গাঁদা বা গন্ধা (গন্ধা>গেন্ধা>গেনদা>গাঁদা) একটি সুগন্ধী ফুল যা সর্বত্র সহজে হয়ে থাকে এবং গৃহসজ্জায় ব্যবহৃত হয়। এটি Compositae পরিবারের একটি সদস্য, বৈজ্ঞানিক নাম Tagetes erecta। । গাঁদা ফুল বিভিন্ন জাত ও রঙের দেখা যায়। এই ফুল সাধারণত উজ্জল হলুদ ও কমলা হলুদ হয়ে থাকে। সাধারণত: এটি শীতকালীন ফুল হলেও বর্তমানে এটি গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালেও চাষাবাদ হয়ে থাকে। বাগানের শোভা বর্ধন ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বন ও গৃহসজ্জায় এর ব্যাপক ব্যবহার ফুলটিকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।
বাংলাদেশে গৃহস্থ বাগানের সাধারণ ফুল গাঁদা। ১৯৯০-এর দশক থেকে গাঁদা বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। যশোরের গদখালী, ঝিকরগাছা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, গাজীপুর জেলার সদর উপজেলা, চট্টগাম জেলার হাটহাজারী ও পটিয়া, ঢাকা জেলার সাভার এলাকায় অধিক হারে চাষ হয়।
বাংলাদেশে প্রধানত দুই ধরনের গাঁদা পাওয়া যায়ঃ
• আফ্রিকান গাঁদাঃ এই শ্রেণীর গাঁদা হলুদ রঙের, গাছের আকৃতি বেশ বড়। উল্লেখযোগ্য জাতসমূহ হলঃ ইনকা, গিনি গোল্ড, ইয়েলা সুপ্রিম, গোল্ডস্মিথ, ম্যান ইন দি মুন, ইত্যাদি।
• ফরাসি গাঁদাঃ এই শ্রেণীর গাঁদা কমলা হলুদ হয়ে থাকে। এজন্য এদের রক্তগাঁদাও বলা হয়। এর গাছ ক্ষুদ্রাকৃতির। পাপড়ির গোড়ায় কালো ছোপ থাকে। উল্লেখযোগ্য জাতসমূহ হলঃ মেরিয়েটা, হারমনি, লিজন অব অনার, ইত্যাদি।
এছাড়াও সাদা গাঁদা, জাম্বো গাঁদা, হাইব্রিড এবং রক্ত বা চাইনিজ গাঁদার চাষ হয়ে থাকে।
গাদা ফুল গাছের ভেষজ গুণাবলি রয়েছে। কাঁটা স্থানে গাদা ফুল গাছের রস লাগালে ক্ষত স্থান থেকে রক্ত পরা বন্ধ হয়। গ্রামে এখনও এটি ক্ষতের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
--------- তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া
তখন শীতকাল শেষের পথে। আমাদের দেশে শীতকালে বাগান ভরে থাকে ফুলে ফুলে। এখন বিদেশী অনেক ফুল বাংলাদেশে পাওয়া যায়। তাই সব ঋতুতেই অনেক অনেক ফুল আমার বাগান আলো করে রাখে। ফুলের ছবি তুলতে আর সে সব ছবি ফেইসবুক আর ব্লগে পোষ্ট করাটা আমার কেমন যেন নেশায় পরিনত হয়েছে।
প্রতিদিন আছর নামাজ পড়ে আমি ছাদে যাই। ক'দিন হলো খেয়াল করছি, আমার বাগানে কেউ যেন ফুল ছিঁড়ে ফেলে রাখে, ছিঁড়ে নিয়ে যায়। ফুল থেকে অনেক পাপড়ি ঝরে পড়ে থাকে, কয়েকটা করে ফুল ছেঁড়া। ছাদের চাবি আমার কাছেই থাকে। তাহলে ফুল ছেঁড়ে কে??
খুবই কষ্ট পাই। কিন্তু খুঁজে পাই না কে সে !!!
(আমার সেই অজানা, অদেখা ফুলচোরের উদ্দেশ্যে !!!!!!!! )
তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে ফুল নিতে আসতে
জানি না তুমি ফুল না, আমাকেই বেশী ভালবাসতে।
প্রতিদিন তুমি দেখতে আমায় গোলাপের আড়ালে লুকিয়ে
যখনি চোখে চোখ পড়ত লজ্জ্বায় যেতে শুধু পালিয়ে,
কি ছিল তোমার মনে, পারিনি তা’ আজো জানতে।
স্বপ্নের মত গেলে কোথায় অজানায় হারিয়ে কে জানে,
নিরবে চিরদিন তাইতো স্বপ্নের বাঁশী বাজে এ প্রাণে
পারিনি আমি আজো, সে স্মৃতির ইতি টানতে-----
--------------------- কুমার বিশ্বজিৎ
দৃঢ় পায়ে এগিয়ে আসছে
আক্রমন
অবশেষে সফলতা
মনের আনন্দে ফুল খেয়ে যায় এভাবেই।
আমি অধিক শোকে পাথর!!! একে দেবার মত কোন শাস্তিই আমি খুঁজে পেলাম না!!!!
************************************************************************************************
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