somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কী ভাবিয়া মনে এ দুটি নয়নে উথলে নয়নবারি

০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১.
মাত্র সাড়ে ছ’টা। বিশেষ কোন কারণ ছাড়া এতো ভোরে কখনোই ঘুম ভাঙ্গে না আমার। ওহ! মনে পড়েছে। আজ ৬ জুলাই, ২০১৬। দিনটা আমার জন্য বিশেষ একটা দিন। তীব্র একটা কষ্টের দিন। গত কয়েক বছর ধরে প্রতি মাস দুয়েক পরপরই আমার জন্য এমন একটি দিন আসে এবং খুব ভোরে আমার ঘুম ভেঙে যায়। বুকটা শূণ্য থাকে সারাটা দিন। কোন কিছু করার কোন কারণ খুঁজে পাই না। জীবনের কোন অর্থ খুঁজে পাই না। এ জীবন, এ বেঁচে থাকা, এ ছুটে চলা- সব একেবারেই নিরর্থক মনে হয়।

তবে আজকের পর মনে হয় এমন দিন আর কখনো আসবে না। আজ মনে হয় আর রক্ষা নাই। এরপর থেকে প্রতিটা দিনই আমার কাছে এমন বিশেষ দিন হয়ে যাবে। প্রতিদিনই খুব ভোরে ঘুম ভেঙে যাবে। হয়তো ঘুম আসবেই না রাতে। কোন চলা নেই, কোন চাওয়া নেই, কোন প্রেরণা বা লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কিছুই নেই। আমার মন বলছে, ব্যাপারটা অবশেষে আজ বোধ হয় স্যাটল হয়েই যাবে। আজ মনে হয় জয়ীর বিয়েটা ঠিকঠাক হয়ে যাবে।

জয়ীদের বাসা আমাদের পাড়াতেই। বাংলায় অনার্স শেষে এখন একটা স্কুলে শিক্ষকতা করছে। চমৎকার মেয়ে। খুব সহজেই লোকজনকে আপন করে নেয়ার অদ্ভুত এক ক্ষমতা আছে তার। কোন ঔপন্যাসিক হয়তো তাকে তার উপন্যাসের নায়িকা হিসেবে কল্পনা করবে না, কিন্তু আমার যেমন যেমন পছন্দ সব রকেমর দোষ ও গুণ তার মধ্যে আছে। প্রতি রাতে চোখ বুজলেই আমি তাকে স্বপ্নে দেখি। সকালে চোখ খুললেও তাকেই দেখি। মনে হয় সে যেন আমার পাশে শুয়ে আছে। আমি যেখানে যাই, যেদিকে তাকাই, তাকে দেখতে পাই। যে কাজই করি না কেন তার কথা ভাবতে ভাবতেই করি। এক কথায়, আপনারা আমাকে জয়ী অ্যাডিক্ট বলতে পারেন।

