কবিরাজি ওষুধ খেয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় চার ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলেন- উপজেলার মনতলা গ্রামের আবদুর রহমান ওরফে মুক্তা (২৮), চানু মিয়া (২৬), কাইকারচালা গ্রামের বাচ্চু মিয়া (২৩) ও আবদুল লতিফ (৩৫)।
এদের পরিবারের বরাত দিয়ে ঘাটাইল থানার ওসি মোমিনুর রহমান জানান, উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের আবদুর রহমান মুক্তা বাড়িতে বৃহস্পতিবার এক কবিরাজ শক্তি বর্ধক ওষুধ তৈরি করেন।
সন্ধ্যা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত মুক্তাসহ পাঁচজন এই ওষুধ খান। তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে কবিরাজ পালিয়ে যান।
ওসি জানান, অসুস্থদের মধুপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কবিরাজের পরিচয় কেউ জানাতে পারেনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে চানু মিয়া মারা যান। তার লাশ বাড়িতে নিয়ে গেছে পরিবারের লোকজন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় বাকি তিনজনকে।
এদের মধ্যে সকাল ৯টায় মারা যান মুক্তা। আধা ঘণ্টা পরে মারা যান বাচ্চু মিয়া।
অবস্থার অবনতি হলে আব্দুল লতিফকে স্থানান্তর করা হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে। কিন্তু পৌনে ১টার দিকে তিনি মারা যান।
ময়মনসিংহ হাসপাতালে লতিফের বড় ভাই তারা মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ২টার সময় পাশের ঘরে থাকা তার ভাই বমি করতে শুরু করেন। শব্দ শুনে ঘরে গিয়ে দেখেন তার ভাই ক্রমাগত বমি করছেন।
তাকে দ্রুত একটি মাইক্রোবাসে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অসুস্থ অন্যরাও আরেকটি মাইক্রোবাসে ময়মনসিংহ হাসপাতালে আসে।
তারা মিয়া বলেন, এদের সবারই বাড়ি পাশাপাশি।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ভর্তি হওয়া রোগীরা বিষাক্ত কিছু খেয়েছে। এরই প্রতিক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে এরা মারা গেছেন।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রুহুল আমীন খান বলেন, 'আননৌন পয়জনিংয়ে' এরা অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
তিনজনের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেলে ময়না তদন্তের অপেক্ষায় আছে।
তথ্য সূত্রঃ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




