা ব্যাতীত শুধু আভিধানিক অর্থে কোরানের মর্মার্থ বোঝা সম্ভব নয়। আর যারা কোরানর অনুবাদ করেছে তারা আলিকে পাত্তাই দেয়নি।তাই তারা সাংকেতিক শব্দের মর্মার্থ না বুঝে অনুবাদ করতে গিয়ে মূল বিষয়কে হারিয়ে ফেলেছে।এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থাকে উল্টো করে ফেলেছে।এখন জানা দরকার সাংকেতিক শব্দ কি।

সাংকেতিক শব্দ:প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টেরই নিজস্ব সাংকেতিক ভাষা আছে,পুলিশ,বিডিআর,চোর ডাকাত হকার,মাদকসেবী,মাদকব্যাবসায়ী এমন কি কণ্ঠ শিল্পী ও চিত্র শিল্পীরাও নিজস্ব আলাদা আলাদা সাংকেতিক শব্দের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে।আমার পরিচিত একটি ডিপার্টমেন্টের ব্যাবহৃত সাংকেতিক শব্দগুলি আমি জানি।যা আপনাদের অবগতির জন্য উপাস্থপন করছি।তারা-

খাবারকে-খিটনি, সুন্দরকে-হারক, খারাপকে-বিলা, টাকাকে-চতি, ১০কে-দয়লা, ৫০কে-হাফগজ, ১০০কে-গজ, ১০০০কে-থান, নারীকে-বাচকি, পুরুষকে-বাইচকা, দেহব্যাবসায়ীকে-বিলাবাচকি, ক্ষুধালাগাকে-খিটনিবিলা, কথাবলাকে-সোল, জিজ্ঞাসাকে-সোলাও, মদকে-কিটা, গাজাকে-ঝুপশি বলে থাকে।এখন এই ডিপার্টমেন্টের একজন একটা চিরকুট একজনের হাতে দিয়ে বলল এই চিরকুটটা অমুকের কাছে পৌছে দিবে।চিরকুটের লেখাটি এরুপ।

চিরকুটটি পাওয়া মাত্র শফিকের নিকট হতে দয়লা থান চতি নিয়ে হারক দেখে একটা বিলাবাচকি, দুইটা কিটা, একগজ চতির ঝুপশি, আর চার জনের জন্য খিটনি নিয়ে আসবি।আমি কিন্তু খিটনি বিলা হয়ে বসে আছি।আর অবশ্যই বিলা বাচকি কত চতি চাই সোলায়ে নিবি।

এখন বলুন,ভাষার উপরে ডক্টরেট নিয়ে আসলেও কি এই চিরকুটের মর্মকথা আভিধানিক অর্থে অনুবাদ করে জানতে পারবে?তদ্রুপ এই কোরান ও আভিধানিক অর্থে অনুবাদ করে মর্মকথা অনুধাবন করা সম্ভব নয়।কেন না রাসুল খলিফাদের মধ্যে একমাত্র আলিকেই সাংকেতিক শব্দ শিখিয়ে নিজেই ঘোষনা দিয়েছিলেন,আনা মাদীনাতু এলমে ওয়া আলিউন বাবুহা।অর্থ-আমি জ্ঞানের শহর আলি তার দরজা।অর্থাত রাসুলের রেখে যাওয়া জ্ঞান ভান্ডে প্রবেশ করতে হলে আলির মাধ্যম দিয়েই যেতে হবে।তা না হলে বোঝা সম্ভব নয়।আর এই সাংকেতিক শব্দ রাসুল শিখিয়েছেন আলিকে,আলি হাসানকে, হাসান হোসেনকে এভাবে ধাপে ধাপে আসতে আসতে বর্তমানে একচল্লিশতম ধাপে দাড়িয়েছে।এরা হলেন খেলাফত প্রাপ্ত পির বা মুর্ষীদ।তাই কোরান বুঝতে বা জানতে হলে বা কোরানের আইন বাস্তবায়ন করতে হলে একজন মুর্ষীদের কাছে তালিম নিতে হবে।ইহা ছাড়া প্রচলিত কোরআন জানা সম্ভব নয়।

