ছবি দেখতে দেখতে যে সমস্ত প্রতিক্রিয়া হয়, তার কোনটাই ছবি এঁকে বোঝানো হয় না। উপকথা হয়, ফিসফিস হয়। গোপনে লালা মাখামাখি করে, যেখানে ধরে নিচ্ছি যে ছবিটা ঈর্ষা উদ্রেককারী, ভিড় বাড়ে যতি চিন্হের। অথচ, যাকিছু সুবিধা জনক আমরা তা চাই, বিরতিহীন।
বিদ্যুৎ সরবরাহ? পানীয় জল? ময়লা নেয়ার পরিসেবা? সুস্থ থাকা!?
ছবি দেখতে দেখতে, আদেশ ছিল, " কাল সকালেই চাই"
কী চাই, (যা খুশি, ), লেখা চাই।
কালো ছুঁড়ে দাও আলোর দীর্ঘ শ্বাষের বৃত্তে, স্বপ্ন ছুঁয়ে যাবে তেমন, তুমি বললেই আমি ভাল হয়ে যাব।
ছবি বললে ছবি নয়ত কিছুই নয়। নয়ত প্রলম্বিত স্বপ্নের হাঁটুতে মুখগুজে গেড়ে বসা।এক ধরনের নীল আর কালোর একটা ভাঙা যুদ্ধের প্রতিকৃতি।এখানে ভাঙা মানে গুড়িয়ে যাওয়া নয়,গাছে ডাল ভাঙলে সেখান থেকে ডাল গজাবার মত।নৌকার বৈঠা দিয়েছি, মাছ রেখেছি, ভুলে যাইনি মীনকন্যাকে, কোথাকার একটা নোঙরও আছে।জলের গভীর থেকে সঞ্চারি রঙের উজানের কথা।শৈবালের কাছে পরাজয় হতে পারে স্রোতের।
তেমন কথা আপাত বর্জনীয়:শিল্পী নয়, তার বাবা,একজন কবি, বাংলাদেশের কথা শুনলে চারপাশে সব অসহ্য লাগে, দেখেন আর গুনগুন করেন তিতাস একটি নদী, সুনামগঞ্জের চৈতিবেলা।
তবে তিনি, সীমানা পেরোবেন তখনই যখন, ফুল ও মালায়, সুগন্ধ ও কথামালায়, কেউ দাঁড়িয়ে থাকে, সরকারী বা বেসরকারী, কোনও নির্দেশে। সেই কবি, সেটা পড়ে বলেন, দীপঙ্কর কী এইটা? জিহ্বায় এসে টাকরায় আটেক যায়, রঙ কত গভীর, কেমন সে কালোর উপর হলুদ মাছের চোখ, সেতো অনুপস্থিত। শালা বানচোত, এটা দিয়েতো তার প্রেমিকাও সরে আসবে না, আর দুইঞ্চি কাছে। এটা কী রাখা যাবে ফাইলে। শিল্পী হাসেন, যেন আনমনা।
সব তিতাসের চড়ায়, আমি আজন্ম পড়ে আছি, বোধহীন নির্ভরে। চিকচিক বালু আর ময়লাপলিতে আমাকে দেখায়, কী ভীষন সুন্দর উজ্জ্বল।আমি টলোমলো হেঁটে যাই, হামাগুড়ি দিয়ে, ধরে থাকি উদাসীন পিপাসা।
বিরামহীন ভুল,ঘোর আমার নিরবিচ্ছিন্ন। ঘুম থেকে উন্মুখ ভাঙা বিরতি পরিভ্রমন, কাজ করো, পেট চালাও ঘুমমুখিন গড়মিল আঁকড়ে বাক্যবিনির্মানে শুদ্ধতার উৎপ্রেক্ষা রাখি এইসবই বিরামহীন ভুল,ঘোর নিরবিচ্ছিন্ন সচেতন ক্রিয়ায়এবং স্পষ্ট উচ্চারন
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৩৫