আমাদের বাসায় ভাল কিংবা মন্দ- যে কোন ঘটনা ঘটলে সবার আগে আমার তার কথাই মনে হয়। আমার এইচ.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্ট বেরুলে বাসার সবাই তখন রেজাল্ট জানার অপেক্ষায়। কলেজ গিয়ে রেজাল্ট জেনে আমি করলাম কী জানেন? এক কেজি মিষ্টি নিয়ে হাজির হলাম জয়ীদের বাসায়। আমার কেন জানি মনে হল, রেজাল্টটা সবার আগে জানার অধিকার কেবল জয়ীর। জয়ী রেজাল্ট শোনে খুব খুশি হল। নিজের হাতে আমাকে চা বানিয়ে খাওয়াল। আর ওদিকে আমার বাবা আমার অপেক্ষা করতে করতে কলেজে চলে গেছেন কখন! মা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে থেকে ভেবে নিলেন তার ছেলের পরীক্ষা খারাপ হয়ে গেছে। মা'র খুব শখ ছিল আমাকে ডাক্তার বানাবেন। পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট না করলে ডাক্তার হবার জন্য কোন মেডিকেলে চান্স পাবো না আমি। তাই তিনি ভেবে নিলেন আমি হয়তো লজ্জায় বাসায় ফিরছি না। তিনি ভেবে নিলেন, তার স্বপ্ন ভেঙে চুড়মার হয়ে গেছে। বড় ছেলেটা পারেনি তার স্বপ্ন পূরন করতে। এখন বুঝি ছোট ছেলেটাও পারল না! এ ভাবতেই তার মাথা গুলিয়ে উঠল। তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন। স্ট্রোক হল তার। আমি যখন জয়ীর হাতের চা খেয়ে ফিরলাম, বাসায় তখন খবর দেয়ার মতো কেউ নেই। বাইরের গেটে প্রকান্ড তালা ঝুলছে। আমি তখনো জানি না, মা হাসপাতালে। মায়ের ডান পাশটা প্যারালাইজড অবস্থায় তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হল দু'মাস পর। জয়ী এসে মাকে দেখে গেল। আমাদেরকে সহানুভূতি জানিয়ে গেল। মায়ের এ অবস্থার জন্য যে জয়ীর প্রতি আমার তীব্র ভালবাসা দায়ী জয়ী কিন্তু এর বিন্দু বিসর্গও জানল না।
২.
জয়ীর বাসা থেকে মিষ্টি এসেছে। কোন এক ডাক্তার ছেলে নাকি জয়ীকে দেখে গেছে। পাত্র দেখতে খুব হ্যান্ডসাম। পাত্রপক্ষ জয়ীকে পছন্দ করেছে। আগামী মাসের দশ তারিখ জয়ীদের বাসা থেকে ও বাড়ি যাওয়া হবে। আশীর্বাদ।
সুতরাং যা ভেবেছিলাম তাই হল। জয়ীর বিয়ে ঠিক হয়ে গেল। আমার এখন কী হবে? জয়ী তো বিয়ের পর এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। বছরে কালে ভদ্রে দু-একবার হয়তো বাপের বাড়ি বেড়াতে অাসবে। আমি হয়তো টেরও পাবো না। আমাদের বিয়ে প্রথাটা যে কেন এমন? বিয়ের পর মেয়েরা কেন হাসব্যান্ডের সাথে গিয়ে বাস করবে? ছেলেদের তার স্ত্রীর বাড়ি গিয়ে থাকা উচিত। এতে অবশ্য ছেলেকে ঘরজামাই বলে ডাকা হতে পারে। আবার মেয়েদের কেন তবে ঘরবউ বলে ডাকা হয় না? এর একটা কারণ হতে পারে সমাজটা পুরুষশাসিত। ছেলেরা তার বউয়ের বাড়ি এলে মন্দ হয় না ব্যাপারটা। ধরা যাক, বিবাহ প্রথা আজ থেকে পাল্টে গেল। জয়ীর বিয়ের পর তার হাসব্যান্ড চলে এল জয়ীদের বাড়ি। আর জয়ীর ভাই বিয়ের পর চলে গেল তার বউ এর বাড়ি। তাহলে জয়ীর বাবা মা নতুন ছেলে পাবেন ঘরে। নতুন ছেলে হয়তো বা তাদের নিজ ছেলে থেকে অনেক বেশি কেয়ারিং হবে। মানব স্বভাব বড়ই উল্টো। সে সবসময় পরের মানুষদের বেশি আদর যত্ন করার চেষ্টা করে। ব্যাপারটা আমি জেনেছি আমার ভাবীকে দেখে। আমার ভাইয়ার সাথে যখন তার বিয়ে হয়, তখন উনি ঢাকায় থেকে মাস্টার্স করছেন। বেশিরভাগ সময় বাইরে বাইরে থেকে পড়তে হয়েছে বলে বাবা-মার সেবা করার সুযোগ কখনো পান নি। এমন করে ভাবেনও নি হয়তো বা। উনার কাছ থেকে শুনেছি, রান্না করা শিখেছেন তিনি আমাদের বাড়িতে এসে। মা অসুস্থ হবার পর থেকে দেখে এসেছি নিয়ম করে মাকে ওষুধ খাওয়ানোর দায়িত্বটা উনি নিজে থেকেই নিয়েছেন। মাঝে মাঝে দেখি তিনি পরম যত্নে তার শাশুড়ির পা মেসেজ করে দিচ্ছেন। আমি নিশ্চিত উনি নিজের মায়ের পা মালিশ করো তো দূরের কথা মাথাটা পর্যন্ত টিপে দেন নি কখনো। মাঝে মাঝে আমার খুব ইচ্ছে হয় উনাকে বিষয়গুলো জিজ্ঞেস করি। কিন্তু করি না। কী লাভ শুধু শুধু অন্যকে কষ্ট দিয়ে। এসব নিশ্চয়ই আমার মতো করে উনিও ভাবেন। প্রকাশ করেন না। আমাদের সকলের জীবনটাই আসলে এক অর্থে ট্র্যাজেডিময়।

