পবিত্র কোরান শরীফ আরবী হতে বাংলা অনুবাদ করতে প্রায় ৫০% বিকৃত হয়েছে এবং মুল অর্থে ১০০%ই বিকৃত হয়েছে।এর কারন যারা কোরানের অনুবাদ করেছেন তারা আভিধানিক অর্থে কোরানের অনুবাদ করেছেন।
কিন্তু কোরান নাজিল হয়েছে সাংকেতিক শব্দে,যার মর্মার্থ অনুবাদ কারীদের ধারনাতেই নাই।এর ধারনা রাসুল আলি কে শিক্ষা দিয়ে প্রচলিত কোরআনের মধ্যে নিজেই ঘোষনা দিয়েছিলেন,আনা মাদিনাতু এলম ওয়া আলিউন বাবুহা।যার অর্থ আমি জ্ঞানের শহর আলি তার দরজা। (বর্তমানে কোরআন থেকে সে আয়াটি সরিয়ে দিয়েছ) অর্থ্যাত এই জ্ঞান ভান্ডারে প্রবেশ করতে হলে আলি এর মাধ্যমেই পবেশ করতে হবে।ইহা ব্যাতীত শুধু আভিধানিক অর্থে কোরানের মর্মার্থ বোঝা সম্ভব নয়। আর যারা কোরানর অনুবাদ করেছে তারা আলিকে পাত্তাই দেয়নি।তাই তারা সাংকেতিক শব্দের মর্মার্থ না বুঝে অনুবাদ করতে গিয়ে মূল বিষয়কে হারিয়ে ফেলেছে।এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থাকে উল্টো করে ফেলেছে।এখন জানা দরকার সাংকেতিক শব্দ কি।
সাংকেতিক শব্দ:প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টেরই নিজস্ব সাংকেতিক ভাষা আছে,পুলিশ,বিডিআর,চোর ডাকাত হকার,মাদকসেবী,মাদকব্যাবসায়ী এমন কি কণ্ঠ শিল্পী ও চিত্র শিল্পীরাও নিজস্ব আলাদা আলাদা সাংকেতিক শব্দের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে।আমার পরিচিত একটি ডিপার্টমেন্টের ব্যাবহৃত সাংকেতিক শব্দগুলি আমি জানি।যা আপনাদের অবগতির জন্য উপাস্থপন করছি।তারা-
খাবারকে-খিটনি, সুন্দরকে-হারক, খারাপকে-বিলা, টাকাকে-চতি, ১০কে-দয়লা, ৫০কে-হাফগজ, ১০০কে-গজ, ১০০০কে-থান, নারীকে-বাচকি, পুরুষকে-বাইচকা, দেহব্যাবসায়ীকে-বিলাবাচকি, ক্ষুধালাগাকে-খিটনিবিলা, কথাবলাকে-সোল, জিজ্ঞাসাকে-সোলাও, মদকে-কিটা, গাজাকে-ঝুপশি বলে থাকে।এখন এই ডিপার্টমেন্টের একজন একটা চিরকুট একজনের হাতে দিয়ে বলল এই চিরকুটটা অমুকের কাছে পৌছে দিবে।চিরকুটের লেখাটি এরুপ।
চিরকুটটি পাওয়া মাত্র শফিকের নিকট হতে দয়লা থান চতি নিয়ে হারক দেখে একটা বিলাবাচকি, দুইটা কিটা, একগজ চতির ঝুপশি, আর চার জনের জন্য খিটনি নিয়ে আসবি।আমি কিন্তু খিটনি বিলা হয়ে বসে আছি।আর অবশ্যই বিলা বাচকি কত চতি চাই সোলায়ে নিবি।
এখন বলুন,ভাষার উপরে ডক্টরেট নিয়ে আসলেও কি এই চিরকুটের মর্মকথা আভিধানিক অর্থে অনুবাদ করে জানতে পারবে?তদ্রুপ এই কোরান ও আভিধানিক অর্থে অনুবাদ করে মর্মকথা অনুধাবন করা সম্ভব নয়।কেন না রাসুল খলিফাদের মধ্যে একমাত্র আলিকেই সাংকেতিক শব্দ শিখিয়ে নিজেই ঘোষনা দিয়েছিলেন,আনা মাদীনাতু এলমে ওয়া আলিউন বাবুহা।অর্থ-আমি জ্ঞানের শহর আলি তার দরজা।অর্থাত রাসুলের রেখে যাওয়া জ্ঞান ভান্ডে প্রবেশ করতে হলে আলির মাধ্যম দিয়েই যেতে হবে।তা না হলে বোঝা সম্ভব নয়।আর এই সাংকেতিক শব্দ রাসুল শিখিয়েছেন আলিকে,আলি হাসানকে, হাসান হোসেনকে এভাবে ধাপে ধাপে আসতে আসতে বর্তমানে একচল্লিশতম ধাপে দাড়িয়েছে।এরা হলেন খেলাফত প্রাপ্ত পির বা মুর্ষীদ।তাই কোরান বুঝতে বা জানতে হলে বা কোরানের আইন বাস্তবায়ন করতে হলে একজন মুর্ষীদের কাছে তালিম নিতে হবে।ইহা ছাড়া প্রচলিত কোরআন জানা সম্ভব নয়।