কোরআনের অনুবাদ তো বিকৃত করেছেই,বিকৃত করেছে আয়াত সংখ্যারও।কোরানের কোথায় কি বিকৃত করেছে,ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করবো।শীয়া সম্প্রদায় দাবি করে শুরুতে কোরানের আয়াত সংখ্যা ছিল ১৭০০০,এবং কোরানের মধ্যে বেলায়েত নামে একটি সুরা ছিল।

যে সুরাই হযরত আলি,ফাতিমা ও হাসান,হোসেনের গুরুত্ব বিষয়ে লিখিত ছিল।কিন্তু ইমাম বংশ ধংসকারী মীর- মোশাররফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধুর ভাষায় কাফের আর সুন্নিদের ভাষায় তাদের কি বলে,দয়া করে নিজেরা একটু জেনে নেয়ার চেষ্টা করুন।তারা কোরান থেকে সেগুলি সরিয়ে ফেলেন।এবং কোরানের আয়াত সংখ্যা ৬৬৬৬ টি নির্ধারণ করেন।কালে কালে কমতে কমতে ৬৬৬৬ থেকে এ পর্যন্ত কোরানের আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬ এ দাড়িয়েছে।কমেছে ৪৩০ টি আয়াত।এটা কি কোরানের বিকৃতি নয়?মন্তব্য করবেন।আগামীতে আরও কত কমে তা পরবর্তীরা দেখে যেতে পারবে। ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত অধ্যক্ষ আলি হায়দার চৌধুরীর বাংলায় অনুবাদ কৃত কোরানে সুরা আনামের আয়াত সংখ্যা ছিল ১৬৬ টি,কিন্তু বর্তমান কোরান শরিফে সুরা আনামের আয়াত সংখ্যা ১৬৫ টি এটা কোরানের বিকৃতী কি না আপনারা মন্তব্য করবেন। এ পর্যন্ত যত কোরান দেখেছি তাতে সুরা ফাতিহার আয়াত সংখ্যা ৭ এবং বিসমিল্লাহির রাহমানুর রহিম সুরা ফাতিহার আয়াত নয়।কিন্তু বর্তমান অনুবাদিত দুটি কোরানের অনুবাদে দেখলাম তারা সুরা ফাতিহার আয়াত সংখ্যা লিখেছে ৭ এবং বিসমিল্লাহির রাহমানুর রহিম কে তারা সুরা ফাতিহার প্রথম আয়াত লিখেছে, ৬ ও ৭ নং আয়াতকে একত্রিত করে ৭ম আয়াত করেছে।প্রমান স্বরুপ অনুবাদ কৃত সুরা ফাতিহা হুবহু উঠিয়ে দিলাম।

সুরা-ফাতিহা। মক্কাবতীর্ন। রুকু-১=আয়াতঃ৭

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ ০১
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ০২
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা' আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

الرَّحْمـنِ الرَّحِيمِ ০৩
যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।

مَـالِكِ يَوْمِ الدِّينِ ০৪
যিনি বিচার দিনের মালিক।

إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ০৫
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ ০৬
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,

صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ ০৭
সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

কিন্তু আপনারা যারা এই লেখা পড়বেন, তারা মন্তব্য করবেন এটা কোরানের বিকৃতি কি না।যদি বিকৃতি হয়ে থাকে আমাদের কি করা উচিৎ। মন্তব্য করবেন।হাসিনা সরকারের নারী নিতিমালা প্রকাশের পর যারা আন্দোলন করলেন তারাও এ বিষয়ে চুপ কেন।জানতে চাই।

সত্য সহায়। গুরুজী।।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই সত্য ও শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন।

আর- যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্ব অ-শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই অ-সত্য ও অ-শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন। সেরু পাগলার বাণী।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩০
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×