৩.
আমার জীবনের ট্র্যাজেডি বোধ হয় শুরু হয়ে গেল। জয়ীর বিয়ের জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু এজন্য আরো এক বছর সময় হয়তোবা আমার বরাদ্দ পাওয়াটা দরকার ছিল। কী করতে পারতাম এক বছর সময় পেলে? জানি, কিছুই আমার করার ছিল না। কিছুই করতে পারতাম না আমি। তবু নিজের মনটাকে তৈরী করার জন্য আরো কিছুদিন সময় পাওয়া যেত। আর তাছাড়া, সামনে জয়ী বিসিএস রিটেন পরীক্ষা দিবে। এই সময়ে জয়ীর বাবা মায়ের তার বিয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠবেন ভাবতে পারিনি। তাদেরই বা কী দোষ? তারা হয়তো ভেবেছিলেন, পরীক্ষায় এবার পাশ না করতে পারলে আগামীবার পারবে। কিন্তু এই সুপুরুষ পাত্র মিস হয়ে গেলে পরবর্তীতে এরকম ভাল পাত্র নাও পাওয়া যেতে পারে। হায়রে মানুষ! কন্ট্রাডিকশনে ভরপুর মানুষ! মুরুব্বীরা সবসময় বলেন, জন্ম মৃত্যু ও বিয়ে এ তিন পূর্ব নির্ধারিত। অথচ, মৃত্যু ছাড়া বাকি দুটো ব্যাপার ঘটানোর জন্য আমরা মরিয়া হয়ে উঠি। আমার এক খুব কাছের মানুষ। বিয়ের পর বাচ্চা হচ্ছিল না। একটা সন্তান পাওয়ার জন্য কি যে আপ্রাণ চেষ্টা তাদের দেখেছি! ডাক্তার দেখানো থেকে শুরু করে কবিরাজ বা ঝাঁড়-ফুঁক কোনোটাই বাকি রাখে নি তারা। ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া কত দেশ যে ঘুরলো ডাক্তার দেখানোর জন্য। শেষে টেস্টটিউব বেবি নিয়ে ক্ষান্ত হল। তাদের এ দৌড়-ঝাঁপ দেখে আমি বলেছিলাম, জন্মটা আসলে সৃষ্টিকর্তা নির্ধারিত ব্যাপার। তোমাদের ভাগ্যে যদি সন্তান প্রাপ্তি থেকেই থাকে তবে এতো দেশ বিদেশ না ঘুরলেও চলবে। কিন্তু তারা ঘুরল এবং সন্তান পেয়ে তবেই ক্ষান্ত হল। তেমনি ওসব ভাগ্য-টাগ্যর কথা বলেও জয়ীর বাবা-মার পাত্র খোঁজার গতিকে কমানো যেতো না নিশ্চয়ই। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা-মাতার কাছে মেয়ের বিয়ের জন্য সময়-অসময় কোন ব্যাপার না। তাই জয়ীর বাবা-মাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। কিন্তু কথা হল, জয়ীটা কী করল? সে চুপচাপ রাজী হয়ে গেল? একবারও সে বলতে পারল না, সামনে আমার বিসিএস রিটেন? একবারও