somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এবার প্রাথমিক শিক্ষা বইয়ে যৌন শিক্ষাঃ সরকার কোমলমতি শিশুদের কোথায় পাঠাতে চায়?

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিশুদের রাজনীতিতে প্রবেশ করানো, শাহাবাগ আন্দোলনে যোগ দেওয়াতে বাধ্যবাধকতা পর এবার সরকার শিশুদের নিয়ে মেতে উঠেছে যৌন শিক্ষা প্রচলনের। এটাও জয় ভাইয়ার নিরলস প্রচেষ্টা। সারা জীবন বিদেশে থেকে খোলামেলা পোষাক পরিহিত মেয়েদের দেখে তাদের কালচার এবং স্কুলের বই পত্র ঘেটে জয় ভাইয়া আবিষ্কার করেছে "দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে।" বিদেশী কালচারের সাথে বেড়ে ওঠা জয় ভাইয়ার মনের বাসনা পূর্ণ করতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার সেপাহী সালাদেরকে ডেকে মনের কথা জানান। চাটুকার সেপাহীসালারা রঙ্গ রস লাগিয়ে বই লিখতে শুরু করেন তাদের চামচাদের দ্বারা। ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে দেবদেবীর নামে উৎসর্গকৃত পশুর গোশত খাওয়া হালাল দিয়ে শুরু করেন এর পরে মাদ্রাসা শিক্ষায় আনেন আরেক অভূতপূর্ণ পরিবর্তন। সেখানে মানবজাতীকে আল্লাহর সন্তান বানিয়ে মহান আল্লাহ পাকের সাথে "শিরক" করার ধৃষ্টতা দেখান। অন্যান্য ক্লাশের বই ঘেটে দেখা গেছে সেখানে অবাধ যৌন শিক্ষা যা পশ্চিমা বিশ্বের পাঠ্য ব্ইয়ে দেখা যায় তা ঢুকিয়ে আমাদের শিশুদের কোমল মতি মনের উপর দাগ কাটার এক জঘন্য কুটচাল দিয়েছেন। এসকল কুটচাল আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।


দৈনিক আজকের কাগজে প্রকাশিত খবরঃ
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর আলোকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের জন্য প্রণীত নতুন পাঠ্যবইয়ে রয়েছে অশ্লীলতা ও যৌনতার ছড়াছড়ি। একাধিক বইতে বয়ঃসন্ধিকাল, প্রজনন শিক্ষা, কিশোর অপরাধ প্রতিরোধের আড়ালে ব্লু-ফিল্ম, পর্নোগ্রাফি ও যৌন বিষয় অত্যন্ত খোলামেলাভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
যেমন, একাধিক পাঠ্যবইয়ে বয়ঃসন্ধিকালের লক্ষণ হিসেবে বলা হয়েছে, এ সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে লোম গজায়, প্রজনন অঙ্গ বড় হয়ে ওঠে, বীর্যপাত হয়, কিশোরীদের স্তন বৃদ্ধি পায়, ঋতুস্রাব ও মাসিক শুরু হয়, ঊরু ও নিতম্ব ভারী হয়।
পাঠ্যসূচিতে এসব বিষয় থাকায় শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবকরাও বিব্রত ও ক্ষুব্ধ। খোদ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারাও বিব্রতবোধ করছেন। শিক্ষাবিদরা বলছেন, এসব শিক্ষা কোমলমতি শিশুদের নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দেবে এবং এতে সামাজিক অস্থিরতা আরও
বাড়বে। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার প্রণীত বিতর্কিত জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী নতুন শিক্ষা কাঠামোয় প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা স্তর। নবম-দশম মাধ্যমিক শিক্ষা স্তর। ওই শিক্ষানীতির আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবির) নতুন পাঠ্যবই প্রণয়ন করে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সরকার কোমলমতি শিশুদের হাতে নতুন এই পাঠ্যবই তুলে দেয়া হয়। এসব পাঠ্য অনুসন্ধানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী ‘শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য’ অষ্টম শ্রেণীর ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ পাঠ্য বইতে ব্লু-ফিল্ম, পর্নোগ্রাফি, প্রজনন ও যৌনতা বিষয়কে অত্যন্ত খোলামেলা উপস্থাপন করা হয়েছে।
ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর বইতে ‘বয়ঃসন্ধিকাল’ অধ্যায়ে প্রাপ্তবয়স্কদের উপযোগী প্রবন্ধ : ষষ্ঠ শ্রেণীর ‘শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য’ বইয়ের চতুর্থ অধ্যায়ের শিরোনাম ‘আমাদের জীবনে বয়ঃসন্ধিকাল’। বইটির ৩৮ থেকে ৫১ পৃষ্ঠা পর্যন্ত চিত্রসহ ওই বিষয়ে বিষদ বর্ণনা দেয়া হয়েছে। বইটির ৩৯, ৪১, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯ ও ৫০ পৃষ্ঠায় বয়ঃন্ধিকালের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বীর্য, ঋতুস্রাব ও যৌন আচরণ, ক্ষয়পূরণ বিষয়ে অত্যন্ত খোলামেলা আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। ৩৯ পৃষ্ঠার পাঠ-১ এর আলোচনায় বলা হয়েছে- ছেলেদের ১০ থেকে ১৫ বছর এবং মেয়েদের ৮ থেকে ১৩ বছর বয়সকালকে সাধারণত বয়ঃসন্ধিকাল বলা হয়। ছেলেদের শরীরের বিভিন্ন অংশে লোম গজানো, বীর্যপাত হওয়া ইত্যাদি শারীরিক পরিবর্তনগুলো অত্যন্ত খোলামেলাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে ঋতুস্রাব শুরু হওয়া, কোমরের হাড় মোটা, উরু ও নিতম্ব ভারী হওয়া, বুক বড় হয়ে ওঠার বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। ছেলেমেয়েদের মানসিক পরিবর্তন সম্পর্কে বলা হয়েছে— এ সময় নিকটজনের মনোযোগ, যত্ন ও ভালোবাসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তীব্র হয়, আবেগ দ্বারা চালিত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে, যৌনবিষয়ে চিন্তা আসে এবং বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে।
৪১ পৃষ্ঠায় বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের সময় করণীয় পাঠ-২ তে বলা হয়েছে— ছেলেদের মধ্যে বড় পরিবর্তন হচ্ছে বীর্যপাত। এটা মাঝে মাঝেই ঘটতে পারে। অনেক সময় ঘুমের মধ্যে বীর্যপাত হয় এবং তারা এ ঘটনায় ভীত হয়ে পড়ে। ছেলেরা এক ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগে এবং তাদের মনে পাপবোধ ও অপরাধ কাজ করে। মেয়েদের মধ্যে যে পরিবর্তন সূচিত হয় তা হচ্ছে প্রথম ঋতুস্রাব। মেয়েদের গোপন অঙ্গ থেকে যে রক্তপাত হয় তা দেখে তারা ভীত ও দিশেহারা হয়ে পড়ে। কাউকে কিছু বলতে পারে না, লোকজনকে এড়িয়ে চলে, পড়াশোনায় মন বসে না। ৪৬ পৃষ্ঠায় ‘বয়ঃসন্ধিকালে মা-বাবা এবং অভিভাবকের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার উপায়’ শিরোনামের আলোচনায় বলা হয়েছে, মেয়েরা তাদের প্রথম ঋতুস্রাবের সময় মায়ের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে ব্যবহার করবে তা জেনে নেবে। পরিষ্কার কাপড় বা সেনিটারি ন্যাপকিন, সাবান, গরম পানি ইত্যাদি কীভাবে ব্যবহার করবে তা জেনে নেবে। ছেলেদের বীর্যপাত হলে কীভাবে পরিচ্ছন্ন হতে হবে, দাড়ি, গোঁফ কামাতে কীভাবে রেজার ব্লেড, শেভিং ক্রিম ব্যবহার করতে হবে তা অভিভাবক থেকে জানবে। অভিভাবকও এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করবেন।
৪৭ পৃষ্ঠায় ‘বয়ঃসন্ধিকালের ঝুঁকি’ পাঠে বর্ণনা আছে- এ সময় কৌতূহলের বশে বা খারাপ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে ধূমপান, মাদকাশক্তি, অবৈধ ও অনিরাপদ যৌন-আচরণসহ নানা ধরনের অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়তে পারে।
৪৯ পৃষ্ঠায় ‘ঋতুস্রাবকালীন পালনীয় স্বাস্থ্যবিধিসমূহ’ পাঠ-৭ এ বলা হয়েছে বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের যে পরিবর্তন ঘটে তার মধ্যে একটি হচ্ছে মাসিক ঋতুস্রাব। প্রতিমাসে একবার মেয়েদের ঋতস্রাব হয়। এটি মেয়েদের দেহের একটি স্বভাবিক প্রক্রিয়া। আমাদের দেশে সাধারণত ৯-১২ বছর বয়সে মাসিক শুরু হয়। স্বাভাবিকভাবে প্রতিমাসে একবার ঋতুস্রাব আরম্ভ হয়ে তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
‘পালনীয় স্বাস্থ্যবিধিসমূহ’ শিরোনামের ১ নম্বর আলোচনায় বলা হয়েছে, ঋতুকালীন প্রতিদিন সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে। পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত নরম কাপড় অথবা কাপড়ের মোড়কে নরম তুলা কিংবা সেনিটারি প্যাড ব্যবহার করতে হবে। ৫০ পৃষ্ঠায় ২ নম্বরে বলা হয়েছে, রোগ সংক্রমণ থেকে বেঁচে থাকার জন্য যে কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, প্রতিবার কাপড় বা প্যাড বদলে নেয়ার সময় হালকা গরম পানি সম্ভব হলে সাবান পানি সহযোগে প্রজনন অঙ্গ পরিষ্কার করতে হবে।
