স্বাধীনতা মানে নিজের দায়িত্ব নিজের নেওয়া হয় , তবে আমি কি কখনও ভুল বলেছি ৷ তবে হ্যাঁ, একথা ঠিক পরিপূর্ণ ভাবে একজন তার নিজ দায়িত্বটা নিতে পারে না ৷
বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথাগুলো কাকে যেনো বলছিল অঙ্গদঅয়ন ৷
ওর মা জানলায় উঁকি দিয়ে বলে, - এই অঙ্গদ কার সাথে কথা বলছিস্? সব সময় চিৎকার করে কথা না বললে চলে না ৷
অঙ্গদ ছোট্ট করে উত্তর দেয়, - সুশ্রবা এসেছে ৷
মা কথার কোন প্রশ্ন না টেনে চুপচাপ হয়ে গেল ৷
সুশ্রবা অঙ্গদের মুখের দিকে নির্লীপ্তে তাকিয়ে বলল, - তুমি রেগে যাচ্ছ কেনো ৷
অঙ্গদ কণ্ঠউচিয়ে বলল, - রাগব না…… তোমার বন্ধু মৃণালমন কে তুমি কি বলেছ?
সুশ্রবা বিরক্তি নিয়ে বলল, - কি বলেছি?
অঙ্গদ সুশ্রবার কথায় তরতরিয়ে উঠল ৷ সুশ্রবার একদম গা ঘেষে দাঁড়িয়ে বলল, - আমি নাকি তোমার মাথা খাচ্ছি ৷ আমি নাকি তোমার……………
অঙ্গদ কথাগুলো বলে থেমে গেল ৷ সুশ্রবা, অঙ্গদের হাত চেপে ধরে বলল, - দুজনের মধ্যে যে কোন একজনের চাকরি হলেই তো আর সমস্যা থাকে না ৷ সুশ্রবা একটু থেমে অঙ্গদের চোখের দিকে তাকিয়ে ছোট্ট করে বলল, - রাগ করে এম. এ-টা পর্যন্ত করলে না ৷
সুশ্রবার কথা শেষ হতে না হতে অঙ্গদ বলে উঠল, - রাগ করে আমি এম. এ কমপ্লীট করিনি ৷ এম. এ করতে টাকা লাগে ৷ আজকাল সব টাকায় হয়, বুঝলে ৷ টাকা না থাকলে, এই তুমি… …তুমিও আর আমার পিছনে থাকবে না ৷ গুড বাই বলে অন্য ছেলের হাত ধরে চলে যাবে ৷
সুশ্রবা চাপাগলায় বলল,- এ তুমি বলতে পারলে ৷
হ্যাঁ বলতে পারলাম ৷ আমি তো তোমাকে কখনও জোড় করিনি ৷ আমি বরাবরই চাই তুমি তোমার স্বাধীনতা নিয়ে থাক ৷ আমি বিশ্বাস করি, নারীরা এই মিথ সমাজে অবহেলিত ৷ তখনই একজন নারী দায়িত্বজ্ঞান সম্পূর্ণ হবে যখন সে এই সামাজিক মিথ থেকে নীজেকে বাঁচাতে পারবে ৷
সুশ্রবা মাথা নিচু করে বলল, - একটা চাকরিই আমাদের সব সমস্যার পরিবর্তন এনে দিতে পারে ৷
অঙ্গদ ছোট্ট করে বলল, - চাকরী-টাকরী আজকাল হাতের মোয়া না যে, হাত ঘোরালেই মিলবে ৷
সুশ্রবা প্রসঙ্গ পালটিয়ে বলল,- মৃণালমন তোমায় কি বলেছে?
ক্রমসঃ
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০