সে আরো কিছু সময় চাইতে পারল না? সে বলতে পারল না, এখন সে বিয়ে করবে না? এতো তাড়াতাড়ি সে বিয়ের জন্য প্রস্তুত নয়। অথবা নিদেন পক্ষে এটাও তো বলতে পারতো যে, পাত্র তার পছন্দ হয়নি। তবে কি... তবে কি ছেলেকে তার পছন্দ হয়ে গেছে? শুনেছি ছেলেটি ডাক্তার, ছেলেটি হ্যান্ডসাম, ছেলেটির ফ্যামিলি ভাল। মেয়েরা তো এমন ছেলেদেরই পছন্দ করে। কিন্তু পছন্দের মাপকাঠি হিসেবে এসব তো জয়ীর বিবেচনায় আনার কথা না। জয়ী তো বই পড়া যাদের অভ্যাস, তাদের পছন্দ করে। একবার এ কথা সে বলেছিল। আমি তার ভাইয়ের খোঁজে ওদের বাসায় গিয়েছিলাম। ও হ্যা, আপনাদের বলা হয় নি। জয়ীর ভাই রাজ আমার বাল্য বন্ধু। সেই ক্লাস ওয়ান থেকে আমরা একসাথে। রাজ সেদিন বাসায় ছিল না। তাই কাকিমা ডেকে ভেতরে বসালেন। কাকিমার সাথে গল্প করছিলাম। জয়ী পাশে বসে আমাদের গল্প শুনছিল। গল্পের মাঝখানে হঠাৎ করে জয়ী বলে উঠল, আবীর ভাইয়া আপনি একেবারে হিমুর মতো। আমি অবাক হবার ভান করে বললাম, হিমু? হিমুটা আবার কে? কখনো দেখেছি তাকে? আমার কথা শুনে জয়ী খিলখিল করে হাসতে থাকল। আমি নার্ভাস নার্ভাস একটা ভাব নিয়ে এলাম নিজের ভেতর। নার্ভাসনেস কাটাতে জিজ্ঞেস করলাম, বা রে! হিমুর সাথে যদি আমার দেখাই না হয় আমি তাকে চিনব কিভাবে? কথা শুনে জয়ীর হাসি যেন আরো বেড়ে গেল। হাসতে হাসতে সে বলল, আমি হুমায়ূন আহমেদের হিমুর কথা বলছি। হুমায়ূন আহমেদের হিমু! আমি যেন বুঝলাম এবার। মিথ্যে করে বললাম, আমি তো বইটই তেমন একটা পড়ি না। তাই বুঝতে পারিনি। সে অবাক হয়ে বলল, বই পড়েন না! তাজ্জব ব্যাপার! বই না পড়া মানুষ হয় না কি? ক্লাস নাইনের মেয়ের এ কথা না জানাটাই স্বাভাবিক যে বই না পড়া মানুষের সংখ্যাই এ পৃথিবীতে বেশি এখন। তবু জয়ীর কথাটা আমার খুব মনে ধরল। বই না পড়া মানুষ হয় না কি! বই না পড়া মানুষ হয় না কি! অথ্যাৎ কোন মানুষ বই না পড়ে থাকতে পারে না। অথবা, বই না পড়লে একটা মানুষকে মানুষ বলা যায় না। যাক বাবা! আমি বই পড়ি। অতএব আমি যে মানুষ এটা ঠিক বুঝতে পারলাম। আরো বুঝতে পারলাম, জয়ীর ভালবাসা পেতে হলে আমার আরো বেশি বেশি বই পড়তে হবে।

