হাসিনা-খালেদার যোগ্যতা নেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার----------------কারন:
স্বাধীনতার ৪২ বছর পেরিয়ে গেছে আজও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয় নি, যে কোন সচেতন নাগরিকের নিকট একটা বড়ই লজ্জার বিষয়।
হাসিনা-খালেদা এই দুই সরকারের যোদ্ধা পরাধীদের বিচার করার কোন যোগ্যতা নেই। কেননা এই দুইদল আগেই জামায়াতের সাথে সংসার করে রেখেছে, যৌক্তিক ভাবেই এই দুই সরকারের যোগ্যতা নেই তাদের বিচার করার আর যদি তারা চেষ্টা করেও তবে সেটা হবে একটা সাজানো নাটক।আর বর্তমানে আওয়ামীলীগ মুলত চাইছে শুধু জামায়েতকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে, অথবা আওয়ামীলীগের সাথে হাত ৯৬’এর মতো আবার হাত মিলাতে
একটা সত্যি কথা যে, যার বুকে সৎ সাহস নেই সে কোন দিনও সৎ বিচার করতে পারেনা, যুদ্ধাপরাধীদের বর্তমান বিচারকার্য দেখে এটা স্পষ্ট বর্তমান আওয়ামীলীগের সৎ সাহস নেই, কারন আগে তারা জামায়েতের সাথে সংসার করে অসৎ হয়ে গেছে। যদি তাই না হয় তবে কেন ওদের গত ৪/২/১৩ তারিখে শাহবাগ মোড়ে, মতিঝিল মোড়ে এবং সাড়া দেশে সমাবেশ করতে দেওয়া হল ????
আরেকটি দিক হচ্ছে হঠাৎ করে পুলিশ ওদের সম্মান দেখাতে শুরু করেছে আগে যেখানে জামায়াতের মিছিলে বাঁধা দিত, সেখানে এখন পুলিশই নেই।
এটা স্পষ্ট হয়তো আওয়ামীলীগ ওদের সাথে হাতাত করে ফেলেছে ৯৬’এর মতো।
আমরা একজন অচেতন মানুষ কিন্তু সচেতন না যদি সচেতন হতাম তবে একজন মুক্তি যোদ্ধা যিনি ছিলেন তিনি এই কাদের মোল্লার মামলার অন্নতম সাক্ষী। তার কথা শুনে লজ্জায় আপনার মাথা হেট হয়ে যাওয়ার কথা,আজ তিনি ATN NEWS কে, হতাশ হয়ে LIVE অনুষ্ঠানে কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন " আমি দেশের সবাইকে বলছি আমি যদি মারা যাই এই দেশে আমায় মাটি দিওনা,আমাকে Sweden এ নিয়ে যেও.. এত কষ্ট করে এত দূর থেকে এসে যার বিপক্ষে সাক্ষী দিলাম তার রায় আজ যাবজ্জীবন ! আমি জানি জামায়াতের অন্যতম টার্গেট আমি, হয়তো দেখবেন আমার লাশ এই বাংলার কোথাও পরে আছে সেদিন আমাকে তোমরা এই বাংলায় মাটি দিওনা " একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা কতটা কষ্ট পেলে এই কথা বলতে পারেন। একবার চিমটি কেটে দেখুন তো এই কথা শুনার পর আপনার অনুভুতি শক্তি ঠিক আছে কি না।
‘আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। এই রায় আমি চাইনি।’
গত মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-২-এ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় শুনে টেলিফোনে এমন মন্তব্যই করেন শহীদ কবি মেহেরুননিসার বন্ধু ও কবি কাজী রোজী। কথা বলতে গিয়ে কান্নায় তাঁর গলা ভেঙে আসছিল।
এই নোংরা রাজনীতিবিদদের কাছে আর কিছু আশা করা মানে দেশটাকে ধ্বংস করার জন্য শিয়ালের কাছে মুরগি লালন পালন করার মতো কাজ দেয়া।
এত বড় বড় ঘটনা রেল, পদ্মা, বিশ্বজিৎ, শেয়ার মার্কেট ইত্ত্যাদি সবকিছু ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে তবু তাদেরকেই আবার শাস্তির বদলে দেয়া হচ্ছে দেশপ্রেমিকের মর্যাদা।
দেশের মানসম্মানের চেয়ে ব্যক্তি আবুল-হাসিনা,খালেদা এদের মানসম্মান ই বেশি,দেশের স্বার্থের কাছে এদের স্বার্থটাই সবচেয়ে বড়।
ওদের লোভের কাছে সব কিছু তুচ্ছ।
তাই আসুন একজন অচেতন নেতা না হয়ে বরং একজন সচেতন নাগরিক হই।
সবার সার্বিক সহযোগিতায়, সবার জন্য তথা আগামী প্রজম্নের জন্য গড়ি সুন্দর শ্যামল সবুজ একটি বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