সপ্তম শ্রেণীর শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বইয়ের চতুর্থ অধ্যায়টির নাম ‘বয়ঃসন্ধিকালের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা’। বইয়ের ৩০ থেকে ৩৬ পৃষ্ঠা পর্যন্ত ওই অধ্যায়ে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ৩৩ পৃষ্ঠায় ‘যৌন নিপীড়ন’ শিরোনামে আলোচনায় বলা হয়েছে ‘অসত্ উদ্দেশ্যে কারও শরীরের কোনো অংশে বিশেষত পোশাক ঢেকে রাখা অংশে হাত বা অন্য কোনো অঙ্গ দিয়ে স্পর্শ বা আঘাত করা হলে তাকে যৌন নিপীড়ন বলা হয়।’
অষ্টম শ্রেণীতে প্রজনন স্বাস্থ্যের আড়ালে যৌনতা শিক্ষা : ‘শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য’ বইটির ৩২ থেকে ৩৬ পৃষ্ঠা পর্যন্ত চতুর্থ অধ্যায়ে ‘আমাদের জীবনে প্রজনন স্বাস্থ্য’ বিষয়টি ছবিসহ আলোচনা করা হয়েছে। এ অধ্যায়ের পাঠ-১ ও পাঠ-২ এ প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে অত্যন্ত নগ্নভাবে বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়েছে। ৩৩ পৃষ্ঠায় পাঠ-১ এ ‘প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষার উপায় ও প্রয়োজনীয়’ অংশে লেখা হয়েছে, ‘ঋতস্রাব বা বীর্যপাত ঘটলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, নিয়মিত গোসল করা দরকার।’ এই পাঠ আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের কাজ দেয়া হয়েছে। কাজ-১ এ লেখা হয়েছে, ‘প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষায় কী কী সমস্যা হয় তা বাড়ি থেকে লিখে এনে শ্রেণীতে উপস্থাপন কর।’
৩৪ পৃষ্ঠায় পাঠ-২ এ ‘বয়ঃসন্ধিকালে প্রজনন স্বাস্থ্য’ অংশে লেখা হয়েছে, ‘বয়ঃসন্ধিকালের সময় থেকেই ছেলে ও মেয়েরা প্রজননক্ষম হয়ে ওঠে। মেয়েদের মাসিক বা ঋতস্রাব দেহের একটি নিয়মিত স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে সাধারণত ৯-১২ বছর বয়সে মাসিক শুরু হয় এবং তা প্রতিবার তিন থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। মাসিক শুরু হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য প্রতিদিন গোসল করে পরিষ্কার শুকনো কাপড় পরা, জীবাণুমুক্ত নরম কাপড় বা সেনিটারি প্যাড ব্যবহার করতে হবে। দিনে কয়েকবার......। ছেলেদের বীর্যপাত ঘটলে নিয়মিত সাবান সহযোগে গোসল করবে, পরিষ্কার কাপড়-চোপড় পরবে।’
৩৪ ও ৩৫ পৃষ্ঠায় ‘গর্ভধারণ কী?’ এ বিষয়ে লেখা হয়েছে- ‘গর্ভধারণ হচ্ছে একটি মেয়ের শরীরের একটি বিশেষ পরিবর্তন। সন্তান গর্ভে এলেই শুধু শরীরের এই বিশেষ পরিবর্তন ঘটে। যৌনমিলনের সময় পুরুষের শুক্রাণু যখন মেয়েদের ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়, তখনই একটি মেয়ের গর্ভে সন্তান আসে। গর্ভধারণের প্রথম কয়েক মাসে মেয়েদের শরীরে কিছু কিছু অস্বস্তিকর লক্ষণ দেখা যায়। যেমন— ১. মাসিক বন্ধ হওয়া ২. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া ৩. মাথা ঘোরা ৪. বারবার প্রস্রাব হওয়া ৫. স্তন বড় ও ভারী হওয়া’।
৩৫ পৃষ্ঠায় ‘গর্ভপাতজনিত সমস্যা’ অংশে বলা হয়েছে, ‘একটি মেয়ের গর্ভে যখন সন্তান আসে, তখন প্রথম অবস্থায় জরায়ুর ভ্রূণের বৃদ্ধি ঘটে। ভ্রূণের বৃদ্ধি অবস্থায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে যদি জরায়ু থেকে ভ্রূণ বের হয়ে যায়, তখন গর্ভপাত ঘটে। ইচ্ছাকৃতভাবেও অনেকে গর্ভপাত ঘটায়।’
নবম-দশমে প্রজনন স্বাস্থ্য : নবম-দশমের শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বইয়ে ষষ্ঠ অধ্যায়ের ৪৮ থেকে ৬৬ পৃষ্ঠা পর্যন্ত ‘মাদকাসক্তি ও এইডস’ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ৪৮ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ‘এইচআইভি তেমনই একটি ভাইরাস। এইচআইভি ভাইরাস রক্ত, বীর্য, যৌনিরস, বুকের দুধ প্রভৃতির মাধ্যমে অন্যের দেশে সংক্রমিত হয়।’ ৫৪ পৃষ্ঠায় ‘এইচআইভি এবং এইডস-এর বিস্তার’ বিষয়ে লেখা হয়েছে, মানুষের শরীরের ভেতরে উত্পন্ন বিভিন্ন তরল পদার্থ যেমন রক্ত, বীর্য, যৌনিরস, মায়ের বুকের দুধ এগুলোতে এইচআইভি বাস করে। এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিরা রক্ত, বীর্য, যৌনিরস সুস্থ ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করলে বা মায়ের বুকের দুধ খেলে এইচআইভি সংক্রমণ ঘটে। সুনির্দিষ্টভাবে যে যে উপায়ে এইচআইভি বিস্তার লাভ করে তা হলো : ১. অনৈতিক ও অনিরাপদ দৈহিক মিলন এইচআইভি ছড়ানোর সবচেয়ে বড় কারণ অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক। আক্রান্ত ব্যক্তির বীর্য বা যৌনিরসের মাধ্যমে যৌনসঙ্গীর দেহে এইডসের ভাইরাস প্রবেশ করে।
বইটির সপ্তম অধ্যায়ে ৬৭ থেকে ৭৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত ‘বয়ঃসন্ধিকাল ও প্রজনন স্বাস্থ্য’ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ৬৮ পৃষ্ঠায় বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তন প্যারায় লেখা হয়েছে- কিশোরদের ক্ষেত্রে যেসব পরিবর্তন লক্ষ করা যায় তা হচ্ছে- শরীরের বিভিন্ন অংশে লোম গজায়, প্রজনন অঙ্গ বড় হয়ে ওঠা, বীর্যপাত হয়। কিশোরীদের ক্ষেত্রে স্তন বৃদ্ধি পায়, বিভিন্ন অঙ্গে লোম গজায়, ঋতুস্রাব ও মাসিক শুরু হয়। ৭২ পৃষ্ঠায় ‘প্রজনন স্বাস্থ্যরক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও উপায়’ শীর্ষক আলোচনায় ছেলেদের বীর্যপাত ও মেয়েদের মাসিক, ঋতুস্রাব বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। ৭৩ পৃষ্ঠায় ‘প্রজনন স্বাস্থ্যবিধি ও গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা’ পাঠেও খোলামেলা আলোচনা করা হয়েছে।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর সিলেবাসের ‘শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য’ সবগুলো পাঠ্যই সম্পাদনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর এই বইয়ের চার লেখক অভিন্ন ব্যক্তিরা। এরা হলেন আবু মুহম্মদ, মো. আবদুল হক, মো. তাজমুল হক ও জসিম উদ্দিন আহমদ। নবম-দশমের বইটির লেখকও আগের বইয়েরই দু’জন। এরা হলেন আবু মুহম্মদ ও মো. আবদুল হক।
কোমলমতি শিশুদের প্রজনন শিক্ষা প্রয়োজন কিনা জানতে চাইলে বইটির সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, প্রাথমিক ধারণা দেয়ার জন্যই ওই পাঠ দেয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের কৌতূহল দূর হবে, বিভ্রান্তিতে পড়বে না। ওই পাঠের মাধ্যমে শিশুদের নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আকাশ সংস্কৃতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছুই শিখে যায়। তিনি বলেন, প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে অভিভাবকদের অভিযোগ থাকলে তা বিবেচনা নেয়া হবে। পরবর্তীতে পর্যালোচনা করে পাঠের পরিমার্জন করা হবে।
অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্যে ব্লু-ফিল্ম ও পর্নোগ্রাফি : এনসিটিবি প্রণীত ২০১৩ সালের অষ্টম শ্রেণীর আরেকটি ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ পাঠ্যবইয়ের কিশোর অপরাধ প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বইটির ৮৬ পৃষ্ঠায় দশম অধ্যায়ে লেখা হয়েছে— শিশু-কিশোরদের সব রকম খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখতে হবে। এ জন্য টেলিভিশনে ও অন্য উপায়ে তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যমূলক এবং বিশুদ্ধ আনন্দদায়ক দেশি ও বিদেশি ছায়াছবি দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে। পর্নোগ্রাফি, ব্লু-ফিল্ম ও বিভিন্ন অশ্লীল প্রকাশনা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। ৮৮ পৃষ্ঠায় কিশোরদের মাদকাসক্ত থেকে বিরত রাখা বিষয়ে আলোচনায় লেখা হয়েছে— ‘সুস্থ চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করে শিশু-কিশোরদের সেদিকে আকর্ষণ করতে হবে যাতে তারা মাদক গ্রহণ ও অন্যান্য খারাপ অভ্যাসের দিকে ঝুঁকে না পড়ে। একই সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ চলচ্চিত্র ও পর্নোগ্রাফির প্রচার বন্ধ করা দরকার।
