somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কাব্যপ্রেমী রিফাত
মায়াবতী বেঁচে থাকবে আমার গল্পে, গল্পেই তার জন্ম, গল্পেই তার অস্তিত্ব আর আমার অস্তিত্ব মায়াবতীর কল্পনায়...... অসাধারন কল্পনা থেকে বাস্তবতায় সাধারন বেশে হেঁটে হেঁটে পৃথিবীর ধূলিকণা খাই...

পরকীয়া এবং অতঃপর

২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তুমি রোজ এত রাত করে ফেরো কেন? অফিস তো সেই সন্ধ্যা সাড়ে চারটায় শেষ হয়।

ইদানীং লোপার কথায় নীল বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করে না।
ঠাশ করে ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ করে দেয়।
এটা প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গেছে।
খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে কোন কথা হয় না দু সপ্তাহ ধরে।

দুই বছর হল তাদের বিয়ে হয়েছে।
লোপার বাবার বাড়ির লোকজন অতিরিক্ত সংরক্ষণশীল।তারা মেয়ের ব্যাপারে খোঁজ নেয় না।তাই লোপার দুর্বলতাটা নীল কাজে লাগিয়েছে।দুর্বলতা হলো ভালোবাসার অন্ধ বিশ্বাস !

লোপা আর নীল কলেজ থেকে একসাথে পড়ে ।একই ভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশান করেছে।দীর্ঘ একটা সময়ে লোপা নীলকে এতটাই ভালোবাসতো যে নীলের বড় বড় অপরাধ গুলো বিনাবাক্যে ক্ষমা করে দিতো চুপচাপ।

বন্ধুসমাজে মহত্‍ প্রেমিকা বলে পরিচিতি পেয়েও গিয়েছিলো ।

নীলের আগে লোপাই চাকরী অফার পায় ।কিন্তু নীলের বাঁধার মুখে করতে পারে না।
এ সময়টাতে দুজনের মাঝে দুরত্ব বেড়ে যায়।
সে সময় নীল অন্য একটা মেয়ের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছিলো ।
কিন্তু
হঠ্যাত্‍ করেই পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়ে যায় ।

লোপা স্বপ্ন সাজিয়ে ফেলে । কিন্তু নীল বদলে যায়।সময় দিতে চায় না নিজের স্ত্রীকে। আড্ডা দেয় বাইরে।বন্ধুদের সাথে ট্যুরে যায় ।
লোপা কিচ্ছু বলতো না।

কিন্তু দু সপ্তাহ আগে ছিল ভ্যালেন্টাইন ডে । লোপা সেজে বসে ছিলো যে অফিস থেকে নীল আসলে বেরুবে।নীলের সম্মতিতে প্লানও করাই ছিলো ।

কিন্তু অফিসের কাজের চাপের কথা বলে নীল এড়িয়ে যায় । বের হয় বান্ধবীর সাথে। মেলায় গিয়ে দেখা হয় নীলের কলিগের সাথে ।
কলিগই বলে ওঠেঃ
ওমা একা যে ! ফুল কিনতে গেছে নাকি । আজ তো তিনটাতে ছুটি নিয়েছে ।

লোপার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে যেন ।
খোঁজ নিয়ে জানতে পারে পরকীয়ার কথা।
সেই মেয়েটা সব জেনেও নীলের সাথে সম্পর্ক রেখেছে ।

লোপা খোঁজ নিয়ে মেয়েটার আইডি পায় । কিন্তু লোপাকে ব্লক দেয়া । অন্য একটা আইডি দিয়ে ঢুকে অবাক ।
লোপার পাশে হাসোজ্জ্বল নীল চিনতে সময় লাগে না ।
জড়িয়ে ছবি তোলা । একটা না অনেক । ডিনার থেকে শুরু করে ট্যুর ।

লোপা সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে একবার নীলকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করে ।
নীলকে বলতেই নীল বলেঃ
ওর সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক আছে । থাকলে থাকো । না থাকলে চলে যাও ।

লোপা ডাক্তারী রিপোর্ট লুকিয়ে ফেলে।লুকিয়ে রেখে আবার জব এপ্লাই করে ।
জবের সাথে একটা ফ্লাটও পেয়ে যায়।

একটা লাগেজ নিয়ে বের হয়ে আসে । একটা খাম থাকে টেবিলে ।

লোপা নতুন করে শুরু করতে চায় । তার পেটে নীলের সন্তান ।
প্রথমে ভেবেছিলো নষ্ট করবে ।
কিন্তু কি দোষ সেই অনাগত সন্তানের ?

লোপা আস্তে আস্তে জীবনটা গুছিয়ে ফেলে । ইত্যিমধ্যে বাবা মা ও এসে তার সাথে থাকে । ছেলের ভরণ পোষণ করতে চায় না ।

সাজানো একটা সংসার ।
ছেলে হয়েছে লোপার ।
আর নীলকে ঐ মেয়েকে বিয়ে করেছে ।
কিন্তু সুখ নেই ।
ঐ মেয়েটিও নীল অনুপস্হিতির সুযোগে মেশে অন্যের সাথে ।

সময়ের মূল্য তার কাছে অনেক বেশি ।নীল না থাকলেও তাই স্বামীর অভাব পূরণ করতে অন্য কারে বুকে তার মাথা রেখে ভালোবাসার মিষ্টি কথা চলতেই থাকে ।

ধোঁকাবাজরা বড় জোর কারো বিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারে কিন্তু এমন কাউকে বিশ্বাস করে যে তার চেয়ে বড় ধোঁকাবাজ।

কিন্তু

পৃথিবীতে এত অপরাধের শাস্তি আছে অথচ কারো বিশ্বাস নিয়ে খেলে তাকে মানসিকভাবে ধ্বংস করার শাস্তি নেই । এখন টাকায় মেলে বিচারের রায় ।
কিন্তু
আল্লাহর বিচার নিরপেক্ষ।

লিখাঃ কাব্যপ্রেমী রিফাত ।

বিঃদ্রঃ পরকীয়া ব্যাপারটা প্রচন্ড প্রকট।স্বামী ও স্ত্রীর উভয়ের উচিত সম্পর্কে কিছু সারপ্রাইজ রাখা। এই কর্পোরেট যুগে মানুষ তার কাছেই ছোটে যে তাকে বেশি উত্‍সর্গ করে !
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×