কোরআনের অনুবাদ তো বিকৃত করেছেই,বিকৃত করেছে আয়াত সংখ্যারও।কোরানের কোথায় কি বিকৃত করেছে,ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করবো।শীয়া সম্প্রদায় দাবি করে শুরুতে কোরানের আয়াত সংখ্যা ছিল ১৭০০০,এবং কোরানের মধ্যে বেলায়েত নামে একটি সুরা ছিল।
যে সুরাই হযরত আলি,ফাতিমা ও হাসান,হোসেনের গুরুত্ব বিষয়ে লিখিত ছিল।কিন্তু ইমাম বংশ ধংসকারী মীর- মোশাররফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধুর ভাষায় কাফের আর সুন্নিদের ভাষায় তাদের কি বলে,দয়া করে নিজেরা একটু জেনে নেয়ার চেষ্টা করুন।তারা কোরান থেকে সেগুলি সরিয়ে ফেলেন।এবং কোরানের আয়াত সংখ্যা ৬৬৬৬ টি নির্ধারণ করেন।কালে কালে কমতে কমতে ৬৬৬৬ থেকে এ পর্যন্ত কোরানের আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬ এ দাড়িয়েছে।কমেছে ৪৩০ টি আয়াত।এটা কি কোরানের বিকৃতি নয়?মন্তব্য করবেন।আগামীতে আরও কত কমে তা পরবর্তীরা দেখে যেতে পারবে। ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত অধ্যক্ষ আলি হায়দার চৌধুরীর বাংলায় অনুবাদ কৃত কোরানে সুরা আনামের আয়াত সংখ্যা ছিল ১৬৬ টি,কিন্তু বর্তমান কোরান শরিফে সুরা আনামের আয়াত সংখ্যা ১৬৫ টি এটা কোরানের বিকৃতী কি না আপনারা মন্তব্য করবেন। এ পর্যন্ত যত কোরান দেখেছি তাতে সুরা ফাতিহার আয়াত সংখ্যা ৭ এবং বিসমিল্লাহির রাহমানুর রহিম সুরা ফাতিহার আয়াত নয়।কিন্তু বর্তমান অনুবাদিত দুটি কোরানের অনুবাদে দেখলাম তারা সুরা ফাতিহার আয়াত সংখ্যা লিখেছে ৭ এবং বিসমিল্লাহির রাহমানুর রহিম কে তারা সুরা ফাতিহার প্রথম আয়াত লিখেছে, ৬ ও ৭ নং আয়াতকে একত্রিত করে ৭ম আয়াত করেছে।প্রমান স্বরুপ অনুবাদ কৃত সুরা ফাতিহা হুবহু উঠিয়ে দিলাম।
সুরা-ফাতিহা। মক্কাবতীর্ন। রুকু-১=আয়াতঃ৭
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ ০১
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ০২
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা' আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
الرَّحْمـنِ الرَّحِيمِ ০৩
যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
مَـالِكِ يَوْمِ الدِّينِ ০৪
যিনি বিচার দিনের মালিক।
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ০৫
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ ০৬
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ ০৭
সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
কিন্তু আপনারা যারা এই লেখা পড়বেন, তারা মন্তব্য করবেন এটা কোরানের বিকৃতি কি না।যদি বিকৃতি হয়ে থাকে আমাদের কি করা উচিৎ। মন্তব্য করবেন।হাসিনা সরকারের নারী নিতিমালা প্রকাশের পর যারা আন্দোলন করলেন তারাও এ বিষয়ে চুপ কেন।জানতে চাই।
সত্য সহায়। গুরুজী।।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই সত্য ও শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন।
আর- যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্ব অ-শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই অ-সত্য ও অ-শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন। সেরু পাগলার বাণী।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩০