জীবনটা যেন কাকিনা ষ্টেশনের
"শুণ্যদুপুরে"ভর করে আছে ।
কবে কোন ট্রেন একবার হুইসেল বাজিয়ে
চলে গিয়েছিল।
আর ফেরেনি।
স্বপ্ন আর অতীত
এখন ষ্টেশনের লাল দালানের আস্তরণের
ফাক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসতে চায়।
শেষ স্মৃতি হয়ে শুধু
কাঠ গোলাপের গাছটা বেঁচে আছে।
বিষাদমাখা অনুর্বর
এ বুকে আর ভালোবাসার
চাষাবাদ হয় না।
যা হয় কর্তব্যের
অভিসার মাত্র।
যেখানে ফুল অাসে না
বীজভরতি ফসল অাসে
বংশ রক্ষার কবচ হয়ে।
পূর্ণিমার চাঁদকে
স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটের
মত মনে হয়।
এখন অামি এমন রাতে
সাহেব বিবির
অাড্ডায় পড়ে থাকি।
রাত্রি শেষে পাড়ার কুকুরটার সাথে
মাতাল হয়ে ঘরে ফিরি।
মহল্লার মুখে কল তলায়
আতর আলীর সদ্যবিধবা যুবতী মেয়েটি
উদাস চোখে কি যেন বলতে চায়!
২১এপ্রিল ৯সেপ্টম্বর
সাধারন দিনের মত
কেটে যায়।
কোনটা যে জন্ম আর বিচ্ছেদের দিন
সব গুলিয়ে যায়।
পাঁচটি বছর পরেও
উত্তরের হিমেল হাওয়ায়
বুকের ভিতরটা যখন
মোচর দিয়ে উঠে
এক গাঁদা ধুয়াঁ গিলে নেই।
সংসারে আর কোন রসায়ন নেই।
যা আছে বাঁচার জন্য
বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা মাত্র।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