যে জয়ী বই পড়া ছাড়া আর কিছু বুঝে না, সেই জয়ী কি খবর নিয়েছে ঐ লোকটা বই পড়ে কি না। বই না পড়া মানুষের সাথে সে জীবন কাটাবে কিভাবে এটা কি সে ভেবে দেখেছে? জয়ী তো এতোটা বোকা মেয়ে না। সে নিজের ভাল নিজে বেশ বুঝে। সে নিশ্চয়ই খোঁজ নিয়েছে। সে নিশ্চয়ই জেনেছে লোকটা বই পড়ে। সে নিশ্চয়ই লোকটাকে জিজ্ঞেস করেছে। মোবাইলের বদৌলতে এখন তো পাত্র-পাত্রীর বিয়ের আগেই যোগাযোগ করা, যোগাযোগে একে অন্যকে বুঝে নেয়াটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। জয়ী নিশ্চয়ই লোকটার সাথে মোবাইলে কথা বলেছে। কিংবা এখনো হয়তোবা বলছে। দেখি তো। একটু জেনে নেয়া যাক। খুব সহজেই আমি ধরতে পারবো ব্যাপারটা। এখন রাতে একটা। এতো রাতে জয়ীর মোবাইল কখনো ব্যস্ত পাই নি। আজ যদি ব্যস্ত পাই তবে বুঝে নিতে হবে সে তার হবু বরের সাথে কথা বলছে। মোবাইলটা টেবিলের তালাবদ্ধ ড্রয়ার থেকে বের করলাম। এ মোবাইলটা শুধুমাত্র জয়ীর সাথে যোগাযোগের জন্য কেনা। জয়ীকে আমার পরিচয় দেয়ার সাহস আজ পর্যন্ত হয় নি বলে অন্য একটা গোপন নাম্বার ব্যবহার করি আমি। না, গোপন নাম্বার থেকেও কথা বলার সাহস পাই নি কখনো। গলার আওয়াজ শুনে যদি বুঝে ফেলে এটা আমি। ছি ছি ছি। কী লজ্জার ব্যাপার হবে তখন। তাই এ মোবাইল দিয়ে শুধু তাকে মেসেজ দেই আর মিসড কল দেই। হ্যা, যা ভেবেছিলাম তাই। ফোনটা বিজি দেখাচ্ছে। তার মানে সে লোকটার সাথে কথা বলছে। হঠাৎ খুব রাগ উঠে গেল আমার। লোকটার গলা টিপে ধরতে ইচ্ছে হল। আমি মোবাইলটা ছুঁড়ে ফেলে দিলাম। যাক, ভেঙে যাক মোবাইলটা। ঐ লোকের সমান ডিগ্রিধারী হবার পরেও আমি জয়ীকে পাচ্ছি না। এটা মানতে খুব কষ্ট হচ্ছে । ঐ লোক ডাক্তার, আমিও ডাক্তার। সে এফসিপিএস ফার্স্ট পার্ট দিচ্ছে, আমিও তাই দিচ্ছি। বিসিএস শেষ করেছি দুজনেই। তবু ঐ লোকটা কয়েকদিন পর জয়ীকে তার নিজের ঘরে নিয়ে যাবার জন্য স্বপ্ন দেখছে। আর আমি স্বপ্ন দেখা তো দূরের কথা, তার একান্ত কোন মানুষ হয়ে তার সাথে কথা বলারও সাহস পাচ্ছি না। জয়ীর ভাল লাগার মতো ব্যাপার ঐ লোকটার মধ্যে যা যা আছে, আমি নিশ্চিত তার থেকে অনেক বেশি আমার আছে। এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত, কারণ আমি জয়ীকে তার ছেলেবেলা থেকেই জানি, অনেক সাধনা করে জেনেছি। কিন্তু শুধু একটা ব্যাপার, শুধু একটা ব্যাপার, যার জন্য জয়ীকে আমি পাচ্ছি না। ডেম ইট!
চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

Testimony of Sixty- By Edward Kennedy বাংলাদেশের রক্তাক্ত সত্যের এক আন্তর্জাতিক স্বীকারোক্তি

লিখেছেন কিরকুট, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩




১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর বৈপরীত্যের বছর। এটি যেমন ছিল অন্ধকার ও রক্তাক্ত, তেমনি ছিল সত্যের প্রতি অবিচল এক সময়কাল। এই বছরের গণহত্যা, শরণার্থী স্রোত ও মানবিক বিপর্যয়ের বিবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×