বইটি রচনা করেছেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শাহনাওয়াজ, ঢাবি ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ দেলোয়াার হোসেন এবং ড. সেলিনা আখতার, ফাহমিদা হক, ড. উত্তমকুমার দাশ, আনোয়ারুল হক, সৈয়দা সঙ্গীতা ইমাম। বইটির সম্পাদনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং অধ্যাপক শফিউল আলম, আবুল মোমেন, অধ্যাপক ড. মাহবুব সাদিক, অধ্যাপক ড. মোরশেদ শফিউল হাসান, অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক, সৈয়দ মাহফুজ আলী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল এহসান বলেন, আমাদের দেশের আইনে মেয়ে ১৮ এবং ছেলেদের ২১ বছর পরিণত বয়স বোঝায়। এর আগে বিয়ে আইনসিদ্ধ নয়। ওই বয়সে ছেলে কিংবা মেয়ে এইচএসসি সমাপ্ত হয়। সেখানে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী পরিণত বয়সের না হওয়ায় ‘প্রজনন স্বাস্থ্য’ পাঠটি দেয়া যৌক্তিক হয়নি। এতে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা লজ্জা ও বিব্রতকর অবস্থায় পড়বে। ব্লু-ফিল্ম ও পর্নোগ্রাফি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে বাইরের দেশের তুলনা করা যাবে না।
শিক্ষকদের বিব্রতবোধ, শিক্ষার্থীরা লজ্জায় ক্লাসে আসা বন্ধ করে দিচ্ছে : দেশের বিভিন্ন স্কুল থেকে খবর আসছে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকরা প্রজনন স্বাস্থ্য, ব্লু-ফিল্ম, পর্নোগ্রাফি এসব বিষয় নিয়ে পাঠদান করার সময় বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে পাঠদানের সময় প্রশ্ন করছে, ‘স্যার/ম্যাডাম, প্রজনন, ব্লু-ফিল্ম কী? পর্নোগ্রাফি কী? ও প্রজনন বিষয়ে একই প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন অভিভাবকরাও। এতে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন তারা। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ক্লাসে আসা বন্ধ করে দিচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই এসব বিষয় নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকরা গণমাধ্যমের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণীর শারীরিক শিক্ষা পাঠ্যবইটির কয়েকটি অধ্যায় শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের অনুপযুক্ত। শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে এ বিষয়ে পড়াতে চায় না। যেখানে সহশিক্ষা রয়েছে সেখানে ছাত্রীরা ক্লাসে উপস্থিত থাকতে চান না। সেলিম ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবহেলা ও সংশ্লিষ্টদের অযোগ্যতা-অদক্ষতার কারণেই কোমলমতি শিশুদের পাঠের মাধ্যমে কুশিক্ষা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া আরও বলেন, বইটির লেখক বা সম্পাদক আমাদের দেশের অবস্থা বিবেচনা না করে পাশ্চাত্য দেশের আদলে ছাত্রছাত্রীদের যৌনশিক্ষা দিতে চান। এতে করে তারা কৈশরেই বিপগামী হবে। শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দেয়ার প্ররোচনার অপরাধে সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া।
শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিভাবকদের অভিযোগ : ‘শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য’ বই থেকে বয়ঃসন্ধিকাল ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধ্যায়টি বাদ দেয়ার জন্য এরই মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে অভিভাবকরা। এতে বলা হয়েছে, কিছু কিছু লেখক অর্থের বিনিময়ে নৈতিকতা বিবর্জিত অধ্যায় জুড়ে দিয়েছেন। আবেদনে প্রজনন স্বাস্থ্য অধ্যায়ের নগ্নভাবে বর্ণনা করা বিষয়গুলো উল্লেখ করে অভিভাবকরা লেখকদের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে বলেছেন, লেখকরা কোন স্কুল হতে সেক্স বিষয়ক পড়াশুনা করেছে, তাদের ছেলেমেয়েদের বাসায় এ ধরনের কোর্স শেখানো হয় কি না। আবেদনে আরও বলা হয়, সৃষ্টির আদি থেকে হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) সৃষ্টির পর থেকে তাদের কেউ সেক্স বিষয়ে শিখিয়ে দেয়নি। এ বিষয়ে যদি কোনো স্কুল বা প্রতিষ্ঠান থাকত তবে পশুপাখি, গরু-ছাগল এদের জন্যও কি স্কুল আছে?
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, জোরপূর্বক স্কুলের কোমলমতি ছেলেমেয়েদের এসব বিষয়ে পড়ানো হলে ধর্ষণের প্রবণতা, ইভটিজিং এর প্রকোপ বাড়বে। দিন দিন দেশ ফ্রি সেক্সের দেশে পরিণত হবে। ছাত্রছাত্রীদের নৈতিক অবক্ষয়সহ ওপেন সেক্সের উদ্ভব ঘটাবে। ওই উদ্বেগ প্রকাশ করে আবেদনে অভিভাবকরা অবিলম্বে ‘শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য’ বই থেকে প্রজনন বিষয়ক অধ্যায়টি বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
অশ্লীলতা ও যৌনতা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য : প্রাথমিকের পাঠ্যবইতে বয়ঃসন্ধি ও প্রজনন শিক্ষা বিষয়টি সংযুক্ত করায় খোদ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারাও বিব্রত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, শ্রেণী ও বয়স বিচার করেই বয়ঃসন্ধিকাল ও প্রজনন বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ছিল। ও রকম খোলমেলা আলোচনা না করলেই ভালো হতো। তবে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে বয়ঃসন্ধিকাল ও প্রজনন শিক্ষা রয়েছে। দুনিয়ার সঙ্গে তাল মেলাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রজনন শিক্ষার সঙ্গে পরিচিত করতেই ওই পাঠ দেয়া হয়েছে। ওই পাঠ যৌনতায় উদ্বুদ্ধ, আমাদের সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুভূতিতে প্রভাব ফেলছে এমন অভিযোগের বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, লেখক ও সংশ্লিষ্টরা বলেছেন— ধর্মীয় বিষয় আঘাত করা হয়নি। আর অন্য বিষয়গুলো আমার পড়ে দেখতে হবে। নতুন পাঠ্যবইগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ। ইসলামের যেসব বিষয় ‘ভুল ত্রুটি রয়েছে’ তা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ওইসব পাঠ্যে শিশুদের নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দেবে কিনা জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল আবদুুল নাসের চৌধুরী বলেন, বইগুলো পড়ে দেখতে হবে। তার আগে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। বিভিন্ন অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে আসছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সচিব বলেন, পাঠ্যবইগুলোর পরীক্ষামূলক সংস্করণ বের করা হয়েছে। এর ভুলত্রুটি সংশোধনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বইগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন। আগামী বছর শিক্ষার্থীরা সংশোধিত ও পরিমার্জিত সংস্করণের বই পাবেন। তবে বড় ধরনের কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে সে বিষয়ে জরুরি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হবে। এরই মধ্যে নবম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বইয়ের একটি ভুল সংশোধন করা হয়েছে। জরুরি কোনো বিষয়ে সংশোধন প্রয়োজন হলে তাও করা হবে। এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×